এই সিরিজটি ইউভাল নোয়া হারারি রচিত Sapiens: A Brief History of Humankind এর ধারাবাহিক অনুবাদ।
সত্যি বলতে কি, সেপিয়েন্স ও নিয়ান্ডারথালের মধ্যে প্রথম যে লড়াইয়ের ব্যাপারে জানা যায়, সেখানে নিয়ান্ডারথালরা জয়ী হয়েছিল। প্রায় ১০০,০০০ বছর পূর্বে, কিছু সেপিয়েন্স দল আফ্রিকা ছেড়ে উত্তরের লেভান্তে (আজকের দিনের লেবানন, জর্ডান, ইজরায়েল) পাড়ি দেয়, যা ছিল নিয়ান্ডারথাল রাজ্য। কিন্তু সেখানে ওরা শক্ত খুঁটি গাড়তে পারে নি। এর পেছনে সেখানকার হিংস্র অধিবাসী, রুক্ষ জলবায়ু কিংবা স্থানীয় কোনো পরজীবীর হাত থাকতে পারে। তবে যে কারণই এর পেছনে থাকুক না কেন, সেপিয়েন্সরা অবশেষে পিছু হটতে বাধ্য হয় এবং নিয়ান্ডারথালরা রয়ে যায় মধ্যপ্রাচ্যের হর্তাকর্তা।
(আগের পর্ব- লিংক)
কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার ফলে সবচেয়ে অসাধারন যে বিষয়টি ঘটেছিল সেটি হলো- রান্নার উদ্ভাবন।
ইউভাল নোয়া হারারি ইতিহাস পড়ান হিব্রু ইউভার্সিটি অব জেরুজালেমে। তাঁর রচিত বেস্টসেলার Sapiens: A Brief History of Humankind সম্প্রতি বেশ আলোড়ন তুলেছে। এরই মধ্যে এই বইটি প্রায় ৩০টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। বইটিতে লেখক মানব জাতির বিবর্তন থেকে শুরু করে আধুনিক যুগের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিপ্লবের নানা বিষয় অত্যন্ত দারুণভাবে বর্ণনা করেছেন। সবচেয়ে আগ্রহোদ্দীপক ব্যাপার হলো, বিভিন্ন বিশ্লেষণে তিনি ব্যবহার করেছেন বিবর্তনীয় জীববিদ্যার নানা সিদ্ধান্ত। বইটির বাংলা অনুবাদ শুরু করার দুঃসাহস দেখিয়েছি। অনুবাদ নিয়ে সকলের মতামত কামনা করছি। যে কোনো ধরনের ভুলত্রুটি শুধরে দিলে কৃতজ্ঞ থাকব।
[justify]জাফর ইকবাল স্যারকে নিয়ে সম্প্রতি বেশ তর্কবিতর্ক চলছে ফেসবুক আর ব্লগে। দু পক্ষই যুক্তি কিংবা কুযুক্তি দিয়ে নিজের অবস্থান থেকে বেশ কয়েক ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। আমি এ বিতর্কে হয়ত নতুন কিছু যোগ করতে পারব না, তবে নিজের চিন্তাটুকু সবাইকে জানাতে চাই।
[justify]কাজটা অনেকবারই করেছেন, আজ আবার করে দেখুন। কাওকে খুব জটিল কোনো প্রশ্ন করুন। ভাবুন তো তার প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে? সবচেয়ে বড়ো সম্ভাবনা যেটা সেটাই বলি। তারা চোখ বন্ধ করে কিংবা আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবতে থাকবে। এটাই এ লেখার পয়েন্ট। কেন বেশিরভাগ মানুষ জটিল কোনো বিষয় নিয়ে ভাবার সময় কিংবা প্রশ্নের উত্তর দেবার সময় চোখ বন্ধ করে ফেলে?
কিছুদিন আগেও এ প্রশ্নটির কোনো সদুত্তর বিজ্ঞানীদের কাছে ছিলো না। তবে ধীরে ধীরে অনেক কিছুই বেরিয়ে আসছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন প্রশ্নটির উত্তর আমাদের মস্তিষ্কে লুকিয়ে আছে। আসলে আমরা যখন পুরনো কোনো তথ্য কিংবা স্মৃতি মনে করার চেষ্টা করি তখন মস্তিষ্কের যে অংশটি সক্রিয় হয়ে ওঠে ঠিক সেই অংশটিই আবার আমাদের চোখ দু’টো থেকে প্রাপ্ত ডাটা বিশ্লেষণ করে।
‘বই’ নামক জিনিশটিকে কীভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায়? বিজ্ঞজনের বক্তব্য আর সমস্ত অভিধান এক পাশে সরিয়ে রাখি। এখন নাকি ডিজিটাল যুগ। তাই ‘বই’কে ব্যাখ্যা করতে গেলেও এর মাঝে ‘ডিজিটালত্বে’র ছোঁয়া ত অবশ্যই থাকতে হবে। তবে আমার ধারণা, বইয়ের সংজ্ঞা একেক জনের কাছে একেক রকম। প্রতিটি মানুষই বইকে তার নিজের মতো করে অনুভব করে। কারো কারো কাছে কিছু বই সাক্ষাৎ যমের মতো, যাদেরকে পরীক্ষার আগে দেখলেই শরীরের তাপমাত্রা উর্ধ্বমুখী হয়; কারো কারো কাছে কিছু বই আবার বউয়ের মতো যাদেরকে জড়িয়ে ধরে ঘুমায়!
[justify]কীটপতঙ্গে বেশিরভাগ মানুষেরই যেন এলার্জি আছে। অনেকে দু’চোখে দেখতে পারে না কোনো কীট। এই যে তাদের এই অপছন্দটা একবারে অযৌক্তিক - সেটাই বা কী করে বলি? রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে গেল আর কিছুক্ষণের মধ্যে আপনি টের পেলেন একটি হৃষ্টপুষ্ট তেলাপোকা আপনার শরীরকে আমিউসমেন্ট পার্ক মনে করে মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে!
[justify]
আমার এক বন্ধুর বলা প্রশ্নটা ছিল অনেকটা এমন দু’টি বন্ধ কামরার একটায় কোনো ছেলে আর অন্যটায় কোনো মেয়ে থাকলে বাইরে থেকে কীভাবে বোঝা সম্ভব যে কোন কামরায় কে আছে? আমি নানান ধরনের উত্তর দেয়ার পরও যখন তা মনঃ পুত হলো না তখন তার উত্তর জানতে চাইলাম। যে বলল,দুই রুমেই বেশ কিছুই তেলাপোকা কোনোভাবে ঢুকিয়ে দিতে হবে আর যে কামরা থেকে চিৎকার শোনা যাবে সে কামরায় মেয়েটা আছে!