আচ্ছাদিতনগর রাজ্যের রাজা জনগণ মাণিক্য প্রবল যাতনায় ভুগছেন। পেটে ব্যথা। কিন্তু রাজবৈদ্য ব্যথার নিরাময় বা উপশম কিছুই করতে পারছেন না। আপাতত পুল্টিশ চলছে।
জনগণ মাণিক্য এতদিন আস্থা রেখেছিলেন রাজবৈদ্য ইবনে চিচিঙের ওপর। বহু দেশে ঘুরেফিরে নানা দেশের চিকিৎসাবিদ্যা অর্জন করে এসেছেন ইবনে চিচিং। এর আগে তাঁর পাটমহিষীর যাত্রাপালা দেখার একটা রোগ হয়েছিলো, দিন নাই রাত নাই খালি হিন্দি পালা দেখেন প্রাসাদের মঞ্চকক্ষে, ইবনে চিচিং কী একটা ওষুধ খেতে দিলেন, তারপর থেকে রাণী একদম ঠিক, ভোরে উঠে শুধু ধর্মগ্রন্থ আর বিকালে একটু ইতিহাস পড়েন। রাজপুত্র মদনকুমারেরও কী একটা অসুখ হয়েছিলো, শুধু পায়রার পায়ে ছোটছোট চিরকুট বেঁধে ওড়াতেন, এসএমএস না কী বলে ওটাকে, দিনরাত শুধু
... ...
আমি কিছু কহিলাম না, নিরুত্তর চাহিয়া রহিলাম তাহার অনিন্দ্যসুন্দর বদনের পানে।
আমার মাশুকা। প্রকৃত নাম বলিয়া দিয়া তাহার অপমান করিব না। ধরিয়া নিন, তাহার নাম, নূরজেহান।
নূরজেহান আবারও আমার দিকে চাহিয়া ব্যাকূল কণ্ঠে কহিলো, "ওগো, তুমি ভাবিয়া দেখো, আব্বাহুজুরের প্রস্তাবটি এমন খারাপ কিছু নহে।"
আমি মৃদু কণ্ঠে কহিলাম, "না বেবি, তাহা হয় না।"
আদর করিয়া আমি তাহাকে বেবি বলিতাম।
নূরজেহান আমার দস্ত তাহার দস্তমুবারকে লইয়া মৃদু চাপপ্রয়োগ করিয়া কহিলো, "ওগো, ভাবিয়া দ্যাখো, ইহা এমন আর কঠিন কী কাজ? তুমি পারিবে, নিশ্চয়ই পারিবে ...।"
আমি আমার হস্ত ছাড়াইয়া লইয়া কহিলাম, "না, ইহা হইতে পারে না। ঘরজামাই থাকা আমার পক্ষে সম্ভ
হাঁ!
বিদ্যা তাহার বাইয়া পড়ে
বড়ির সাথে সাথে
হাঁ ভাই, বড়ির সাথে সাথে
বাইয়া পড়ে চুঁইয়া পড়ে
জ্ঞানের ভারে নুইয়া পড়ে
ছাগুরামের বিদ্যা যোগান দেয় যে কাঁঠাল পাতে ...
মস্ত বিদ্যা ভয়ঙ্করী
হাঁটার তালে দুলতে থাকে দুলতে থাকে
ঝুলতে থাকে
জ্ঞানের ভারে, ভীষণ ভারে ঝুলতে থাকে
হাঁ ভাই ঝুলতে থাকে
ভারতপ্রেমী রামছাগুরাম ফুলতে থাকে
বিদ্যা খেয়ে ফুলতে থাকে
আইআরসিতে গেট্টুগেদার
দাওয়াত সেথা ফরজ যে তার
শালকাঁঠালের পাতায় মাখা বিরিয়ানির ডালডা খেয়ে ঢুলতে থাকে
হায় ছাগুরাম বিদ্যাভরা প্রকোষ্ঠদ্্বার খুলতে থাকে
ছড়ছড়িয়ে
বড়ির সাথে
বেরিয়ে আসে বিদ্যা বিদ্যা মস্ত বিদ্যা
ছ্যাবলা যত ভ্যাবলা ফ্লাডার বিদ্যাস্রোতে যায় ভেসে যায়
তা
আমার নাম জনগণ।
কাশ, আমার গুহ্যদ্্বার দুইটা থাকতো।
না, মলত্যাগের জন্য নয়। ঐ কাজে আমার একটি গুহ্যদ্্বারই বরং অতিরিক্ত মনে হয়। পেটে ভাত নাই, হাগনবিলাস কি পোষায় আমার। ক্কচিৎ ক্কচিৎ চকিত তড়িৎ গতিতে ঐ কাজ সেরে ফেলি।
একটা অতিরিক্ত গুহ্যদ্্বারের জন্য আমার হাহাকার বহুদিনের। আপনারা তো আবার অতীত ভুলে ভবিষ্যতের দিকে তাকায় থাকেন, নাহলে আমার কষ্ট বুঝতেন। একেবারে সেন যুগ থেকে হোগামারার উপরে আছি ভাই। এই যাহ, বাজে কথা বলে ফেললাম। একটা সাধু বাংলা বের করি ঐটার ... গুহ্যিকা ... কেমন শোনায়?
