নোটিশ বোর্ড
আমি নিজস্ব বিবেচনায় বলছি- আমি উটকো জরূরি অবস্থা ঘোষনার বিপরীতে অবস্থান নিয়েছি, এবং আমি এই জরুরী অবস্থা ঘোষনার সমালোচনা করতে চাই- যেহেতু মানুষের প্রতিটা আচরনই রাজনৈতিক তাই আমার প্রশ্ন আপনাদের কাছে-
আমার সৎ সমালোচনা করার অধিকার আছে কি নেই এখানে।
কিংবা তত্ত্ববধায়ক সরকারের সমালোচনা করলে সেটা ব্যান কিংবা নিষিদ্ধ ঘোষিত হবে কি না। তথ্য নিয়ন্ত্রন করা সম্পুর্ন অগনতান্ত্রিক একটা ব্যাবস্থা মনে করি আমি- এবং আমি বলতে চাই এবং প্রচার করতে চাই তথ্য নিয়ন্ত্রন, খরব সেন্সর এসব অহেতুক হয়রানী থামানো হোক অবিলম্বে-
এই নিজস্ব কথা লিখার জন্য আমার কতটুকু স্বাধীনতা আছে এখানে লেখার তা জানালে বাধিত হইতাম।
বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ প্রক্রিয়া অবশেষে শুরু হলো। রায় ঘোষিত হওয়ার 7 বছর অতিবাহিত হওয়ার পর এটা বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ নেয় নি নির্বাচিত সংসদ। প্রথম দফায় আওয়ামী লীগ এবং এর পরে চার দলীয় জোট এই বিচার বিভাগকে পৃথক করার সৎসাহস অর্জন করেন নি। 2001এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এই একটা বিষয়ে 2 নেত্রি সহমত ছিলেন, তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে এই রায় বাস্তবায়ন না করার অনুরোধ করে বলেছিলেন, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের এটা বাস্তবায়নের সুযোগ দেওয়া হোক।অবশ্য এর পরও নোটিশ এবং সময় প্রর্থনা চলছিলো বিধিমতো। এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই রায় বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছেন।
যদিও বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে এই প্রশ্নটা থেকেই গেলো। পুলিশের ভূমিকা কি হবে? তাদের কি বিচার বিভাগের হাত
ইয়াজউদ্দিন সাহেব প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন, সংবাদমাধ্যমে যেভাবে ঘটনাটা উপস্থাপিত হয়েছে তাতে সশস্ত্রবাহীনির ভুমিকা এতে প্রধান এমন একটা ধারনাও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ইয়াউদ্দিন যেভাবে নিজের ব্যার্থতা স্ব ীকার করেছেন গনমাধ্যমে তাতে তার অথর্ব চরিত্রটাই প্রকাশিত হয়েছে। এমনটা স্পষ্ট হয়েছে যে ব্যাপক দলীয় করনের যে অভিযোগে মহাজোট আন্দোলন করছিলো সেটা সঠিক একটা আন্দোলন ছিলো।
বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন বিষয়ে বৈদেশিক হস্তক্ষেপ কুটনৈতিক শিষ্ঠাচারের লঙ্ঘন হলেও এমন বিভিন্ন দাতাদেশের কুটনৈতিকরা নিয়ম করেই আমাদের কিভাবে দেশ চালাতে হবে এ জ্ঞান দিয়ে যান, আমাদের মেরুদন্ডহীন ইতর সাংবাদিকেরা আবার তাদের সামনে দাঁড়িয়ে তাদের বিশেষজ্ঞ পরামর্শ সবাইকে জানানোর দায়িত
