প্রথম আলোর শেষ পাতার নিম্নার্ধ জুড়ে বিশাল বিজ্ঞাপণ।
চারটে খাট, তিনটে আলমারি, একটা ওয়ার্ড্রোব, একটি জুতোর বাক্স, একটি ডেস্ক আর দু’টো ড্রেসিং টেবিল।
বোঝাই যাচ্ছে কোন আসবাব কারখানার বিজ্ঞাপণ।
যে জিনিসটা বোঝা যাচ্ছে না সেটা হলো প্রতিটি আসবাবের সাথে বন্দুক, বেতার এবং পত্রিকার উপস্থিতির কারণ।
এরা কি কাঠের আসবাবের পাশাপাশি কাঠের বন্দুকও তৈরি করছে?
তাহলে পত্রিকা আর বেতার কেন?
আ...
তখন শুধইু মেঘের ছবি তুলতাম। এগারো তলার বারান্দা থেকে ক্যামেরা বাড়ালে মেঘেদের দেখা মিলত সবার আগে। আকাশের মেজাজ বদলালে মেঘেরা রং বদলে সেজে গুজে ছবি তুলতে ডাকত।
সে অনেক আগের কথা। ক্যামেরার জাতপাত বুঝতাম না। মুঠোফোনের দুবলা ক্যামেরাই ছিলো ভরসা। এরপর মুঠোফোন বদলেছে কয়েক দফা। মেগাপিক্সেল এগিয়েছে কদম দুয়েক। মেঘেরাও রং বদলেছে বহুবার। বারান্দায়, পথেঘাটে, নদীর বুকেও ডাক দিয়েছে অনে ...
এ বছর ২১ শে ফেব্রুয়ারি রোববার পড়েছে।
যাক, একদিন বাড়তি ছুটি পাওয়া গেলো।
কতদিন ঘুরতে বের হইনা !
অফিস-বাসা-অফিস-বাসা। উফ!
অ্যাই, একুশে ঘুরতে বেরুবি?
চল না!
শাড়ি পরব।
কতদিন শাড়ি পরে ঘুরতে বের হই না!
তোর সাদা-কালো শাড়ি আছে তো?
না থাকলে কিনে ফ্যাল। কে-ক্র্যাফটে সুন্দর সুন্দর শাড়ি এসেছে দেখলাম।
আমিও কিনব।
আমার অবশ্য আছে একটা। গত বছরের। কিন্তু পুরনো শাড়ি পরতে ইচ্ছে করছে না।
ও একটা পার্লে...
সময়: মধ্যদুপুর
স্থান: গুলশানের এক অভিজাত জাপানি রেস্তোরাঁ
লক্ষ্য: সুশি আস্বাদন
কেন্দ্রীয় চরিত্র: ভেতো-১ আর ভেতো-২, দুই তরুণ হাভাতে বাঙালি যারা তাদের ভেতো জিভে অচেনা বিজাতীয় স্বাদ ছোঁয়াবার বাঁধভাঙ্গা বিলাসী ইচ্ছের তাড়নায় ঢাকা ঢুঁরে খুঁজে বের করেছে এই রেস্তোরাঁটি।
পার্শ্বচরিত্র: জুডো, রেস্তোরাঁর খাদ্যপরিবেশনকারী যুবক।
দৃশ্য-১
ভেতো-১ আর ভেতো-২ জাপানি কেতায় সাজানো রেস্তোরাঁ ...
এই আমাদের ছাদে
দত্যি দানোর মজমা জমে,
অসহ্য আহ্লাদে।
জোট বেঁধে সব ঘোট পাকিয়ে
ফন্দি ফিকির ফাঁদে।
আমার নিজের ছাদে।
কী ভাবে সব?
এই তান্ডব
সইব নির্বিবাদে?
খুঁটিগাড়া প্রেতবাহিনীর
টুঁটি ছেড়ার আশায়
এই আমাদের বাসায়
ওঝা আসেন সদলবলে।
তাঁদের সেবায় ফুলে ফলে
উপচে পড়ে ডালা।
শালা!
