ছোটবেলা থেকে আমরা সবাই শুনে আসছি মুসলমান-মুসলমান, ভাই-ভাই...! আসলে কি তাই? দুটো ভিন দেশের মুসলমান কি কোন কালে ভাই-ভাই ছিলো কিংবা আজ ও কি আছে?
(১)
স্কুল পাশ দেওয়ার আগেই ভাগ্যক্রমে আমার হাতে এসেছিলো বাংলাদেশের অন্যতম আলোকিত মানুষ আরজ আলী মাতুব্বরের বই। উনিই প্রথম শিখিয়েছেন কোন বিশ্বাসকে বিনা প্রশ্নে মেনে না নিতে। তারও কিছুদিন পর পরিচয় হলো হুমায়ুন আজাদ নামের এক ভাষার যাদুকরের সাথে। প্রথা আর মুখোশে ঢেকে থাকা সমাজের সব প্রাচীরকে যিনি ভেঙে দিয়েছিলেন তার লেখা অদ্ভুত সুন্দর সব শব্দমালায়, জাগিয়ে দিয়েছিলেন মনের মাঝে সততা আর সাহসের বিস্তীর্ণ এক পাহাড়।
স্মৃতির প্রতি আমার পক্ষপাতিত্ত্ব আছে, বেদনা আছে, বিষন্নতা আছে, আছে গোপন ভালোলাগা আর অকৃত্রিম ভালোবাসা। তাই বলে যাপিত জীবনের সঞ্চিত সকল স্মৃতি অম্লান থাকেনি মনের ঘরে, কত স্মৃতি ধূসর হয়ে হারিয়ে গেছে নাম না জানা কোন সে অদেখা অতলে। হারিয়ে যাওয়া স্মৃতির মিছিলে যে স্মৃতি আজও এতটুকু অম্লান হয়নি, সেটি আজাদের ”ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না’ পাঠের স্মৃতি। যে বই আমার ছেলেবেলা কে বিষন্নতায় ডেকে দিয়েছিলো, অন্ধকারে ড
(১)
প্রত্যহ জীবনের ব্যবহারী নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র হারিয়ে ফেলার অভ্যেস আমার ছোটবেলা থেকেই ছিলো, আজও আছে। ক্লাস ফোর থেকে ফাইভে যখন উঠলাম, পরীক্ষায় ভালো করার জন্যে বাবা একটা লাল রঙ্গের জ্যাকেট কিনে দিয়েছিলেন। সেই জ্যাকেট আমার ছেলেবেলার সেই সময়টা কে হুমায়ুন আজাদের কবিতার মতো লাল করে তুলেছিলো। কতদিন আমি সেই লাল জ্যাকেট বুকে নিয়ে ঘুমিয়েছি তার কোন ইয়াত্তা নেই। অথচ মাস দুয়েক যাওয়ার আগেই নদীর ওপারে পানের ব
সময়ের নিয়মেই সময় বয়ে চলে, সেই বয়ে চলাতে ভবিষৎ একসময় বর্তমানে এসে পৌছে আর বর্তমান একদিন অতীত হয়ে স্মৃতি হয়ে বেঁচে থাকে। সেই ফেলে আসা অতীতের ভুল-চুক যেমন আমাদেরকে আগামী দিনের পথ চলাতে আরো সাবধান করে, তেমনি অতীতের অর্জন ভবিষ্যতের অজানা পথে সাহসের প্রদীপ জ্বেলে রাখে। ২০১৪র সেই অর্জনের গল্প, আনন্দ-বেদনার গল্প কিংবা ভুল-চুকের গল্প প্রিয় সচলাতায়নে প্রতিটি দিন উঠে এসেছে অসংখ্য সচল-হাচল আর অতিথিদের হাত ধরে
প্রাণ (জীবন) একবার দেহ থেকে বেরিয়ে যায় তাকে পৃথিবীর কোন চেষ্টায় ফেরানো যায় না। তাই মৃতের মাঝে কোন সম্ভবনা থাকে না, মৃত্যু মানে সবকিছুর পরি-সমাপ্তি চিরতরে। অপরদিকে জীবন মানের প্রাণচাঞ্চল্যতা আর তাই জীবিতরা কর্মশীল, চিন্তাশীল। চিন্তা আর কর্ম যেখানে এক হয়ে কাজ করে মানুষ তথা উন্নয়নের সকল সম্ভাবনা সেখানেই থাকে।
গত বছর দুয়েক চাকরির সুবাধে নিয়মিত সাপ্তাহ শেষে বাড়ি ফিরতে হয় ট্রেনে। যদিও বাংলাদেশে ট্রেনের সাথে এই নিবিড় সম্পর্ক বহুকালের। তাই মোটামুটি যাত্রাপথের সকল সুযোগ-সুবিধা, হয়রানি, অনিয়ম, এমনকি প্রতিটি স্টেশানের মানুষের আচরণের সাথে বেশ পরিচিত। আর গত নির্বাচনের আগে বুঝেছিলাম বাংলাদেশের গনতন্ত্রের অন্যতম স্তম্ভের একটি হল ট্রেন। তাই সেখানে আক্রমন করে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে ব্যস্ত ছিলো বাংলাদেশের সবচ
একজন জনপ্রিয় সাহিত্যিক (খুব সম্ভব হুমায়ুন আহমেদ) বলেছিলেন সাক্ষাৎকারে অর্থাৎ প্রশ্ন আর তার উত্তরের মাঝে কাউকে খুঁজতে যাওয়া অনেকটাই বোকামি। কারণ সাক্ষাৎকার প্রদানকারী যদি নিজেকে লুকিয়ে রাখেন তাহলে শত প্রশ্ন করেও তাকে বের করা সম্ভব নয়। তারপরও লেখকের সততার উপর আমরা আস্থা রাখি বলে সাক্ষাৎকার গ্রন্থগুলো আমাদের প্রিয় পাঠ্য হয়ে ওঠে। একজন লেখককে অামরা সাধারণত দুভাবে চিনতে কিংবা জানতে পারি। এক তার লেখা আর