আদম জুলজুল করে তাকিয়ে থাকে ঈভের দিকে। ঈভের পরনে লতাপাতার কাঁচুলি, লতাপাতার কৌপীন, তার শরীরে এক রুক্ষ লাবণ্য, আদম হাঁ করে তাকিয়ে দেখে।
ঈভ বলে, "আদম, তুমি কেন এইভাবে তাকিয়ে আছো? হাঁ বন্ধ করো, মুখে মাছি ঢুকবে।"
আদম তাড়াতাড়ি মুখ বুঁজিয়ে ফেলে সরে পড়ে।
ঝামেলার শুরু হয়েছে এক স্বর্গদূতকে নিয়ে। তার নাম রসময়, সে স্বর্গদূত আর স্বর্গবালাদের নিয়ে নানারকম গরম গল্প তৈরিতে ওস্তাদ। আদম মাঝে মাঝে বড় জঙ্গল পেরিয়ে ঐ মাঠের কাছে গাঁজার পাতা ছিঁড়তে যায়, সেখানেই ঐ রসময়ের সাথে তার ক্রমান্বয়ে সাক্ষাৎ, আলাপ ও দোস্তি হয়েছে। রসময়ের কাছে গল্প শুনে শুনে ইদানীং আদম একটু গরম হয়ে আছে।
সম্প্রতি "পাশের বাড়ির স্বর্গভাবী" নামে একটা কাহানি বানিয়েছে রসময়,
সবাই দেখি প্রিয় কবিতা কিছু না কিছু তোলে। আমিও তাই দ্যাখাদেখি তুললাম।
মণীশ ঘটক
কুড়ানি
1
স্ফীত নাসারন্ধ্র. দু'টি ঠোঁট ফোলে রোষে,
নয়নে আগুন জ্বলে। তর্জিলা আক্রোশে
অষ্টমবর্ষীয়া গৌরী ঘাড় বাঁকাইয়া,
"খট্টাইশ, বান্দর, তরে করুম না বিয়া।"
এর চেয়ে মর্মান্তিক গুরুদন্ডভার
সেদিন অতীত ছিলো ধ্যানধারণার।
কুড়ানি তাহার নাম, দু'চোখ ডাগর
এলোকেশ মুঠে ধরি, দিলাম থাপড়।
রহিল উদগত অশ্রু স্থির অচঞ্চল,
পড়িল না এক ফোঁটা। বাজাইয়া মল
যায় চলি; স্বগত; সক্ষোভে কহিলাম
"যা গিয়া! একাই খামু জাম, সব্রি-আম।"
গলিতাশ্রু হাস্যমুখী কহে হাত ধরি,
"তরে বুঝি কই নাই? আমিও বান্দরী!"
2
পঞ্চদশী গৌরী আজ, দিঠিতে তাহার
নেমেছে বিদ্যুৎগর্ভ
আমি পড়তে শিখেছি অল্প বয়সে। বড় ভাইবোনেরা অনেকদিন পর একটা ছোট ভাই পেয়ে বেশ সময় দিতেন আমাকে, অনেকটা খেলনার মতো, তাই হুড়োহুড়ি করে লেখাপড়া শিখিয়ে দিয়েছিলেন। তাই আমি মাসুদ রানা পড়তে শুরু করি ফেলুদারও আগে, ক্লাস ফোরে পড়ার সময়। তার আগে অ...
প্রিয় ডায়রি,
পক্ষাধিককাল পরে আবার তোমার বুকে কলম পিষিতেছি। তুমি তো জানো, আমি কলম ও সাইফ, উভয় সঞ্চালনে সমান কাবিল।
আমার সাহাবায়ে আজম, বাংলা ভাই ধরা পড়িয়াছেন। তবে তাহাকে কেন জানি আমার মত খাতির করা হয় নাই। রিমান্ডে নিয়া আমাকে একটি রঙিন টেলিভিশন দেয়া হইয়াছে, উহাতে দেখিলাম, বাংলা সাহাব ময়লা পিরান পড়িয়া মাটিতে বসিয়া ঢুলিতেছেন, আর তাহার দাড়িতে হাত বুলাইতেছে জনৈক র্যাব। দুঃখ পাইলাম তাহার এই করুণ পরিণতি দেখিয়া। তবে বাংলা ভাইয়ের জিন্দেগিভর খোয়ায়েশ ছিলো হেলিকপ্টারে চড়িবার, তাহার সেই চাহাত পূরণ হইয়াছে। আমার মনে পড়িয়া গ্যালো কিবরিয়া সাহাবের কথা, বোমা খাইয়া ঝাঁঝরা হইয়া গিয়াছিলেন, তথাপি চিকিৎসার জন্য কোন হেলিকপ্টার মিলে নাই। খিক।
সেদিন সিলে
মারভেজ পুশাররফ মোচে তা দিয়ে হাসলেন। "দানেল সাহাব, ক্যায়সা লাগতা হায় হামারা পিলান?"
