ছবিঃ ১। মাধবপুর লেক, সন্ধায় পদ্ম ফুলের সাথে আলোছায়ারা যেখানে লুকোচুরী খেলে
ছবিঃ ২। পাত্রখোলা বাংলো, ভোরে ঘুম ভাঙ্গাবে পাখির ডাক
ছবিঃ ৩। বাংলো থেকে নেমে আসা মাটির রাস্তা, একদিকে সূর্যের আলো অন্যদিকে কুয়াশায় ঢাকা
ছবিঃ ৪। প্রকৃতির ডাকে মাতিস জেগেছে খুব ভোরে
ছবিঃ ৫। ওদের সকাল হয় আমাদের আগে, বাগানের ভেতর দিয়ে কুয়াশা মেখে হেঁটে যায় কর্মস্থলে
ছবিঃ ৬। মাগুরছড়া, যেখানে গ্যাস বিস্...
চারদিক নিশ্চুপ, অন্ধকার, বাগানের ভেতরকার সবচাইতে উঁচু পাহাড়ের উপর বিশালকায় বাংলোর আশেপাশে ঝিঁ ঝিঁ পোকার একটানা বিরামহীন শীষ ছাড়া শোনা যায় রাত জাগা কাঠ ঠোকরার ঠক ঠক। হিম হিম ঠাণ্ডায় স্লিপিং ব্যাগের ভেতর শুয়ে শুয়ে নিদ্রাদেবীকে আকর্ষণের চেষ্টা সবেমাত্র সফল হতে যাচ্ছে তেমন সময় আদিবাসী গার্ডের ভাঙা গলা বেজে উঠে। নিশিপাওয়া মানুষের মতো বিছানা ছেড়ে উঠে আসি এক এক করে। হেঁটে হেঁটে বা...
আপডেটঃ উপস্থানপনা বক্তৃতার চুম্বক অংশ নিচে সংযুক্ত করা হয়েছে।
গতকাল হয়ে গেল তিনটি বহুল প্রত্যাশিত বই এর প্রকাশনা উৎসব।
শস্যপর্বের প্রকাশনায় দুটি বই মাশীদ আহমদের ছবি ও কবিতার বই “এলোমেলো”, সচলদের লেখা নিয়ে “সচল সংকলন তৃতীয় খণ্ড” আর শুদ্ধস্বরের প্রকাশনায় মৃদুল আহমেদ, আকতার আহমেদের ছড়ার বই “রাজাকার ইস্যুতে মানবতা মুছে ফেল টয়লেট টিস্যুতে”।
মৃদুল আহমেদের চমৎকার উপস্থাপনায় প...
আজ সকালে টেলিফোনের শব্দে ঘুম ভাঙলো। চশমা ছাড়া নাম দেখতে না পারলেও বুঝলাম অচেনা। কানে নিতেই শুনলাম “স্লামালেকুম মুস্তাফিজ ভাই, হান্নান বলছি”। মূহুর্তে চিনে ফেললাম। স্পেন থেকে ঘুরে আসার পর কয়েকমাস পেরিয়ে গেছে, এর মাঝে অনেকবার চেষ্টা করেও হান্নান ভায়ের নাম মনে করতে পারছিলাম না। কয়েক ঘন্টার পরিচয় উনার সাথে অথচ মনে হচ্ছে কত আপন। দেশে এসেছেন মাস খানিক থাকবেন।
স্পেনে বেড়াতে যাবার ...
আমাকে ধরে বেঁধে মেহমান বানানো হয়েছে
কার কথা ছেড়ে কার কথা বলি। সবই একই কিসিমের। সামনে আসেনা। পাঠায় পোলাপান। পোলাপান কে কী আর ফেরানো যায়? যায় না।
আমি বলি আমার শরীর খারাপ, দিন দুই যাবৎ জ্বর
ওরা হাসে, বলে ব্যাপারনা ঠিক হয়ে যাবে বস্।
আমি বলি আমার গাড়ি নাই, দূর্ঘটনার পর গ্যারাজে
উত্তর দেয়, না না গাড়ি লাগবেনা, শুটিং এর মাইক্রোবাস আছে ওরা নিয়ে যাবে।
বলি বাড়িতে প্রচন্ড শীত, ঠান্ডা লাগব...
