নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ব্লগ

ব্রেক্সিটঃ এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক বিশ্বে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী (তারিখ: বুধ, ২২/০৬/২০১৬ - ৮:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ব্রেক্সিট সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? এক লেখায় সম্পূণর্ চিত্রটা পেয়ে যাবেন যদি ধৈর্য্য ধরে পড়েন। লেখাটা বড়, কিন্তু পড়লে হতাশ হবেন না আশা করি। যারা স্কুল, কলেজ অথবা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বিতর্ক করেন নিয়মিত, তাদের অবশ্যই পড়া উচিত। এছাড়াও যারা বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তারাও পড়লে উপকৃত হবেন। একটানা ছয় ঘণ্টা ব্যয় করে লেখা। পড়ে মতামত জানালে খুশি হবো।

ব্রেক্সিট বলতে কী বোঝায়?

BRExit বা ব্রেক্সিট শব্দটা এসেছে Britain Exit অথবা British Exit থেকে (দুটোই সঠিক)। অর্থাৎ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বৃটেনের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে ব্রেক্সিট বলা হচ্ছে [১]। বৃটেন, ইউনাইটেড কিংডম, ইউকে অথবা যুক্তরাজ্য — যে নামেই ডাকা হোক না কেন, মূলত বোঝানো হয় একই দেশকে। এদেশটা ইউরোপের পশ্চিম পাশে মূল ভূখণ্ড থেকে খানিক দূরে অবস্থিত গ্রেট বৃটেন দ্বীপের সম্পূর্ণটা এবং আয়ারল্যান্ড দ্বীপের এক পঞ্চমাংশ নিয়ে গঠিত এবং চারটা গঠণমূলক রাজ্য তথা ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, নর্দানর্ আয়ারল্যান্ড এবং ওয়েলসের সমন্বয়ে গঠিত যেখান থেকে মূলত ইউনাইটেড কিংডম নামটা এসেছে।


তাসকিন ও সানির বোলিং এ্যাকশন নিয়ে আইসিসির বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং কিছু প্রাসঙ্গিক আলোচনা

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী (তারিখ: রবি, ২০/০৩/২০১৬ - ১২:০৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

100x

বাংলাদেশের বিপক্ষে যাওয়া আইসিসির বিভিন্ন স্বীদ্ধান্তের ব্যপারে বাংলাদেশের সমর্থকগোষ্ঠি বরাবরই সোচ্চার এবং সেটা ন্যায়সঙ্গত কারণেই। তবুও বিষয়টা নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোডর্ তথা বিসিবি নমনীয়। যেহেতু বিসিবি একটা জাতীয় ক্রিকেট বোর্ড এবং আইসিসির সদস্য, তাই তাদের পক্ষে সরাসরি আইসিসির রিরুদ্ধে যাওয়াটা সহজ নয়। বিশেষ করে যখন কেউ একটা প্রক্রিয়ার অংশ হয়, তখন সেই প্রক্রিয়ার ভেতরে থেকেই সমস্যার মোকাবেলা করতে হয়। যদি খোদ প্রক্রিয়াতেই সমস্যা থাকে, সেটা পরিবর্তনের জন্যে ভেতরে থেকেই চেষ্টা চালানো বুদ্ধিমানের কাজ। হতে পারে সে কারণে আইসিসির বিভিন্ন সন্দেহজনক আচরণ যা আম্পায়ারিং থেকে শুরু করে ভেনু্য সিলেকশন পর্যন্ত বিসিবি নীতিগত ভাবে একমত না হলেও সরাসরি সোচ্চার হয় নি। কিন্তু তাসকিন এবং সানির বোলিং এ্যাকশন নিয়ে আইসিসি যে নূতন বিতর্ক শুরু করেছে এবং তারই ধারাবাহিকতায় আজ তাদের দুজনের বোলিং এ্যাকশন অবৈধ ঘোষণা করেছে, এ বিষয়ে বিসিবির শুধু সোচ্চার হলেই চলবে না, তাদের পদ্ধতিগত ভাবে মোকাবেলার জন্যে প্রস্তুতিও নেয়াও জরুরী। এই লেখাটায় মূলতঃ বর্তমান প্রেক্ষাপটে যা যা ঘটছে, সেটাকে অতীতের আলোয় মোকাবেলা করার জন্যে কিছু সাজেশন উল্লেখ করা হয়েছে।