যা বলছিলাম, যুগে যুগে বহু শাসক এসে আমাকে গুহ্যিকা দিয়েছে উপযর্ুপরি। মাঝে মাঝে যে ফোঁস করে উঠি নাই তা না, তবে বিষ না থাকলে ঐ চক্করই ভরসা।
যা-ই হো
অভিদেষ্টা কোম্পানির নাটের গুরু পর্বৎ মওলার কাছে ছাগাজন চাকরি করেছিলো কয়েক বছর। পর্বৎ মওলা বদমেজাজি লোক, জুতা পালিশ করে না রাখলে সে বুট পরে লাথি মারতো। কয়েকবার লাথি খেয়েই হেবো সাবধান হয়ে গিয়েছিলো। আক্কলমন্দের জন্য ইশারাই কাফি।তো, পর্বৎ মওলা একদিন এক আজব তেলেসমাতি শুরু করলো। ইন্টারনেট। কম্পিউটারে বসেই দুনিয়ার খবরাখবর পাওয়া যায়। শুধু মাউজ নামের ঐ বস্তুটা দিয়ে নাড়াচাড়া করতে হয়, আর কীবোর্ডে কিছু টিপাটিপি।হেবো ছাগাজনের বড় শখ হয়, সেও ইন্টারনেট ঘাঁটবে।পর্বৎ মওলা চোখ রাঙায়, বলে যা ভাগ, জুতা কালি করে নিয়ে আয় দুই জোড়া। এক জোড়া আমি পরবো, আর আরেকজোড়া তুই মাথায় নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবি। শখ কতো! জানিস এটা অবৈধ?হেবোর চোখ ফেটে জল আসে। ওহ না, জল না, সে সামলে নেয়,
গাব্রিয়েল মগাদিশু চৌরাসিয়ার দিনকাল খারাপ যাচ্ছে। এরকম রহস্যজর্জরিত একটা পাড়ায় বাস করেও কেস জুটছে না তাঁর হাতে। জুটছে না বললে ভুল হবে, কেস রোজই জোটে এক গাদা, কিন্তু পয়সা দিতে চায় না কেউ।
পরামর্শটা দিয়েছে প্রতিবেশী ও পানের সঙ্গী পমি রহমান।
"খোকাপুরুষের কাছে যান।" পমি রহমান ভোগান্তি খায় না, তার পছন্দ বিয়ার, তারই বোতলে এক চুমুক দিয়ে বলে সে।
"খোকাপুরুষ?" মগাদিশু চৌরাসিয়া একটি ভুরু উত্তোলিত করে তাকান পমি রহমানের দিকে।
"হুম। মরমী জ্যোতিষী। হাত দেখে ভূত ভবিষ্যৎ বলে দেয়।" পমি রহমান জানায়। "শুধু হাত দেখলে একটা সংশয় ছিলো, কিন্তু এই ব্যাটা একেবারে ডিফারেনশিয়াল ক্যালকুলাস কষে বলে দেয় সব। শুনেছি," গলা নামিয়ে বলে সে, "কী একটা ফাইয়
বিরাট কাহানি ইহা, সংক্ষেপে বর্ণিলে
মজা মারা যাবে, সাথে চোট পাবে দিলে।
রসাইয়া কষাইয়া তাই কান্ডে একাধিক
ব্যাখ্যান করিলে মনু মজা পাবে ঠিক।
নাহক না খুঁজো তোমরা দর্শন প্রমাণ
মুখফোড় ভাংখোর ভনে শুনে পুণ্যবান।
জংলার মুল্লুকে যিনি মন্ত্রী যোগাযোগে
হঠাৎ একদিন তারে ধরিলো কী রোগে।
গাঁজার কল্কির বশে বুদ্ধি হইলো নাশ
সম্মেলন ডাকি সে যে করিলো প্রকাশ।
পাশর্্ববতর্ী রাজ্য থেকে চন্দ্রে গেছে যান
আমাদেরও যাইতে হবে রাখিতে সম্মান।
লাগুক অর্বুদ টঙ্কা, নিযুত লোকবল
আসছে পৌষ মাসে চন্দ্রে পাঠাবো শাটল।
ঘোষণা শুনিয়া লোকে বিস্ময়ে অজ্ঞান
মুখফোড় ভাংখোর ভনে শুনে পুণ্যবান।
গাব্রিয়েল মগাদিশু চৌরাসিয়া বললেন, "তাই নাকি?"