দানেল তার শীর্ণ আঙুলে দাড়ি বিন্যস্ত করেন। তারপর খসখসে গলায় ভাঙা ভাঙা উদর্ুতে বলেন, "ফির সে সমঝাইয়ে বুশাররফ সাহাব!" দানেল জাতিতে আরব, প বলতে পারেন না, ব বলে ফেলেন। পুশাররফকে বলেন বুশাররফ, প্যান্টিহোসকে বলে বান্তিহুস। সমস্যা হয় অনেকের। প্রথম প্রথম পুশাররফেরও হতো, এখন অনেকটা কেটে গেছে। অভ্যাসে কী না হয়।
পুশাররফ আবার মোচে তা দেন। পাপিস্তান সেনাবাহিনীতে ঢু
মহারাজ হবুচন্দ্রের শখ হইলো, তিনি বেইসবল খেলিবেন। এখন বেইসবল রাজ্যে তেমন একটা প্রচলিত ক্রীড়া নহে, তাই মার্কিন মুল্লুক হইতে তিনি একজন ভালো প্রশিক্ষক আনাইবার হুকুম দিলেন গবুচন্দ্রকে।
দুনর্ীতিবাজ গবুচন্দ্র টেন্ডার হাঁকাইলো, এবং যথারীতি তেপায়ার তলদেশে প্রবাহিত অর্থস্রোতের কল্যাণে ধাধধাড়া মার্কিন গোবিন্দপুরের নাইকো ক্রীড়া চক্রের জনৈক ওয়াকে সস্তায় ভাড়া করিয়া আনিলো। ওদিকে রাজার কোষাগার হইতে কিন্তু ঠিকই মুদ্রা খসিলো গন্ডায় গন্ডায়।
তবে হবুচন্
খালি বিন ওয়ালি ব্যথাতুর চোখে তাকান দেয়ালের ছবিটার দিকে। আব্বাজানের ছবি। যুবা বয়সে তোলা। মাথায় দাগী টুপি, ...
লাদেনের মতো চাঁই
সন্ত্রাসী খুঁজে পায় নাই
তাই
সোনার বাংলা আহা সাদাসিধে মাল বাজারে আনে
বাংলা সাবান, বাংলা শরাব আর বাংলা রুটির মতো
ছিমছাম সাদামাটা বাংলা ভাই
হাওয়ায় থোতায় পোষা সুন্নত দাড়ির গোছা
উড়িয়ে ঘুরিয়ে ভাই
একে ধরে, তাকে মারে, কাকে কাটে
শতেক ভাগায় আর শতেক লাগায়
বাগমারায় ছোটখাটো একাত্তর বয়ে বয়ে যায়
দারোগা-মুনশী সব ঢুলুঢুলু চোখে চেয়ে
কুঁচকির চুলে বিলি কাটে
নিজের, ভায়ের
আর উত্তুরে বাতাসে কার উলটা লাশ মুচকি মুচকি দোলে
সেদিন টিভিতে দেখি, বোমার্ত বাংলার পাশে র্যাবের পাৎলুন
ঝুলমাখা দাড়ি ধরে দেখাচ্ছে, বাংলার ভাই
গরীবের লাদেন ... ধরা পড়িয়াছে ভাই ধরা পড়িয়াছে
সুন্দরী বিধাত্রী এসে টিভি খুলে মোনাজাত কন
কত্ত
বিভিন্ন পোস্টের মন্তব্যে গিয়ে কিছু শব্দ আবিষ্কার করেছি। আমার ধারণা আমি চাকা, আগুন এসবের মতোই গুরুত্বপূর্ণ সব জিনিস আবিষ্কার করছি, কিন্তু দুষ্টু বাঙালি মূল্য দিচ্ছে না। কী আর করা।
এডিট = সংকাটন।
প্যারোডি = ব্যঙ্গিকা।
সীটবেলট = আসনপাশ।
প্লেযিয়ারিজম = পরলেখহরণ।
ক্যারিশমা = ক্যারামতি।
ভালো কথা, আমরা তো শবপূজারী জাতি, মৃত মানুষকে নিয়ে মুখে ফ্যানা তুলি আর জীবিতকে পাত্তা দেই না, আসেন কিছু লামীদামী লুকজনকে বাংলা ভাষার শব্দসংগ্রহে ঠাঁই দেই।
যেমন,
বাবরানো = ক্রমাগত ব্যকরণগত ভুলে ভরা খিচুড়ি ভাষায় কথা বলে যাওয়া। উদাহরণ, আরে আজকালকার পোলাপান খালি বাবরায়।
জলিল দেয়া = ফাঁপা হুমকি প্রদান। উদাহরণ, আরে যা যা, অন্য জায়গায় গিয়ে
কিছু ইংরেজি শব্দের মিষ্টি বাংলা প্রতিশব্দ খুঁজছিলাম। কোথায় গেলেন প্রতিশব্দ আন্দোলনের কান্ডারীবৃন্দ?
ফ্লাইট
অ্যাপয়েণ্টমেন্ট
কারিকুলাম ভিটায়ি
ডিজার্ভ (ক্রিয়াপদ হিসেবে)
প্রফিটিয়ার
বেঞ্চমার্ক
অর্গাজম
লোডশেডিং
ক্রসফায়ার
নিবৃত্তিবিমুখ কৌতূহল আমার। আরো কয়েক দফা ছাড়বো সামনে। দুস্তর পারাবার হে, লঙ্ঘিতে হবে ...।