ব্রেক্সিট সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? এক লেখায় সম্পূণর্ চিত্রটা পেয়ে যাবেন যদি ধৈর্য্য ধরে পড়েন। লেখাটা বড়, কিন্তু পড়লে হতাশ হবেন না আশা করি। যারা স্কুল, কলেজ অথবা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বিতর্ক করেন নিয়মিত, তাদের অবশ্যই পড়া উচিত। এছাড়াও যারা বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তারাও পড়লে উপকৃত হবেন। একটানা ছয় ঘণ্টা ব্যয় করে লেখা। পড়ে মতামত জানালে খুশি হবো।
BRExit বা ব্রেক্সিট শব্দটা এসেছে Britain Exit অথবা British Exit থেকে (দুটোই সঠিক)। অর্থাৎ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বৃটেনের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে ব্রেক্সিট বলা হচ্ছে [১]। বৃটেন, ইউনাইটেড কিংডম, ইউকে অথবা যুক্তরাজ্য — যে নামেই ডাকা হোক না কেন, মূলত বোঝানো হয় একই দেশকে। এদেশটা ইউরোপের পশ্চিম পাশে মূল ভূখণ্ড থেকে খানিক দূরে অবস্থিত গ্রেট বৃটেন দ্বীপের সম্পূর্ণটা এবং আয়ারল্যান্ড দ্বীপের এক পঞ্চমাংশ নিয়ে গঠিত এবং চারটা গঠণমূলক রাজ্য তথা ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, নর্দানর্ আয়ারল্যান্ড এবং ওয়েলসের সমন্বয়ে গঠিত যেখান থেকে মূলত ইউনাইটেড কিংডম নামটা এসেছে।
(ছবির ক্রেডিট লেখকের। ২০১৪ সনে জুরিখের ফিফা হেডকোয়ার্টার থেকে তোলা।)
পাঁচ বছরের ব্লগ জীবনের অভিজ্ঞতায় দেখেছি এ ধরনের লেখা বিপদজনক। মানুষ খুব সহজে ভুল বোঝে এবং ভুল ব্যাখ্যাও করে। তাই লেখার শুরুতে একটা বিষয় পরিষ্কার করে নিতে চাই। আমার এই লেখার উদ্দেশ্য নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়কে একটা সুস্পষ্ট বিষয় সম্পর্কে অবিহিত করা। কোন রকম সমালোচনা করা নয় অথবা প্রাইভেট-পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ককে উস্কে দেয়া নয়। এছাড়া কোন ধর্ম বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে হেয় করাও নয়।
(ছবিঃ উইকিপিডিয়া থেকে নেয়া)