১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের রাত। অপারেশন সার্চ লাইট নামের কুখ্যাত নিধনযজ্ঞ শুরু হয়ে গিয়েছে। সহকর্মী সবাইকে ঢাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়ে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের বাড়ীতে অস্থির পায়চারী করছেন বঙ্গবন্ধু। গোলাগুলির পরিমান সেই সাথে নিরীহ বাঙ্গালীর প্রতিরোধের স্লোগান জয়বাংলা ধ্বনি বাড়ছে। শোনা যাচ্ছে আর্ত চিৎকার আর ছোটাছুটির শব্দ। চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবার আগে দোতালার বারান্দা থেকে কয়ে...
ময়মনসিংহ পলিটেকনিকে আমাদের দিনগুলি ছিল আনন্দের। মূল শহরের বাইরে এ জায়গাটা একসময় হিন্দু মালিকাধীন ছিলো, এগুলো বিক্রি করে বহু আগেই ওরা দেশ ত্যাগ করে। জ্ঞান হবার পর পুরো এলাকায় অনেক পুকুর দেখেছিলাম, আস্তে আস্তে সেসব ভরাট করে স্টাফ কোয়ার্টার, ইন্সটিটিউট বিল্ডিং, হোষ্টেল এসব বানানো হয়। মোটামুটি ‘৭২ এর ভেতরই পূর্ণ রূপ নেয় পলিটেকনিক।
পুরো এলাকার পেছন দিক ১০/১২ ফুট উঁচু দেয়াল আর সাম...
আব্বা ব্যক্তিগত বা অফিসের কাজে প্রায়ই ঢাকা যেতেন। সেসময় ঢাকা-ময়মনসিংহের বর্তমান রাস্তাটা ছিলোনা, বাস যেতো টাঙ্গাইল ঘুরে, ময়মনসিংহ থেকে টাঙ্গাইল ৬০ মাইল, এরপর টাঙ্গাইল থেকে ঢাকা ৬০ মাইল, আর ট্রেনে গেলে ৯৪ মাইলের মতন, সময় লাগতো কম, তাই ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা যেতে ট্রেন ছিলো সবার প্রথম পছন্দ। ঢাকায় এলে অফিসের কাজ সেরে আব্বা ঘোরাঘুরি করতেন, টুকিটাকি জিনিষ কিনতেন। আর এসবের জন্য অবশ্যই “...
হিমুর গতকালের মন্তব্য আমাকে ভাবিয়েছে অনেক। রাতে কক্সবাজারে আসতে আসতে গাড়ীতে বসে নীচের লেখাটা লিখলাম। স্মৃতি এখন অনেক ঝাপসা। আমরা কতকিছুই যে ভুলে যাই...
৭১এ আমরা থাকতাম ময়মনসিংহে। সেসময়কার পৌরসভার পশ্চিম সীমার বাইরে পলিটেক্নিক ইন্সটিটিউটের কোয়ার্টারে, এর পূব দেয়াল লাগোয়া মেডিক্যাল কলেজ আর হসপিটাল সবেমাত্র গড়ে উঠতে শুরু করেছে। আমার জন্মের বছরই আব্বা আনন্দমোহন কলেজের চাক...
৭১ সালে এসময় সবে পেরিয়ে দশে পড়েছি। থাকতাম ময়মনসিংহে। মুক্তিযুদ্ধের প্রায় পুরোটা সময় একজায়গা থেকে অন্যজায়গায় দৌড়াতে হয়েছে। পায়ে হেঁটে, রিকসায় কিংবা মাইক্রোতে। পাকিস্থানীদের আক্রমণ থেকে বাঁচতে মাইক্রোতে থাকতো পাকিস্থানী পতাকা আর ঘের দেয়া রিকসার সামনে কোরান শরীফ। মজা হতো আমাদের পোষা টিয়ে পাখিটাকে নিয়ে, ৭০এর সময়ই তাকে জয়বাংলা বলা শিখিয়েছিলাম, যখন তখন শীষদিয়ে উঠতো জয়বাংলা বল...