গাব্রিয়েল মগাদিশু চৌরাসিয়া মহাবিরক্ত। এ পাড়ায় রহস্যভেদী পরিচয় দেয়াটাই বোকামি হয়েছে তার। বাঙালি জাতিটা বড় পাজি, যত্তোসব খুচরা সমস্যায় ভরা তাদের জীবন, আর খালি মাগনা কাজ উদ্ধারের ফন্দি! পয়সা দেয় না শালারা।
তিনি গম্ভীর মুখে বললেন, "দেখুন, ছিনতাই ঠিক আমার বিষয় নয় ... নট মাই কাপ অফ টী। ছিনতাই একটা বিচ্ছিরি বাজে বর্বর ঘটনা, ওতে কোন রহস্যের ছোঁয়াচ নেই। আপনি পুলিশ, র্যাব, সাংবাদিক, মিউনিসিপ্যালিটি, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, টিআইবি, সিআইএ ... যাকে খুশি তাকে ধরতে পারেন এ ব্যাপারে, কিন্তু আমাকে বাদে। আমি একজন রহস্যভেদী। মারদাঙ্গা সব রহস্য নিয়ে আমার কারবার, এইসব লুঙ্গিবদনাখুরপিমার্কা পাতি লুটের ঘটনায় গলানোর মতো নাক আমি আজও অর্জন করতে পারিনি।
শেরশাদ বললেন, "সালামালাইকুম। আপনি কোন আলেকজান্ডার?"
আলেকজান্ডার ক্ষেপে গেলেন। মাকেদোনিয়ার লোকজন এমনিতেই বদমেজাজি, তার ওপর বিশ্বজয়ী আলেকজান্ডারকে না চেনা! তিনি তরবারি উঁচিয়ে বললেন, "হাল্লা পেঙ্কির পো আলেকজান্ডার কি একটার বেশি দুইটা হয় নিকি? এক্কেরে জানে মাইরা ফালামু কোয়া দিলাম!"
শেরশাদ হাসলেন। বললেন, "খোঁজখবর তো রাখেন না দুনিয়ার। কতো আলেক-বালেক-খালেকজান্ডার দিয়ে রাস্তাঘাট ছয়লাপ এখন! ঐ দ্যাখেন ঐ অশ্লীল সিনেমার পোস্টারে নায়কের নাম কী ল
গাব্রিয়েল মগাদিশু চৌরাসিয়া ধড়ফড় করে উঠে বসেন বিছানায়। তারপর তাকান ঘরোয়া ঘড়ির রেডিয়ামচর্চিত কাঁটার দিকে। রাত দেড়টা।
দুঃস্বপ্ন দেখে যে তাঁর ঘুম ভাঙে না, এমন নয়। মাঝে মাঝেই স্বপ্নে দেখেন বউটা বাপের বাড়ি থেকে গাঁটরি বোঁচকা সহ ফেরত এসেছে, এসেই শাড়ি গাছকোমর করে পেঁচিয়ে তাঁকে কান পাকড়ে ধমকাচ্ছে, "বাসাবাড়ির এই হাল? য়্যাঁ?"
