ঝুলে যাচ্চিস? ...কাদের?
মুখগুলা কি দ্যাখস আবার?
প্রাণ নিছিলি যাদের?
ঠেকাইতে তো পারল না কেউ--
ফরেন দালাল, জামাতি ফেউ,
নাভি, গাভি, গোলাপি বা
সাঈদী মামা চাঁদের...
ঝুলে যাচ্চিস? ...কাদের?
দাঁত কেলায়া হাসছিলি খুব
মাইখা হাতে রক্ত...
এখন হাসি বন্ধ ক্যানো?
দড়িটা খুব শক্ত?
এইটা সবে দেখলি শুরু
দেখবি আর কত...
গাছে গাছে ঝুলবি তোরা
পাকনা কলার মতো!
বিজয় তো খুব দেখাইছিলি
[justify]আরো কিছু বাঙালি মরতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মাটিতেই। অবরোধ নাম দিয়ে পিকেটিংয়ের অন্তরালে।
[i](মনমাঝিকে ধন্যবাদ, তাঁর ভূতাণুগল্প আমাকে বেশ ভাবিয়েছে এবং একটু করিৎকর্মা করে তুলেছে। তবে ভাবতে গিয়ে আর লাইনে থাকতে পারলুম না। মনের ভেতরে যে মন-মাঝি আছে, সে ব্যাটা ঠপাস ঠপাস বৈঠা মেরে নৌকা অন্যদিকে নিয়ে গেল। লিখে ফেললাম কটা ভূতাণুরঙ্গল্প। মানে সিরিকাস ভূতের গল্পের প্ল্যাটফরম থেকে আলটপকা রসিকতায় এসে পড়া আর কি!
কও তো মিয়া সমস্যা কই? সিনায় ব্যথা? ঠ্যাঙ্গে গোদ?
কোষ্ঠ কঠিন? জিব্বাতে ঘা? রাইতে হঠাৎ পাকছে পোদ?
বুক ধড়ফড়? বিশাল পাথর? ...জমছে মূত্রথলিতে?
এইচআইভি? হোটেল ছিলা মগবাজারের গলিতে?
সমস্যা নাই? আইছো কেন? সময় অনেক শস্তা, না?
চেহারাখান দেখতে আহো? রূপ কি আমার মস্তানা?
খাড়ায়া থাকো, আইবা পরে আবার তোমায় ডাক দিলে--
আপনে আহেন! কোথায় জখম? বুকে? খতরনাক দিলে?
জখম তো নাই! প্যাডের পীড়া? বিছনা ভিজে ঘুমাইলে?
[justify](শুরুতেই বলিয়া রাখা প্রয়োজন, গল্পটির ঘটনা ও চরিত্রগুলি আগাগোড়াই কাল্পনিক। কাহারো সহিত কিছু মিলিয়া গেলে তাহা কাকতাল, ফাঁকতাল, ঝাঁপতাল, একতাল, ত্রিতাল, দাদরা বা কাহারবা যে যাহার যা ইচ্ছা তাহাই মনে করিতে পারিবেন)
বাঙালি তুই ভীষণ পাজি, দাম দিলি না গোলাপির...
নিন্দা করলি স্বামীর নামে, বুঝলি না তার পোলা পীর!
কোপা শামসু খোঁপাটা তার, ভুরুটা কী মিহি রে--
লাইক দ্যাস নাই? তাইলে এবার করগা জবাবদিহি রে!
গোস্তনিটোল দোস্তরা তার আলবাঁদরের চরম টিম,
নরম সোহাগ না দিয়া তুই ঠাইসা দিলি গরম ডিম?
স্বগগে বসে কাঁদছে মেজর, সঙ্গে কাঁদে জানজুয়া,
ক্যামনে ভাবিস তুই গোলাপির এই যৌবন-মান জুয়া?
অদ্ভুত দু-খানা স্বপ্ন দেখেছিলাম একই রাতে। একটু পর পর। এই তো কদিন আগেই। কাউকে বলা হয় নি।
২০০৯-এ আমি একবার বেশ লম্বা সময়ের জন্য মন্ট্রিয়ল গিয়েছিলাম। সেই শহরের কিছু গাড়িঅলা মানুষ আমাকে অপার করুণা দিয়েছিলেন।গাড়িতে করে অনেক ঘুরিয়েছিলেন তাঁরা। শহরের আনাচে কানাচে "অনেক ঘুরেছি আমি বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে"! মন্ট রয়্যাল পাহাড়ের ওপরটা তো মুখস্থ হয়ে গিয়েছিল। পাহাড়চূড়ায় দাঁড়িয়ে সমস্ত শহর জুড়ে রাতের আলোকসজ্জা দেখা ছিল আমার প্রিয় অভ্যাস।
ভুলে গিয়ে ভয় যত পরাজয় জীবনের ঢালা ছাঁচে,
বাঙালির দিন বদলে গিয়েছে ফেব্রুয়ারির পাঁচে!
ক্রুদ্ধ মানুষে ক্ষুব্ধ স্লোগানে শাহবাগ জুড়ে ঝড়...
আমাকে নতুন জন্ম দিয়েছে প্রজন্ম চত্বর!
বাঁধতে পারে নি সাধের চাকরি, ঘরে বিছানার সুখ,
আমাকে টেনেছে অচেনা অদেখা রোদে পোড়া কিছু মুখ!
বিদ্রোহী আমি, ছিলাম কদিন আগেও স্বার্থপর...
আমাকে নতুন জন্ম দিয়েছে প্রজন্ম চত্বর!
শিল্পী ফেলেছে রঙতুলি আর গায়ক ভুলেছে গান,
সিনেমাহলে সিনেমা দেখতে গেলে একটা বিষয় নিয়ে আমার মনটা বড়ই খচখচ করতে থাকে। সিনেমার শুরুতেই বাংলাদেশের পতাকা উড়তে থাকে এবং ক্যারক্যারে আওয়াজ করে তারস্বরে বেজে ওঠে আমাদের জাতীয় সঙ্গীত। যেরকম ভৌতিকভাবে আচমকা এই পর্বটা শুরু হয়, সেরকম ভৌতিকভাবেই শেষ হয়ে যায়। ধড়মড়িয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়া দর্শকরা হাঁফ ছেড়ে বেঁচে যাওয়ার ভঙ্গিতে আবার ধড়াম করে শরীরটা ছেড়ে দেন সিটের ওপর!