জেমস বন্ডের আদ্যোপান্ত এবং স্পেক্টার রিভিউ

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী (তারিখ: বুধ, ২৮/১০/২০১৫ - ১২:৫২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিশ্ব সাহিত্যে ব্রিটিশ লেখকদের বেশ কদর এবং বাজার ছিল এক সময়ে। মূল ধারার সাহিত্যের পাশাপাশি চটকদার থ্রিলার ধরনের সাহিত্য রচনায় তারা বেশ পারদশর্িতা দেখিয়েছে বছরের পর বছর। শার্লক হোমস, কাউন্ট ড্রাকুলা এবং জেমস বন্ড — এই তিনটা চরিত্র সম্ভবত জনপ্রিয়তায় পেছনে ফেলেছে অন্য সবাইকে। মজার ব্যপার হলো, এই তিনটা চরিত্রের স্রষ্টা তিন দেশ থেকে আসা তিন ব্রিটিশ লেখক। স্কটল্যান্ড থেকে কোনান ডয়েল লিখেছেন হোমসকে নিয়ে, আয়ারল্যান্ড থেকে ব্র্যাম স্টোকার তৈরি করেছে ড্রাকুলাকে; আর ইংল্যান্ড থেকে ইয়ান ফ্লেমিং বিশ্বের কাছে পরিচিত করেছেন বন্ডকে। এই তিন চরিত্রের একটা মিলও রয়েছে কিন্তু। তিনটি চরিত্রই ঘুরে ফিরে এসে মিশে গিয়েছে লন্ডন শহরে। প্রতিষ্ঠিত করেছে নিজেকে কিংবদন্তি হিসেবে, পেয়েছে কোটি কোটি অনুরাগী এবং বিশ্বকে বিনোদন দিয়ে গিয়েছে এবং যাচ্ছে যুগযুগ ধরে। প্রকাশনা এবং চলচিত্র, সর্বত্রই এই তিনটি চরিত্র দাপটের সাথে নিজেদের প্রমাণ করেছে। শার্লক হোমস অনূদিত হয়েছে প্রায় একশ ভাষায়, চলচিত্র নির্মিত হয়েছে অগুনতি। আজও লন্ডনের ২২১বি বেকার স্ট্রিটের ঠিকানায় হোমসের নামে চিঠি আসে নিয়মিত। এমনকি সেই চিঠিগুলো সংগ্রহের জন্য নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা, খোলা হয়েছে মিউজিয়াম যেখানে গেলে মনে হয় হোমসের সাথে এখনই দেখা হয়ে যাবে। শালর্ক হোমস এতটাই জীবন্ত এখনও। অন্য দিকে, ডাবলিনে অবস্থিত ড্রাকুলা মিউজিয়ামে তালিকা করে রাখা আছে প্রায় আড়াইশ চলচিত্রের নাম যা ড্রাকুলার উপর নির্মিত। ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেইজের পরিসংখ্যানে দেখা যায় ড্রাকুলাকে নিয়ে বিভিন্ন ভাষায় এ পর্যন্ত নির্মিত হয়েছে অন্তত ৬৩০টি চলচিত্র। তবে জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে সম্ভবত এদের পেছনে ফেলে খানিকটা এগিয়ে রয়েছে তুলনামূলক নবীন চরিত্রটি — বন্ড, জেমস বন্ড।


ফিফা প্রেসিডেন্ট সেপ ব্ল্যাটারের পদত্যাগ এবং নেপথ্যের ঘটনা

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী (তারিখ: বুধ, ০৩/০৬/২০১৫ - ৩:১৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

