[ছবিগুলো অনুজপ্রতিম শেখ আলমামুনের অনুমতিপুর্বক তাঁর Illusion of Shadows অ্যালবাম থেকে নেয়া হয়েছে। মূলত ছবিগুলির অসামান্যতাই আমাকে নিচে জুড়ে দেয়া পদ্যটি লিখতে অনুপ্রাণিত করেছে! কৃতজ্ঞতার নিদর্শনস্বরূপ লেখাটি শেখ আলমামুনকে উৎসর্গ করলাম।]
উদাস দুপুর বাজায় নুপুর
কাঁপায় বনের ছায়া
কোনটা মাতায় মনটাকে তোর
ছায়া না তার কায়া?
সভ্যতা চিনবে বলে আদিম একটি নর
গুহার আশ্রয় কিম্বা আরণ্যক ভিটে
ছেড়ে পা বাড়ালো পৃথিবীর দিগন্তের পথে
ব্যাক-প্যাক, হ্যাভার স্যাক নেই পিঠে
নির্জলা জিগীষা শুধু করে আছে ভর
তার খুলির ভেতর।
সময়ের ঘোড়া চেপে পেরুয় সে কালের চাতাল
তখন প্রভাত আলোর হামাগুড়ি নাবাল
জমিনের উপর, অরণ্যের পথে।
এখানে রক্ত কেন? অগ্রযাত্রার এই রথে?
এখানে ঘাসের শিশির কেন ধরে আছে
অশ্রুবিন্দুর মতো নোনা ঘাম? অতশত না ব ...
হ্যাভারস্যাক পিঠে ঝুলিয়ে ইয়্যুথ হোষ্টেল থেকে বেরিয়ে পড়েছিলাম। হাতে মাত্র দু'দিন সময়। এরই মধ্যে দেখে ফেলতে হবে আইফেল টাওয়ার, ল্যুভর মিউজিয়াম আর ডিজনী ল্যান্ড। আজ গন্তব্য ডিজনী ল্যান্ডের পথে। মেট্রো ধরেই যেতে হবে। এ সময়টায় মোট্রোতে ভীড় অনেক। তবু এগিয়ে যাই, টিকেট কেটে পাতালের সিঁড়ি বেয়ে নামি। নেমে আসা মানুষের ঢলে ত্রস্ত অধীর মুখগুলো দেখি। প্যারিসের মেট্রো ষ্টেশনে এক রকম আচম্ব ...
----------------------রোমেল চৌধুরী
জানি আমি থাকি একটি নিরালা গৃহে
তার, চিহ্ন মুছেছে বহু বসন্ত আগে
গর্ভগৃহের দেয়াল ক'টির ওপর
সূর্য পরায় রোদেলা আলোর টোপর
আর, বেগূনী শাখার বুনো কুঁচফল জাগে।
জীর্ণ বেড়ায় আঙুরলতার আঁচল
গাছে গাছে ভরে নিড়ানো ক্ষেতের কোল
কাঠুরেরা মাতে বৃক্ষের সংহারে
পাবে নাকো খুঁজে কুয়োতলা বরাবর
পায়ে হাঁটা সেই পথের চিহ্ন আর।
আমি বেঁচে আছি বিচিত্র হৃদয় মাঝে
দূ্র নির্জনে বিস্ম ...
দু’দিনের ছুটি, হাতে গোনা ক'টি টাকা
যেতে হবে বাড়ি বিকেলের ট্রেন ধরে
হাতে চিঠি ধরা বুকের ভেতর ফাঁকা
মা যে লিখেছেন কাঁপা কাঁপা অক্ষরে
বাবা তোকে খুব দেখতে ইচ্ছে করে
রেলের বগিতে ভিড় বেশি এবেলায়
কাজ সেরে সব ধরেছে ফিরতি গাড়ি
বসে ঝুলে আর লেগে থেকে গায়ে গায়
চলার ছন্দে ঘামের গন্ধ মিশে
কু ঝিক ঝিক হারিয়ে ফেলেছে দিশে
চিলাহাটি নেমে ছয় কিলো যাবো হেঁটে
যেতে যেতে হবে নিজমনে কতো কথা
পুর্বলেখঃ
হার্লেম রেনেসাঁর মধ্যমণি আফ্রো-আমেরিকান কৃষ্ণাঙ্গ কবি Langston Hughes (১৯০২-১৯৬৭)। বিশ শতকের গোড়ার দিকে আমেরিকার বর্ণবাদ তাঁকে ভুগিয়েছিলো, কিন্তু তিনি আপন সততায়, বোধে ও বিশ্বাসে স্থিরচিত্ত থেকে বর্ণবৈষম্যের উর্ধ্বে উঠে বিশ্বমানবতার জয়গানে হৃদয়ের সবটুকু ভালোবাসা নিংড়ে দিতে পেরেছিলেন। "The Negro Speaks of River" তাঁর সেই 'কসমিক' ভালোবাসার গগণবিহারী রূপটিকেই ফুটিয়ে তোলে। এই কবিতাটির মূলসু ...
অপ্রিয় সত্য হলেও কবুল করতে দ্বিধা নেই ছেলেবেলা থেকেই আর দু’দশটা ছেলের চাইতে আমি বোধহয় একটু বেশীই খাটো ছিলাম।
HE REPROVES THE CURLEW
O CURLEW, cry no more in the air,
Or only to the water in the West;
Because your crying brings to my mind
passion-dimmed eyes and long heavy hair
That was shaken out over my breast:
There is enough evil in the crying of wind.
[The Wind Among the Reeds, W.B. Yeats, 1899]
হায় চিল
হায় চিল, সোনালি ডানার চিল, এই ভিজে মেঘের দুপুরে
শেষ বিকেলের সূর্য তখন দূর পাহাড়ের কোণে হেলে পড়েছে। দুরন্ত বালকের দল ঘরে ফেরার আগে গোধুলীর কমলা রঙে নেয়ে আরো খানিকটা বেলা শেষের খেলা খেলে নিচ্ছিলো। ইব্রাহিম সাসা তার কাঠের চকোডুটা* ঠেলে ঠেলে ঘরে ফেরার পথের শেষ চড়াইটা পার হচ্ছিল। পেশল কালো দেহ ঘামে নেয়ে গেছে। বুকটা ওঠানামা করছে হাপরের মতো। ভেতরটা যেন নাইরোগংগোর** জ্বালামুখ। আর একটু উঠলেই বামে বাঁক নিয়ে পথটা নীচে নেমে শেষ হয়ে যাব ...