প্রথম আলো শীর্ষ পর্যায়ের রাজনৈতিক এবং রাজনীতি সংশ্লিষ্ট আমলা ও কর্মচারীদের দুর্নীতির কথা প্রকাশ করছে আন্তরিকতা নিয়ে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার পর থেকেই তাদের এই প্রচেষ্টা ছিলো লণীয়। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সংবাদ পত্রের ভুমিকা নিয়ে তাদের অনেক বক্তব্য ছিলো তবে এমন তদন্ত রিপোর্টিংয়ের কোনো সুযোগ সম্ভবত ছিলো না জোট সরকার আমলে।
আমার আশা তারা যেসব দুর্নীতির কথা প্রকাশ করছে সেসব দুর্নীতিকে প্রমাণ করতে পারে এমন সব নথি তাদের কাছে আছে। ব্যক্তিগত অসুয়া চরিতার্থ করার জন্য সংবাদপত্রের ব্যবহার নিয়ে উদ্ভুত প্রশ্নের সদুত্তর দেওয়ার জন্যই এটা প্রয়োজন।
ইস্কান্দার সাহেবের এবং মীর নাছিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের প্রতিবাদ করেছেন শামীম ইস্কান্দার।যথারীতি যেমন হ
বর্তমানে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চলছে বাংলাদেশ। দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, এমন ধারনা মানুষের, তবে সেনাবাহিনী রাস্তায় নামলে মানুষ আইনানুগ হয়ে উঠে এটার কারণ কোনো অবস্থাতেই সেনাবাহিনীর ন্যায়নিষ্ঠতা নয় বরং মূলতঃ আতঙ্ক। দেশের অতীত ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায় 58 থেকে 71, 75 থেকে 90 এবং বর্তমানের 2007 এর ভেতরে বাংলাদেশে যারা জন্ম নিয়েছে এবং যারা মৃতু্যবরণ করেছে তাদের সবার জীবনেই ছাপ রেখে গেছে জলপাই রং।
সেনাবাহিনী স্বভাবে নেকড়ে,যুথবদ্ধ শৃঙ্খলাপরায়ন ঘাতক। শুধুমাত্র 71এর যুদ্ধাকালীন সময়ে ছাড়া অন্য কোনো সময়ই সেনাবাহিনীকে সাধারণ নাগরিক তাদের অন্তর্ভূক্ত ভাবতে পারে নি। সেনাবাহিনী দেশের নাগরিকবিচ্ছিন্ণ একটা সম্প্রদায় যাদের নিয়মতান্ত্রিক ক
কবে নির্বাচন হবে এই নিয়ে উত্থিত সন্দেহের নিরসন হয় নি এখনও। সেনাবাহিনীত সহায়তায় বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার যখন জানুয়ারীর 12 তারিখে ক্ষমতার অধিগ্রহন করে এর পরপরই বাজারে গুজব ছিলো নু্যনতম 2 বছর মেয়াদে তারা থাকবে। তবে আওয়ামী লীগের নেতৃ শেখ হাসিনা জুনের ভেতরে নির্বাচনের দাবী জানিয়েছেন আর বি এন পির প্রধান খালেদা জিয়া দাবি জানিয়েছেন জুলাইয়ের ভেতরে নির্বাচনের।
বোধ হয় বাংলাদেশেও পাকিস্তানী গনতন্ত্র আমদানী হবে। সেখানে বর্তমানের পারভেজ মোশাররফ গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন। তিনি সফল বলা যায়, যুক্তরাষ্ট্রিয় গনতন্ত্র প্রবর্তিত হয়েছে সেখানে। স্বৈরতন্ত্র বিরোধী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেহেতু প্রকাশ্য রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা অব্যাহত রেখেছে- তাই পাকিস
প্রতি বছর দিবস উদযাপন চলে। বিশেষ সংখ্যা আসে বাজারে, স্মৃতিচারণের বন্যা বয়ে যায়। বিশেষ সে দিনের সাম্ভাব্য সব ঘটনা আমরা জানতে পারি। এসব আয়োজন আসলে গুরুত্বপূর্ণ। দিবসজীবি আমরা কিছু উপলক্ষ্য খুঁজে পাই জীবনে। নিয়ম করে জন্মবার্ষিকি পালন, সে নিজের হোক আর বিখ্যাত লোকের হোক, অভ্যাস হিসেবে মোটেও খারাপ না।
