রবিবার প্রত্যূষখানি আজ কিছুটা বৃষ্টিস্নাত ছিল, কিন্তু দৈনিক প্রথম আলোতে ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেনের সাক্ষাৎকারখানি পড়িয়া মনের মেঘ কাটিয়া গেল। সাক্ষাৎকর্তা তারেক মাহমুদের প্রতি জানাই সশ্রদ্ধ নমস্কার।
ঈশ্বর সপ্তাহে একদিন ছুটি কাটাইয়া থাকেন। বাকি ছয়দিন হুলুস্থুলু অফিস করেন। সারা ব্রহ্মাণ্ডের কার্যাদি সাধন করিয়া বেড়াইতে হয়। কোন ছায়াপথে কোন নক্ষত্রকে ঘিরিয়া কোন গ্রহ লাট খাইতে খাইতে নিজের উপগ্রহসমূহকে ঘুরাইয়া মারিবে, তাহা পদে পদে নির্ধারণ করিয়া দেন। কোন ব্যাং কোন দাদুরীর সহিত সঙ্গম করিয়া কোন পাতার নিচে ডিম্ব পাহারায় নিযুক্ত হইবে, তাহাও তাকেই বাছিয়া দিতে হয়। পান হইতে চুন খসিলেই সব আউলাইয়া যাইবে।
গিবরিল আসিয়া কহিল, "আদম, তোমার জন্য দুঃসংবাদ আছে!"
নন্দন কানন ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি স্বর্গদূত লোটাসিল তাহার রশ্মিনির্মিত গলাটি খাঁকরাইয়া কহিল, "প্রিয় ক্রিকেটারবৃন্দ! আজ তোমাদের সামনে বক্তৃতা করিবেন স্বর্গের প্রথম আরারাতবিজয়ী, মৃত্তিকাপুত্র আদম! তিনি তোমাদের শিক্ষা দিবেন, কীরূপে ক্রিকেট ম্যাচে জয়লাভ করিতে হয়!"
গিবরিল তাহার রশ্মিনির্মিত নাসিকা ডাকাইয়া ঘুমাইতেছিল। দরজায় পদাঘাতের শব্দ শুনিয়া সে ধড়মড়িয়া ঘুম ভাঙিয়া উঠিয়া বসিয়া চক্ষু রগড়াইল।
আদম অধৈর্য হইয়া কহিল, "আব্বে বারবণিতার সন্তান, দুয়ার খুলিবি নাকি অগ্নিসংযোগ করিব?"
গিবরিল হতচকিত হইয়া লুঙ্গির গ্রন্থি ঠিক করিতে করিতে গিয়া দরজা খুলিল। আদম একটি বড়সড় ঠোঙা হস্তে তাহাকে ঠেলিয়া ঘরে প্রবেশ করিয়া দরজায় অর্গল তুলিয়া হাঁপাইতে লাগিল।
আদম ল্যাপটপে বসিয়া খুটখাট টাইপ করিতেছিল, গিবরিল আসিয়া কহিল, "মৃত্তিকাপুত্র আদম, কী করিতেছ? ফেসবুকে যৌনালাপ?"
আদম রুষিয়া কহিল, "ভোজনের পর কি আর কোনো কর্ম নাই আমার? ওয়েবসাইট আপডেট করিতেছি ওহে গিবরিল! এইবার সকল কুকর্ম ফাঁস করিয়া দিব!"
গিবরিল কহিল, "কাহার কুকর্ম? কীরূপে ফাঁস করিবে?"
আদম কহিল, "স্বর্গলিক্স ডট অর্গ নামে একটি ওয়েবসাইট খুলিয়াছি কি সাধে?"
গিবরিল বিস্মিত হইয়া কহিল, "সেই ওয় ...
ভোদাই আসিয়া কহিল, "একটি সামাজিক ব্যবসা খুলিব ভাবিতেছি।"
আমি কহিলাম, "বেশ তো। চমৎকার। কী লইয়া ব্যবসা করিবে?"
ভোদাই কহিল, "ঘোড়া পালিব।"
আমি থতমত খাইয়া কহিলাম, "ঘোড়া দিয়া সামাজিক ব্যবসা করিবে কীরূপে?"
ভোদাই সোৎসাহে কহিল, "গরীবের ঘোড়ারোগের নাম শুনিয়াছ?"
আমি কহিলাম, "না। কী হয় এই রোগে?"
ভোদাই কহিল, "এই রোগে ধরিলে গরীব ঘোড়া ক্রয়ের জন্য ক্ষেপিয়া ওঠে। কিন্তু দেশে পর্যাপ্ত ঘোড়া নাই। যা ছিল ত ...
আদম পরিধানের আপেলপত্রটি খুলিয়া চক্ষু মুছিতে মুছিতে কান্দিতে লাগিল। সাংবাদিক স্বর্গদূতদের মধ্যে কেহ গলা খাঁকরাইল, কেহ ভিন্নদিকে মুখ ফিরাইল, কেহ ছবি খিঁচিতে লাগিল।
তিন মিনিট ক্রন্দন শেষে সিক্ত আপেলপত্রটি নিংড়াইয়া আদম পুনরায় কৌপীন আকারে পরিধান করিয়া নাক টানিয়া কহিল, "আমাকে স্বর্গ হইতে এক বস্ত্রে বহিষ্কার করা হইয়াছে। ইহা স্বর্গের গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী। আমি মকদ্দমা করিব।"
...
সতীনাথ ভাদুড়ীর ঢোঁড়াই চরিত মানসের কোন খণ্ডের সাথে এই কাহিনীর কোন মিল নাই। কাজেই খোঁচ ধরিয়া সময় বরবাদ করিবেন না। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য লিখিত কিঞ্চিৎ অশালীন পোস্ট, শিশুরা দূরে গিয়া খেলো।
ভোদাই একগাল হাসিয়া কহিল, "ঐ পাতলা পাতলা পুস্তকগুলি ম্যাডামের হইতেই পারে না!"
আমি গলা খাঁকরাইয়া কহিলাম, "তা বটে!"
ভোদাই কহিল, "উহা কোনো বিদেশী অপশক্তির কর্ম।"
আমি সায় দিলাম, "হইতেই পারে!"
ভোদাই ক ...
ঈশ্বর তাকিয়ায় হেলান দিয়ে পান চিবাইতেছিলেন। আজরিল তাহার সম্মুখে দাঁড়াইয়া আনমনে ক্ষুরধার ভোজালিতে শান দিতেছে।
ঈশ্বর গলা খাঁকরাইয়া চিলুমচিতে পিক ফেলিয়া বলিলেন, "ভোজালিতে শান দিতেছ কেন?"
আজরিল শীতল কণ্ঠে কহিল, "কখন কী কাটিয়া আনিতে হয়, বলা তো যায় না। তাই ধার দিয়া রাখি।"
ঈশ্বর খুব একটা উচ্চবাচ্য করিলেন না। জুলিয়াস সিজারের ঘটনার পর হইতেই তিনি বুঝিয়াছেন, বিশ্বস্ত কেউ যদি নিকটে ধা ...