মুখফোড় এর ব্লগ

(আজু)রামের সুমতি

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: বুধ, ১৫/১১/২০০৬ - ১:৫২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


আজুরাম একদিন খেলিতে খেলিতে একটি গাব ফল পাইলো। অবোধ আজু গাবের গুণাগুণ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলো না, সে আপন মনে পেন্টুল খুলিয়া নিজের পোঁদে ভালো করিয়া গাবের আঠা মাখাইলো।তারপর একটি গদিতে বসিয়া পড়িলো।ওইদিকে দেশে শোরগোল লাগিয়া গেলো। কেহ বলিলো আজুকে গদি হইতে নামাও, কেহ বলিলো আজু নামিলে খেলিবো না। আজুর এই সবে ভ্রুক্ষেপ নাই, সে আপন মনে খেলে, নাক খোঁটে, লোম ছিঁড়ে, আজেবাজে স্থানে অঙ্গুলি দিয়া চুলকাইতে থাকে ঘ্যাঁস ঘ্যাঁস ঘ্যাঁস।কে একজন আসিয়া কহিলো, আজুরাম, তু


ছাগুরামের লঙ্কাকান্ড

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: সোম, ১৩/১১/২০০৬ - ১১:০৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


ছাগুরাম গভীররাতে যুদ্ধঘোষণা করিল কতিপয় মানুষের বিরুদ্ধে। কারণ তাহারা অনেকেই তখন ঘুমাইয়া। তাই ছাগুও তাহাদের নামে কল্পনামিশ্রিত লাদিবিষ ঢালে ধুমাইয়া।

দেখিতে হইবে, পৃথিবী গোল। আজকাল ইহা দেখা যায়। পূর্বে দেখা যাইত না।

গোল পৃথিবীতে ছাগুর ঘেসো জমিতে তখন গভীর রাত হইলেও পূর্ব দিকে দক্ষিণ মহাদেশে তখন ভোর। আর পশ্চিম দিকে পবিত্রভূমিতে একটি মদিনাবাসী উটুরামও বিনিদ্র রজনী জাগিয়া রহিয়াছে। কারা যেন সেইখানে কম্পিউটার টিপিয়া টিপিয়া ছাগুকে চুপি চুপি


পৌরাণিক ছাগুরাম

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: শনি, ০৪/১১/২০০৬ - ৪:৪৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


ছাগুরাম পুঁথি লিখিয়া সুবিধা করিতে পারে নাই। খুর দিয়া কয়লার পেন্সিল ধরা এক দুঃসাধ্য কর্ম, তদুপরি লিখিতে হয় ভূর্জপত্রে। ভূর্জপত্র ছাগুরাম ইতিপূর্বে কয়েকবার চিবাইয়া দেখিয়াছে, মন্দ নহে। তাহার উস্তাদ, শ্রদ্ধেয় মোদাররেস ব্যকরণ শিং বি এ তাহাকে বলিয়াছিলেন, "ছাগু! কোন জিনিস চাখিয়া দেখিতে ইতস্তত করিবে না। ইহা ছাগুসম্মত নহে। সঙ্কোচের বিহবলতা ছাগুরে অপমান।"তদ্যাবধি ছাগু যাহা হাতের নিকটে পায়, শিশিবোতলের মত শক্ত না হইলে চিবাইয়া দেখে। তাহার ফলাফল হইতেছে এ-ই, প


ছাগুরামকাব্য ০৭ : নতুনদের জন্য ছাগুরামকণিকা

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: শুক্র, ০৩/১১/২০০৬ - ১:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


অনেকে নতুন, তাই জানে না
ছাগুরাম যে কী চীজ, বোঝে না।
কাটে না সে মনে কোন দাগু,
নতুনেরা বোঝে না, সে ছাগু।

তাই লিখিলাম নম্বর সাত
ছাগুরামকণাধারাপাত।

(ছাগুরামের ভঙ্গি
এই কাব্য লেখার সঙ্গী।
তাই লিঙ্কু দিলাম তুলে
পড়ো তাদের খুলে।
এখনই দাও ঝাঁপ
সামনে আরো কামিঙাপ।)

