গপ্পো না কাব্য-
পরে বসে ভাববো ।
ভাবনার কেঠো নদী
অতীব অনাব্য ।
জল নেই জলাতে
যাই কলতলাতে
চার ফোঁটা ভাগ পেতে
ঝুলি কারো গলাতে ।
বেতালের শাসনে
বসে রাজ-আসনে
তিতকুটে ক্ষীর খাই
টকে যাওয়া বাসনে ।
ভেতো জিভে তেতো স্বাদ-
ক্ষীণ দেঁতো প্রতিবাদ ।
আবাল্য বেতো মনে
বায়বীয় বুনিয়াদ ।
সিলিকন স্বর্গে
যা খুশি কর্ গে ।
পাশ ফিরে পড়ে থাক্
শীতাতপ মর্গে ।
বুনোহাঁস
শুনছো, সীতা ?
তোমার চিতা
নয় এখনো শান্ত
তোমার দহন
করছি বহন
রাম যদি তা জানতো !!
লক্ষী মেয়ে, শোনো!
তোমার শহর হচ্ছে উজাড়
খোঁজ রাখো কি কোনো?
বুঝি তোমার জ্বালা,
বয়ফ্রেন্ডের বায়না শুনে
দুকান ঝালাপালা!
ইশ্! যদি ও তোমায় কেবল বুঝত একটুখানি!
জানি, সবই জানি …
দর্জিবাড়ি, বসের ঝাড়ি
কত্ত পেরেশানি!!
গেল মাসে চার চারটে
বিয়ের দাওয়াত ছিলো
সেই উছিলায় বাড়লো ওজন
প্রায় সাড়ে তিন কিলো!
বেলায় বেলায় চলছে এখন
শশা-পেঁপের ফালি
দুশ্চিন্তায় মেয়ে, তোমার
চোখের নিচে কালি ...