আমি নিজে দিবস উদযাপনটাকে উপভোগ করতে পারি না। জাতিসংঘ 21শে ফেব্রুয়ারীকে আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস ঘোষণা করেছে। আমাদের 21 বললে ভালো লাগে শুনতে। আমরাই পৃথিবীতে একমাত্র জনগোষ্ঠি যারা ভাষার জন্য 2 বার লড়াই করেছি। প্রাণ দিয়েছি।
অবশ্য 21শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস ঘোষণার সাথে সহযোগী কিছু বক্তব্য আছে। মানুষের ভাষা মানুষের সংস্কৃতির ধারক- বাহক।
ইউনুস সাহেন ঢাকঢোল পিটিয়ে রাজনীতিতে আসছেন। চলতি মাসের শেষে তিনি দলগঠনের ঘোষণা দিবেন। অবশ্য চাইলেই তিনি দল গঠন করতে পারবেন না। জরুরি অবস্থার নীতিমালার লঙ্ঘন করে তার দলগঠনের প্রক্রিয়াকে সহজসাধ্য করার জন্য হয়তো আগামি মাসের প্রথম দিকে জরুরি অবস্থা শিথিল করা হবে। দেশের রাজনীতিঅঙ্গন সচল হবে সীমিত পর্যায়ে।
বিউটেনিস আগামি মাসে অবকাশে যাচ্ছেন। নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদুত হয়তো নতুন কোনো নির্দেশনা নিয়ে আসবেন বাংলাদেশে। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের আভ্যন্তরীন বিষয়ে পররাষ্ট্রের খবরদারী কুটনৈতিক শিষ্ঠাচারঅতিরিক্ত হয়ে গেছে। সবাই আমাদের শেখাতে উদগ্র ীব কিভাবে দেশ শাসন করতে হবে।
তৃতীয় শক্তি হিসেবে একটা পৃথক দলের ভাবনা মোটেও নতুন কোনো ধারনা নয়। সামপ্রদায়িক দলগুলো
আমাদের জাতীয় সমস্যা বোধ হয় অহেতুক উলম্ফন। দেশ জুড়ে রাজনীতিবিদ আটক করার প্রক্রিয়া চলছে, তারা দূর্ন ীতিবাজ, এ কথাটাও মিথ্যা নয়, তাদের আটক করাই উচিত। তারা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অনেক রকম অন্যায়ের পৃষ্টপোষকতা করেন। তবে তারা নিজস্ব প্রচেষ্টায় এসব করতে পারেন না। তাদের সহযোগিতা প্রয়োজন হয়, এবং এই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় প্রশাসন। আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় রাজনীতিবিদদের দূর্ন ীতি প্রবাহিত হয় দেশের ভেতরে। এসব আমলাদের যারা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে পারেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়ার কাজটাও শুরু করা দরকার ছিলো।
ফৌজদারী আইনের একটা ধারা যা আমাদের সংবিধানেও সংযুক্ত তা হলো আটক করার সর্বোচ্চ 24 ঘন্টার ভেতরে আটক ব্যক্তিকে নিকটস্থ ম
বাংলাদেশ যখন ধারাবাহিক ভাবে বিশ্বনিন্দিত হলো দূর্ন ীতিগ্রস্থ দেশ হিসেবে, বিশ্বের প্রথম 10টি দূর্ন ীতিপ্রবন দেশের উপরের সারিতে বাংলাদেশের নাম দেখার পর সরকারী দল নাখোশ ছিলো। তবে দাতা দেশগুলোর চাপে পড়ে একটা স্বাধীন দূর্ন ীতি দমন কমিশন গঠন করতে বাধ্য হলো। অবশ্য বিকলাঙ্গ এই প্রতিষ্ঠানের রূপরেখা কিংবা নীতিমালা কোনো ভাবেই তাকে স্বয়ংসম্পূর্ন কোনো প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহি্নত করতে পারে নি এবং বাস্তবতা হলো এটা কোনো অর্থেই সফল কোনো প্রতিষ্ঠান ছিলো না।