100x
(ছবির ক্রেডিট লেখকের। ২০১৪ সনে জুরিখের ফিফা হেডকোয়ার্টার থেকে তোলা।)

ফিফার প্রেসিডেন্ট ৭৯ বছর বয়সী সুইস নাগরিক সেপ ব্ল্যাটার আজ ঘণ্টা-খানেক আগে মিডিয়াকে জানিয়েছেন তিনি পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন। যদিও সাম্প্রতিক ঘটনা বিবেচনায় এই পদত্যাগের ঘটনাই স্বাভাবিক বলে প্রতীয়মান হতো, কিন্তু বাস্তবে এই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত অনেকের কাছেই বিস্ময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর অন্যতম কারণ মাত্রই এক সপ্তাহ আগে ব্ল্যাটার পঞ্চম বারের মত ফিফা প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে ফিফার শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠায় কেঁপে ওঠে ফুটবল বিশ্ব। সুইজারল্যান্ডের জুরিখে ফিফার হেডকোয়ার্টার থেকে গ্রেফতার হয় ভাইস প্রেসিডেন্ট সহ ১৪ জন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোপের ফুটবল ফেডারেশন তথা উয়েফার প্রেসিডেন্ট মিশেল প্লাতিনি নির্বাচনের দুই দিন আগে ব্ল্যাটারকে অনুরোধ করে যেন এবার আর তিনি নির্বাচনে না দাঁড়ান। একই অনুরোধ কিছুটা দাবীর সুরে উচ্চারিত হয় ইংল্যান্ডের ফুটবল এ্যাসোসিয়েশন থেকেও। অথচ তখন ব্ল্যাটার ঠিকই একরোখা মনোভাব দেখিয়ে নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন এবং দুইদিন পর নির্বাচিতও হন। কিন্তু সপ্তাহ ঘুরতেই ব্ল্যাটার কেন তাহলে মত পরিবর্তন করলেন? এই লেখায় নেপথ্যের ঘটনা পর্যালোচনা করার চেষ্টা করা হলো।


যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচন ২০১৫ পর্যবেক্ষণ

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী (তারিখ: শুক্র, ০৮/০৫/২০১৫ - ৬:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

485x

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা শেষের দিকে চলে এসেছে। মূলতঃ চারটা এলাকা বা দেশ নিয়ে যুক্তরাজ্য গঠিত। এগুলো হচ্ছে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড এবং ওয়েলস। এর মধ্যে ওয়েলস এর সাথে ইংল্যান্ডে সম্পর্কটা খুবই গভীর। সে কারণে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস এর আইন, ক্রিকেট বোর্ড বা এরকম অনেক কিছুই এক সাথেই পরিচালিত হয় (যদিও ওয়েলস এর একটা দুর্বল পার্লামেন্ট রয়েছে)। আবার নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের পরিস্থিতিটা একদমই ভিন্ন। ওখানে বেলফাস্ট এগ্রিমেন্টের পর থেকে পাওয়ার শেয়ারিং সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশটার ফার্স্ট মিনিস্টার মূলত দুইজন থাকে। একজন আসে ক্যাথলিক বা ন্যাশনালিস্টদের মধ্য থেকে এবং অন্যজন আসে প্রোটেস্টেন্ট বা ইউনিয়নিস্টদের থেকে নির্বাচিত হয়ে। এ কারণে ওখানকার রাজনীতিতে ওখানকার দলগুলোরই প্রাধান্য চোখে পড়ে। তবে জাতীয় নির্বাচনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে মূলত ইংল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ডের দলগুলো। যুক্তরাজ্যের প্রধান দুই দল হচ্ছে কনজার্ভেটিভ এবং লেবার। এছাড়া তৃতীয় শক্তি হিসেবে আছে লিব ডেম যারা গতবার কনর্জাভেটিভের সাথে মিলে সরকার গঠন করে। কনজার্ভেটিভ প্রধান ডেভিড ক্যামেরন বর্তমান বিট্রিশ প্রধানমন্ত্রী এবং লিব ডেমের প্রধান নিক ক্লেইগ উপ-প্রধানমন্ত্রী। এই শেষের পদটা মূলত কোয়ালিশনকে সফল করার জন্যেই তৈরি করা। এটা কোন নিয়মিত পদ নয়। অন্যদিকে লেবারের প্রধান এড মিলিব্যান্ড যিনি প্রধানমন্ত্রী হবার দৌড়ে সামিল হয়েছেন এবারের নির্বাচন জিতে।


