কিছু কিছু বাক্যাংশকে কি আমরা ছোট করে আনতে পারি না? আরবীর মতো বাংলাতেও যৌগিক ক্রিয়া অনেক, সেগুলোকে একটু ঠেসেঠুসে ছোট করা যায় কি না?
যেমন,
পরলোকন = পরলোক গমন করা।
ধৈর্যন = ধৈর্য ধারণ করা
(লিখতে লিখতে ইনসেমিনেশন-এর একটা প্রতিশব্দ মাথায় আসলো, বীর্যন)
ইত্যাদি, আপনার যোগ করুন না কিছু।
এছাড়াও বেশ কিছু শব্দের মাত্রা বৃদ্ধি করা যেতে পারে উপসর্গের পরিবর্তনের মাধ্যমে।
যেমন,
উদ্্বেষ [উৎ + দ্্বেষ] = তীব্র বিদ্্বেষ, যা অন্তর্গত রক্তে ক্রীড়া করে, ইঞ্জিরিতে যাকে বলে অ্যাবহর, অ্যাবোমিনেট। হাসিনা ও খালেদার মধ্যে প্রচন্ড এক উদ্্বেষ কাজ করে।
অতিমর্শ = কোন কাজে কাউকে তীব্রভাবে উৎসাহিত করার জন্যে দেয়া পরামর্শ। পাগলকে সাঁকো না
প্রিয় ডায়রি,
কী আর বলিব। আঙুলে কলম সরে না। বিবিবাচ্চাদের কথা ভাবিয়া দিল বেচইন।
খাঙ্কির পুলারা বিদু্যৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করিয়াছে, আজ রাতে হিন্দি সিনামা দ্যাখা হইবে না। কিছু ভিসিডি অবশ্য আছে সাথে, কিন্তু এখন অত রস নাই। তাছাড়া সাথে দুই সাহাবা আছেন, ওনারা কী ভাববেন।
গতরাতে যখন উহারা আমার দরজায় ঘা মারিয়া চিঁচিঁ রবে ডাক পাড়িতেছিলো, মা কসম ঠাকুর, মস্তকে খুন চাপিয়া গিয়াছিলো। তরবারিখানা দস্তে লইয়া দরজা খুলিয়া হারেরেরে রবে নারা দিলাম, কহিলাম কোন কাফের আসিয়াছে মুনতাকাল হইবার জন্য, শুধু দেখিলাম কালা উর্দি পড়া কয়েকটি মূর্তি দুর্দাড় করিয়া পলায়ন করিলো। সশস্ত্র শায়খের সম্মুখীন হইতে ভয় পাই এই দুরাত্মারা। তাছাড়া ইহাদের প্রশিক্ষণও নিম্নমা
সাংসদ জানেজং জোয়ারদার কিন্তু আগে অমন কটূভাষী ছিলেন না। ভদ্র পরিবারের সন্তান, বাবা মা লেহাজশিক্ষণে কার্পণ্য করেননি, পড়াশোনাও খানিকদূর করেছিলেন ভালো কলেজেই। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে পড়ে জয়নবমারা-2 আসনে সাংসদ হয়ে আজ তিনি খিস্তি করে বেড়ান।
সেদিনও সংসদে দাঁড়িয়ে এক মহিলা সাংসদকে উদ্দেশ্য করে নানা অশ্রাব্য কটূকাটব্য করেছেন তিনি। বলেছেন, আপনার মতো মাল কতো ছাইজ করলাম, আর আপনি আসেন আমার কাজকামে খোঁচ ধরতে। সবাই গুনগুন করে একটু আপত্তি করেছিলো, কিন্তু সেই মহিলা সাংসদ পালটা গালাগালি করায় থেমে গিয়েছিলো সবাই। সংসদে যখন এসে পড়েছেন, খিস্তি খেউর তো একটু হবেই। এ তো আর বাজার না যে মুখ খারাপ করা যাবে না।
তো, সেদিন বিকেলে এমপি আবাসে বসে বাল্যবন্ধু চান্দুর
এর আগে আমরা আন্তর্জাল সংক্রান্ত বেশ কিছু শব্দের দফারফা করেছিলাম। এখন আমরা ধরবো দূরযোগাযোগ পদ্ধতিকে।
একটু ভাবুন না নিচের শব্দগুলোকে নিয়ে।
মোবাইল ফোন
মিসড কল
চার্জার
ফোন নাম্বার
প্রিপেইড
পোস্ট পেইড
পীক আওয়ার
অফ পীক আওয়ার
সুপার অফ পীক আওয়ার
আরো মাথায় আসলে আরো তুলবো ভাবছি। এগুলো নিয়ে একটু জল্পাই চলেন।
আন্দোলন লিখলাম, কারণ আন্দোলন দেখলেই সবাই ক্ষেপে ওঠে, পক্ষে বা বিপক্ষে। লিখলাম এ আশায়, জনগণের নজর যদি একটু এদিকে পড়ে।
আমাদের বাংলায় অনেক বিদেশী শব্দই আমরা ব্যবহার করি অনায়াসে। একসময় শব্দটা বাংলার বুনোটে এমনভাবে মেশে যে এর একটা বাংলা প্রতিশব্দ প্রয়োগ করা হলে তা খটমটে দৃষ্টিকটূ ঠ্যাকে। শুধু বাংলা না, সব ভাষার ক্ষেত্রেই কথাটা খাটে।
নতুন প্রতিশব্দ আমরা তাহলে চাই কেন? চাই নিজের ভাষার সোনার কাঠি আর রূপোর কাঠির মেলবন্ধনের জন্যে। নতুন প্রতিশব্দ আমাদের ঠোঁটেই ঝুলিয়ে রাখতে হবে এমন কোন কথা নেই, কিন্তু এক একটা নতুন প্রতিশব্দ আবিষ্কারের আনন্দ অপার। নিদের্াষ সৃষ্টির আনন্দ। আমি বলবো, মানুষ ঈশ্বরের কাছে পৌঁছায় যখন সে এ আনন্দ অনুভব করে।
আ
[justify]
(আদমচরিত শব্দটির ওপর আমি পোস্টের শিরোনাম হিসেবে মৌরসী পাট্টা নিলাম। এখন থেকে আদম ব্যাটার কান্ড কারখানা ধারাবাহিকভাবে ফাঁস করা হবে।)
আদম একটু দুষ্টু, নিয়মকানুন মানতে চায় না। কিন্তু স্বর্গের নন্দনকাননের কানুন বড় কঠিন, পান থেকে চুন খসলে স্বর্গ থেকে খেদিয়ে দেয়া হয়। আদম সেটা জানে, কিন্তু পরোয়া করে না। বড় ব্যাদড়া।
ঈভ আগের রাতে কচুসেদ্ধ আর ভাত রান্না করেছিলো। পেটপুরে খেয়ে...