পমি রহমান চোখ টিপে বলে, "হ্যাঁ!"
চৌরাসিয়া বলেন, "আপনার কাছে কোন প্রমাণ আছে?"
পমি রহমান একটু চটে যায়। বলে, "সেই ছোটবেলা থেকে সিনেমা খাই, ভাই! ইস্কুল ফেলে সিনেমা দেখেছি, কলেজ ফেলে সিনেমা দেখেছি, ইউনিভার্সিটি ফেলে সিনেমা দেখেছি, কাজ করি সিনে সাংবাদিকের, কতো নায়িকা ঘেঁটে চুল পাকালাম, মানে, আমার নিজের চুল, আর তারপরও প্রমাণ চান?"
চৌরাসিয়া বলেন, "লেট মি রিফ্রেইজ। উদাহরণ দিন কিছু।"
পমি রহমান একটু শান্ত হয়। এক ঢোঁক বিয়ার খায় সে। বলে, "ধরেন, নায়িকা নাদুশার কথা। না দিয়ে নাম শুরু। চরম ছিনাল! কীসব যে সে করেছে আপনি নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাসই করবেন না!"
চৌরাসিয়া বলেন, "হু
ভূমিকা
কবিতা লিখতে পারি না। পারি না?
কিন্তু আমি অসম সাহসী
কাগজে কলম দিয়ে হঠাৎই কবিতা লিখে বসি।
কবিতার বডি
ইদানীং রাত্রি এলে
আমাকে বেজায়
কবিতাতে পায়।
দেয়ালে চতুর কোন কবিতা লাঙ্গুল নেড়ে ছোটে
আরেক দেয়ালচারী কবিতার ঠোঁটে
কামড় বসাতে
আমি দেখে উত্তেজিত
শক্ত শক্ত কী যে ঠ্যাকে হাতে
শিশ্ন নয়, সেও এক রক্তশির কবিতা কলাম
(শিশ্নও ছিলো পাশে)
অস্থির রাত্তিরাহত আমি তাকে মুঠোয় নিলাম
নির্মম মন্থনে তবু কবিতায় গলগল করে
বেনর্ুয়ি-কে মেনে নিয়ে আস্তআস্ত ছিটকে ছিটকে আসে
শহরে নিবাস, তবু অলিন্দিয়া শতেক জোনাকি
নাকি
পাছায় আগুন নিয়ে বিন্দু বিন্দু কবিতারা ডানা
মেলে হানা
দিতে চায়
অন্ধকার ফুঁড়ে
গাব্রিয়েল মগাদিশু চৌরাসিয়া একটা সাদাকালো হাফপ্যান্ট পরে নিজের বৈঠকখানায় পায়চারি করছেন। সাদাকালো হাফপ্যান্ট মানে এই নয়, এর একটা পায়া সাদা, অন্যটা কালো। সাদাকালো প্যান্ট মানে এ-ও নয় যে প্যান্টটা জেব্রার মতো ডোরা বা পোলকা ফুটকি দিয়ে ছোপানো। প্রকৃতপক্ষে প্যান্টটা সাদাই ছিলো, এখন ময়লা হয়ে কালচে মেরে গেছে। বউ ঝগড়া করে বাপের বাড়ি চলে গেছে, তাই চৌরাসিয়া অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ঘরে ময়লা জামা পরে থাকতে পারেন।
পায়চারি করতে করতেই মগাদিশু চৌরাসিয়া প্যান্টের পকেট থেকে ভোগান্তির বোতল বার করেন। তাঁর পকেটগুলি বোতলের মাপে তৈরি করা, তিনি মর্জিমাফিক কোনদিন 700 মিলি কোনদিন 330 মিলির হাফপ্যান্ট পরেন। পায়চারি করতে করতেই তিনি বোতলে রহস্যভেদীসুলভ একট