এবার নবান্নের মৌসুমে গ্রামে যাবো বাবা আর আমি
ধান কাটা হয়ে গেলে নোতুন ধানের গন্ধে আমাদের নেশা হবে
অঘ্রাণের নাড়ার খেত ধরে ভোরের শিশিরে পা ভিজিয়ে
কোণাকুণি হেঁটে গেলে বিন্দু বিন্দু ভেজা মাটির কণা
আমাদের পাজামায় লেগে থাকবে; আমরা ধুয়ে ফেলবো না
দিঘির জলে ডুব দিয়ে দিয়ে বুকের ভেতরে শ্যাওলা জমবে বিস্তর
এবার আদতেই আমাদের গ্রামে থেকে যেতে ইচ্ছে করবে
আমাদের কিছুতেই আর শহরে ফিরে যেতে ইচ ...
সবুজের বুকে মিশেছে কতটা লাল
এই ক্যানভাসে, অগ্নি ঝরানো দিনে
সূর্য পেরুল কতটা ক্রান্তিকাল
নবীন যুবক এসো আজ নেব চিনে।
সময়ের রথে কুহকের মায়াজাল
নিষ্ফল শ্রমে বিপন্ন আয়োজনে
বৃথাই ছুটেছে ভ্রান্ত উন্মাতাল
কুয়াশার মতো ভুল স্বপ্নকে কিনে।
কত গোলাপেরা কুঁড়িতেই গেছে মরে
কত বিপ্লব মাঝপথে গেছে থেমে
কত সুবাতাস বিরূপ তীরের তোড়ে
খরাদাহ হয়ে করুণ এসেছে নেমে।
প্রেতের হাসিতে সচকিত বুলবু ...
(লেখকের কৈফিয়তঃ
পাঠক, প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নেই এত ছোট ছোট কিস্তিতে লেখাটি এগিয়ে নেবার জন্য। সত্যি বলতে কি, ভেবেছিলাম হ্যারি পটারের মতো ম্যাজিক ব্রুম চড়ে অবলীলায় উড়তে পারবো। কিন্তু গদ্য লেখা যে কত কঠিন সেটি হাড়ে হাড়ে টের পেলাম এই লেখাটি লিখতে গিয়ে। ইতিমধ্যে রাতঃস্মরণীয় ভাইয়ের কল্যাণে আপনারা ভালোমতোই পরিচিত হয়েছেন মাসাই মারার সাথে। ভালোই হলো, অন্তত ...
কোনদিন পথ খুঁজে যদি
ফিরি আমি তোমাদের পিঁড়িপাতা নিকানো উঠোনে
তুমি বেড়ে দিও এক থালি নুন মাখা ভাত
একটু সালুন দিও, আর দিও এক ঘড়া জলের আস্বাদ।
তুমি তো জানোই আমি কি ভীষণ তিয়াস নিয়ে
এই মাঠ, এই প্রান্তর, এইসব বাতাসের ঘ্রাণ শুঁকে শুঁকে
বেভুল ফিরেছি ঘুরে-
চৈতন্যের খরাদাহে সম্পন্ন বর্ষণের স্বপ্নিল অন্বেষণে
এক বুক কাদাভেজা আশার জমিনে।
আমিতো গায়ের ছেলে-
চিলমারীর বন্দরে আমার গাড়িয়াল প্র ...
প্রথম পর্ব
গ্রেট রিফট ভ্যালিতে এসে আমরা একজনের পেছনে আরেকজন দাঁড়িয়ে পড়লাম। এক সারিতে, দুহাত প্রসারিত করে। দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া থেকে পূর্ব আফ্রিকা পর্যন্ত বিস্তৃত এই প্রান্তর। ৬০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ বুক মেলে দিয়ে শুয়ে আছে প্রসন্ন বদনে। এখানে আকাশ পারে মৃত্তিকার বাদামী আয়নায় মুখ দেখে নিতে। এখানে মিশেছে এসে কত সভ্যতার সান্দ্রস্রোত, যুগে যুগে। সিনাইয়ের সুর ভেসে আসে কোন সে সুদূর ...