তবে আজ দুঃস্বপ্ন নয়। ঘুম ভেঙেছে দরজায় করাঘাতের শব্দে। না, তাঁর দুঃস্বপ্ন সত্যি হয়ে ওঠেনি, বউটা এলে দরজায় লাথি মারে। সম্ভবত কোন প্রতিবেশী, খুচরা কোন রহস্য নিয়ে এসেছে। রহস্যের সমাধান হয়ে গেলে শালারা ঠিকমতো টাকাপয়সাও দেয় না, দিচ্ছি-দেবো করে খালি ঘোরায়। দীর্ঘসূত্রিতা। মাঝে মাঝে ভাবেন চৌরাসিয়া, ফেনসিডিলের ব্যবসায় নেম
রহস্যভেদী গাব্রিয়েল মগাদিশু চৌরাসিয়া গম্ভীর নিশ্চুপ মুখে বারান্দায় বসে। তাঁর পরনে একটি লাল রঙের গ্যাবার্ডিনের হাফপ্যান্ট, ফুটপাথের হকারের কাছ থেকে ষাট টাকা দামে কেনা, দামী ডিটারজেন্টে ধোয়া এবং ইস্ত্রি করা। লাল রংটা একটু যেন বিষণ্ন হয়ে পড়েছে আবহাওয়ার পরিবর্তনে।
চৌরাসিয়া গম্ভীর হয়ে আছেন অন্য কারণে। তাঁর নতুন কেনা হলুদ লুঙ্গিটা চুরি গিয়েছে। বারান্দায় শুকানোর জন্য সেটাকে টাঙ্গাইল করা হয়েছিলো, কে যেন সেটাকে সরাইল করে নিয়ে গেছে। কিন্তু রহস্যজনক ব্যাপার, আর কোন কিছু নড়াইল করে যায়নি। মগাদিশু চৌরাসিয়া প্রচুর ঘাটাইল করে দেখেছেন, কোন ক্লু খুঁজে পাননি। অত্যন্ত ঘাগু চোর। কিন্তু চোর ব্যাটা বা বেটি জানে না, যে প্রখ্যাত রহস্যভেদী গবেষক গাব্রিয়ে
আইজুদ্দিন সাহেবের কী দুর্মতি হয়েছিলো, বেশ কয়েক বছর বিপত্নীক জীবন কাটিয়ে শেষে প্রৌঢ়ত্বের ধূসর এলাকা টপকে গিয়ে বিয়ে করলেন বেশ রগরগে এক তরুণীকে। রগরগে বিশেষণটি গল্পকাহিনীর আগে বসালে শুনতে ভালো লাগে (বিশেষণ আর কাহিনী দুটিই), কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষে কিশোরী-তরুণী-যুবতীরাও রগরগে হয়ে উঠতে পারে বইকি। যারা আবারও জিজ্ঞেস করবেন, কিভাবে পারে, তাঁদের বলি, শিরোনাম দেখুন।
আইজুদ্দিন প্রথম স্ত্রীর ইন্তেকালের কিছুদিনের মধ্যেই বিয়ে করতে পারতেন। সবাই তাঁকে সেরকম পরামর্শই দিয়েছিলো। আইজুদ্দিন অন্যের কথা কানে নিতে চান না, নিজের বিচার বিবেচনায় চলেন। তাই দীর্ঘদিন একাকী সংবৃত জীবনযাপনের পর ঐ ধূসর এলাকা টপকে এসে তিনি অসংবৃত হবার পণ করলেন, এবং আলোচ্য রগরগে স্ত্রী
শ-এর দ্য ম্যান অফ ডেস্টিনিতে গুপ্তচর মহিলাটি হঠাৎ নেপোলিয়নকে জিজ্ঞেস করে, ওহ! আর ইউ আ কাওয়ার্ড? নেপোলিয়ন হাঁটুতে চাপড় মেরে হেসে ওঠে, দ্যাট ইজ দ্য ওয়ান কোয়েশ্চন ইউ মাস্ট নেভার অ্যাস্ক আ সোলজার। দ্য সার্জেন্ট অ্যাস্কস আফটার আ রিক্রিউটস হাইট, হিজ এইজ, হিজ উইন্ড, হিজ লিম্বস, বাট নেভার আফটার হিজ কারেজ।
মাঝে মাঝে বাথরুমে মুখ ধুতে গিয়ে আয়নায় নিজেকে দেখি। মাঝে মাঝে এ প্রশ্ন করি নিজেকেও, আর ইউ আ কাওয়ার্ড? কাপুরুষ নাকি তুমি, মুখফোড়? নেপোলিয়নের কথা মনে পড়ে যায়।
যোদ্ধা নই, আবার আমরা সবাই যোদ্ধা। বারবার যুদ্ধের ফেরে পড়ে যাই। অ্যাড হক সোলজার আমরা সবাই। তাই আর জিজ্ঞেস করি না নিজেকে, আমি কাপুরুষ কি না।
মতিউর রহমান, আপনার দেহাবশেষ যেখানেই
মোহনদাস ভাঙা গলায় বলেন, "জবারলাল!"
জবারলাল মৃদু গলায় বলেন, "বাপু!"
মোহনদাস শুধান, "কোন খোঁজ পেলে?"
