কার্টুন আঁকিবার একখান প্রাণান্তকর চেষ্টা।
পেন্সিলে আঁকিতে পারি, কিন্তু সেটারে কেমন করে রঙ করে, কেমন করে ঢং করে, এইসব নিয়া বেশ হেজিমনিতে দিন কাটাইতেছি।
পেন্সিলে পিটাইয়া, ট্যাবলেট দিয়া চাবাইয়া, ফটুস্যুপ-এ মাখাইয়া শেষমেষ ঘন্টা তিনেকের সুমো-কুস্তির পরে এইখান বাইরাইলো।
সচলে পোস্টাইয়া দিলাম। জাঝাকুল্লা খাইর।...
এরকম কোন বই নিয়ে লেখা খুব মুশকিল, যে বইয়ের পাতা উলটে দু পাতা যেতেই ঋণ স্বীকারে দেখা যায় নিজের নাম লেখা আছে। অথবা, আরও কিছু পৃষ্ঠা এগুলে কোন গল্পের শিরোনাম, এবং তারপর দু'প্যারা পড়লে হুট করে মনে পড়ে যায় জিমেইলে বা জিটকে গল্পলেখকের সাথে অগুণতি আলাপের স্মৃতি। কিংবা অন্য একটা গল্প শেষে তারিখ বা সাল দেখে যখন মনে পড়ে, অনলাইনে রাত দিন উজাড় করে ওলটপালট করে ফেলা অদ্ভুত কিছু যুদ্ধের ...
লাঞ্চ আওয়ারের ঠিক আগে আগে অফিসঘরটা ছেলেবেলার ইশকুল হয়ে যায় প্রতিদিন। বাম দিকের দেয়ালে ঝোলানো একটা বুড়োমতন ঘড়ি, দুপুরবেলায় জবুথবু ভঙ্গিতে সে ক্রমশ এগুতে থাকে বারোটা থেকে একটার দিকে। গন্তব্যে পৌঁছে জ্বরগ্রস্ত একটা কাশি দিলে শব্দ হয়- ঢং। এতক্ষণ অধীর আগ্রহে এই শব্দের জন্যেই অপেক্ষা করে ছিলো বেশ ক'জন বয়স্ক মানুষ। ইশকুল বালকদের ক্ষিপ্রতায় তারা সবাই চেয়ার টেনে উঠে দ...
তিথির আম্মু এই কথাটা খুব বলতেন। আমাকে সরাসরি বলেন নি কখনও, আমি শুনি নি। পরে তিথির কাছে শুনেছি, মাঝে মাঝেই আনমনে তিনি এই কথাটা বলতেন।
আশ্চর্য হলো- সারাটা জীবন ধরে এই কথাটাই ঘুরে ফিরে ধ্রুবসত্যের মত মাথার উপরে এসে চেপে বসেছে। কানে শুনতে হয় নি কখনও, কিন্তু মনে আর প্রাণে নানা ঘটনায় সেটাই খুব টের পেয়েছি বারবার।
*
এইখানে, হাওয়াই মিঠাইয়ের কোন একটা পর্বে আমি লিখেছিলাম আমার আগের বা...
এবারে বইমেলায় দুই হাতে বই কিনেছি, প্রাণ ও পকেট দুইই খুলে। আমার অভিজ্ঞতায় বলে, মেলায় গিয়ে বই কেনার জন্যে সবচেয়ে ভাল সঙ্গী হলেন আমাদের সচল নজরুল ইসলাম ভাই। কোনায় কানায় নানা আড্ডার ফাঁকে ফাঁকে হুট করেই মাথায় বাই চাপতো, এক্ষুণি বই কিনতে যেতে হবে। ব্যস, আমি আর নজু ভাই তখন দুদ্দাড় ছুট লাগিয়ে বই কিনে নিয়ে আসতাম।
মেলা শেষে বইয়ের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে একশ কুড়ির কিছু বেশি, ওজনে হয়েছে ২৮ কেজি। ও...
