শুয়ে বসে অনেক সময় হয়েছে পার
দাঁত বসিয়ে যাচ্ছে অসভ্য বাস্তবতা
আলস্যে দুর্বল হয়েছে চিত্ত আমার।।
দুঃসময়ের গর্ভে শুয়ে তাই আজ কেঁদে মরি
অলস আমি খোলস ভেঙে বেরিয়ে পড়িঃ-
পাল ছেড়ে দেয় সত্যের খুঁজে এক তরী।।
নাহ, আর নয়! উঠে দাঁড়াতেই হবে
সব মিথ্যের মৃত্যুদন্ডের সময় হয়েছে।।
সমস্ত সত্ত্বা জুড়ে আগুনের খেলা।
জ্বলন্ত আমি।
আগুন নিভাতে চাই আগুনে।।
নিভন্ত আগুন হতে ধোঁয়ার রেখা ফুটে না তবু
আগুনে ঢালি আগুন আবার-
একের পর এক
অগ্নিশিখায় ধোঁয়ার কালো রেখা মুছে দেবো
পেরে ওঠি না।
আগুনে আগুনে ছেঁয়ে যায় নীল আকাশ আমার
রঙ তবু ধোঁয়ার।
কষ্টের রঙ নীল।
আগুনে আগুনে ধূসর হয়েছে এখন সেই দুঃখ।
অচে...
অপেক্ষায় কাটে প্রহর
একাকী। অনেক ভীড়!
নির্জনে। শত কোলাহল!
নিঃশব্দে। শব্দের জুয়া!
ত্রি-শব্দের মিলনে মিলে এক হাহাকার
একাকী নির্জনে নিঃশব্দে
পরম এক বেদনা জাগে হৃদয় গভীরে
সুখ দুঃখ যেমনই হোক
স্মৃতি তার নাম
করুণ পরিণাম।
তুমি পরিত্যাগ করেছিলে আমায়
তাই অচেনা এক ভুবনে আগমন
বেনামী আমার মানুষ নামকরণ।
তুমি পরিত্যাগ করেছিলে আমায়
কিছু ভালোবাসার মানুষের মাঝে
জীবন নামের ভেলা ভেসে চলে।
তুমি পরিত্যাগ করেছিলে আমায়
হারজিতের খেলায় বেঁচে আছি
জীবন নামের লড়াইয়ে মত্ত আমি।
তুমি নির্বাসনে পাঠিয়েছিলে আমায়
দুই যুগ পেরিয়ে গেলো সেই ...
আমি ভালোবাসি মেঘেদের, যারা ভেসে ভেসে বেড়ায়
গন্তব্যহীন তাদের গন্তব্য, পথে তাদের পথ থেমে যায়
মাটির ভেতর দাবদাহ, মেঘেদের ভূমিতে টেনে নামায়
মেঘেরা জল হয়ে যায়, অভিমানে তাদেরও কান্না পায়
কেন্ এমন কইরা বদলইয়া যায় ভাবনাগুলা?
ঘরের মইধ্যে থাইক্যা কয়-
মন জুড়ে গোটা আকাশ;
গগন-মনন আমার আমি।
আকাশতলে বইল্যা ওঠে-
ঘর যে টানে বড়ো,
আকাশ মোরে ছাড়ো;
ঘরের মায়া যায়না ভোলা!
ঘরবাহিরের টানাপোড়নে
অসীম জ্বালা এই অন্তরে;
প্রার্থনা তাই তাঁহার সনে-
স্থির করো এই মনটারে।
মা শব্দটা যে কতো প্রিয় তা কখনো ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। মা আমাদের এ ধরায় নিয়ে এসেছে। মায়ের গর্ভের নিরাপদ আশ্রয়ে কেটেছে আমাদের ভ্রুণদশা। মায়ের স্তনের অমৃত সুধা আমাদের প্রথম জীবীকা। মায়ের স্নেহের স্পর্শ এ নশ্বর পৃথিবীতে বেঁচে থাকার প্রথম মূলধন। মায়ের কতো কাছাকাছি আমাদের বসবাস, তবুও মায়ের অনেক কষ্ট আর ...
আমার প্রিয় রবীন্দ্র-সংগীতগুলি গাইলো না কোন শিল্পী,
আমার রুহের মাগফেরাত কামনা করলো না কোন শুভ্রশ্মশ্রু ইমাম,
আমার মুখ ঢেকে দেয়া হলো না কোন সদ্যকেনা শুভ্র-কাফনে।
শুধু গোপন আঁখির জল আমাকে ভিজিয়ে দিয়ে রাত্রির অন্ধকারে
সেই কবি আবে-জমজমের পবিত্র পানির মতো ঝরতে লাগলেন...;
যতক্ষণ-না দূরে, গ্রামের বাড়িতে, আমার জ...
আবহাওয়া যতোই হোক না কেন বৈরী
আমি তো আছিই তৈরী-
আসবি তোরা? আয় তাহলে!
চলে আয় নিয়ে যা আছে তোদের,
দেখে যা আমার আজন্ম প্রস্তুতি-
তোদের আগমনের জন্য সেই কখন থেকে...
যখন লিখতেও শিখিনি,
তখন থেকে শান্ দিচ্ছি কলমখানাকে-
সূঁচালো অগ্রভাগ রক্তপিপাসু আজ।
আসবি তোরা? আয় তাহলে!
রক্তের দাগ মুছে যাবে রক্তে।
২০০৭-০৬-০৭
আমি কিছুই শুনিনা কিছুই বুঝিনা
রৌদ্রের অসহ্য তাপ হোক আর
আকাশের অবিরাম ক্রন্দনই হোক
আমার কিছুতেই যায় আসে না।
হই না কুয়াশার চাদরে শীতকাতুরে
মলিন হলুদও চোখে লাগে না।
সবুজের সমারোহ দাগ কাটেনা মনে
না উত্তাপ দেয় লাল কৃষ্ণচূড়া।
আমি শুধুই অপেক্ষায় আছি সেদিনের-
যেদিন সূর্য আর অস্ত যাবেনা পশ্চিমে।
রচনাঃ ২০...