জবারলাল বলেন, "না বাপুজী।"
মোহনদাস সহিংস ভঙ্গিতে দাঁত কিড়মিড় করেন, "তবে কি এই নোয়াখাইল্যারাই ওকে নিয়ে কেটে কাচ্চি বিরিয়ানি খেয়েছে?"
জবারলাল শ্রাগ করেন ফরাসী কেতায়। "জানি না বাপুজী। এদের অনেক বদনাম আছে। কোন কাজই অসম্ভব নয়। তাছাড়া এই এলাকায় ফজলু বাবুর্চির কাচ্চি বিরিয়ানি ভূবনবিখ্যাত। কাজেই আপনি যা আশঙ্কা ঘটছেন তা সত্যিও হতে পারে।"
মোহনদাস ডুকরে ওঠেন, "আমি এখন তাহলে খাবো কী?"
জবারলাল বলেন, "আলুপটলের ঘ্যাঁট আর চাপাটি আছে। সেবন করে নিন আপাতত। পরে আরেকটা ছাগী যোগাড় করা যাবে।"
মোহনদাস চোখ মোছেন লেংটির খুঁট উ
না, আপনাদের তুমি করে বলার স্পর্ধা আমার নাই। আপনারা জ্ঞানী ও গুণী, আমি নিতান্তই সাদামাটা এক মুখফোড়।
কিন্তু টীকা আপনারা লিখতে পারেন চাইলেই।
নিচের ইয়েগুলোর ওপরে টীকা দিন। একেবারে ভরে দিন।
1. যাজাকুল্লা খাইর
2. যাস্ট ইগনোর
3. দেশের শত্রু
4. হাহাহা ... আপনি আমার পোস্ট আবার পড়ে দেখুন ... আমি কী বলার চেষ্টা করেছি ...
ধন্যবাদ।
ছাগুরাম কহে তার সিনা উঁচু করি
"মানবেরে আমি নাহি ডরি।
আছে মোর সাথী এক দিগদার
নাম তার শিম্পাঞ্জিকদার
দুইজনে মিলি মোরা রুখিবো এদেরে
দাঁড়ে দাঁড়ে দ্রুম, দেড়ে দেড়ে দেড়ে।
ভয় নাই কোন বাধা বিঘনর ...
তাই বলি ছাগুদলে, বলি ছাগুদলে, যাস্ট ইগনোর!"
"করিয়াছি কত কালা তালিকা
জুটায়েছি মাথামোটা বালিকা
তাহারাও মোর সাথে ম্যা ম্যা সুর ধরে
করে কত লাফঝাঁপ তর্জন
করে বর্জন
ম্যা ম্যা গর্জন
অধপাতে যাক যত নরজন
কায়েম করিবো ছাগুতন্ত্র
এই মন্ত্র
পড়ে যাই গুজগুজগুজ
আমি দ্্বিরাধিক ভূজ।"
এই বলে ছাগুরাম চলে যায় লাঞ্চে
শিম্পাঞ্জিকদার তাই বসে কানছে।
সারারাত জাগে ছাগু মহা পপুলার।
সম্মুখে হরতাল
আজ আর কাল
বাসায় কাঁঠাল-
এর পাতা জড়ো করে খায়
আনমনে চাবায়
লাদি ছাড়ে ব্লগে
লগে লগে
যোগ করে টীকা
"নয় অহমিকা
নয় মোর হৃদয়ের ভার।
আমি মহা পপুলার।"
একাকী মুর্শেদে
হুমকি হানে গিয়ে সেধে সেধে
তার মতো আর ছাগাপাঁঠা যত গংটং বেঁধে
হামলা করিলে এই ব্লগে
লগে লগে
মানবের ব্লগানোর দিন শেষ হবে
তাতে সন্দেহ তো নাই। তবে
ওরূপ কুকর্মে তার স্পৃহা
নেই। তাতে ভীষণ অনীহা।
কিন্তু হুমকি মিছে কিছু নয়
নয় কোন বিপন্ন বিস্ময়
যত রাজ্যে ছাগাপাঁঠাদলে
জিজ্ঞাসিলে বলে
"ছাগুরাম? ঐ ব্যাটা ভাঁড়?
সে যে মস্তপপুলার!"
সারারাত ...
জাগে ... ছাগু ...
মহা পপুলার ...!