[লেখার উদ্দেশ্য হিজড়া, ইন্টারসেক্স এবং ট্রান্সজেন্ডার পরিচয় স্পষ্ট করা। কারো কারো কাছে লেখাটা একটু দীর্ঘ মনে হতে পারে। ধৈর্য ধরে পড়ার অনুরোধ রইল।]
প্রায় ছ বছর আগে জীবনের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিলো সচলায়তনের হাত ধরে। আন্তর্জালের অলিগলিতে ঘুরতে ঘুরতে ঘটনাচক্রেই এ পাড়ায় পা রাখা। অক্ষরযাপনের অভ্যেসে যে দীর্ঘ জড়তা জড়িয়ে ছিলো, পরম বিস্ময়ে তা উড়িয়ে নিয়ে গেছিলো এ পাড়ার অদেখা অক্ষরশিল্পীরা। অপার মুগ্ধতা, প্রবল ঈর্ষা আর আড়ষ্ট প্রেম নিয়ে লিখতে বসেছিলাম। কী লিখব? কী নামে লিখব?
মা দিবস যাই যাই করছে। কোনো বিশেষ দিন মনে থাকে না। এই দিনটাও ভুলে যেতাম ফেসবুক না থাকলে। আমার মাকে আমি অহর্নিশ জ্বালাতন করি। আজন্ম বন্ধুত্ব, একসাথে বেড়ে ওঠা আমাদের। সন্তানেরা বড় হলে মা-বাবা'র আরেক শৈশব শুরু হয়। আমি বড় হতে হতে আমার মা এখন ছোট্ট মেয়েটি হতে শুরু করেছে। দিনশেষে পথ চেয়ে বসে থাকে আমার আশায়। আমরা গল্প করি, ঘুরিফিরি, খাইদাই। বছরের যেকোনো দিন, যখন খুশি। তার জগতজোড়া অভিমান, আবদার আমা
১
"বাবু! বাবু! ওঠো! ভূমিকম্প, বাবু! ওঠো!"
হ্যাঁচকা টানে ঘুম ভেঙে যায়। ঘুটঘুটে অন্ধকার। সে কোথায়, কী করছে মনে করতে পারে না। ঘুম ছুটতে ছুটতে ভাবতে থাকে। রাতে বাবা খেলা দেখছিলো। বাবু আর মা আগে আগে শুয়ে পড়েছিলো। তারপর?
সময়: ৩১শে ডিসেম্বর, ১৯৯৯
স্থান: টিএসসি
ঘটনা:
এক মাস হতে চললো অভিজিৎ রায় খুন হয়েছেন। এক মাসে তার হত্যাকাণ্ডের বিচারপ্রক্রিয়া খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে কদ্দূর এগিয়েছে সেও আমরা দেখেছি, দেখে চলেছি। হুমায়ূন আজাদ, রাজীব হায়দার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ কে এম শফিউল ইসলাম প্রমুখের মৃত্যু এর থেকেও পুরোনো খবর। তাঁদের বেলায়ও বাঙালির দ্বিধান্বিত শতছিন্ন মতবিভক্তি আমরা দেখেছি। আর দেখেছি বিচারপ্রক্রিয়ার দায়সারা মন্থরতা। প্রাথমিক আবেগের রেশটুকু কেটে যাওয়া
ঠিক আগের মাসে স্কুটি কিনেছিলাম। বেশ বড় অংকের খরচ গেছে তাতে। ইউরোপভ্রমণের সম্ভাবনা ঘুণাক্ষরেও জানা থাকলে এই খরচটা করা হতো না। ভ্রমণের পরিকল্পনার পাশাপাশি খরচের ভাবনাটাও তাই বেশ জেঁকে বসল। সেই সাথে রয়েছে ছুটির দুশ্চিন্তা। অফিসে জনবল কম। চাইলেও ছুটি পাওয়া যায় না প্রায়ই। তার উপর প্রায় কাছাকাছি সময়ে আমার বসও যাচ্ছেন ইউরোপে। পরিস্থিতি দেখে তিনি আমাকে আগে ছুটির দরখাস্ত করতে বললেন। উনার ছুটির গ্যাঁড়াকলে য
মে মাস। ব্যক্তিগত, সামাজিক, পেশাগত অন্তর্দ্বন্দ্বের অথৈ সময় চলছে। কোনো এক সকালে হঠাৎ এসএমএস- "তোর ইমেইল আইডি দে। এক্ষুনি।"
দিলাম। দিয়ে বসে থেকে কিছুক্ষণ পর জিজ্ঞেস করলাম- "তারপর?"
জানলাম জার্মান দূতাবাস থেকে ব্লগার খোঁজা হচ্ছে। তারা কিছু নাম চেয়েছে। বন্ধুটি আমার নাম সেখানে মনোনয়নের জন্য দিয়েছে।
কেন? কীসের জন্য?
[justify]আমার পোষ্যভাগ্য ভীষণ খারাপ। গাছ, মাছ, পশু, পাখি কাউকেই পেলেপুষে কাছে রাখতে পারিনি। অনেক শখের শিম গাছ, করলা গাছ, বেলি ফুলের গাছ, পাখির ছানা, গোল্ডফিশ সবাই মারা গেল একে একে। অনেক ভালোবাসা পেয়েও। কখনোবা ভালোবাসার আতিশায্যে। নিজের অযোগ্যতা মাথা পেতে নিয়ে শেষমেষ চেষ্টায় অব্যাহতি দিলাম। এরপর একদিন সচলের পাতায় এলো ফাহিমের পোস্ট। আমাদের ফ্ল
[justify]“আপনি তো মনে হয় স্টুডেন্ট। আপনি বুঝবেন কত বাধ্য হইলে একজন স্টুডেন্ট তার ছাত্রজীবনের আনন্দ ছেড়ে কাজ করে।"
বলছিলেন আবদুল আলিম। বয়স ২০ বছর। এইচএসসি পাশ। ৫ জনের সংসারে উপার্জনক্ষম আর কেউ নেই। তাই পড়ালেখা ছেড়ে চাকরি নিয়েছিলেন রানা প্লাজার নিউ ওয়েভ গার্মেন্টসে। ভবনধসে পাঁজরের হাড় ভেঙে গেছে। পড়ালেখার ইচ্ছা খুব। কিন্তু স্বপ্ন দেখার সাহস নেই।