আজকে কোনোমতে অফিস শেষেই জ্যাম ঠেলে বাসায় ফিরেই কান্ধে ক্যামেরা নিয়ে দৌড় লাগালাম নজু ভাইয়ের বাসায়। যেতে যেতে ভাবছিলাম,আমিই মনে হয় সবার পরে যাচ্ছি। নজু ভাইয়ের বাসার নিচে এন্ট্রি খাতায় সাইন করতে গিয়ে চেক করে দেখলাম আমার আগে খুব বেশি পরিচিত নাম নাই। তার মানে আমি দেরি করিনাই।
আড্ডা শুরু হল। এইটা-সেইটা কত গল্প। গল্পের শেষ নাই।
আমার কিট লেন্স নষ্ট। পিচ্চি ৫০ এম এম লেন্সটাই ভরসা। ও...
আমার টেক্সচার্ড ছবি নিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব দেয়ার পর অনেকেই জানতে চেয়েছেন, এইগুলা কেম্নে করে? একটা টিউটোরিয়াল টাইপ কিছু দিতে অনুরোধ করেছিলেন।
আমি আসলে ফটোশপ তেমন পারিনা। টুক টাক যা পারি সবই নিজে গুতায় গুতায় বের করা। এইটা-সেইটা নানান কিছু দিয়া এক্সপেরিমেন্ট কইরা দেখি। কিছু ভালো আসে, আবার কিছু দেখলে বমি আসে। যাইহক আমি নিজে যেভাবে এই ছবিগুলো বানাই সেই স্টেপ গুলো এখানে দিলাম। হ...
আগের পর্ব এইখানে
আবার টেক্সচার্ড ছবি নিয়া বসলাম। ছবি নিয়া আমার খালি এক্সপেরিমেন্ট করার অভ্যাস। যেই ছবিগুলায় একটু-আধটু ঝামেলা থাকে, সেইগুলাতে এইটা-সেইটা নানান কিছু কইরা দেখি, কেমন লাগে। কখনো হয়ত ভালো আসে,কখনো কিছুই আসে না। কিন্তু এক্সপেরিমেন্ট করতে খুব ভালো লাগে এটা সত্যি।
অনেকদিন আগে এই এক্সপেরিমেন্টাল টেক্সচার্ড ছবি নিয়ে একটা ব্লগ দিসিলাম। মাঝে অনেক টেক্সচার্ড ছবি বানা...
সেদিন হঠাৎ নজু ভাইয়ের ফোন, " ওই কাউয়া, রিটন ভাইয়ের জন্মদিন। অফিস শেষ কইরা গলায় ক্যামেরা লইয়া আইসা পরেন। মিস কইরেন না। "
কেম্নে মিস করি? ছোটবেলার প্রিয় ছড়াকারের জন্মদিন পালন করব এক সাথে, আবার অনেকদিন পর সচলাড্ডা। পেট টা ভইরা গেলো খুশিতে।
কোনোমতে অফিস শেষেই জ্যাম ঠেলে বাসা থেকে ক্যামেরা নিয়া দিলাম দৌড় নজু ভাইয়ের বাসায়।
গিয়ে দেখি অনেকেই চলে এসেছেন। আড্ডাও জমে গেছে বেশ। তার পর আর ...
ঢাকায় কদিন ধরে ভালোই শীত পরেছে। গায়ে চাদর জড়িয়ে কোনো টং দোকানের চা বা রাস্তার পাশের গরম গরম ভাপা পিঠার সাথে আড্ডাগুলোও জমে বেশ। আর মাশ্রুমাড্ডার বিখ্যাত মাশ্রুম তো আছেই। ইদানিং সন্ধ্যা গুলো কাটছে ভালোই এখানে-সেখানে আড্ডায়।
সেদিন গেলাম ছবির হাটে। আড্ডায় অনেকদিন পর ইশতির সাথে দেখা। ইশতি অনেকটা আমার ছোট ভাইয়ের মতই। পড়ে বুয়েটে, আর্কিটেকচারে। দারুণ ফটোগ্রাফি করে আর খুব ঘুরে বেড়...