ছাগুরামকাব্য 01: যাজাকুল্লাহ খাইর


বাজে গল্প ০২

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: মঙ্গল, ৩১/১০/২০০৬ - ১২:৫০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তিনি মনের কষ্ট কাহাকেও বলিতে না পারিয়া গুম হইয়া বসিয়া রহিলেন। ভাবিতে লাগিলেন, ছাগুরামের মতো ত্রিভূজ হইতে পারিলেই ভালো ছিলো। লোকে গালাগালি করিলেও কোন বড় কাজ দিয়া বাটে ফেলিতে সাহস করিতো না। তাছাড়া আজ তাহার হাতে তিনটি দন্ড ধারণের দায়িত্ব আসিয়া চাপিয়াছে। এতদিন বহুকষ্টে তিনি ঈশ্বরপ্রদত্ত দুটি হাতে দুটি দন্ড নিয়া চলাচল করিয়াছেন, সেই পরিশ্রমে একবার তাহার হৃৎপিন্ড উষ্টা খাইয়া মরিতে চলিতেছিলো, নাকবোঁচা চীনা ডাক্তার ওষুধ ঠুকিয়া যমকে খেদাইয়াছে। এখন আবার তিন লম্বর দন্ডটি ধরাই দিলো মান্নু সদাগর। ত্রিভূজ না হইয়া গতি নাই। লোকজনকে উপদেশ তিনি বহুই বিলাইয়াছেন, কিন্তু উপদেশ বিলানোকে জীবিকা করেন নাই। উপদেশ মাগনা বিলাইতেই মজা। আগে ভগিনেয় ভ্রাতুষ্পুত্রদের ফুটবল


ভোদাইচরিতমানস ০১

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: মঙ্গল, ৩১/১০/২০০৬ - ১২:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সতীনাথ ভাদুড়ীর ঢোঁড়াই চরিত মানসের কোন খন্ডের সাথে এই কাহিনীর কোন মিল নাই। কাজেই খোঁচ ধরিয়া সময় বরবাদ করিবেন না। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য লিখিত কিঞ্চিৎ অশালীন পোস্ট, শিশুরা দূরে গিয়া খেলো। ভোদাই আমার দীর্ঘকালের বন্ধু। শৈশবে একবার কাঁটালবৃক্ষ হইতে পড়িয়া গিয়া মস্তকে চোট পাইয়াছিলো। ঐ ঘটনার পর হইতে ভোদাই কিছু বিষয়ে কাঁচা রহিয়া গিয়াছে। মাঝে মাঝে আমার নিকটে আসে পাকিবার দুরাশায়। আমি কার্বাইড নহি, তবু তাহাকে পাকাইবার চেষ্টা করি যথাসাধ্য। কিয়ৎকাল পাকিয়া থাকিবার পর আবারও সে যেমন ছিলো তেমন হইয়া পড়ে। তবু আমি চেষ্টার ত্রুটি করি না। হাজার হউক সে আমার মিত্র।গতকাল ভোদাই আসিয়া শুধাইলো, "আচ্ছা মুখা, কেয়ারটেকার সরকার কী?"আমি তাহাকে বিশদ বুঝাই।ভোদাই বুঝ


রহস্যগল্প ০০৮

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: সোম, ২৩/১০/২০০৬ - ৮:০৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


পমি রহমান সিনে সাংবাদিক হলেও সে মাঝে মাঝে কাজের খবরের কাগজও পড়ে। গাব্রিয়েল মগাদিশু চৌরাসিয়া কয়েকটা খবরের কাগজ রাখেন, রহস্যভেদীদের সবসময় চারপাশের হালহকিকত সম্পর্কে ওয়াকি রাখতে হয়, তাই পমি রহমান চৌরাসিয়ার বাড়িতেই এসে খবরের কাগজটা পড়ে যায়। নিজের বাড়িতে তার কেবল সৌজন্য সংখ্যা সিনেপত্রিকা আসে। ওখানে সেন্টারফোল্ড পোস্টারগুলিকে সে কেটে দরজায় লাগায়, আর বাকিটা পত্রিকা অন্যান্য কাজে লাগায়, পড়ে না মোটেই।আজ খবরের কাগজে এসেছে অদ্ভূত শিরোনাম। "টয়লেট দানবের


আদমচরিত ০১৩

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৯/১০/২০০৬ - ৮:১০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]

ঈশ্বর কটমটাইয়া তাকাইলেন আদমের পানে। আদম দিনকে দিন বেয়াদব হইয়া উঠিতেছে, শুরুর দিকে মিনমিন করিতো, ইদানীং ঘাড় বাঁকাইয়া রগ ফুলাইয়া কথা বলে। লক্ষণ ভালো নয়।তিনি গম্ভীর গলায় বলিলেন, "দলিল? কীসের দলিল?"