বাংলাদেশ - ভারত ম্যাচের আগে চিলে আদৌ কান নিয়েছে কি না নিশ্চিত হয়ে নিন

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী (তারিখ: বুধ, ১৮/০৩/২০১৫ - ৭:২৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিশ্বকাপ জমে উঠেছে। সেই সাথে জমে উঠেছে বাংলাদেশ এবং ভারতের সমর্থকদের সোশ্যাল মিডিয়ায় যুদ্ধ। আর এই যুদ্ধকে উসকে দিচ্ছে কিছু অনলাইন পত্রিকা যাদের জন্মই হয়েছে যেকোনো উপায়ে মানুষের ক্লিক পেয়ে বিজ্ঞাপনদাতার কাছ থেকে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা পকেটে ঢোকানোর জন্যে। এই পত্রিকাগুলোর নামের আগে নিউজ, বিডি, ২৪, ৭ ইত্যাদির বিশেষ সংযোজন পরিলক্ষিত হয়। এরা সাধারণত মানুষের ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক অনুভূতি নিয়ে ব্যবসা করে কিন্তু বর্তমান বিশ্বকাপের মৌসুমে দেশপ্রেমকেও তারা নতুন ব্যবসার ক্ষেত্র হিসেবে আবিষ্কার করেছে। এরা ইচ্ছা করে মিথ্যে এবং ভ্রান্ত সংবাদ তৈরি করে সেটাকে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছে। সংবাদগুলো এমন হয় যে হেডলাইন দেখেই মানুষের মেজাজ চড়ে যায়। নিজে গিয়ে নিউজটা পড়ে, রাগপ্রকাশের মাধ্যম হিসেবে সেটা শেয়ারও দেয়। ফলে একজন থেকে দুইজন এবং এভাবে দুইজন থেকে দশজন হয়ে শত শত মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে মিথ্যে সংবাদগুলো।
গত তিন দিনে ফেইবুকে এ ধরনের মিথ্যে সংবাদগুলো দেখে একটা FAQ তৈরি করার প্রয়োজন বোধ করছি। তবে প্রশ্নগুলো কিন্তু মোটেও আমার তৈরি না। অনেকটা এভাবেই বন্ধু তালিকার মানুষরা অথবা বন্ধুর বন্ধুরা প্রশ্নগুলো রেখেছে তাদের স্ট্যাটাসে। আসুন জেনে নেই চিলে কি আদৌ কান নিয়েছে নাকি কান কানের জায়গাতেই আছে!


পাঞ্জেরী, মানুষ হতে আর কত দেরী?

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী (তারিখ: মঙ্গল, ০৭/০১/২০১৪ - ১০:১৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এখনও স্পষ্ট মনে আছে সেই সময়টা, সেই ভয়াবহ সময়টা। সবে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। অক্টোবরের ১ তারিখ। সনটা ২০০১। ১৯৩ আসন নিয়ে বিএনপি নির্বাচনে জয় লাভ করেছে। অন্যদিকে মাত্র ৬২ আসন পেয়ে আওয়ামী লীগ তখন লুকিয়ে আছে। দেশে একটা থমথমে পরিবেশ। একদিকে বিএনপি উল্লাস করছে, আর অন্য দিকে বিভিন্ন সূত্র থেকে খবর আসছে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর বর্বরোচিত হামলার।