দূর্ন ীতিদমন কমিশনকরে পুনর্গঠন করা হচ্ছে, তাদের ক্ষমতা বাড়ানো হবে, তাদের অর্থব্যাবস্থাপনার দায়িত্বও তাদের দেওয়া হবে, সুপারিশ আছে তাদের জরুরী ভিত্তিতে লোক নিয়োগের ব্যাবস্থা করতে হবে। সর্ষের ভেতরের ভুত তাড়া
বাংলাদেশের সামপ্রতিক অবস্থা আমাকে বিমর্ষ করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতিটা পদক্ষেপে পরিকল্পনাহীনতার ছাপ স্পষ্ট। তারা ভালো পদক্ষেপ নিতে আগ্রহী তবে তাদের জীবনযাপনের অভ্যাস তাদের যেভাবে গড়ে তুলেছে বাংলাদেশের 95% মানুষের জীবনযাপনের অভ্যাস তেমন নয়। হয়তো অতিজ্ঞানী মুর্খতা তাদের বিবেচনাহীন করেছে।
তাদের পরিকল্পনার ভেতরে দেশের প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসায়ীমহলকে তুষ্ট করার স্বভাবটাও স্পষ্ট। অবশ্য তাদের নিজস্ব পেশার প্রতি বিন্দুমাত্র অশ্রদ্ধা প্রকাশ না করেই বলি- " বার্ডস ওফ সেম ফেদার ফ্লকস টুগেদার"- আমাদের সিশীল সমাজীয় স্তরায়নে যেহেতু উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেনীটাই প্রধান নির্ণায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ তাই তাদের নিজস্ব জীবনযাপনের সত্যকে তারা সবার জন্য সঠিক মেনে নিয়ে
বিগত লেখায় সংশয় প্রকাশ করেছিলাম, তত্ত্ববধায়ক সরকারের তত্ত্ববধান করবে কে? রাষ্ট্রপতি অথর্ব এবং নৈতিক যোগ্যতাহীন একটা অবস্থানে নিজেকে নিমজ্জিত করেছেন।তাই তার পক্ষে হাল ধরা সম্ভব না। এবং তার অক্ষমতা এবং অথর্বতা এবং নৈতিকতাহীনতার দায় বহন করছে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের সকল নাগরিক। কিছু উন্নাসিক মানুষ অবশ্য আমার অবস্থানকে পছন্দ করবেন না। আমার ভেতরে এই তত্ত্ববধায়ক সরকার শুধুমাত্র ঋণাত্বক অনুভুতির জন্ম দিচ্ছে।
এত ফলাও করে কার্যত অকার্যকর দেশ বলে ব্যাপক প্রচারণার পর দেশকে গতিশীল এবং গনতান্ত্রিক করার জন্য এ তত্ত্ববধায়ক সরকারের অবতারনা। এবং এই তত্ত্ববধায়ক সরকার ভীষণ রকম অগনতান্ত্রিক আচরন করছেন।
গনত্নরের প্রধান দাবী স্বচ্ছতা এবং তথ্যের অবাধ প্রবাহ, ই
হীরক রাজার দেশে যে সময়ের ধারাবাহিকতায় নির্মিত হয় ঠিক একই রকম একটা উটকো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বর্তমানে। জরুরী অবস্থা আরও কঠোর করা হয়েছে। বর্তমান নির্দেশনা অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রায় ঐশ্বরিক একটা আবহ নিয়ে এসেছে- কোনো রকম প্রশ্ন করা যাবে না, কোনো রকম মত প্রচার করা যাবে না যার রাজনৈতিক একটা ভবিষ্যত আছে। মানুষ মাত্রই রাজনৈতিক চরিত্র ধারন করে অতএব মানুষের সবগুলো আলোচনার ভিতরে কোথাও না কোথাও রাজনীতির গন্ধ আছে। মানুষ কি তবে আলোচনা বন্ধ করে দিবে?
প্রধান উপদেষ্টা তার উদ্্বোধনী ভাষণে যা বলেছিলেন তা থেকে আচমকা সরে এসেছেন। যেখানে মানুষের মৌলিক অধিকার সংবাদ পত্রের স্বাধীনতার সীমিত লঙ্ঘন হবে অনুমান ছিলো সেখানে এখন ভয়ংকর একটা নির্দেশ জারি হয়েছে। এবং এই আ