বড় হয়ে এ দেশে মন্ত্রী হবো। এই দেশে মন্ত্রীদের দুঃখ নেই, কষ্ট নেই। ছত্রিশশো সিসির গোদা ভলভো গাড়ি চড়ে চড়ে ঘুরে বেড়াবো। আমার আশেপাশে গিজগিজ করবে সচিব-পাতিসচিব-টুনিসচিবের দল, সাংবাদিকের ক্যামেরা আর মাইক্রোফোনের গাদি লেগে থাকবে আমার কালা মুখের সামনে, আমি ময়লা হলুদ দাঁতের সারি বার করে বলবো, সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। আমি ডানে বাঁয়ে হাত নিচু করে মুঠি মুঠি পয়সা কামাবো, ওগুলো আন্ডিল বেঁধে ফেলে রাখবো বিদেশের ব্যাঙ্কে, থাইল্যান্ড কানাডা আর মালয়েশিয়ায় তালুক-জলমহাল কিনে ফেলে রাখবো। আপনাদের টাকায় বিদেশে যাবো সরকারী মিশনে, কিন্তু মিশন চুলোয় গচ্চা দিয়ে ঘুরে বেড়াবো সমুদ্র সৈকত, পাঁচতারা হোটেলের সুন্দরী রিসেপশনিস্টের স্তনের ভাঁজের দিকে আড়চোখে তাকি য়ে জিভ দিয়ে
হবুচন্দ্র রাজা আর গবুচন্দ্র মন্ত্রী, দু'জনে মিলে (?!) জুতা আবিষ্কার করেছিলেন। শিক্ষিত জনগণ অফ যান, কারণ এখন আমি ইতিহাস আবিষ্কার করছি। কলম এখন আমার কব্জায়।...
বাংলা ভাষায় নতুন শব্দ প্রণয়নের একটা চেষ্টা করি আমরা, আসুন। রসসৃষ্টির প্রয়োজনে যদি ব্যকরণের বৃত্ত থেকে দু'এক পা বাইরে বেরোতে হয়, হলাম।
ডাইনিশিকারীরা আমন্ত্রিত আমাদের প্রচেষ্টায় খুঁত ধরার জন্যে, আর সমালোচক ছাড়া তো এ প্রচেষ্টা অচল।
একটু চেষ্টা করে দেখবো নাকি আমরা?
এই ব্লগে বসেই কিছু শব্দ পাচ্ছি হাতের কাছে।
ওয়েবপেজ
ক্লিক
মাউস
কীবোর্ড
আপনাদের পছন্দসই নতুন প্রতিশব্দ তৈরি করা থাকলে আমাদের জানান।
বড়ই গোল উঠিল, মঈন নিখোঁজ।
কেহ কহিল, বড়বাবুর সাথে ঝগড়া করিয়া মঈন আপিসের সিন্দুক ভাঙিয়া টাকাকড়ি লইয়া গা ঢাকা দিয়াছে। অনেকেই সত্যমিথ্যা যাচাই না করিয়া সম্মতি জ্ঞাপন করিলো, হাঁ, উহার ন্যায় বর্বরের পক্ষে সকলই সম্ভব।
কেহ কহিলো, বড়বাবুর সহিত কাজিয়া করার মতো নিবের্াধ মঈন নয়, বরঞ্চ বড়বাবুর সহিত ষড় করিয়াই সে কার্যটি সমাধা করিয়াছে। বড়বাবু এখন তাহার ঘাড়ে দোষটি চাপাইয়া নিজে মজা মারিতেছেন, আর মঈন ফেরার হইয়াছে।
কেহ কহিলো, মঈন উচ্চ শিক্ষার্থে গঞ্জে গমন করিয়াছে।
কেহ কহিলো, মঈনের খুল্লতাতের বিবাহ চলিতেছে, অনুষ্ঠানে আগতা তরুণীদের সহিত ফিলিডঙের আকর্ষন মঈন এড়াইবে কীরূপে, সে পিতা অসুস্থ এই অজুহাতে আপিস হইতে ছুটি কামাইয়াছে, সন্ধান করিয়া দেখ