বাংলাদেশের ক্রিকেটে চলছে একটা ধূসর সময়। জুয়ারীদের কাছে আমাদের মত ক্রিকেট প্রেমীদের আবেগ আর অনুরাগ কি আসলেও বিক্রি করেছে আমাদের ক্রিকেটার রা? ক্রিকেটাদেরের কথা জানিনা। কিন্তু এত টুকু জানি যে ক্রিকেটের প্রতি আমাদের দর্শকদের ভালবাসা নিখাদ। নিচের লেখাটা লিখেছিলাম যখন বাংলাদেশ ৫৮ রানে ধরাশায়ী হল ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে তারপর। আজকে আবার পড়লাম লেখাটা। শেষ প্যারাগ্রাফ টা পরে আজকেও চোখে পানি এসে গেল..."বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রতিটি স্তর উত্তরণের সাক্ষী আমি যদিও ক্রিকেট মাঠের ১০০ গজের মধ্যেও যাওয়া হয়নি কখনো, হয়তো যাওয়া হবেও না কখনো, কপালে কখনো বাঁধা হবে না লাল সবুজ পতাকা, গালে আঁকা হবে না লাল সবুজের আল্পনা। চিৎকার করে গাওয়া হবে না বিজয়ের গান। তবু আমি পরিতৃপ্ত। আমার হৃদয়ের গভীরে লেখা হয়েছে অসীম গর্বের এক কাব্য গাঁথা, যার শিরোনাম " আমি বাংলাদেশকে জিততে শিখতে দেখেছি"। (মনে প্রানে চাইছি যেন আমাদের ক্রিকেটাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ গুলো মিথ্যা হয়)
----------------------------------
-তোমাকে তো আজকাল পাওয়াই যায় না। ফোন ত করোই না আমি করলেও ধরনা। মোবাইল বাজতেই থাকে। কি করছ আজকাল?
-ক্লাস থাকে। সামনে পরীক্ষা...তার মধ্যে চলছে শাহবাগ...এই জন্যেই আরকি।
-শাহবাগে যাও তুমি?
-যাই তো। না গেলে কি ভাবে হবে? যুদ্ধপোরাধীদের পার পেয়ে যেতে দেয়া যাবে না।
এই হল আমার মেডিকেলে পড়ুয়া ছোট ভাইয়ের অবস্থা। সে রাজাকারের বিচারের দাবীতে শাহবাগ যায়। স্লোগান দেয়।
ওর আরেকটা পরিচয় ছোট্ট করে বলে রাখি.....ও একজন কোরআন এ হাফেয। সমস্ত কোরআন শরীফ বুকে ধারণ করেই সে শাহবাগে যায় এবং "ফাঁসি চাই" বলে স্লোগান দেয়।
-শাহবাগে নাকি অনেক আজেবাজে কিছু হয় আর মানুষ নাকি শব ফটোশপে বসানো?
-কে বলল উল্টাপাল্টা?
-ফেসবুকে দেখি আর আমার দেশের মাহমুদুর রহমানের টেলিফোনের লিক হওয়া কথায় জানলাম।
-আমি তো অতসব জানিনা। যতটুকই সময় পাই শাহবাগে যেয়ে স্লোগান দিয়ে আসি। আমি তো ওখানে লাখ লাখ মানুষ দেখি মহাসমাবেশে। ফেসবুক দেখার সময় ও পাইনা।