বিজয় দিবসের সকালে রাস্তায় নেমে দৌড়ে রিকশা ধরতে ধরতে নিজের উপর বিরক্ত হলাম। এইবার দেরী করে ফেললাম। আরো আগে কেন যে মরার ঘুম ভাংলো না। কুয়াশায় ঢাকা পথে রিকশায় যেতে যেতে অবশ্য বিরক্তিভাব কমছিলো রাস্তার চারপাশের লাল সবুজের ছোট্ট ছোট্ট মিছিল দেখে। দলে দলে সবাই যাচ্ছে ঢাকা ইউনিভার্সিটির দিকে। পরনে লাল-সবুজের কম্বিনেশন। আর হাতে পতাকা। দেখতে বেশ লাগে।
সুহাস ভাই আর রোয়েনারও আসার কথ...
আমার আগের একটা লেখায় বলেছিলাম, আমি থাকি দশ তলায়। এখান থেকে আকাশ টা খুব কাছের মনে হয়। আবার রাতের বেলা এই ঢাকা শহরের যে আলাদা একটা রুপ আছে, সেটা খুব ভালো দেখা যায়। রাতের বেলা বারান্দায় এমনি চুপচাপ বসে থাকাটা আমার অনেক পুরোনো অভ্যাস। আজও বসেছিলাম। কিন্তু চুপচাপ আর বসে থাকা গেল না।
রাত ১২ টা বাজে। আমি জানি আজ বিজয় দিবস। কিন্তু আমার চারপাশের অবস্থা দেখে আমি একটু চিন্তায় পরে গেলাম। আজ...
ছবি নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে আমার অনেক গুলা সমস্যার মধ্যে একটি হচ্ছে ছবির শিরোনাম কি হবে সেটা ঠিক করতে না পারা। তুল্লাম একটা ছবি, সাথে সুন্দর একটা শিরোনাম না দিতে পারলে মনে হয় কাজটা অসম্পূর্ন রয়ে গেলো। মাঝে মাঝে তাই আমার মাথার চুল গুলোর উপর অত্যাচার চলে শিরোনাম খুঁজে না পেয়ে। কি মুস্কিল।
এমনো হয়েছে, অনেক ছবি একেবারে ঠিকঠাক কিন্তু এই টাইটেল না পেয়ে ছবি গুলো এমনি হার্ড ডিস্ক এ পরে ...
আমাকে কেউ যদি জিজ্ঞেস করে,আপনি থাকেন কোথায়? আমি মুখে একটু ভাব-টাব এনে বলি " আকাশের কাছাকাছি "। বেশিরভাগ সময়ে কথা-বার্তা চলে অনেকটা এভাবে...
-তার মানে?
-মানে কিছু না, আমি যেখানে থাকি, সেখান থেকে আকাশটা অনেক কাছের মনে হয়।
-ছাদে থাকেন নাকি?
-না,থাকি বাসাতেই।
-তবে?
-থাকি ১০ তলায়। এখানে জানলা খুললে আকাশ, বারান্দায় গেলে আকাশ, আর ছাদে গেলে তো কথাই নেই। মাথার উপর শুধুই আকাশ।
ঠিক এই জায়গাটায় আম...
কবিতা লেখার সাহস বা সামর্থ, কোনোটাই আমার নাই। হঠাৎ খেয়ালি মনে মাথায় এলোমেলো কিছু লাইন আসলে ডাইরীর পাতায় টুকে রাখি, যদিও সেসব কবিতা বলতে আমার নিজের বড্ড দিধা হয়। তাই এটাকে ঠিক কবিতা না বলে কয়েকটি এলোমেলো লাইন বললাম। আর সাথে একটি ছবি জুড়ে দিলাম
----------------------------------------------------------------------------
ইদানিং কানে বড্ড পায়ের শব্দ শুনি
হ্যাঁ...পায়ের শব্দই বটে...অন্যকিছু নয়
ক্লান্ত কি? না বোধহয়, নয় ভীষন একাকী
ভ...