উদ্ভট উটের পিঠে চলা আমরা এবং একজন জাফর ইকবাল

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী (তারিখ: বুধ, ২৭/১১/২০১৩ - ১২:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ – কবি শামসুর রহমানের এ কথাটা প্রায়ই সমালোচনার জন্য ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন আড্ডায়, আলোচনায়, টক শোতে দারুণ ব্যবহার হয় এই পদগুলো। কিন্তু আমরা কি আদৌ ভেবে দেখি ‘স্বদেশ’কে উঠের পিঠে চাপাচ্ছে কে? না, প্রসঙ্গের অবতারণা কোন কোন রাজনৈতিক দলকে সমালোচনা করার জন্য করি নি। নয় কোন বড় কর্পোরেট হাউজ, মিডিয়া হাউজ বা অন্য কোন সংগঠনকে আক্রমণ করার জন্য। কথাটা বললাম আমাদের সমালোচনার জন্য। আমাদের বলতে নিতান্তই নিরীহ সাধারণ আমজনতাকে বোঝাচ্ছি। ‘আমাদের’ বলতে তাদের বোঝাচ্ছি যারা পরিবর্তন বলে বলে চিৎকার করে গলা ফাটিয়ে ফেলে কিন্তু পরিবর্তনের জন্য এগিয়ে যায় না। পরিবর্তন যে এমনি এমনি হওয়া সম্ভব নয়, সেটা বুঝেও যারা না বোঝার ভান করে এবং সবচেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে যদি পরিবর্তনের জন্য কেউ এগিয়ে যায়, তাকে পেছন থেকে ক্রমাগত টেনে ধরে রাখার চেষ্টা করে।


নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী (তারিখ: সোম, ০৪/০৩/২০১৩ - ৮:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পাঁচ বছরের ব্লগ জীবনের অভিজ্ঞতায় দেখেছি এ ধরনের লেখা বিপদজনক। মানুষ খুব সহজে ভুল বোঝে এবং ভুল ব্যাখ্যাও করে। তাই লেখার শুরুতে একটা বিষয় পরিষ্কার করে নিতে চাই। আমার এই লেখার উদ্দেশ্য নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়কে একটা সুস্পষ্ট বিষয় সম্পর্কে অবিহিত করা। কোন রকম সমালোচনা করা নয় অথবা প্রাইভেট-পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ককে উস্কে দেয়া নয়। এছাড়া কোন ধর্ম বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে হেয় করাও নয়।


হায় পিস্টোরিয়াস!

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী (তারিখ: শুক্র, ১৫/০২/২০১৩ - ৬:৫৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


(ছবিঃ উইকিপিডিয়া থেকে নেয়া)

খবরটা ছড়িয়েছে দাবানলের মত। পৃথিবীর অসংখ্য মানুষের অনুপ্রেরণা, ইতিহাসে প্রথম দুই পা-বিহীন প্রতিযোগী হিসেবে অলিম্পিকের মূল আসরে অংশ নেয়া দৌড়বিদ অস্কার পিস্টোরিয়াস তার মেয়েবন্ধুকে গুলি করে হত্যা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকায় তার নিজের বাসায়। রিয়াল মাদ্রিদ আর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বহুল আকাঙ্ক্ষিত ম্যাচের খবরকে ছাপিয়ে পত্রিকায় পাতা দখল করে নিয়েছে পিস্টোরিয়াস। প্রথমে বলা হলো পিস্টোরিয়াসের বাসা থেকে ২৬ বছর বয়সী একজনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ধরে নিয়ে গিয়েছে। কিন্তু পরে যখন দেখা গেলো পিস্টোরিয়াসের বয়সও ২৬, তখন সবার টনক নড়ে। পরে পুলিশ নিশ্চিত করে ধরে নিয়ে যাওয়া মানুষটা আর কেউ না, খোদ অস্কার পিস্টোরিয়াস।