শামসুদ্দিনদের গ্রামের বাড়িতে একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ ছিল। বাইরের বারান্দায়, যেখানে গ্রাম্য শালিস ডাকা হতো, ধান মাড়াই হতো আর পানের বিড়া বানানো হতো সন্ধ্যার পর, সেই পুরো এলাকা দখলে ছিল ওই বিশাল কৃষ্ণচূড়া গাছের। ডালপালা চতুর্দিকে ছড়িয়ে দিয়ে মহারাণীর মত ওখানে সে তার ক্ষুদ্র রাজত্ব করে যাচ্ছিল কয়েক দশক ধরে। সারাবছর তার চিরল সবুজ পাতারা মায়া ছড়িয়ে রাখত উঠানের কোণ জুড়ে, আর বসন্ত এলে তার ...
-জল বড় ভয় করে, বাবা! হাত ধরো!
শ্যাওলা, সাপ, শিং মাছ, কাউকে চিনিনা দ্যাখো---
-এভাবেই ঝাঁপ দে- সাঁতার শেখো
বিষখালী ছাড়বে ভেবেছো?
-হাত ধরো! হাত ধরো বাবা!
- জল চেন,জল চেন, জল----
সাঁতার শেখো!
সাঁতার শিখেছি, বাবা
নদী চিনে গেছি;
অনায়াসে তুলে আনি ঝিনুক, পাথর।
ঝিনুকে হৃদয় আর পরাণ পাথরে
ওদের করেছি জড়ো এপারে ওপারে,
বাবা, হাত ছাড়ো--
আজ আর শ্যাওলা লাগেনা, সাপ, শিং মাছ---
সাঁতার শিখেছি বাবা, কোথাও থামিনি!
ক...
অনেক উড়েছে ঢেউ, ছন্দোবদ্ধ পার্থিব লেনদেন
পার্থিব সমুদ্রে ডুব, পার্থিব সে বৈঠা টানাটানি
কম্পিত সন্ধ্যায় আজ সরল নৈপাট্যে কাছে এসো
বাড়াও চিবুক তোমার মধ্যমায় ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখি
সবুজ অরণ্য খোল লহরী বেষ্টনে ডুব দেই।
পুরোহিত প্রিয় ক্ষীণ সমিতের তুলি টানো পিঠে
আশ্চর্য সে রংধনুর সম্যক প্রেষ্টনে প্রেম লিখি
শ্যাওলা চৌম্বক উরু তুলে ধর খুঁজব জরুল
কুয়াশা নাভীতে দেখ, খুঁজে পাবে মাতৃত্বে...
কোজাগরী পুর্ণিমায়
ঠাকুমা বিষাদ মুখ বেয়ে
শব্দ ঝড় নেমেছিলো-,"এ দেখি আবারও এক মেয়ে!"
আতুর বেড়ার ফাঁকে
বাবার চিবুকে চোরা সুখ-
"মেয়ে দেখি চন্দ্রাবতী-! তোমার মুখের মতো মুখ!"
বড় হ্ও বেড়ে ওঠো
অবহেলা সয়ে নিতে শেখো।
একদা আকাশে চুল--পা দুখানি কাদাজলে মেখো।
মাটিরে আদোর দিয়ে
বর্ষা জলে বেঁধে নিও বীজ
অংকুরের সময় এলে--সে কিশোর ছিঁড়বে কামিজ।
শাড়ী নিও, শাড়ী দিয়ে
ঢেকে রেখো শরীর, সে মন
পাছে পুঁথি ...