1971এ পাকিস্তানী সৈন্যবাহিনীর নৃশংসতার কথা বর্ণনার ভাষাগত শৈলী অপ্রয়োজনীয়। বিষয়টা এতবেশী অমানবিক যে সাধারন মানুষ খুব সাধারন ভাবেই তাদের নৃশংসতা উপলব্ধি করতে পারবে। খুব বেশী ভাষাগত শৈলী নিসপ্রয়োজন।
1971 এ 8ই এপ্রিল, ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ড এ প্রত্যক্ষদর্শিদের বর্ণনায় একটা প্রতিবেদন ছাপানো হয়। 15 জন শরনার্থি বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যান, তাদের সাক্ষাৎকার নিয়ে ছাপানো এই প্রতিবেদনের নৃশংসতা বা বর্বরতার কোনো তুলনা আসলে নেই।
1945 সালে যখন 2য় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্ত হয় সামগ্রিক অমানবিকতায় মুঢ় বিশ্ব জেনেভা কনভেশনে যুদ্ধাপরাধের একটা নীতিমালা নির্দিষ্ট করে দেয়। সেই নীতিমালা অনুয়ায়ী বেসামরিক এবং শস্ত্রহীন মানুষের উপর সৈন্যবাহিনীর পরিকল্পিত হামলাকে যুদ্ধাপরাধ ব
যখন আওয়ামী লীগ হঠাৎ করে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল আমার বেশ আশ্চর্য লেগেছিল, এত দিনের আন্দোলনের ধারার বি
বাংলাদেশে সুশীল গনতন্ত্র প্রবর্তনের একটা প্রচেষ্টা চলছে। সুশীল সমাজ ব্যানার নিয়ে একদল কেতাদুরস্ত মানুষ সুশাসন, নাগরিক অধিকার, রাষ্ট্র নীতিমালা সংশোধন জাতিয় বিভিন্ন দাবী নিয়ে হাজির হচ্ছেন সংবাদপত্রের প্রথম পাতায়, তারা হাজার হাজার সেমিনার, সিম্পোজিয়াম করছেন, রাষ্ট্র ভবনে যাচ্ছেন চা চক্রে যোগ দিতে, সন্ধ্যার পর যাচ্ছেন দুতাবাস পাড়া সেখানে তাদের সন্ধ্যাকালীন আড্ডা বসবে, তবে আমি অনেক চেষ্টা করেও এই সুশীল সমাজের কেতা ধরতে পারলাম না। কোন কোন শর্ত পালন করলে একজন সুশীল হয়ে উঠবে এমন কোনো নীতিমালা এখনও হাতে আসে নি, তাই এত দিন দেখে শুনে যা বুঝলাম তাই আমার কাছে সুশীল সমাজ।
সুশীল সমাজ নামক শ্লোগানটা তৈরি করেছে দৈনিকগুলো, তাদের মতাদর্শ প্রচারের জন্য বিভ
কদিন আগে একজনের একটা পোষ্ট পড়ে আশ্চর্য হলাম, মানুষের চেতনার অভাব কিংবা মানুষের কুশিক্ষা কিভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করে রাখে তার একটা নিদর্শনও দেখতে পেলাম। সেই পোষ্টের বিষয়বস্তু ও যুক্তি ছিলো ধর্মিয় রাজনীতি ও ধর্ম নিরপেক্ষ রাজনীতি দুটাই ধর্ম নিয়ে রাজনীতি। এমন প্রস্তাবনা কেউ সামনে নিয়ে আসলে তার মানসিক সুস্থতাকে প্রশ্ন করা যায়, প্রশ্ন করা যায় তার বিশ্লেষণ ক্ষমতাকে। তার অবস্থান বর্তমান সমাজের প্রেক্ষিতে ঠিক কোন অনগ্রসর সভয়তায় এই নিয়ে একটা কৌতুকালোচনাও শুরু করা যেতে পারে। অনেকেই অনেক মন্তব্য করেছেন সেই লেখায়- বিজ্ঞ লেখক তার ব্যাখ্যা বিশ্লেষনও দিয়েছেন। তবে সেসব পড়ে তার মানসিক সুস্থতার অভাব সম্পর্কে প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়া যায়। এই মানুষটা কোনো দিনও
