মানুষ টানুস, টেকা টুকা, আর ইকোনমি খাউয়ার পরে করোনা ভাইরাস ছুটিটাও খেয়ে ফেলল সুড়ুৎ করে।
দেশ ছেড়ে এসেছি ছয় বছর।
বয়স খাউয়ার পর এডভাইজার ঢেকুর তুলে বলল, পোস্ট ডক খাউ?
এদিকে এক্স পেমিকাকে খাউয়ার পর তার জামাই ইনস্টাগ্রামে ছবি দিয়ে বলে, হ্যালো ফ্রান্স, দুনিয়ার সকল শান্তি এই খাউয়াতেই।
ছোট ভাইটাও দাঁড়ি মোচ পাকিয়ে আন্ডারগ্রাজুয়েট খেয়ে ফেলল।
অতি ধীরে ভালোবাসার বিবর্তন ঘটে যায়।
শব্দে শব্দে তিল তিল করে আমাদের বিবর্তন ঘটে যায়;
ফেইসবুকের চ্যাট উইন্ডোতে, স্ট্যাটাসে, মেসেজে, ছবিতে...
আমরা একে অপরের ছবিতে লাইক দিতে ভালোবাসি।
ভালোবাসি মন্তব্যে, চ্যাটে।
কাছাকাছি আসি, তবু দূরে থেকে যাই।
মনে মনে আমরা শ্রোডিঙ্গারের বাক্স হাত বদল করি।
কিন্তু বাক্স খুলতে আমাদের নিতান্ত ভয় হয়।
যদি শ্রোডিঙ্গারের বিড়াল মরে গিয়ে থাকে?
বড় প্রতিষ্ঠান আর ছোট প্রতিষ্ঠান - কোনটাতে কাজ করার সুবিধা আর অসুবিধা কি? বর্তমানে এক চাকুরীতে অনেকদিন বসে থাকলে অগ্রগতির সুযোগ কম। কিন্তু পরবর্তী চাকরীতে যাবার আগে ছোট প্রতিষ্ঠানে যাবেন নাকি বড় প্রতিষ্ঠানে?
(বছর তিনেক আগে লিখেছিলাম ক্ষুদ্র এই নাটিকাটি। একটি অনুষ্ঠানে মৌটুসীর সাথে কথোপকথন বা শ্রুতি নাটক হিসেবের পাঠের জন্য প্রস্তুত করা। এর আগে প্রকাশ করা হয়নি অন্য কোথাও। আজ সচলায়তনে দিলাম। দুষ্ট লোকেরা বলে এটা নাকি আমাদের প্রেম কাহিনী। তাদের কথায় একদম কান দেবেন না।)
১
প্রথমে ফেললাম বইগুলো। অনেক কষ্টে সংগ্রহ করেছিলাম। জ্যারেড ডায়মন্ড, রিচার্ড ডকিন্স, চেনা অচেনা অনেক ফিকশন। বুকে পাথর বেঁধে অনুজপ্রতীম খানসাপকে বইগুলো পাঠিয়ে দিলাম।
সিয়াটল বিমানবন্দরে নেমেই ব্যাগ উদ্ধারের জন্য ছুটছি ট্রেনের দিকে। আমার পর পর হন্তদন্ত হয়ে উঠলেন এক মা আর তার ১১ থেকে ১৩ বছর বয়সী ছেলে। দেখে বোঝা গেলো ছেলেটার অটিজম আছে। মা ট্রেনে হ্যান্ডেলবারের সাথে ছেলেটার হাত চেপে রাখলেন।
ট্রেন চলা শুরু করতে ছেলেটা ট্রেনের দুলুনির সাথে তাল মিলিয়ে দোলা শুরু করল। মা লজ্জ্বায় কাঁচুমাচু হয়ে ছেলেটাকে থামানোর চেষ্ঠা করতে লাগলেন।
সাত বছর আগের এই দিন আমার জীবনটা আলো করে জীয়ন আমাদের কোলে এসেছে। এখনও কথা বলতে শিখেনি। কিন্তু এখনও সে আমাদের জানের টুকরা। তার বন্ধু নেই একজনও। কিন্তু সে আমাদের বেস্ট ফ্রেন্ড, আমাদের পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দু। আমাদের এই যাত্রা দীর্ঘ, আর পথ বন্ধুর। তবু আশা হারাবার কিছু নেই। কারণ আমরা জানি, সংসার সাগরে দুঃখ তরঙ্গের খেলা আশা তার একমাত্র ভেলা।
আমরা বাকরুদ্ধ। আমরা হতবুদ্ধি। আমরা সন্ত্রস্ত। আমরা আহত।
কিন্তু আমরা বাকরুদ্ধ হলেও আমাদের কলম চলছে। আমরা হতবুদ্ধি হলেও আমরা বুদ্ধিভ্রষ্ট নই। আমরা সন্ত্রস্ত হলেও আমরা সশস্ত্র। আমাদের কলম, আমাদের কিবোর্ড আর আমাদের মুঠোফোন আমাদের হাতিয়ার। আমাদের শানিত চেতনা আমাদের বারুদ।
এই পর্বে পাঁচটি প্রাথমিক স্ট্রামিং প্যাটার্ন দেখানো হয়েছে নীচের ভিডিওতে। খুব বেসিক এই প্যাটার্ন গুলো পরবর্তীতে অন্যান্য স্ট্রামিং শেখার জন্য কাজে লাগবে। ভিডিওটিতে E মেজর কর্ড ব্যবহার করে স্ট্রামিংগুলো দেখানো হয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনে বাম হাত দিয়ে স্ট্রিংগুলো চেপে ধরে স্ট্রামিং প্যাটার্ন প্র্যাকটিস করতে পারেন।
গিটার শেখা একটি তুলনামূলকভাবে কষ্টসাধ্য কাজ। এই বাদ্যযন্ত্রটি পুরোপুরি শিখতে অনেক বছর লেগে যায়। অবশ্য কথাটি বোধহয় যে কোনো বাদ্যযন্ত্রের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তবে খুব অল্প আয়াসে উপস্থাপন করার মতো কিছু কর্ড এবং গান শেখা গেলে সেটা আমাদের উৎসাহিত করতে সাহায্য করে। সুবোধ অবোধের সাথে ‘গিটার ইশ্কুলে’ কি কি শেখানো যেতে পারে সে আলোচনার সময় তাই সহজ কিছু টিউটোরিয়াল রাখার সিদ্ধান্ত নেই আমরা। আজকের ক্লাসে তাই চ