এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ব্লগ

শিকাগো শহর। উইন্ডি সিটি। ভয়াবহ ঠান্ডা এবং কুৎসিত শীতকাল। সিটি অফ জ্যাজ এন্ড ব্লুজ। মাল্টিকাচারাল মেট্রোপলিটান শহর। আমেরিকার তৃতীয় বৃহত্তম শহর। আমেরিকার পাঁচটি বৃহত্তর লেইকের দ্বিতীয় বৃহত্তম লেইক মিশিগানের তীরে অবস্থিত শহর। এরকম কতধরণের বিশেষণ জানতে পারলাম শহরটা সর্ম্পকে। মুভিংয়ের বিরক্তির পাশাপাশি তাই যুগপদ আগ্রহ ও ভয় কাজ করছিলো।

আমি নিশ্চিত অনেকেই ক্যারিয়ারের একটি প্রান্তে এসে এধরনের সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হন। কিন্তু এ রকম বিষয়ে আলোচনার একটি জায়গা পাওয়া মুশকিল। অনলাইনে যদিও প্রচুর আলোচনা রয়েছে, কিন্তু প্রত্যেকের ইস্যু স্বতন্ত্র্য বলে বেশীরভাগ আলোচনাই অনেক ক্ষেত্রে ফলপ্রসু সিদ্ধান্তের সহায়ক নয়। আমি একই রকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে এই ব্লগটির মাধ্যমে আমার চিন্তাভাবনাকে স্ট্রিমলাইন করতে চেষ্টা করছি। আশা করছি আলোচনাটা হয়ত আরো অনেকের সিদ্ধান্ত নিতে সহায়ক হবে।

প্রতিমাসে একবার নিজে থেকে মিনিট কয়েকের মধ্যে করে ফেলা ব্রেস্ট ক্যানসার পরীক্ষা আপনার জীবনে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। শতকরা ৭০% ক্ষেত্রে নিজ থেকে পরীক্ষাতেই ব্রেস্ট ক্যানসার ধরে ফেলা সম্ভব। যারা আগে ধরে ফেলতে পারেন তাদের শতকরা ৯৮% আরোগ্য লাভ করতে পারেন। ব্রেস্ট পরীক্ষার সময় কোনো লাম্প বা শক্ত মাংসপিণ্ডের উপস্থিতি ধরা পড়লে অতি অবশ্যই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।

এক্ষুনি খবর পেলাম বিন লাদেনকে আমেরিকান সৈন্যরা হত্যা করেছে। এব্যাপারে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ওবামা একটি জরুরী বক্তব্য রাখবেন কিছুক্ষণের মধ্যে। বিস্তারিত পাবেন সিএনএন এ। এব্যাপারে আরো আপডেট দিচ্ছি শিঘ্রী।

তবু বসে থাকি।
বার বার, বার বার ফিরে আসি ফেইসবুকের জানালায়।
তোমার নামের পাশে বাতিটা তবু জ্বলে না।

বিশ্বাস করো, আমি জানি এ হবার নয়। এটা হবে না।
আমারও ত্রিশ এবং তুমিও নক্ষত্রের ওপারে।
এ শুধুই ইতস্ততঃ অক্সিটোসিনের খেলা।

শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে হৃদরোগ সহ নানা ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। অথচ এ বিষয় জন সচেতনতা একেবারে নেই বললেই চলে। কোলেস্টেরলের উপর সাধারন জন সচেতনতামূলক পোস্ট এটি।

সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সচলায়তন মূলধারার একটি সংবাদপত্রের সাবসিডিয়ারী গ্রুপ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। সচলায়তনের জনপ্রিয়তা এবং বিভিন্ন বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য এই সংবাদপত্রটি বরাবরই সচলায়তনকে প্রশংসার চোখে দেখেছে। এবিষয়ে দুপক্ষের দীর্ঘ আলোচনা শেষে পহেলা এপ্রিল থেকে সচলায়তন উক্ত সংবাদপত্রের ব্যানারে পরিচালিত হতে থাকবে। যথাসময়ে সংবাদপত্রটির নাম আপনাদের জানানো হবে।

তিনবছর অ্যরিজোনার টেম্পিতে থেকে পাড়ি জমিয়েছিলাম পশ্চিম পেনসিলভিনিয়ার পিটসবার্গে। আর আমার স্ত্রী ইন্ডিয়ানাতে। তারপর আরো তিন বছর বিভিন্ন চেষ্টা শেষে শিকাগোতে থিতু হবার মতো একটা অপশন পাওয়া গ‌্যালো।

এভাবেই দূরত্ব বাড়ে। বাড়তেই থাকে। মনে হয় আমরা ভাসতে ভাসতে, ভাসতে ভাসতে হারিয়ে যাবো মহাকাশের কালোয়। রেড শিফটেড দুটি নক্ষত্রের মতো।

তবু প্রাণপন, প্রাণপন চেষ্টা করি তোমার সাথে চুলের গন্ধটা নিতে। প্রাণপন চেষ্টা করি তোমার হাত দুটো ধরে রাখতে। কিন্তু প্রবল আকর্ষণ আমাদের ক্রমাগত টানতেই থাকে।

(পাঠক নিজ দায়িত্বে লেখার শিরোনাম পড়বেন। 'বইশোনা'কে 'বইসো না' কিংবা 'বই সোনা' পড়লে লেখকের কোনোই দায় নাই। )

বইটা খানিকটা আগ্রহ খানিকটা অনাগ্রহের অবস্থান থেকে শোনা শুরু করেছিলাম। বইটার শিরোনাম ইনফিডেল বা বিশ্বাসহীন হলেও সাব টাইটেলে 'আমার জীবন' কথাটা দেখে বুঝেছিলাম যে লেখিকার আত্মজীবনীমূলক বই হবে এটা। দীর্ঘ এই বইটা শুনতে আমার প্রায় ২০ ঘন্টার ড্রাইভিং-সময় ব্যবহার করতে হয়েছে।