আদম গোঁ গোঁ করিয়া বলিলো, "সম্পর্কের দলিল।"

ঈশ্বর বলিলেন, "কীসের সম্পর্ক? সম্পর্কের আবার দলিল কী? এসি ল্যান্ড এর মতো কী বকিতেছো আবোলতাবোল? সম্পর্ক কি জলমহাল না দখলকৃত অর্পিত সম্পত্ত...


নোবেলচি

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: বুধ, ১৮/১০/২০০৬ - ৭:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শুক্কুরবার মোবাইলে কোন এক হতভাগা জানি বার্তা পাঠাইলো, "ইউনুস শান্তিতে নোবেল জিতিয়াছে! হুররে!"মনে মনে হাসিলাম। রোসো বৎস, অত ফূর্তির কিছু নাই। নো বেল, এই নোবেলের কোন বেল নাই। টাইপিং মিশটেকে হয়তো নোবেল কমিটি ভুল করিয়া এরূপ কীর্তি করিয়া বসিয়াছে। নইলে শান্তিতে ইউনুস কী করিয়া নোবেল জয় করিবে? নিশ্চয়ই কোন গলদ রহিয়াছে। অচিরেই শুদ্ধিপত্রে বাহির হইবে, ইউনুস নহে, ইউনান প্রদেশের মেয়র ইউ নুং নোবেল লভিয়াছে, তাহার প্রদেশে ছান্তিছিঙখলা বজায় রাখিবার জন্য। বাঙ্গালি জিতিবে নোবেল, তবেই হইয়াছে। ছোহ!কিন্তু কয়েক ঘন্টা কাটিয়া গেলো, শালার ব্যাটারা শুদ্ধিপত্রে কিছু কহিলো না। আমার বেজায় রাগ হইতে লাগিলো। নরওয়ের নরকূল এমন ছাগুপনা করে কিভাবে? এ-ও কী সহ্য করা যায়? বাঙ্গাল


নাকের বদলে নোবেল পেলাম

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: শনি, ১৪/১০/২০০৬ - ১:১০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ড. ইউনুস আর গ্রামীণ ব্যাঙ্ক নোবেল শান্তি জিতে নিয়েছেন। বাংলাদেশ এখন দস্তুরমতো নোবেলজয়ী দেশ।দারিদ্র্য ঘোচানোর জন্য ক্ষুদ্র ঋণ দেয়ার বৃহৎ যজ্ঞের আয়োজন করেই ইউনুস বাংলাদেশের ললাটে এই নোবেলতিলক এঁকে দিলেন। আগামীকাল বাংলাদেশের তিনকোটি ভুখানাঙ্গা মানুষ ঘুম থেকে জেগে উঠবে শূন্য উদর, গৌরবপূর্ণ বক্ষ, নোবেলজয়ের আনন্দে হাসিভরা মুখ, আর ক্ষুদ্র ঋণের প্রতিশ্রুতিতে ভরপুর হৃদয় নিয়ে।আমি চোখ মুছি। আনন্দে, বেদনায়। দাতারাও হাসেন। কেন কে জানে।কত লজ্জা, কত দুর্নাম, কত কিছু রটে আমাদের নামে। আমরা, লড়তে লড়তে যাদের সবকিছু ফুরিয়ে আসে, হঠাৎ যেন ঝপ করে রাজকন্যার খোঁপায় বাঁধা পারিজাতের মালা এসে আমাদের হাতে পড়েছে। এ নিয়ে কী করবো আমরা ঠাহর করতে পারি না। লজ্জায় কাটা পড়া ন