আমি হুজুগে মানুষ। লোকে অনুরোধে ঢেঁকি গেলে। আমাকে অনুরোধও করতে হয় না। হুজুগ দিলেই আমি ঢেঁকিঘরসমেত ঢেঁকি গিলতে উদ্যত হই।
তার উপরে বেকার। কথায় আছে নাই কাজ তো খই ভাজ।
তো আমি খই ভাজি, নিজে খাই এবং বিলাই।
আমার অতিসম্প্রতি হুজুগের নাম “অ্যাম্বিগ্রাম”। সচলরা এই শব্দটির সাথে অতিপরিচিত আম্বিগ্রামগুরু জি.এম. তানিমের সুবাদে। তবে আমার মধ্যে এ রোগের সংক্রমণ হিমু ভাইয় ...
ইংরেজি বছরের প্রথম দিন।
খোমাখাতায় বন্ধুদের গতিবিধি জানান দিচ্ছে এটি বিশেষ একটি দিন।
প্রায় সবাই স্ব স্ব স্থিতির মধ্য দিয়ে নতুন বছরের পাইকারি শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন বন্ধুদের। অতিউৎসাহীরা দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার সেঁটে দিচ্ছেন।
এক বন্ধু নক করে জানতে চাইলেন থার্টি ফার্স্ট উপলক্ষ্যে আমি কী করছি।
আমার তখন মেজাজ খারাপ।
সকাল থেকে সচলায়তন ডুবে আছে।
বাসার পাশে সপ্তাহব্যাপী ওয়াজ চলছ...
মাঝে মধ্যে হুড়মুড় করে কটা লাইন মাথায় চলে আসে। এর নাম হঠাৎ কাব্য। সম্পাদনা-পুনঃসম্পাদনাবিহীন আনকোরা ছড়া।
গঠনমূলক আলোচনায়
পঠনমূলক বক্তিমা
অনেক হলো, আর পারি না।
আর বাকি নেই শক্তি, মা!
এখনো কি জানতে বাকি?
সব খুনেরই এক খুনি।
বাগান-দালান পরেই বানান
কবর খুঁড়ুন এক্ষুনি।
আমি বিদ্রোহী রণক্লান্ত।
খুব ভালো হতো
কেউ অন্তত
যদি এই কথাটুকু জানত।
আমি বিপ্লব পুষি পাঁজরে।
তোমরা গাধা
জীবন বাঁধা
কুমড়ো-পটল-গাজরে।
আমি সংগ্রামী এক সৈনিক।
ঠিক কোনভাবে
দিন বদলাবে
তাই বসে ভাবি দৈনিক।
আমি চিৎকার করি সজোরে।
কন্ঠার হাড়
ভেঙে চুরমার
পড়ে না কি তা নজরে?
আমি জ্বালব আগুন যজ্ঞে।
দেবীর আশায়
দিন কেটে যায়
বুঝবে তা কোন অজ্ঞে?
আমি হবো না তবুও ক্ষান্ত।
খুব ভালো হতো
প্রায় একমাস আগের কথা। আমি আমার অসভ্য বুনো ডানা ঝাপটে সচলায়তনে সবেমাত্র উড়তে শিখছি। দীর্ঘদিনের অনভ্যস্ত কলম ঘষটে লেখা বেরুতে চায় না। মেজে ঘষে যাও বা বেরোয়, পোস্ট করতে সংকোচ হয়। কতজন কতকিছু লেখে, কতভাবে লেখে! আমি ঈর্ষাতুর চোখে চেয়ে চেয়ে দেখি।
আমার জন্য সবই নতুন। এখানকার আবহ, মেজাজ আর সর্বোপরি কিছু শব্দ।
খোমাখাতা। অনেককেই এই শব্দ ব্যবহার করতে দেখি। মানে কী? ফেইসবুক!! কার আবিষ্কা...
পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে।
আজ বিজয় দিবস। একটু আগে রাস্তা থেকে ভেসে আসা বিজয়োল্লাস শুনতে পেলাম। ব্যানার, ফেস্টুন, পতাকাশোভিত ঢাকা শহর আর লাল-সবুজে মোড়ানো ছেলেমেয়েদের দেখতে পাব ঘর থেকে বেরুলেই।
আজ বিজয়োৎসবের দিন। কিন্তু আমি আরো বিজয় চাই।
স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিগুলো আগে তাও দু'একদিনের জন্য হলেও নিজেদের নখরগুলো সযত্নে আড়াল করে রাখতো। ইদানীং এদের শ্বদন্তবিকশিত নির্লজ্জ হাসি ...
বুয়েটের সাথে কাগজে-কলমে সম্পর্কচ্ছেদের আয়োজন চলছে। আইনী প্রক্রিয়াটি বেশ সময়সাপেক্ষ। আপাতত সাময়িক তালাকনামার আশায় সকাল-সন্ধ্যা ধর্না দিতে হচ্ছে বুয়েটাদালতে। সকাল ১০ টার দিকে হয় হল, নয়তো ব্যাংক অথবা ই এম ই। সকালের অধিবেশনের পাট চুকে যায় ১১ টার মধ্যেই। বাড়ি ফেরার তাড়া থাকেনা। চাকুরিদাতারা এখনো আমাকে খুঁজে পাননি, তাই তাদের সময় দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। বুয়েট, টি এস সি কিংবা ডি এম সি ...
এ বছরের এপ্রিলের মাঝামাঝি এক সময়ে লেখা। কবিতা বলা চলে কিনা জানিনা। একান্ত ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার তাৎক্ষণিক বহিঃপ্রকাশ, এটুকু বলতে পারি। এমন অভিজ্ঞতা দু’একটা সবারই থাকে। সে হিসেবে এর কোন বিশেষত্বও নেই হয়তো। তবুও ... ... ...
ভেবেছিলাম অনন্য ধন
তাই ধারণ করেছিলাম
কিছু যন্ত্রণার বিনিময়ে ।
হেঁয়ালী সময়ের
বোবা চোখে
রাখিনি দু’চোখ,
দেখিনি গভীরে ক্রমাগত গোপণ ক্ষয়,
অকস্মাতই
বাতাসে যখন ভ...
নীল অস্ফূট কণ্ঠে ডাকি যে নাম
অবিশ্রাম বর্ষণের বেগে
করি যাকে আলিঙ্গন
নিরুত্তর আবেগে,
অচেনা হেমন্তের পড়ন্ত বিকেলে
ঝরা পাতার শিরায় শিরায় আঁকি যে নাম
তার হেঁয়ালি উচ্চারণে
মুক্ত হল মন্ত্রিত বন,
শীতের আগমনে
ঝরা পাতার মৃত্যু হল-
ফাগুনের দস্তাবেজে লক্ষ নামের ভিড়ে
অনন্তকাল র’বে এখন বাকি সে নাম …
আমার খালা মুনা। তার দু’টি ছানা। মাহরাফ, মাইশা।মাহরাফ ৯, মাইশা ৪।
বড়টি অটিস্টিক। ভীষণ পড়ুয়া। প্রতি ক্লাশে ফার্স্ট হয়। বলে, “আমি দ্রুত বালক”(first আর fast গুলায় ফেলে)। কিছু দিন অন্তর বিচিত্র সব অবসেশন তৈরি হয় তার। একবার হল এনার্জি সেভিং বাল্ব নিয়ে। দোকানে গেলেই বাল্ব কেনার বায়না ধরে। কারুর সাথে আলাপচারিতার শুরুতেই জানতে চায়, “এই, তোমাদের বাসায় কি এনার্জি সেভিং বাল্ব আছে?”।
তার অতিসম্প...