দড়ি ধরে টানতে টানতে শামলীকে নিয়ে উঠোনে ঢোকে কাশেম। প্যন্টের দড়িটা ওর কখন ছিঁড়ে গেছে, কোমড়ের কাছটা টেনে এনে বাঁধতে থাকে একসাথে। এই ফাঁকে শামলী উঠোনের কোনে ফুলগাছে মুখ গুঁজে দিতে যায়। কাশেম দৌড়ে গিয়ে গলার দড়িটা হাতে তুলে নিয়ে ফিরে আসে, ‘ও খালা, শামলীকে এই ধারে বেন্ধে দেব না গোয়ালে তুলে রাখব?’
‘গোয়ালেই তুলে রাখ বাবা,’ শানুর আম্মা বারান্দা থেকে হাত নাড়েন।‘আবু ভাই পরে ধোঁয়া দিয়ে আসবে যা।’
২০১৬ খ্রীষ্টাব্দ । ব্রিটিশ মিউজিয়াম।
‘এইটা কী বাবা?’ পাথরের মূর্তিটাকে দেখাল বিলি।
‘মিশরের পুতুল বাবা,’ বিলির বাবা হাসলেন, ‘কত রকমের খেয়াল ছিল ওদের। যা খুশি লিখে রেখেছে দেখ পুতুলের গায়ে।’
‘কী লিখেছে বাবা?’
‘কী আর লিখবে? কেবল সভ্য হয়েছে লোকগুলো! লিখতে শিখেছে এটাই তো বেশি! চল এখানে সময় নষ্ট করে আর লাভ নেই।’
৩০১৯ খ্রীষ্ট পূর্বাব্দ। মিশর।
খেতে বসে বাবার বিষম লেগে যায়। মুখে ভাত নিয়ে কী যেন বলতে চাইছিলেন, হঠাৎ কথাটা না বলতে গিয়েই গেল গলায় ভাত ঠেকে।
‘আহা, কী যে কর না! একটু রয়েসয়ে খেলেই তো পারো। দোকান কি তোমার পালিয়ে যাচ্ছে নাকি?’ মা রান্নাঘর থেকে দৌড়ে বেরিয়ে এসে বাবার মাথায় চাপড় দেন,‘একটু জল খাও। ঠিক হয়ে যাবে।’
‘হ্যালো, জিমি ভাই লেখাগুলো মেইল করেছিলাম, পেয়েছিলেন?’
‘হ্যাঁ নিলয়, কী অবস্থা আপনার? কালকেই চাইলাম আর আজকেই পাঁচটা গল্প লিখে পাঠিয়ে দিলেন?’
‘হ্যাঁ, এই তো লেখা হয়ে গেল।’
‘এত তাড়াতাড়ি কীভাবে লেখেন আপনি বুঝি না। কারো কাছ থেকে কপি-টপি করেন নি তো?’
‘আরে না, কার লেখা থেকে কপি করব আর?’
‘আমার কিন্তু ডাউট হচ্ছে বুঝলেন, সত্যি কথা বলেন মিয়া- কেসটা কী?’
‘বলব? ইয়ে...কাউকে বলবেন না তো?’