প্রিয় স্বাক্ষর,
নামের বানানটা ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমা করে দিও। আসলে তোমার সাথে আমার আগেই কথা বলা উচিত ছিল। কিন্তু বলবো বলবো করে কখন যে সময় শেষ হয়ে গেল বুঝে উঠতে পারিনি। আজ তাই মাঝরাতে তোমায় লিখতে বসা। আমার কেনো জানি অনেক কষ্ট হচ্ছে আজ, এক ধরনের অপরাধবোধ, মমতা আর অসহায়ত্ব। কিছু না করতে পারাটা কেন যেন মেনে নিতে পারছি না।
অগোছালো এবং অসংলগ্ন
জীবনের ডিসেম্বর
জীবনের ডিসেম্বরগুলো সবসময় অদ্ভূত।
হয়তো বা শীতকাল বিধায়। এখন পর্যন্ত এমন কোন অঞ্চলে ডিসেম্বর কাটানো হলো না যেখানে ডিসেম্বর মানে গরমকাল।
পর্ব চারঃ ব্লুবেরি
বিল।
গত ৩৫ বছর ধরে ব্লুবেরির চাষ করছে। প্রথমবার গাছ লাগানোর পর ৩ বছর লেগেছিল ফল ঘরে তুলতে। "মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ করিনি তখন। এতগুলো টাকা আর পরিশ্রম।"
"ভালবাসা আর ইচ্ছার কমতি ছিল না।" আমি উত্তরে বললাম। "ইয়াপ, প্যাসন অ্যান্ড উইল দ্যাটস অল আই হ্যাড।"
হতভম্ব নগরীর শেষ আলোটা নিভতে নিভতে প্রায় ১০টা বেজে যায়। এরপর শুধুই নীরবতা।
কেউ ঘুমিয়ে পড়েনি। আজকের দিনে ঘুমানো সহজ কাজ নয়। নিউরণে আগামীকালের চিন্তা। সব ধরনের পরিণতির কথাই সবাই ভাবছে, অধিকাংশ ভাবনাই পরস্পরচ্ছেদী, কিছু কিছু ভিন্ন। বিক্ষিপ্ত।
পর্ব তিনঃ মাইক
নামঃ মাইক
বয়সঃ ৪৮।
জন্মঃ মিসর
নাগরিকত্বঃ মার্কিন
পেশাঃ ক্যাবড্রাইভার
পর্ব ২ঃ মেগাবাস
আম্রিকায় সবচেয়ে বেশি দাম কিসের? সময়।
সময় নিয়ে হাইকোর্ট দেখানো লোকের এখানে অভাব নেই, কোম্পানির কথা নাই বা বললাম।
তো মাঝে পাসপোর্টের ঝামেলায় অন্য এক শহরে যাবার প্রয়োজন দেখা দিলো। উপায় পাওয়া গেল তিনঃ ১) গাড়ি ভাড়া ২) ট্রেন ৩) বাস
পর্ব ১: আম্রিকা সমাচার
আম্রিকার ছোট শহরগুলোতে বসবাস করার অনেক অসুবিধার মাঝে একটি—যাতায়াতের সমস্যা। বিশেষত নিজস্ব গাড়ি ছাড়া এখানে চলাচল একেবারেই অসম্ভব। প্রথম ছ'মাসে তা বোঝা হয়ে গেছে।
শহরে আসার আগে তেমন একটা খোঁজ খবর নেওয়া হয়নি। এবং সে ভুলের মাসুল পরের ক'মাস দিতে হয়েছে। ভাগ্য ভাল যে বাসা বিশ্ববিদ্যালয়ের খুব কাছে।
আগের দিন প্লেন থেকে নেমেই একটা ছবি তুলে ব্লগ পোস্ট করেছিলাম, লেখাটা তাই হয়ে গিয়েছিল ছোট। আজকেরটা কতটুকু হবে বলতে পারছি না, রাশিয়ান সময় সকাল নয়টা বাজছে প্রায়।
ছুটি দীর্ঘদিনের হলেও কাজ সাথে করে কিছু সবসময় আনা হয়। এর মধ্যে ল্যাপটপ নিয়ে আসা হয়নি, কাজ যাতে কম করা হয়। পেনড্রাইভে সব ফাইল অবশ্য নিয়ে রেখেছিলাম, যা বর্তমানে ল্যাপটপের সাথে দুই ফুট বাই এক ফুট এক ড্রয়ারে অবস্থান করছে।
"হুয়াই ইউ আর হিয়ার?"
ভাঙ্গা ভাঙ্গা ইংলিশে রুশ রমণীর জিজ্ঞাসা। কাউন্টারের এক পাশে দাঁড়ানো আমি তার বয়স বোঝার চেষ্টা করি। রুশ নারীদের বয়স বোঝা অধিকাংশ ক্ষেত্রে কঠিন, ভারী সাজসজ্জা আর পোশাকের ভিড়ে।
বিষয়টা এমন নয় যে, রাশিয়ান মেয়েরা দেখতে অসুন্দর। বিষয়টা হলো, তাহারা সর্বদা পরিপাটি (মেকাপ) থাকতে পছন্দ করে। ভিখারীর পোশাকও আমার পোশাকের চেয়ে দামী।