নব্বই বছর বয়সের লোকটাও তিনবেলা খায়শোয়ঘুমায়হাগেমোতে।
নব্বই বছর বয়স বলেও পৃথিবীতে কারো মৃত্যু আজ পর্যন্ত থেমে থাকে নাই,
অধিকাংশ ক্ষেত্রে এরচে বেশি বয়সেই মৃত্যু হয়েছে মানুষের।
সিমন একদিন অফিস ফাঁকী দিয়ে শাহবাগে মিছিল করছিলো, যতদূর মনে পড়ে টিভি ফুটেজে সেটা দেখে তার অফিস তাকে তিনদিনের একটা শাস্তি দিয়েছিলো। তিনদিন তার অফিসে যাইতে হয় নাই। সেই তিনদিন সে প্রায় পুরোটা সময় শাহবাগ আন্দোলনে ছিলো। (তখন তার অফিসকে গালি দিলেও সিমনের সড়ক দুর্ঘটনার পর তার অফিস যেভাবে তার পাশে দাঁড়িয়েছে... তা অকল্পনীয়। সিমনের অফিস কর্তৃপক্ষকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি)
[justify]১.
সাভারের ব্যাঙ্ক কলোনির দেয়ালগুলো ভরে গেছে 'সন্ধান চাই' বিজ্ঞপ্তিতে। অসংখ্য ছবি, নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর...। বৃষ্টিতে কতগুলোর লেখা মুছে গেছে, ছবি ঝাপসা হয়ে গেছে। রঙিন ছবি, সাদাকালো ছবি... পাসপোর্ট সাইজের ছবি, স্টুডিওতে কোট টাই পরা হাস্যোজ্জ্বল ছবি, পিকনিকে বন্ধুদের ছবি থেকে কেটে আলাদা করা ছবি... কতগুলো প্রাণ, হাসি, আনন্দ, উচ্ছ্বলতা, সম্ভাবনা...
আমরা মানুষ গুনি, কেউ গোনে ভোট!
ধর চিকা মার চিকা
চিকার দাম পাঁচসিকা
১.
ছোটবেলায় এই ছড়াটা খুব শুনতাম। নিজেও বলতাম। তখন বাড়ির আশেপাশে এখানে সেখানে প্রচুর ইঁদুর আর চিকা হতো। কৈশোরের উন্মাদনায় পিটিয়ে চিকা মারতাম আর এই ছড়াটি বলতাম, "ধর চিকা মার চিকা, চিকার দাম পাঁচসিকা"।
কিন্তু চিকার দাম পাঁচসিকা কেন? চিকা কি কেউ কেনে? চিকা ধরা বা চিকা মারার সঙ্গে পাঁচসিকার সম্পর্ক কী?
জানতাম না।
সারাদেশে মহাসমারোহে শিবিরের ডাকা হরতাল চলছে...
প্রস্তুতি চলছে লংমার্চের...
গণজাগরণ মঞ্চ বন্ধ করতে বলা হয়েছে, রুমি স্কোয়াডের অনশন থামিয়ে দেওয়া হয়েছে...
বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আমার ব্লগ, গ্রেপ্তার করা হয়েছে ব্লগারদের...
ইউটিউব তো আগে থেকেই বন্ধ...
একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সব কটা জানালা... যারা এই দেশটাকে ভালোবেসে দিয়ে গেছে প্রাণ, তারা আর চুপি চুপিও আসবে না হয়তো...
বৃষ্টিতে যখন ডুবে যাচ্ছিলো চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবান সর্বত্র...
বাড়ছিলো মৃতের সংখ্যা...
তখন কেবলই মনে হচ্ছিলো কেমন আছে দুরন্ত দুষ্টু থুই হ্লা খিয়াং? কেমন আছে মাতৃময়ী মেরী? দিপালী, মাইকেল, সোহেল, আশিক, সিমসন, ব্যানসন, উ মং খিয়াংরা?
অ.
আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদকে নিয়ে গতরাত থেকেই দেশ উত্তাল।
টিআইবির একটি অনুষ্ঠানে তিনি নাকি সাংসদ আর মন্ত্রীদের নিয়ে 'আপত্তিকর' কথা বলেছেন... তাই নিয়ে প্রথমে উত্তাল হয়েছে সংসদ। রোববার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সভাপতির দায়িত্ব পালনকারী আলী আশরাফ বলেছেন আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদকে সংসদে এসে ক্ষমা চাইতে হবে।
এরপর উত্তাল হয়েছে গোটা দেশ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম।
[center]বনের পশু মুক্ত ক'রে দেখল রিটন বিপদ ভারি
হিংস্র ভয়াল পশুর সাথে জোট বেঁধেছে স্বৈরাচারী!
একাত্তরর ঘাতক দালাল মাথায় টুপি লম্বা দাড়ি
ওদের সাথে যোগ দিয়েছে নেংটি ইঁদুর এবং ধাড়ি
চোর বাটপার দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী নেতাও করল ধাওয়া
সম্মিলিত ধাওয়ার মুখে রিটন কোথায়? রিটন হাওয়া!