প্রেমের দেবী থাকেন নাকি তেপান্তরের ধারে
চুমতে তাহার চরণ দু'টি ইচ্ছে আমার করে
আরাধনায় মনটি সপি ব্যাকুল বুকের আশা-
নিদাঘ প্রাণে একটু যদি পাই গো ভালোবাসা!
এমন সময় কে রাখে গো আগলে আমার পথ?
বলছে হেঁকে, 'বেভুল পথিক থামাও তোমার রথ;
রাজপোশাকে যাচ্ছো কোথায়, তল্পি-তল্পা নিয়ে-
বোঝাই জাহাজ ছুটছো কেন গাঙের ও পথ দিয়ে?'
'যাচ্ছি আমি তেপান্তরে দেবীর আশিস পেতে
অলক্ষুণে পিছ ডেকোনা দূরের পথে যেতে।'
...
এলার্ম ঘড়িটা
নিশ্চিত উঠবে বেজে
এই প্রত্যুষে-
মগজের কোষে কোষে
ঘাই দিয়ে সময়ের স্রোত যাবে বয়ে।
বসে আছি
ওষুধের দোকানে
মন ঘুড়ি ভোকাট্টা কোন সে সুদূরে;
সেইক্ষনে এলো সে;
সবুজ বালিকা
চুলের ঝর্ণাটি তার সোনালি বরণ
হাসিমুখে বলে,
“দুঃখিত তোমার সনে,
এইক্ষণে, এইখানে
নেই কোনো বিকিকিনি
তোমাকে কি চিনি?”
এলার্ম থেমে গেলে
ঘুম থেকে জাগি
যেমন উঠেছি জেগে
এই প্রত্যুষে-
এলার্ম বাজেনি তো
জাগাতে ...
স্যার, দেবেন কি ফ্লাটের বুকিং?
তাহলে আসুন না চলে, রিহ্যাব মেলায়, আমাদের জালপাতা স্টলে।
অথবা জগতজোড়া আন্তঃজালে, আলতাভিসতা কিম্বা গুগলে
ভ্রমণে নিজেকে ভাবুন না ভাগ্যবান;
যদি অনিচ্ছা থাকে-
সমস্যাক্রান্ত শহরের দগদগে ক্ষতে লেগে থাকা
নীল মাছির ঝাঁকের মতো ট্রাফিক জ্যামে আটকে থাকা
সারি সারি গাড়ির আস্তাকুঁড় পেরিয়ে
আমাদের সাইটে পৌছুতে হবে না আপনার-
এইবেলা আপাতত: আমাদের ওয়েব সাইটেই ঢ ...
আমাদের এই শহরে ঘুম নেই, স্থিতি নেই,
কাক ছাড়া পাখি নেই কোন;
ঘুঘু-ডাকা দুপুরের পেট চিরে এখানে আমূল
বিঁধেছে যেন বিষাক্ত সীসার ছুরি
আমরা মাথা নিচু করে হেঁটে যাই, ছুটে যাই,
বাদুড়ঝোলা ঝুলে ঝুলে পেরুই মর্ত্যের বৈতরণী,
ক্লান্তির হাই তুলে পাখা মেলি
অনিঃশেষ ক্রান্তিকালের বিভ্রান্ত চাতালে;
সময়ের কাঁটাময় রুক্ষ হাত আমাদের শান্তি নিয়ে
তাতার দস্যুর মতো খেলা করে
অলিতে গলিতে
অকস্মাৎ ট্যানা ...
তুমি কি প্রথমা
সিঁড়ি দিয়ে নামা
মায়াবী উপমা
অভাগা জীবন মাঝে?
জলের আঁচড়ে
বুক ছিঁড়ে ফুঁড়ে
নীল ব্যথা জুড়ে
কতটা কাঁদাবে সাঁঝে!
ইনিয়ে বিনিয়ে
খেলেছ কি নিয়ে
জোনাকী চিনিয়ে
কতটা সুখের ছোঁয়া?
সবি গেল বুঝি
নেবে নাকি খুঁজি
আঁধারের ঘুঁজি
বিরহ অনলে ধোয়া।
সন্ধ্যা তারাতে
চাইনা হারাতে
দুবাহু বাড়াতে
আছি আমি আজো রাজী
ওগো প্রিয়তমা
কোরো মোরে ক্ষমা
নেই কিছু জমা
হেরে গেছি সব বাজী।