পেয়েই বুঝেছি-
প্রাপ্তি আড়াল করে চরাচর রক্তে ভেসে যায়
ক্ষমার আড়ালে যেই লজ্জ্বার পরিণত ভয়
তার কোনো আচ্ছাদন নেই!
রাত্রির নৈঃশব্দে যে রকম
গর্ভিনী গাভীর নত চলন-
তাদের ঈষৎ চিনি
ঈষৎ জ্বলনে আমি ঘুমাতে পারিনা!
আমার তন্দ্রায় আমি শিমূল গাছের গুঢ কাঁটা
ছাড়াতে পারিনা।
গুল্মে র-লতার আর বাকলের রহস্য বুঝিনা!
পেয়েছি বলেই আমি বুঝে গেছি
সোনামোড়া কাঁথার কথিত রহস্য
জেনেছি আমার নয়
জেনে গেছি-
আমি সময়মত কিছু বলতে বা লিখতে পারিনা। কাদের মোল্লায় ফাঁসি নিয়ে উত্তেজনার দিনগুলোতে সবকিছু বাদ দিয়ে আমার চোখের সামনে ভাসতো আমাদের স্বাধীনতা উত্তর অসহায় পরিবারটি। আশির দশকেও মামাবাড়ির ঘরগুলো খড়ের, মাথার ওপর কিছু নতুন টিনের চাল। চারদিকে বলতে গেলে খোলাই। আমরা ওখানে যেতে চাইতাম না। মাকে জিজ্ঞেস করতাম -- মামারা এতো গরীব কেনো?
পুড়ে গেলে কিছু থাকে না
পংক্তি বিলীন মাঠ
তুলো ওড়া রাত্রিবদ্ধ পাপে
মৃত মুহূর্তের ছাই-
উড়ে গেলে শক্ত ডানার পাখি
অনন্ত রেখার ধারে শব্দদূষণ
ঘুঙুর শাঁখ দীর্ঘশ্বাসের অধরা নিদ্রাপাঠ
উড়ে গেলে কিছু থাকে না
১।
ইচ্ছে হয় অন্ধ হই
সম্মোহনের সিঁড়ি পার হতে হয়
ইচ্ছে হয় বৃষ্টিস্নান
জ্বলন্ত দুপুর ডাকে সকল সময়
২।
হাত তুলে দেই হাতে
অদল বদল করি হাতের রেখা
হাত তুলে নিই হাতে
আমার সকল ভুল
তোমার ভুলের চোখে দেখা
৩।
এত দেখে শিখিনি জীবনের রঙ
কীভাবে বৃষ্টি নামে-মেঘের স্বনন
এত এত ঝড় গেল-ঝরা পাতা আসে
ঘুম ভেঙে পা রাখি
সকালের ঘাসে
৪।
উড়বার দিন
দিকভ্রান্ত
আকাশ অসীম
৫।
চেয়েছি আলোর সাথে দ্রুত হেঁটে চলে যাবো
অপূর্ব শুঁকবো মাটি। বর্ষা আসার আগে
রূপার সহাস্য ছুরি নিতে চাইব ব্যর্থ দুহাতে
ক্রুদ্ধ জলের সাথে ভেসে আসতে পারো তুমি-
এখন সময়!
তীক্ষ্ণ রহস্য এসে অব্যয় সময় নিয়ে গেলে
দ্বিধা হয় শরীর আমার
ছিঁড়ে যেতে চায় দেখ বিশ্বাসের আমূল শেকড়
হাঁটুর ওপরে মুখ-বিষন্ন তুমি বসে
আমাদের ভাবনাগুলো ভেঙে ভেঙে খাও
পাখিরা কেবল জানে কেমন আন্তরিক আমি
জানিনা কী লিখবো; ভয়ানক কষ্ট হচ্ছে আসলে। একজন দীর্ঘদেহী প্রানবন্ত মানুষের হাসপাতালে জীবন্মৃত্যর সন্ধিক্ষণে শুয়ে থাকার দৃশ্যটা চোখের সামনে সব ঝাপসা করে দিচ্ছে বার বার!
