প্রক্ষেপণে বুঝে নিয়েছি
শব্দই সত্য ছিলো, শব্দই জানিয়েছে
এখন আর নেই সে দুপুর
এখন আর বাড়বেনা গোলাপের ঝাড়
প্রদীপেরা চিনে নেবে অন্য কোনো সিঁথি!
শব্দই সত্য ছিল
শব্দই ঢেকেছিল দুরত্যয় বোধের আধার।
অন্য কোনো শব্দ বুঝি পাওনি খুঁজে?
অন্য কোনো ভঙ্গিমা, অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র
অন্য কোনো কাব্যিক দ্যোতনাও যদি উপেক্ষার প্রতিচিত্র হতো!
আহা! দুঃখ হয় কবি!
দুঃখ হয় শব্দবদ্ধ মানুষ!
দুঃখ হয় রাতজা...
বলেছি কত কথা বলিনি কত কিছু
লজ্জাহীনা তৃষা নিয়েছে কত পিছু
যেখানে যাই আসি জানি যে নই একা
আমার সাথে কে গো নিয়ত থাক সখা;
এ যে কঠিন পথ এ পথে মরুভূমি
তবুও কেন এলে আমার সাথে তুমি?
স্বর্থ রচে গৃহ জীবন- জীবনে
সুহৃদ সরে যায় সে ঝড় প্লাবনে
যুবতী ফিরে গেলে যুবক পায় ব্যথা
দেখ জটিল হয় চকিতে সহজতা
বসনে বল্কলে তুমিও ঢাক ক্ষুধা
তা দেখে মিঠে হাসে রিক্ত বসুধা
তোমারে বলেছি হয়ত আমি না
খুঁজছ কারে তু...
হঠাৎ কিসের শব্দে ঘুম ভেঙে যার রোমানার, ঘুমের মধ্যে উঠে বসে বিছানায়।
অভ্যাসবসেই হাত চলে যায় পাশবালিশে। পাশবালিশের ওপারে ধূ-ধূ মাঠ। মাঠ পেরিয়ে চেনা লোকালয়, চেনা লোকালয়ে নাসিকা গর্জনের আওয়াজ। আধো ঘুমে রোমানা ধূলির প্রান্তর পেরিয়ে কোথাও যেতে চায়। লোকালয়ে সবুজ বনভূমির বসবাস, কূয়াতলার টুং-টাং আওয়াজ, জীবিত নিঃশ্বাসের আনাগোনা। পাশবালিশের অদূরেই তার সূচনা। সেখানে জীবন জেগে জেগে ঘুম...
ভ্রান্তিবশে রক্ত অলক্তক
কাছাকাছির আপ্ত তাড়নায়
বিধি ভেঙে বাতাস বিহঙ্গী
কোন লিপিতে কালের বসবাস?
কালের রথের চাকায় সূক্ষ্ম ফুঁটো
না হয় আমার ঝিমের রথেই ওঠো
আকাশ দেখুক আধখানা আর তুমি
প্রবর্তনার শয্যা শুধুই ভূমি।
পুঁথির মধ্যে বাক্য খাচ্ছে উঁই
পথেই শুয়ে তৃষ্ণাক্লান্ত ঘোড়া
উড্ডয়নের সংজ্ঞা মেনে নিয়েই
হলাম না হয় শ্রীরাধিকা, সই!
হচ্ছে কিছু ঘড়ির কাঁটার কথাও
দৃশ্যায়িত খাবার শোবার ...
একই পথ এঁকে বেঁকে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে মরে গেছে
অশ্বের খুঁড়ের শব্দ সুদূরে মেলায়
জলার গলিত পাঁকে
নদীর উদ্যমী বুকে
মানুষের শিল্প পাতে বুক
আর নিঃসঙ্গ বৃদ্ধের সাথে নিঃসঙ্গ তরুনীর আনাগোনা
জলাভূমি বুক খুলে দাও
স্তনের বৃন্ত ছুঁয়ে দেখি
জন্মের কিঞ্চিৎ পরেই মাতৃস্তন দুর্গম যে ছিল
এখনো গোপনে তাই, মায়ের দুধের ঘ্রাণে কাঁপি
এখনো গোপনে তাই শরীরের ওম চাই
বাহুর বালিশ চাই, নিষ্কাম চুম্বনের আশা...
আমাদের কাঠের টেবিলে
শীত খুব তাড়াতাড়ি এলো
কুয়াতলা জল পলকায়
শূন্যের তারারা চোখ মোছে।
যযাতি যৌবন খেলে যায়
জড়বস্তু উদোম ঈর্ষিত
উড়োজল ঠিক নেমে এসে
জানালার কালো তিলে বসে।
থামিও না জানালার কাঁপাকাঁপি,
মোহনীয় স্নান
টিলার সবুজ চায় ভাসমান কৃশানু আকাশ,
পর্দা সরিয়ে দাও, যে দেখবে দেখুক।
শীত খুব তাড়াতাড়ি এলো
সময় তো প্লাবনের পাখি
প্লাবন থামার পরে হিমের
উষ্ণতা মাখা উদার চাদর।
সময় তো ...
মঙ্গলবার বাড়ি ফিরে আমার বর সাদা কার্পেটের মধ্যভাগে আশ্চর্য পায়ের ছাপ আবিষ্কার করে তখনো ঘরে না ঢোকা আমায় বলে -" শোনো, ঘরে মনে হয় কেউ ঢুকেছিলো!" প্রায় সাথে সাথেই সে আরও আবিষ্কার করে রান্নাঘরে সিঙ্কের পার্শ্ববর্তী জানালা সুন্দর করে খুলে রাখা! গভীর সন্দেহে সে বলে-" চোর এসেছিলো!" আমার বিশ্বাস হয় না! কার্পেটের দাগকে তার চোখের ভ্রম বলে মনে হয়; জানালা খোলা সম্পর্কে মনে হয় আমাদের দুজনের কেউ খ...
যারা পাতা ভালোবাসে
তারা উঠানে ঘাসের চাষ করে
আর যারা দুগ্ধ ভালোবাসে
তারা গাই পোষে
যারা আমিষ ভালোবাসে
তাদের গহীন বনে যাতায়াত
তাদের আলোকাটা কুঠার
কখনো সখনো তারা হরিণ পোষে
হরিণ আমিষ খাদক, পাতা খাদক
সকলেরই প্রিয় খাদ্য!
ইয়াসুকো আমার কাছে স্পোকেন ইংলিশ পড়তে আসতো প্রতি শনিবার সকালে। এক এক দিন সে এক এক রকমের চা নিয়ে আসত; আমরা একসাথে বসে গ্লাসের পর গ্লাস বিভিন্ন ধরণের চা খেতাম। আমরা সাহিত্য নিয়ে কথা বলতাম, গান নিয়ে কথা বলতাম, রান্না নিয়ে কথা বলতাম। আমরা ব্যক্তিগত দুঃখ-সুখের গল্প করতাম। জাপানে নারী অধিকার প্রসঙ্গ, কেনো জাপানীজ মেয়েরা ইদানীং আর বিয়ে করতে চাচ্ছে না এসব নিয়ে কথা হতো।
একদিন আমরা Takashi Nagai এ...
কপালের মাঝে নীল দাগ
বয়স চেনেনা কোনো খাঁচা
তবু ওই দাগ মোছ রাত
জেগে থাকা তারা দেখে একা
গোপনেই মরে যেতে চাই!