সরষে দানায়
ভূতের ছানা
ঘাপটি মেরে বসে।
হাতুড়েদের দোষে
পিশাচেরা দাপিয়ে বেড়ায়
এখনো এই ছাদে।
জলখাবারের স্বাদ...
প্রতিমা বেদীর জন্ম ১৯৪৯-এ, দিল্লীতে। ষাট আর সত্তর দশকের মাঝামাঝি সময়ে বোম্বের প্রসিদ্ধ মডেল ছিলেন তিনি। বিয়ে করেছিলেন চলচ্চিত্রাভিনেতা কবির বেদীকে। তাঁদের দু’ সন্তান: পূজা, সিদ্ধার্থ। কবীরের সাথে প্রতিমার বিচ্ছেদ ঘটে ১৯৭৮-এ। ১৯৭৪-এ তিনি সমালোচিত হন প্রকাশ্যদিবালোকে স্ট্রিকিংয়ের জন্য।
অ্যাম্বিঝড় এখনো বহমান। বিবিধ সফটওয়্যার সহযোগে, বিভিন্ন ভঙ্গিতে বাংলা বর্ণমালাকে দুমড়ে মুচড়ে অ্যাম্বিবাক্সে বন্দি করার চেষ্টায় মত্ত অনেকেই। ধূগোদা একটা পোস্ট দিয়েছেন অ্যাম্বিগ্রামারের উপর। আমিও গোমর ফাঁস করব বলেছিলাম তখনই। আমার গত পোস্টের অ্যাম্বিগ্রামগুলো দেখে যারা বিমোহিত তাঁদের মোহভঙ্গ করতে এবং যারা যান্ত্রিক আঁকাআঁকিতে জড়ত ...
আমি হুজুগে মানুষ। লোকে অনুরোধে ঢেঁকি গেলে। আমাকে অনুরোধও করতে হয় না। হুজুগ দিলেই আমি ঢেঁকিঘরসমেত ঢেঁকি গিলতে উদ্যত হই।
তার উপরে বেকার। কথায় আছে নাই কাজ তো খই ভাজ।
তো আমি খই ভাজি, নিজে খাই এবং বিলাই।
আমার অতিসম্প্রতি হুজুগের নাম “অ্যাম্বিগ্রাম”। সচলরা এই শব্দটির সাথে অতিপরিচিত আম্বিগ্রামগুরু জি.এম. তানিমের সুবাদে। তবে আমার মধ্যে এ রোগের সংক্রমণ হিমু ভাইয় ...
ইংরেজি বছরের প্রথম দিন।
খোমাখাতায় বন্ধুদের গতিবিধি জানান দিচ্ছে এটি বিশেষ একটি দিন।
প্রায় সবাই স্ব স্ব স্থিতির মধ্য দিয়ে নতুন বছরের পাইকারি শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন বন্ধুদের। অতিউৎসাহীরা দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার সেঁটে দিচ্ছেন।
এক বন্ধু নক করে জানতে চাইলেন থার্টি ফার্স্ট উপলক্ষ্যে আমি কী করছি।
আমার তখন মেজাজ খারাপ।
সকাল থেকে সচলায়তন ডুবে আছে।
বাসার পাশে সপ্তাহব্যাপী ওয়াজ চলছ...
মাঝে মধ্যে হুড়মুড় করে কটা লাইন মাথায় চলে আসে। এর নাম হঠাৎ কাব্য। সম্পাদনা-পুনঃসম্পাদনাবিহীন আনকোরা ছড়া।
গঠনমূলক আলোচনায়
পঠনমূলক বক্তিমা
অনেক হলো, আর পারি না।
আর বাকি নেই শক্তি, মা!
এখনো কি জানতে বাকি?
সব খুনেরই এক খুনি।
বাগান-দালান পরেই বানান
কবর খুঁড়ুন এক্ষুনি।