১. ক)
আমি জীবনে পয়লা যে ব্লগটা লিখলাম অনেক ভীড়ু ভীড়ু মনে... লেখার শেষে আরো ভীড়ুতা নিয়ে বসে থাকলাম, দুরু দুরু ভাবি কেউ কি পড়বে আমার লেখা?
কিন্তু আমাকে আশ্চর্য করে দিয়ে একজন কালো চশমা পরা সুদর্শন ব্যক্তি মন্তব্য করেন
আপনার লেখায় মন্তব্য করতেই লগইন করলাম। অসাধারন লিখেছেন।
ছোটবেলায় একবার দাঁত গজায়, এটাকে দুধদাঁত বলে। তারপর একসময় সেটা খইসা গিয়া ওঠে অরিজিনাল দাঁত। যেই দাঁত দিয়া সুন্দরী বালিকাদের যত্ন সহকারে কামড়ানো যায়।
আমার জীবনেও তাই হইছিলো, কিন্তু আমি আবার কি না ঐতিহ্যের সংরক্ষণে বিশ্বাসী। তাই এক পিস দুধদাঁত রেখে দিসিলাম বাম সাইডের কোনায়। [ক্রেডিট নিতেছি রেখে দিছিলাম বলে, আসলে এইটা আল্লাহর দান]
তো সেই দাঁত আর খসে না। দামড়া দামড়া দাঁতের ফাঁকে ...
লীলেন'দা হঠাৎ ফোনে জানালেন শুভদা আসছেন ঢাকায়। আর জানা গেলো তিনি খুব ভালো গান করেন। শুভদা মানে শুভপ্রসাদ দা। কোলকাতার লোক, সচলে লিখেন। [সচলের গুগলটা কাজ করছে না, তাই লিঙ্ক দিতে পারছি না]
তো কোন বেকুবে এই চান্স মিস করে? রাতারাতিই একটা গানাড্ডার আয়োজন করা হয়ে গেলো। পুরো দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিলেন মুস্তাফিজ ভাই।
১১ তারিখ রাতেই শুভদা আর ত...
"আমাদের বাঁচিয়ে রাখা এ সময়ের সবকিছুই যেন বড় উচ্চকিত, গল্পও তার ব্যতিক্রম নয়। সশব্দ জনজীবনের নির্যাস নিয়ে লেখা অনেক চড়া তারের গল্পের ভিড়ে তারেক নূরুল হাসানের গল্পগুলি যেন নিঝুম দুপুরে পুকুরপাড়ে চালতা খসে পড়ার মতো- অতর্কিত মৃদু বোলে যে ইঙ্গিত দেয় ঘটনার, চরিত্রের। রোদেলা দিনে কিশোরের বাইসাইকেলের মতো সচেতন কিন্তু ছায়াময় সেই গল্পের ...
যান্ত্রিক গোলযোগে রিটন ভাই সচলে নিয়মিত লিখতে পারেন না। কিন্তু সবার লেখাই পড়েন। সুযোগ পেলেই পড়েন। আর একটা কাজ সুযোগ পেলেই করেন, যেখানেই সম্ভব সেখানেই সচলায়তন আর সচলদের কথা বলে বেড়ান। অনুজ সচলদেরকে তিনি কতোটা ভালোবাসেন আর স্নেহ করেন, আর এইসব বাচ্চা বাচ্চা পোলাপানদের নিয়ে তিনি কতোটা গর্ব করেন সবসময়, এটা কাছ থেকে না দেখলে কেউ বুঝবে না।
এই ভালোবাসা কতোটা, শুধু আজকের দিনটি দেখলেই প...
আজ ২২ মার্চ। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের জন্মদিন। ১৯৯৬ সালে এই দিনে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর যাত্রা শুরু করে সেগুন বাগিচার একটি সাবেকী বাড়ি ভাড়া নিয়ে। আটজন ট্রাস্টির উদ্যোগে জাদুঘরটি গড়ে ওঠে। প্রথমে তাঁদের প্রধান ভাবনা ছিলো জাদুঘরে সংরক্ষণ করার মতো স্মারক পাওয়া যাবে কী না? মুক্তিযুদ্ধের স্মারক যারা এতোগুলো বছর জমিয়ে রেখেছেন হৃদয় দিয়ে, তাঁরা ...
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, সচলায়তন, উইকিপিডিয়া এবং wcsf এর যৌথ উদ্যোগে কিছু কাজ চলছে অনেকদিন ধরেই। যা কাজ হচ্ছে তা এমুহূর্তে প্রকাশ করতে পারছি না কিছু টেকনিক্যাল কারণে। কিন্তু কাজ বসে নেই, চলছে অবিরত।
হয়তো অচিরেই আমরা কিছু খণ্ডাংশ তুলে দিতে পারবো জনসম্মুখে। আমি নিশ্চিত এমন অসংখ্য দলিল আমরা অচিরেই প্রকাশ করতে পারবো যা দিয়ে [স্যরি, স্ল্যাঙ ইউজ করছি] অনেকের পাছা মেরে দিতে পারবো।
আমরা যে ক...
বুনোহাঁসের লেখায় বিজ্ঞাপন নিয়ে অনেক কথা হইছে। বিজ্ঞাপন তরঙ্গে এবার আপনারা দেখবেন অন্য একটি বিজ্ঞাপন। কোনো কথা না বলে সোজা বিজ্ঞাপনটাতে চলে যাওয়াই উচিত। তবে বিজ্ঞাপনদাতাদের অরুচির দায় আমরা নীড়পাতায় বহন করতে চাই না বলে চলেন দুচারটা আগডুম বাগডুম কথা কই।
সবার শরীর মন সুস্থ্য থাকুক। বিজ্ঞাপনদাতাদের মাথায় অনেক মহান মহান আইডিয়া আসে। সেগুলোর মর্তবা আমরা বুঝ...
বইয়ের প্রথম গল্প পুরনো বাড়ি।
একটি পুরনো বাড়িকে কেন্দ্র করে লেখক মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেন কাঠের বন্দুক আর কাককে, টুলু আর ভীষণদর্শী হাসানকে, পুরনো আর নতুনকে, প্রকৃতি আর নগরায়নকে। যে বাড়িতে হাসানরা যায় টুলুরা আসে। টুলুরা হাসান হয়ে যায়, হাসানরা হয়ে যায় টুলু।
চায়ের শহরে একটি বাড়ি। যেই বাড়ির জানালা জুড়ে একসময় ছিলো নীলরঙা আকাশমাঝে লালরাঙা শিমুল, ছিলো একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ। হারিয়ে যাওয়...
বইমেলা ২০১০ এর আনন্দ আলো সেরা নবীন গল্পকারের পুরষ্কার পেয়েছেন মাহবুব আজাদ। যখন তাঁর বই 'ম্যাগনাম ওপাস ও কয়েকটি গল্প' পড়তে বসি, তখন এটা মাথায় নিয়েই পড়ি যে এবারের অন্যতম সেরা গল্পগুলোই পড়তে বসেছি। লেখকের দূর্ভাগ্য, প্রত্যাশার দায় পূরণে নতুন করে তিনি কলম হাতে নামতে পারছেন না।
পুস্তকের জগতে মাহবুব আজাদ নতুন হলেও লেখক হিসেবে তাঁকে নতুন বলা যাবে না কিছুতেই। ব্লগের মতো একটা শক্তিশা...