সীমানা পেরিয়ে ওপারে যাই- প্রতিনিয়ত
এপার পড়ে থাকে বর্তমান নিয়ে- তথাকথিত
অতীতের বাস্তবতায় ঘটচলমান ম্লান- নিয়তি
ভেবো না যেনো- আকাশ চিড়ে স্বর্গদ্বারে ভবিষ্যত!
সাদাকালো স্বপ্নে রঙীন ছুটির খোঁজ- কাঙালপনা
আকাশ জুড়ে প্রার্থনার আর্তনাদ- ঠুনকো বিশ্বাস
যাপিত জীবন কেবল দ্বিধা- অজানায় স্বার্থপরতা
সংশয় সংকোচের কপটতায় প্রতারণা- অবিশ্বাস
হাসতে মানা নেই, কান্না কেবল অরণ্যে রোদন... ...
শুদ্...
আলপণায় আঁকা কাল্পনিক পদ্যে
কোথাও কোনো বিরাম চিহ্ন নেই!
শুধু বেঁচে থাকাটাতেই অন্যরকম-
জীবন গদ্যে দাঁড়ি কমা যখন তখন
এখানে ওখানে আশ্চর্য প্রশ্নবোধক।
তবুও কী বিশৃঙ্খলা অলিতে গলিতে!-
সব পাওয়া, চাওয়ার চাকাতলে পিষ্ট;
যে কিছুই না চায়, সে-ই মহাধিরাজ
মসৃণ পদাবলী তার তরেই হয় রচিত।
চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির,
জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা গৃহের প্রাচীর
আপন প্রাঙ্গনতলে দিবসশর্বরী
বসুধারে রাখে নাই খণ্ড ক্ষুদ্র করি,
যেথা বাক্য হৃদয়ের উৎসমুখ হতে
উচ্ছ্বসিয়া উঠে, যেথা নির্বারিত স্রোতে
দেশে দেশে দিশে দিশে কর্মধারা ধায়
অজস্র সহস্রবিধ চরিতার্থতায়,
যেথা তুচ্ছ আচারের মরুবালুরাশি
বিচারের স্রোতঃপথ ফেলে নাই গ্রাসি—
পৌরুষেরে করে নি শতধা, নিত্য যেথা
তুমি সর্ব কর্...
বর্ণকথার সমাপ্তির পর সূচনা শুরু হয় এরূপেঃ
বর্ণমালার সবক'টা বর্ণ নিয়ে লেখার ইচ্ছে বহুদিনের। আজ খুব করে চেপে বসলো ইচ্ছেটা। শুরু করলাম, বর্ণানুক্রমানুসারে। একে একে বর্ণ এসেছে, মনে যে শব্দ এসেছে তা দিয়েই বাক্যের অবতারনা। কবিতার মতো করে, মূল ভাবনা একই থাকার প্রয়াস ছিলো। হয়তো হয়নি, মনেপ্রাণে যা চেয়েছিলাম। তবুও...
অহর্নিশি শব্দ বুনি-
আমার মৃতপ্রায়
ইচ্ছেদলে
ঈশ্বর প্রাণ দেন
উজাড় উড়...
মিষ্টি হাসি
কী অপূর্ব!
আড়ালে এতো ব্যথা কেনো?
নিলাম তুলে
ভালোবাসা আগলে রেখে
এ দয়া নয়।
... ...
দেখি
আমার আকাশ
আমার মতো করে;
তুমিও দেখো
যেভাবে তুমি চাও
যা কিছু ইচ্ছে
... ...
বড্ড টানে
ঘরের শেকল
ডানা নেই, তাতে কীর নেই পরোয়া
বেপরোয়া মন, অন্দরে মম বসবাস
তুমি কোথা যাও, প্রাণ যেখানে টানে
যাও- হোক স্বপনে, হোক তা বাস্তবতায়
... ...
প্রার্থনা
আসুক অরূপ জীবন।।
গোধূলি
সূর্যালোক
সন্ধ্যা হতে যায় হারিয়ে
বহুদূর
রোদ্দুর
মনের গহীনে পৃথিবী
চন্দ্রালো
কোমল
চন্দ্রাহত প্রেমিক মন-
জোৎস্নার পরশ
আমার সর্বনাশ
প্রদীপ নিভে যায় ঘরে
মন ছুটে চলে বাহিরে
অপার অভিসার
বোঝার পাহাড়
ভারসাম্য
অমাবস্যার আঁধার
পাহাড় বুকে ঝরণা
কী পরম উপলব্ধি!
সুবহে সাদিক
আলো-আঁধারি
দিনবদল
প্রকৃতি
জীবন।
মনোনদী
উথাল পাতাল
লাঞ্চিত বঞ্চিত
লেনাদেনা
আসা-যাওয়ার জীবন- অর্থহীন
দাগ রেখে যাওয়া- অনন্য পূণ্য
ধের্য্যশূন্য তেজ পাপ- আত্মা আহত
বিদগ্ধ চিত্ত হোক ঈশ্বর সমর্পিত
প্রদীপ অন্তরালের শীতলতা হই
কেনো শুধু শুধু জ্বলে জ্বলে ওঠা!!
চূর্ণ আবেগ
ব্ন্ধুর সয় না
বেশ মাতাল
হৃদয়ের পরশ
পাথরের ক্ষয়
নোনা অশ্রু ঝরে
ক্লান্তি আসে
শরীরে, মনে
প্রবণতা
স্মৃতি ঘাটানো
বিমূর্ত সময়
কিচ্ছু করার নেই
চলে যায়
স্বপ্নের দিন
ভুলে যাও
এ অকবিতা।
কে কীভাবে কখন কোথায় মিশে বিষ হয়ে যায়
জানার পরিধিতে এ রূপান্তরের ব্যাখ্যা নেই।
বিষক্ষয় প্রক্রিয়া তাই রূপকথায় ডুকরে মরে
অবলীলাক্রমে
বদলে যায় দৃশ্যপট
আর নয় নিছক নিস্তরঙ্গ নিদ্রাবিভূত মাংসপিন্ড
তাই দ্রোহের মন্ত্রহীন বিবেক অহিংসায় খুন হয়
আণবিক আড়োলন আসে গোবেচারা চলনে
নিরীহ সত্ত্বায়-
মননে রণাঙ্গণ সাজ
অবশেষে জ্ঞানতঃ হয় 'ভালোবাসা'-ই শেষ রূপকথা।
এ ঘর ও ঘর করে করেই বেলা গেলো
এখন ভীষণ অবেলা-
অভিধানের অভিব্যক্তি, কেমন আছো?
অসংজ্ঞায়িত ভালো-মন্দের সহাবস্থানে
সর্বানুভূত আত্মস্থকরণ বেছে নিয়েছি।।