কবি বলেছেন, জ্ঞানের কোন শর্টকাট নাই।
কিন্তু আমরা বুদ্ধিমান মানুষ, বোকা কবির কথায় ভুলবো কেন? আমরা তাই জ্ঞানার্জনের জন্যে অসংখ্য শর্টকাট খুঁজে বের করে ফেলি। উচ্চ নম্বরের সিঁড়ি বানাই, পাঞ্জেরী হই, ফোকাস করে করে পড়ি।
ছোটবেলায় কোন এক গল্পে পড়েছিলাম, বালিশের নিচে ভূগোল বই রেখে ঘুমিয়েছে এক ছেলে, রাতের বেলা স্বপ্নের ভেতর তাই সে সারা দুনিয়ার ভূগোল দেখে ফেলেছে।
এই গল্প পড়ে ব্যাপক উৎসাহ...
আমার বাকশে থাকতো এতটুকু ছানা মিষ্টি,
আমার চোখের কোণে তোর আটকে থাকা মুখ
আমি বলতাম, বৃষ্টি!
ডাক শুনে হুঁ বলে তুই তাকাতি আমার দিকে,
তোর নীলচে সবুজ স্কার্টে বাদামী ধুলো-
তোর সাদা শার্ট আর সাদাটে ফুল চারদিকে
তোকে ডাকলাম কই, আমি বলতাম, বৃষ্টি নামবে দেখ।
তোর অবাক ভুরু- আচ্ছা পাজি তো-
তোর চোখে টলটলে মেঘ।
আমাদের বাড়ির ঠিক পাশেই, তোদের পাশের বাড়ি,
আমাদের পাশাপাশি ইশকুল, আমাদের রোদ্দুর কা...
এখানকার একটা নামকরা দৈনিক পত্রিকার সাহিত্য পাতা পড়তে গিয়ে সম্ভবত প্রথম মাথায় আসে কথাটা। অথবা তারও আগে, হয়ত ঝুম্পা লাহিড়ি পড়ছিলাম যখন, তখন। অথবা, এখন মনে হচ্ছে আরও খানিক আগে, মার্কেজের গল্পগুলো যখন পড়ছিলাম, সম্ভবত তখনই।
সাহিত্যপাতায় যে গল্পটা পড়ছিলাম, সেটা আবার সে পত্রিকার সাহিত্য আয়োজনে প্রথম পুরষ্কারপ্রাপ্ত। গল্পের শুরুতে আলাদা রঙ ও ফন্টে সে কথা বিশেষভাবে জানান দেয়া, গল্পে...
১।
বিদেশী বইগুলো সরাসরি ইংরেজিতে পড়া শুরু করি মূলত দেশের বাইরে এসে। তবে খুব আনন্দ নিয়ে নয়, বাংলা বইয়ের যোগান ছিলো না পর্যাপ্ত, এদিকে বই না পড়লে মাথায় তালগোল লেগে যায়, তখুনি স্থানীয় গণপাঠাগারে গিয়ে বই আনা শুরু করি। সেবা প্রকাশনীর অনুবাদের পর সেই প্রথম বিদেশী সাহিত্যের সাথে ভালমতন মোলাকাৎ হলো, লেখকের নাম ধরে ধরে বই শেষ করার পুরনো অভ্যাসটা আবার ভাল মতন জাগিয়ে তুললাম।
সাহিত্যের...
একদম পলকা একটা বই। বড় বড় হরফে ছাপা সবমিলিয়ে মাত্র ৬৪ পৃষ্ঠা। তার নিজস্ব ওজনের সিংহভাগই হচ্ছে শক্ত বাঁধাইয়ের কল্যাণে। আমার খাবার টেবলের পাশে রাখা ওজন মাপার মেশিনটায় তুললে কাঁটা খুব একটা নড়ে চড়ে না, দেখেছি। কিন্তু পড়তে গিয়ে যতবারই বুকের ওপর রেখেছি, মনে হয়েছে, এর চেয়ে ওজনদার বা ভারী কিছু বোধহয় আর নেই!
বইয়ের নাম, একাত্তরের কিশোর মুক্তিযোদ্ধা। মেজর হামিদুল হোসেন তারেক বীর বিক্রমের ...