সচলদের মধ্যে আমার ব্যক্তিগত আলাপ সবার আগে সিমনের সাথে। ফেইসবুকে এড করেছিল। ২০০৯ এর দিকে প্রথম ব্লগ চিনি আমি।
ক্ষুব্ধ কলম থেকে যে সমস্ত শব্দের উত্থান
ওগুলো কবিতা নয়, ক্ষোভ নয়--
যন্ত্রণার ইতিহাস যতটা কলমে থাকে
তার থেকে অধিক্ষণ থেকে যায়
স্পর্ধিত ঝড়ের লজ্জ্বায়।
ওগুলো যন্ত্রণাও নয়, তাই বলি
আমার অতীত থেকে যতকিছু গুল্ম-বৃক্ষচয়
সমূলে সামনে আসে; তার সাথে
মৃত মানুষের সহবাস
শ্যাওলায় মুখ ঘষে
উঠে আসে যেই সরিসৃপ
উঠে আসে গুপ্তঘাত, পরিতৃপ্ত যত পূর্বাপর
তাকে তুমি নিজের পায়ের পাতা থেকে
আসুন, আমরা এই নিভৃত চাঁদের ছায়া থেকে
কিছুটা ব্যবস্থা করি হেঁয়ালী সবুজ
কিছুটা আশ্রিত হোক সুখ ও সম্ভোগ
নেশার মতন তীব্র রাত
চেয়ারে অথবা শূন্যে
কিছুটা নিঃশব্দে বসে থাকি
নিশুতি পাহাড়ে বসে
প্রথম মহুয়া পান হলো
অন্ধকার- তার সঙ্গে বসবাস করা
সুশ্রী মাধুর্য নাচে চন্ডালিনী কিংবা
মাতাল হাতির পাল-- বীরভূমে
আসুন কিছুটা করি রাজনীতি
সামাজিক চিন্তাভাবনা
অথবা প্রেম, শুভ কিছু রচনার পাঠ
কী আর বলবো তোকে, প্রভু, ঝেড়ে ফেলা নিক্তি-
তুলোর হিসাব ডাকঘর-চিঠি রোমশ মেঘের দিন
এসমস্ত নিয়ে শুধু নিবিড় গল্প বাড়ে
গল্পের হিসেবের বিভেদের ঐক্য শুধু বাড়ে
নিশ্চল ঝিমোচ্ছি দেখে
হাজার অসুখ- তার
কাঁপানো গর্জন বাড়ে
আমায় দেখেছো প্রভু- নিরীহ সাইকেলে
ব্যর্থ ঠেঙিয়ে চলা জলা মাঠ ঘন জঙ্গল
ওপাশে পাহাড়ে বসে প্রভু তুমি এ কেমন
রাম-নাম বৈষ্ণবীর কেত্তন শোনাও
আমার তো প্রিয়বোধ অবশিষ্ট নেই
অশ্রু শিশির রাতে শেফালীর
কমলা রঙের স্নিগ্ধ বোঁটা
ধোঁয়ার অন্ধকার মানবিক ভুলগুলো
ঝরে পড়ে টুপটাপ--ক্ষমার আদলে
সন্ধ্যা কি ফিরে গেছে, ফিরে গেছে, ফিরে গেছে এসে?
একটি জোনাকি যদি ফুল বলে ভুল হয়
একটি আলোকবিন্দু-থাকবে তো
থাকবে তো, ফেলে আসা পথ- দুঃখ
যতখানি মনে হয়, অমসৃন হয়তো
ততখানি নয়- কতিপয় সমর্পণ
ততখানি জীবিতের বাসনার হুঁ হুঁ
দীর্ঘশ্বাস! ঢেকেছে সময়!
তোমার বাদামী চোখ, কিউপিড