আকাশের কাছে শুধু যেতেই চেয়েছি, হে মুগ্ধতা
তুমি বিন্যাস করেছ শুধু ছায়া
একচক্ষু চাঁদের আসরে শাদা মাধুরী ধরেছ
ভেঙেছি নদীর মত, এখনো তো ভাঙি
এখনো যে যেতে চাই
অর্থহীন নীলিমার,
অবোধ্য ঘোরের খুব কাছে।
ঠিকমত হাঁটতে শিখিনি, তবু
যেতেই চেয়েছি আমি
মোহ মুগ্ধতার কাছে-
ঠিকমত গাইতে জানিনা
কন্ঠনালী ছিঁড়ে তবু
জমাট রক্ত দেখি, শব্দ যন্ত্রণায়!
অথচ, ব্যথা-, এত সহজে কি হয়!
সবুজ বৃষ্টিতে থেমে
চাঁদের আলোয় কিছু গল্প লেখা ছিল
সেখানেই থেমে গেলে, মুখে নিয়ে মুগ্ধ চিরকূট
তোমাকে তখন আর কামড়ে খেতে হতো না অক্ষর;
নিষিদ্ধ দুপুর নিয়ে কেউ আর ফিরত না ভাঙা উপকূলে।
রাত্রি তবু নিঙড়ে নেবে হৃদয়ের ভাঁজ থেকে ভেজা বিরহ
একাকী হওনি বলে আঁধারমথের বুঝি অর্থ বোঝ না
একাকী হওনি বলে খেয়ে ফেলো বিস্মিত রক্তের কালো দাগ
একাকী হওনি বলে
এখনো মালতীর মত হেসে ওঠো যথার্থ সুযোগে
১/
মাথার ওপরে ছাদ, নিশ্চিন্ত সঙ্গম,
অভিমানকে এর মধ্যে ডেকোনা;
অভিমান উদ্বাস্তু হয়েছে অনিশ্চয়তার খোঁজে।
২/
অজ্ঞানতা ক্ষমার্হ
আঘাত কখনো শিল্পীত নয় জেনেছি এমন
বায়োস্কোপের হাট-বাজার নিমিষেই স্পষ্ট দেখা যায়
কেন দেখা যায়!
৩/
মাঝে মাঝে একা হওয়া ভালো
মাঝে মাঝে একা থাকা ভালো
মাঝে মাঝে প্রাচীন কর্ণের মত
একা পথে হাঁটা খুব ভালো
৪/
বর্ষার ভ্রুণে জন্মেছে যে নদী
বাতাস বদলে গেছে
এখন উড়ছি খুব
রঙিন পাতার মত শীতের শুষ্ক ত্বকে
মিশে যাবো, মাটি হবো বলে
কতটুকু আর
আদর রেখেছি রোমকূপে
জাগিয়েছি কত আর রাত
অনুশোচনায় পিঠ ফিরে
রোদে আর ঘামে একসাথে
কত আর
বানিয়েছি ভেজা বর্ষাকাল
জোয়ারে জেগেছে নদী
গৈরিক সম্পর্ক কাঁপে
তোমার গানে-
বুঝেছ বিস্মিত ঠোঁটে স্বাদ পুড়ে যায়।
হলুদ আসার আগে অর্ধেক রচিত দৃশ্যে
সহসা বানের জলে ভেসে যাবো, সাধ!
সোনার বেড়াল, তুমি
১/
আমি কি লিখছি-
পাশে বসে বারুদে-আগুনে জ্বলছে
ছাইচাপা রহস্য!
২/
ছবির ভেতর মৌলিক আলোছায়া
রমনী একটু মেধা দিয়ে দেখুক,
অন্ধকার দেয়ালে
আলোর অধিক আরো কিছু আছে!
৩/
অভিমান ক্রোধ হলে আমি
মামুলী পৌরুষ ভস্ম করে দিতে পারি
যদি পায়ের কাছে বস প্রথম দিনের মত
ভাবতে পারি জলপদ্মের কথাও!
৪/
দুঃস্বপ্ন নামে অশ্রাব্য বৃষ্টি নামল
প্রেমিকই পৌঁছে দিল অঘাটায়
ফিরবার পথে শামুকে কেটেছে পা-
চাই বা না চাই তেমন করে, তুমি আছ; আর
তুমি থাকা মানেই রোদ্দুর হাত বোলাচ্ছে
উঠান ভর্তি শীতে, বাসা বাঁধছে মাকড়শা-
পাঁজরে দড়ি বিঁধছে শক্ত হয়ে
দড়ি খুলে যাচ্ছে!
তুমি আছ বলে ক্ষুধা হচ্ছে, তৃষ্ণা পাচ্ছে
বোতল ভেঙে উড়তে চাচ্ছে পাখি-
অকেজো তালা খোলার জন্যে
তৈরি হচ্ছে কেজো নকল চাবি।
তুমি আছ বলেই মাঝারাত্রে
শীত কাতুরে গাছের ছায়ায়
হাঁটতে পারে অনাহারী চাঁদ
গানের খাতায় ঢুকে যাওয়া যাচ্ছে
নিজের বাড়িতে জ্ঞানদা দেবী বড় একা ছিলেন। বাড়ি বলতে তার টিনের চালের ছোট্ট ঘরটি ছাড়াও পেছনের ফল ফলাদির বাগান, ধানক্ষেত, পাড় বাঁধানো কালো পুকুর, তিনটা গাই, একটা বলদ। ঘরের সামনা সামনি স্বামীর সমাধিতে ছেলেদের বানিয়ে দেয়া স্তম্ভ। একা একাই বাড়িময় ঘুরে বেড়ান।মন্দিরে রাধাগোবিন্দর পূজা শেষ করে পেছনের বাগান থেকে সুপারির খোল কুড়িয়ে এনে রান্নাঘরে জমা করেন, পানের বরজে বেড়ে ওঠা নতুন পাতাগুলোর গায়ে হাত বোলান; লোক
দেয়ালে আলোর বিস্মরণ! রঙ, আমি রঙধনু দেখিনি তেমন। যতগুলো বর্ষাকাল-বাঁশের সাঁকোতে পারাপার, সাঁতারও হয়নি শেখা, পারাপারে অভয় পাবো! যতই টেনেছি সূতা, দ্রৌপদীর শাড়ি- লাজভয় আঁকড়ে থেকেছে। তাই ভাবি, এই তন্তুতাঁত- ছেড়ে যাওয়া ভালো। দূর থেকে শিল্প খুব মিহি মনে হয়।
মায়ের হাসির খোঁজে বেরিয়েই রক্তছাপ নীল শীত দিনে। আঁচলের গন্ধ খুঁজে ছেঁনেছে শরীর শুধু, এনেছে বিষাদ খুব; অসহায় হয়েছে সুদিনে।
এ শহর ছ ...
চেনা জঙ্গলের আঁচলে এসে রাত গভীর হয়েছে। তার হাতে একটি শাদা রঙের আকৃতিতে লম্বা মোমবাতি। নির্জন জঙ্গলে নির্জন আলো জ্বালাবার সাথে সাথে ছায়াদের শরীর পুড়ে যেতে থাকে। একটি একটি করে তারা দৌড়ে পালায় ঘন গাছের আড়ালে।
মাথার ওপরে শূন্যে ঝুলে আছে নির্লিপ্ত নক্ষত্রখচিত আকাশ, দিনের বেলায় তার যতই রোমাঞ্চ জাগানো রঙ হোকনা কেন এখন সে প্রান্তিকের রঙ কালোর ঘরকন্না করছে। সে আকাশে দিকে তাকায়। আকাশ ...