প্রথমেই আপনাদের ধন্যবাদ জানিয়ে নিচ্ছি আমার এই সিরিজের প্রতি আগ্রহ প্রকাশের জন্যে। শুরুতে যেভাবে বলেছিলাম, এখনও বলবো, আমার লক্ষ্য যারা বৃটেন এবং আয়ারল্যান্ডে পড়তে আসতে চান তাদের কাছে তথ্য পৌছে দেয়ার মাধ্যমে তাদের সচেতন করে তোলা। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বে আমি আলোচনা করেছি যথাক্রমে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং সেগুলোতে ভর্তির প্রস্তুতি নিয়ে। যারা এই পর্ব থেকে সিরিজটা পড়তে শুরু করেছেন, তাদের অনুরোধ করবো প্রথম দুটো পর্ব পড়ে আসার জন্যে। এই পর্বে আমি বিভিন্ন স্থানে ঐ দুটো পর্বে আলোচনা করা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ডিগ্রীর কথা উল্লেখ করবো।
আমার এ লেখার মূল উদ্দেশ্য প্রকৃত ছাত্রছাত্রীদের কাছে সহজ ভাবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করার পুরো প্রক্রিয়া তুলে ধরা। বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে ভর্তি সংক্রান্ত সব তথ্যই কয়েকটা মাউস ক্লিকের মধ্যে হাতের নাগালে চলে আসে। আবেদন করার প্রক্রিয়াটাও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইন করে দিয়েছে, এমন কি রেফারেন্স লেটার পাঠানোর ব্যবস্থা সহ। যে জানে ফেইসবুক কীভাবে ব্যবহার করে, সে আবেদনও করতে পারেবে নিজে নিজেই এবং কোন রকম এ্যাজেন্টের সাহায্য ছাড়াই।
গত শুক্রবার আসরের নামাযের পর সৌদি আরবের রিয়াদে “কেসাস”-এ আট বাংলাদেশীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এই কেসাস শব্দটা প্রথম শুনি ২০০৫ সনে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিনিয়ার ভাই বাবার কর্মসূত্রে অনেক দিন সৌদি আরবে ছিলেন। তাঁর মুখেই প্রথম শুনি কেসাসের বর্ণনা। সৌদি আরবে নামাযের পর (সাধারণত জুম্মার পর) মসজিদের পাশেই জনসম্মুক্ষে অপরাধীদের শিরশ্ছেদ করে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।