সকালে ঘুম ভাঙলে পত্রিকাটা হাতে নিয়ে ঠিক করে ফেললাম আজই যাবো বইমেলায়।
যখন ছোট ছিলাম, একবার এক বন্ধুর সাথে কী নিয়ে যেন মন কষাকষি হলো। তারপর দীর্ঘ দিনের আড়ি, কেউ কারো সাথে কথা বলি না, দেখা হলেও এড়িয়ে চলি। লম্বা সময় বাদে যখন আবার কথা বলা শুরু করলাম, দেখি এতদিনের অনভ্যাসের কারণে কেবলই অস্বস্তি আর দ্বিধা।
প্রায় ছয় বছর বাদে এবারে যখন বইমেলায় ঢুকছিলাম, ঠিক সেরকম একটা অনুভূতি হচ্ছিলো মনে...
কীভাবে যে উড়ে যায় দিন,
সাথে নিয়ে কয়েকটি ভুলে থাকা ঋণ।
মুঠো মুঠো সাদা কালো জমে শুধু এলবামে,
আমাদের সব ছবি আজকে রঙীন।
আমরা হাসতে গিয়ে একসাথে
আমরা হাঁটতে গিয়ে একসাথে
আমাদের নিঃশ্বাস একসাথে গেয়ে ওঠে,
আমাদের মায়ার হরিণ।
স্বপ্নেতে ঘোরাঘুরি, প্রতি দানে হাজারটি ভুল।
তবু আমাদের সঙ্গে আকুল,
তিনটি বছর জুড়ে ফুঠে ওটা আমাদের লাল নীল ফুল।
-------------
২২/১২/০৯
বাংলাদেশি নাটকে পরিচালকের নাম দেখে নাটক বাছাই করার অভ্যেসের শুরু মোস্তফা সারওয়ার ফারুকীর কল্যাণে। কিন্তু সেই ঊষা লগ্ন এখন গত-প্রায়, এখনও তার নাটক দেখি, কেবল যদি পর্যাপ্ত সময় থাকে হাতে। তারপরেও কিছুটা একঘেয়েমিতে ভুগি, ফারুকীর নাটকের পাত্র-পাত্রীরা সবাইই কেন জানি খুব উচ্চ স্বরে কথা বলে। আর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অবিরাম ঝগড়া করতে থাকে কেউ কেউ, এবং নাটকে মোবাইলের ব্যবহার দৃষ্টিকট...
ভূমিকাঃ
-------
আমি টিভি খুব একটা দেখি না। একটা লম্বা সময় হোস্টেলে থেকেছি বলে টিভি-র প্রতি আকর্ষণ একদমই উবে গেছে। সিরিজ ধরনের নাটক বা ডকুগুলোর প্রতি আবার বিশেষ এলার্জি আছে, টিভিতে ওগুলো দেখাই হয় না তেমন।
এখানে এসে অবশ্য একটা উপকার হয়েছে, দোকানে গেলে বাংলাদেশী সিরিয়ালগুলো এক ডিভিতে সব দিয়ে দেয়, বিজ্ঞাপনের কোন ঝঞ্জাট নেই, মাঝখানে খবর দেখার টানাটানি নেই, একেবারে এক বসায় দশ পর্ব এক সাথে...
(.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
)
কবেকার কোন বৈশাখী মেলা থেকে একটা লাল
ডুরে শাড়ি কিনে এনে দিইনি বলে সে
আমার থেকে দূরে সরে সরে থাকে শুধু।
ব্যস্ত দুপুরের কোন একদিন একটা কাঠি
লজেন্স অথবা হাওয়াই মিঠাই এর আবদার আমার
মন ভুলে গিয়েছিলো হয়ত, সেই
থেকে, অভিমানী মেয়ে গাল ফুলিয়ে কেবলই
ছলছল চোখে চেয়ে দেখে আমাকে, কাছে আসে না।
বিকেলের ভেজা আলোয় আজ মনে পড়লে এক হাত...