আমার সৃজনশীল সাহিত্যে(!) হাতেখড়ি গুঁড়াকালে, স্কুলে যাওয়ার আগেই। বর্ণপরিচয়ের পর অক্ষরের পিঠে অক্ষর বসিয়ে শব্দ গড়তে শেখার পরই আমার রুলটানা খাতাটায় লিখেছিলাম বুনাব্দের(বুনো+অব্দ=বুনাব্দ) প্রথম ছড়া।
মেঘ ডাকে গুড়গুড়
পায়রা যায় অনেকদূর
মেঘের গুড়গুড়ানির সাথে পায়রার ওড়াউড়ির কোনো প্রত্যক্ষ যোগ না থাকলেও এটি যে একটি অমর সাহিত্যকর্ম তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
এরপর আর কী কী লিখেছি মনে নে ...
মূল গল্প: আন্তন চেখভের আ স্টোরি উইদাউট আ টাইটেল
সে অনেক আগের কথা। তখনো রোজ ভোরে সূর্য পুবদিকে উঠত আর সন্ধ্যে হলে ক্লান্তিতে ঢলে পড়ত পশ্চিমে। দিনের প্রথম আলো যখন আলতো করে ছুঁয়ে যেত শিশিরের ঠোঁট, বাতাসে স্বপ্নমাখা টাটকা জীবনের শব্দে আড়মোড়া ভেঙে চোখ মেলত পৃথিবী আর দিনশেষে ডুবে যেত নিঃশব্দ অন্ধকারে। প্রতিটা দিন ছিলো আর সবদিনের মতোই। প্রতিটা রাত সেই একই রকম। কখনো ...
বছরদেড়েক আগের কথা। এক বন্ধুকে দেবো বলে জন্মদিনের গান খুঁজছিলাম। নিজের পিসিতে মনমতো কিছু না পেয়ে শ্রী গুগলনাথের শরণাপন্ন হলাম। তিনি যে গানটি খুঁজে দিলেন সেটি শুনতে বেশ, কিন্তু ভাষা বুঝি না। চৈনিকগোত্রের কোনো ভাষা হবে, এটুকু আন্দাজ করতে পারি শুধু। কাল বহুদিন পর আবারো গানটা শোনা হলো। অমনি পুরোনো ভূতটা চেপে বসলো ঘাড়ে। এ গানের মর্মোদ্ধার করতে হবে!
ফাইলের গায়ে মাউসের দক্ষিণাঘাতে ...
পরিবারের কনিষ্ঠতম সদস্যটির প্রথম জন্মদিন আজ।
সকাল থেকেই বাড়ি জুড়ে হৈ চৈ। রান্না-বান্না, সাজসজ্জা আর বাচ্চাদের হুড়োহুড়িতে জেগে উঠেছে ঘুমন্ত বাড়িটা। বসার ঘরে তুতো ভাইবোনেরা মিলে বেলুন ফোলাচ্ছে, ঝালর ঝোলাচ্ছে। থেকে থেকে একটা করে বেলুন ফাটতে থাকে ফুটফাট শব্দে। ছো্টোরা ভয় পাওয়ার ভান করে চেঁচামেচি জুড়ে দিচ্ছে। মাঝারিরা চোখ মটকে নিজেদের বড়ত্ব ঝালিয়ে নিচ্ছে সেই ফাঁকে।
যার জন্ম ...
জীবনটা তো এই কফির মতোই বিটকেলে। ভালো লাগলে ভালো, না লাগলেও অনাগত স্বাদের আশায় চুমুক দিয়ে দেখি, ভালো তো লাগতেও পারে!
পনেরো বছর আগে মীরা, আমি কেউ-ই কফি খেতাম না। চা খেতাম। ঘোরলাগা বৃষ্টির বিকেলগুলোতে চায়ের বাহানাতেও দেখা হতো কত। কে জানে? হয়ত মীরা এখন আর চা খায় না, ইশকুলপড়ুয়া ছানাটির পড়া দেখতে দেখতে পুরোনো বইয়ের ...
