বাসস্টপে একরাশ শুকনো পাতা উড়ে গেল এইমাত্র...
বাতাসে মেঘের শরীর থেকে ভেসে আসা হিম হিম গন্ধ,
পাশের বারান্দায় একটা মিষ্টি বয়স্ক গলা ডাকছিল,
রবিন... এই রবিন...
একটু দূরেই দাঁড়িয়ে থাকা শালিক পাখিটা টুক করে
পালিয়ে গেল কাকে দেখে?
পাশেই পাকাচুল প্রৌঢ়টি হাত রাখল মেয়ের মাথায়,
কাছেই আরো একটি মেয়ে, বয়স কত? সতেরো-আঠারো?
টফিটা মুখে পুরে খচমচে খোসাটাকে ভরে নিল ব্যাগে!
চিমার মতোই চামাররা সব--চামর দুলিয়ে হাতে
কামড়টা দেয় পশ্চাত থেকে, টের পাওয়া যায় রাতে!
কামড় খেয়েও পামর যেগুলো দন্ত কেলিয়ে হাসে...
তাদেরকে বলি, ধান্দাটা ছেড়ে মন দে এবার ঘাসে!
চাঁদবাগানের মাথার ওপর বাঁশ উঠেছে ঐ
বাঁশটা দেবো, মাগো আমার মোমটাদিদি কই?
মণিমালার খাটের তলে
ভারতীয় প্রোডাক্ট জ্বলে
কালো ধোঁয়ায় ঘুম আসে না, প্রচণ্ড হইচই!
বাঁশটা দেবো, মাগো আমার মোমটাদিদি কই...
ঘর থেকে দু-পা ফেলে কাছাকাছি যাওয়া হবে-
ভরপেট খাওয়া হবে,
চাপাবাজি আড্ডায় পুরো দিন হাওয়া হবে,
একই সুরে কানফাটা গানগুলো গাওয়া হবে,
চাঁদা নেই, বরঞ্চ মাস শেষে পাওয়া হবে,
-বদলানো হাওয়া হবে!
খেলা হবে, মেলা হবে
গুঁতো আর ঠেলা হবে
এইভাবে বেলা হবে-
বক্তৃতা ঝেড়ে কেউ কেউ ম্যান্ডেলা হবে!
আরো কিছু চাওয়া হবে?
গরম পরোটা চাই-গনগনে তাওয়া হবে,
তেলে ভাজা মোটে নয়? জ্বি জ্বি, ঘিটা গাওয়া হবে!
মিন্টু সাহেব একটা গাড়ি কিনেছেন। লাল রঙের।
উপায় ছিল না। বউ হাউকাউ করছিল বেশ কিছুদিন থেকে, তুমার মতো একটা মাথামোটা লুকের লগে থাইকা আমার জীবনটা শ্যাষ! সবার কতকিছু আছে, আমগো একটা গাড়ি পর্যন্ত নাই! কোনো মানইজ্জতই নাই আমাদের!
হাউকাউ করাই স্বাভাবিক। গ্রামের মেয়ে। অনেক আশা নিয়ে এসেছিল। শহরের এক ছেলে জামাই। গ্রামের অন্য মেয়েরা হিংসার মাতম তুলে বলেছিল, কফালডা তুর চিরকালই ভালা রে সাবরিনা!
আভিজাত্যের সিল কপালেতে সেঁটে
বিলেতি ডিগ্রি নিয়ে শ্যাম্পেইন পেটে
ভাড়া খেটে বাড়া চেটে যারা হয় পশু,
তাহাদের "পিচিডেন্ট" শর্মিলা বসু!
-হান্নান সর্দার, ও হান্নান সর্দার!
-কী জিগাও বাপ আমার?
-তোমার হাতে এইডা কী?
-আমার হাতে রামদাও!
-রামদাও দিয়া কী করবা? তোমার রামদায়ে রক্ত লাইগা আছে ক্যা?
হান্নান সর্দার কোনো কথা বলল না। চুপ করে রইল।
-কইলা না রামদাও দিয়া কী করবা? নাকি কিছু করছ? আবার মানুষ মারছ নাকি?
হান্নান সর্দার কোনো কথা না বলে তাকিয়ে রইল সামনে। তার চোখের সামনে পাঁচটা লাশ প ...
করছি কত হালুম হুলুম,
খুলছি কত দারুল উলুম
মাদ্রাসা আর গাইছি গান :
হাতমে বিড়ি মুখমে পান...
লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান!
প্যাঁচ বিষয়ক ম্যাচ খেলিতে
ইনস্পিরেশন মোনেম খান!
আইটকা গিয়া চোদ্দ শিকে
খুঁইজা বেড়াই মানুষটিকে...
লেহন করি কার পদতল?
কার দু-গালে কিস করি?
আইসা পড়েন পুরান আমীর...
আপনেরে খুব মিস করি!
১.
সকালবেলা স্কুলে যাবার আগে নাস্তার টেবিলে বসে বসে খানিকটা পত্রিকা পড়ে ঐশী। এই অভ্যাসটা বাবাই তৈরি করে দিয়েছে। বাবা বলে, প্রতিদিন পত্রিকা পড়ে ঘর থেকে বের হবি, নিজের মধ্যে একটা গরম ব্যাপার থাকবে। আশেপাশে কী ঘটছে তার কমবেশি তুই জানিস। কেউ এসে আচমকা একটা খবর জানিয়ে তোকে হাবা বানিয়ে দেবে, এরকমটা করার সুযোগ তুই তাকে দিবি কেন?
কিন্তু আজকের ব্যাপারটা একটু অন্যরকম। সকালে উঠেই ধ...
মামুন এবং স্নিগ্ধাদির মতামতের সাথে সহমত। এবারের নিমকি মানসম্পন্ন হয় নি। আর আধঘণ্টা প্রথম পাতায় থাকবে। এরপর ঘ্যাচাং হবে।
এই ছড়াতে ছন্দ আছে, অশ্লীলতার গন্ধ আছে, বাঁইচা গেছেন যাদের দুচোখ বন্ধ আছে…
ছোট ছোট দু-লাইনে, মনটা কারো দুলাই নে, তবুও যদি একটু খানিক মনটা কারো দোলে… আসেন আমার কোলে!
০১.
কেউ বলে নি, ‘দেবেন চুষে?’
সান্ত্বনা পাই লেবেনচুষে...
০২.
সুখেই আছি, বুঝলে ভ...