মাহমুদুল হকের "কালো বরফ" পড়তে পড়তে, সম্ভবত, বার তিনেক আমাকে পাতা উল্টে প্রথম প্রকাশের তারিখটা দেখে নিতে হয়েছে। ১৯৯২ সালে বেরিয়েছিলো এই বই। ঠিক সতের বছর আগে। কিন্তু তারচেয়েও বড় ব্যাপার হলো, এটির রচনাকাল আরও পেছনে, অগাস্ট ১৯৭৭! তিরিশ কিংবা তারও বেশি বছর বাদে, আমার নিজের চেয়েও বেশি বয়েসী এই বইটা হাতে নিয়ে আমি অবাক হয়ে ভাবছি, মাহমুদুল হক কেমন করে এত বছর আগেই এরকম একটা চির-আধুনিক উপন্যা...
মনের মধ্যে কতরকমের হাউশ!
ম্যাকগাইভার দেইখা একসময় ভাবতাম, এই ব্যাটার মত বুদ্ধি না হইলে তো জীবনটাই বৃথা! বোম্বাই সিনেমা 'গুরু' দেইখা মোনাজাতে কইতাম, আল্লাহ , আমারে মিঠুনের মতন মারামারি শিখাইয়া দাও।
বেহেশতে যাওনের একটা খায়েশ মনের মধ্যে উঁকি ঝুকি মারে বহু আগে থেইকা। না না, জান্নাতুল ফিরদাউশ চাই না, ঠেলাঠেলি কইরা চামে চুমে কোন একটা ছোটখাট বেহেশতে জায়গ...
আমার সহকর্মী ভারতীয় ছেলেটা আমাকে উত্তেজিত স্বরে জিজ্ঞেস করলো, তুমি কি গিয়েছিলে আজ, ফেডারেশন স্কয়ারে?
আমি কী একটা খুটখাট করছিলাম কম্পিউটারে। ওর দিকে তাকিয়ে বুঝলাম, ঘটনা খারাপ, পাশের চেয়ার দেখিয়ে বসতে বলে জানালাম, না যাইনি, আমি তো সকাল থেকেই এখানে। কী খবর বলো তো?
ও বেশ উঁচু গলায় হড়বড় করে অনেক কথা বলে গেলো। সারমর্ম এরকম, আজ নাকি প্রায় হাজার পাঁচেক ভারতীয় ছাত্র প্রোটেস্ট করেছে সেখানে...
সূর্য বললো ইশ, তুই খাস কেন কিসমিস?
এখানকার আবহাওয়াটা সম্ভবত কোন কারণে খুব কনফিউজড হয়ে আছে। কখন কেমন আচরণ করবে ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না। বাইরে ঝাঁ চকচকে রোদ, কিন্তু বেরুলেই দেখা যায় সে রোদে কোন তাপ নেই। আমি মনে মনে একচোট হেসে নিই এসব দেখলে। নরকে শুনেছি এমন আগুন থাকবে, তাতে কোন আলো নেই, কিন্তু তাপে সেটা গনগনে হবে। এই রোদের ঠিক উল্টো আচরণ দেখে ভাবি, লোকে এবারে এ জায়গাটাকে স্বর্গ বলে ভুল ন...
উহুঁ, আলাদা ফিস-টিস নেই
চাইলে, হাতে লেখা সাদা কাগজের একটা
ফরম দিতে পারি।
সেখানে নাম-ধাম লিখে-
সাথে পিতার বৈষয়িক বৃত্তান্ত,
এবং নীল না পেলে নাহয় সাদা খামে পুরেই
আমার বুক পকেটে ফেলে যেও মেয়ে।
শুধু তোমার জন্যই, জেনো,
শুধু তোমাকে ভেবেই আমি
কাগজে বিজ্ঞাপন দেইনি কোনও।
নইলে দু"কলামে রঙীন হরফে
ছেপে দেয়াই তো যেতো-
"কবি-র প্রেমিকা পদে লোক নিয়োগ হচ্ছে।"
হাওয়া শুঁকে শুঁকে আমি টের পেয়ে গেছি,...