আমার একটা আপেলগাছ ছিলো। তার ডানে-বামে আরো দুটো গাছ ছিলো। বাগানজুড়ে ছিলো আরো শখানেক। কিন্তু ঐ গাছটা শুধু আমারই ছিলো। আমাদের ছোট্ট উঠোনের পাড় ঘেঁষে একটু ঝুঁকে দাঁড়িয়ে থাকত। বরফচাপা শীতের শেষে তার ডালে দোলনা ঝুলিয়ে দিত আব্বু। মেহদি একবার গাছে উঠে চুপিসারে দড়ি কেটে দিয়েছিলো। আর আমি ধপাস করে মাটিতে।
মেহদিটা ভীষণ দুষ্ট ছিলো। একবার আপেল ছুঁড়ে মেরেছিলো আমার দিকে। সেটা সোজা এসে লেগে ...
“মাইক্রোসফ্ট ক্রমশ ফুলিয়া ফাঁপিয়া উঠিতে লাগিল। সেই সঙ্গে গেট সাহেবের হৃদয় হইয়া উঠিল ইস্পাতকঠিন। তিনি উচ্চারণ করিলেন সেই অমোঘ বাণী:
হে ভন নয়ম্যানের উত্তরসূরীগণ, শোনো!
আইবিএম ও মেইনফ্রেম কর্পোরেশনসমূহ তোমাদিগের পূর্বপুরুষদিগকে এরূপ ভয়াবহ ও দুর্বিষহ লাইসেন্সজালে বন্দী করিয়াছে যাহাতে তোমরা [url=http://en.wik ...
বিশাল একটি ক্যানভাস।
ধবধবে সাদা।
তার পেছনে উদোম গায়ে দাঁড়িয়ে এক দেয়াল। সে-ও সাদা।
দেয়ালের গায়ে হেলান দেওয়া ইজেলখানা না থাকলে ক্যানভাসকে খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর হতো।
ইজেলের বুক ঘেঁষে বসে থাকে ক্যানভাসটি। একটু উসখুস করে এদিক ওদিক চেয়ে দেখে।
সাদা মেঝে আর সাদা ছাদের মাঝে দাঁড়ানো চার দেয়ালের এই ঘরে আপাতত কথা বলার মতো আর কেউ নেই।
ইজেলের হাঁটুর কাছে ছোট্ট টুলের উপর জড়াজড়ি করে ঘুমিয়ে ...
[ গল্পটা আন্তর্জাল থেকে প্রাপ্ত। পড়ামাত্র এরশাদ দাদুর কথা মনে পড়ে গেল। ]
ঢাকার এক স্বনামধন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এরশাদ। সঙ্গে অষ্টাদশী এক তরুণী। পরীক্ষানিরীক্ষা করে জানা গেলো তরুণী সন্তানসম্ভবা।
ডাক্তার: মেয়েটি আপনার কী হয়?
এরশাদ: (সলজ্জ হেসে) জ্বি, আমার স্ত্রী। তা, কেমন দেখলেন, ডাক্তার সাহেব?
ডাক্তার: একটা গল্প বলি। আমার পরিচিত এক ভদ্রলোক ভীষণ শিকারপ্রেমী। শিকার করার কো ...
বাবুনের আজ রেজাল্ট দেবে। এস এস সি।
সারারাত ঘুমুতে পারে নি। দুঃশ্চিন্তায় বিছানায় এপাশ ওপাশ করেছে শুধু।
মাঝেমধ্যে ঘুমিয়ে পড়েছে আর ভয়ংকর সব স্বপ্ন দেখেছে। যেমনটা সবাই পরীক্ষার আগের রাতে দেখে।
পড়া ভুলে গেছে, ঘুম ভাঙে নি পরীক্ষার দিন সকালে- এইসব হাবিজাবি স্বপ্ন।
আজ তো পরীক্ষা না, রেজাল্ট। তবু কেন ওসব স্বপ্ন দেখল কে জানে?
হয়ত অভ্যেস হয়ে গেছে ওসব স্বপ্ন দেখে দেখে।