সভ্যতার অগ্রসরতা পরিমাপের জন্য স্থানিক কিছু পরিমাপাঙ্ক আমরা নির্ধারণ করে দিতে পারি, হয়তো এসব পরিমাপাঙ্ক ব্যবহৃত হচ্ছে সভ্যতার অবস্থান নির্ণয়ের জন্য। এসব মানদন্ড কোনো স্থির বিষয় নয় তবে সভ্যতার ক্রামবিকাশ পর্যবেক্ষণ করে আমরা এমন কিছু মানাংককে স্পষ্ট চিহি্নত করতে পারি যা সভ্যতার অগ্রগতির পরিমাপক।
এ কথা স্মরণ রাখা প্রয়োজন সভ্যতা মানুষের পারস্পরিক সম্পর্কের জটিলতার সাথেও সম্পর্কিত। যন্ত্রব্যবহার জাতীয় বস্তুগত উৎকর্ষতাও সভ্যতার অগ্রসরতা পরিমাপের মনদন্ড হয়ে উঠতে পারে। প্রযুক্তির ব্যবহার, স্থাপনা নির্মানের দক্ষতা, এসব প্রত্নতাত্তি্বক বিষয়ও সভ্যতার অগ্রসরতা পরিমপের প্রামান্য দলিল হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।
নৃতাত্তি্বক পর্যালোচনায় সম্পর্কের ভিত্তি,
এটা আমার এক বন্ধুর কল্যানে পাওয়া যুক্তি, তবে আমার চমৎকার লেগেছে বিষয়টা। সূচনা হিসেবে এটা আমার পছন্দ হয়েছে- অনেক দিন পরে মনে হলো ধর্ম নিয়ে অনেক বড় করে কিছু লেখার ইচ্ছা ছিলো, নৃতত্ত্ব এবং সভ্যতার বিবর্তন নিয়ে লেখার ইচ্ছাও ছিলো- কোনো এক কারনে সম্ভব হয় নি সমাপ্ত করা।
নামাজের এবং ওজুর নিয়মকানুন নিয়ে অনেক কিছুই বলা আছে। যেসব কারনে ওজু নষ্ট হয় তার একটা হলো বাতকম্ম সম্পাদন, নামাজের মাঝে যদি কারো বায়ু নির্গত হয় তবে তার ওজু নষ্ট হয়ে যায়। তবে সমস্যা হলো ওজু করার সময় যেসব নিয়ম কানুন পালিত হয় তার কোনোটাই ঠিক পশ্চাতদেশ পরিস্কারের মতো বিষয় না।
কথা হলো বায়ুনির্গত হয় যে স্থান থেকে সেই স্থান পরিস্কার না করে হাত পা মুখ মাথার চুল ধুলে কিভাবে পবিত্র হয়ে নাম
চার উপদেষ্টা পদত্যাগ করেছেন, তাদের পদত্যাগের কারনও তারা ব্যাখ্যা করেছেন সংবাদমাধ্যমের কাছে। দায়িত্বপালন করতে পারেন নি সঠিক ভাবে তারা কিংবা তাদের দায়িত্বপালনের মতো যোগ্য পরিবেশ সৃষ্টি হয় নি। যেহেতু কাজের পরিবেশ আর নেই তাই তাদের এই পদত্যাগকে আমি সঠিক সিদ্ধান্তই মনে করি।
যদিও সংবাদমাধ্যমের সামনে সবচেয়ে বেশী এসেছেন এই চার জন , আসিফ নজরুলের ভাষ্যমতে এরা এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে যতটা কাজ করতে পরেছেন অন্য কেউ ততটা কাজ করতে পারেন নি। আমার প্রশ্নটা তখনই মনে হলো কেনো আসিফ নজরুল সাহেব এমন একটা কথা বললেন। তার বিজ্ঞতা নিয়ে সন্দেহ নেই, তিনি বিখ্যাত শিক্ষক, তার কেনো মনে হলো েই 4 উপদেষ্টা প্রচুর দািত্ব পালন করেছেন। আসলেই কি তারা টাদের উপর ন্যাস্ত কর্