কলকাতার তথ্যচিত্র নির্মাতা কিউ-এর একটি সাক্ষাতকার পড়ছিলাম। একটি বর্ণনা খুব ভাল লাগলো। কিউ বলছেন, কোনো শহর নিজেকে যদি শহর হিসেবে পরিচয় দিতে চায় তাহলে তার কিছু কারণ থাকা দরকার। কিউয়ের মতে, কলকাতার সেই কারণগুলোর ক্ষয় হতে হতে এখন এমন একটি জায়গায় এসেছে যে শহরটার রং ধূসর না, মনে হচ্ছে বাদামি। আমার মনে হলো বর্তমান ঢাকা সম্পর্কে ঠিক এমন একটি চিন্তাই আমার ভেতরে ছিল। আমি প্রকাশ করতে পারছিলাম না, আর কিউ মোক্
নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে যখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তখন একদিন টেলিভিশনেই দেখিয়েছিল এই তথ্যচিত্রটি। আমার দেখা হয়নি সেদিন, কিন্তু দেখলাম আমার ডিপার্টমেন্টের এক বন্ধু মেজর খালেদ’স ওয়ার দেখে উচ্ছ্বাস আর উত্তেজনায় চঞ্চল হয়ে উঠেছে। তথ্যচিত্রটির বর্ণনা দিয়ে আমাকে সে বললো, রুমিকে দেখা যায় এই ছবিতে, তার কথাও শোনা যায়। “একাত্তরের দিনগুলি”র রুমিকে দেখতে পাবো, তার কন্ঠও শোনা যাবে এই কথা চিন
একটি ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়েই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়েছিল। এই যড়যন্ত্র কতোদূর বিস্তৃত ছিল তা নিয়ে অনেক তথ্য এখনো অজানা। আরো গভীর অনুসন্ধানের মাধ্যমে হয়তো আগামীতে এই বিষয়ে বিভিন্ন নতুন তথ্য জানা সম্ভব হবে। বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে এমন কথা ১৯৭৫-এর আগস্টের আগেই বিভিন্নভাবে শোনা যেতে থাকলেও, সেই ষড়যন্ত্র সম্পর্কিত তথ্য
বিদেশে অনেকগুলো বছর কাটানোর পর অল্পদিন হলো আবার ফিরে এসেছি ঢাকায়। নিজ জন্মস্থানের প্রতি আকর্ষণ কী কখনো মলিন হয়?
(এক)
তারেক মাসুদ আর মিশুক মুনীরের মর্মান্তিক মৃত্যুতে এই দেশ কী হারালো তা প্রতিটি সচেতন মানুষ এক তীব্র আর দুঃসহ যন্ত্রণা নিয়ে আজ উপলব্ধি করছেন। কিন্তু প্রচন্ড দুঃখবোধের মধ্যে আমার বার বার মনে পড়ছে মাত্র ৭ দিন আগে একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রথম সংবাদটি যেখানে জানানো হয়েছে দক্ষতার পরীক্ষা ছাড়াই প্রায় সাড়ে ২৪ হাজার লোকক
১৯৭১ সালের আগস্ট মাস; এক ভয়াল সময় অতিক্রম করছে বাংলাদেশের অগণিত মানুষ। বিশ্বের বৃহৎ পশ্চিমী রাষ্ট্রগুলি বাংলাদেশে পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর গণহত্যা আর ধ্বংসযজ্ঞের ব্যাপারে সচেতন হচ্ছে না। বাংলাদেশের মানুষের যৌক্তিক দাবী দমন করার জন্য পাকিস্তানী সামরিক সরকার বেছে নিলো নির্মম সামরিক আক্রমণের পথ; অজস্র বাঙালী তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে, কেবল প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে ভারতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিলো। শুরু হল
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রুবাইয়াত হোসেন তার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি মেহেরজান নির্মাণ করেছেন। ইতিহাসকে কেন্দ্র করে চলচ্চিত্র নির্মিত হলে সেই চলচ্চিত্রে শুদ্ধত্ব আর নির্ভুলতা নিশ্চিত করার জন্য সতর্ক থাকার প্রয়োজন বেড়ে যায় অনেকগূণ। এ কারণে ইতিহাস-ভিত্তিক এই ছবির বিভিন্ন বর্ণনায় সত্যতা ও যথার্থতা যেন টিকে থাকে সেই ব্যাপারে পরিচালকের খুব বেশি মনোযোগী থাকার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ১৯৭১-এ ব