আমি ভীষন লজ্জিত একজন শিক্ষকের অধঃপতনে। একজন শিক্ষকের কাছে আমাদের যেমন প্রত্যাশা ছিলো। যেভাবে শৈশবে আমাদের শেখানো হয়েছে শিক্ষক আমাদের দ্্ব ীতিয় পিতা যারা আমাদের জ্ঞান দিয়ে দ্্ব ীতিয় জন্ম দেন পৃথিবীর বুকে, সেই আশৈশব বিশ্বাসের ক্ষয় দেখেছি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
আমাদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা, যারা আমাদের শিক্ষার ভিত্তি তৈরি করেন তাদের আন্দোলনে তিনি নিরব থাকেন। কোন সহমর্মিতার বাণী আমরা পাই না তার কাছে। অবশ্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। অনেক উচ্চ শিক্ষিত, ভালো ছাত্র হিসেবে বিস্তর সুনামও ছিলো তার একদা। এহেন ভালো মানুষটা হঠাৎ করেই অধঃপতিত হলেন- সত্য আসলে এমন বজ্রাঘাতের মতো অমোঘ নয়, পতন হয়তো সেই বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের সূচনা থেকেই।1973 এ বি
পাকিস্তানে সূচনা থেকেই গনতন্ত্রের চর্চা ছিলো তবে পাকিস্তান সূচনা থেকেই সমাজতান্ত্রিকদের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত, এখানের বামপন্থি মানুষেরা কিছু হলেই সি আই এ আর যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিয়ে অভ্যস্ত।কার্যকরণ যাই হোক তবে ট্রুম্যান প্রশাসনের কুটনৈতিক নথি মুক্তকরন প্রক্রিয়ায় এখন এই সত্য প্রকাশ হয়েছে যে পাকিস্তানে তথা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে যেনো সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন শক্তিশালী না হতে পারে তাই যুক্তরাষ্ট্র ইউসিস এর মাধ্যমে এবং অন্যান্য উপায়ে সমাজতন্ত্রের বিরোধিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। এই কারনে তারা মৌলবাদী দলগুলোকে সহায়তার সিদ্ধান্ত নেয়।
বেশ কয়েক দিন আগে "চোর" নামক ব্লগারের পোষ্টে আমার মন্তব্য ছিলো মওদুদী পূঁজিবাদের সুবিধাভোগী মানুষ, সর্ব
বাস্তবতার অনেক রূপ থাকে তবে সবাই নিজস্ব বিবেচনায় বাস্তবতা স্ব ীকার করে নেয়। ব্যাক্তির অবস্থান নির্ভর এই বাস্তবতা অস্ব ীকার করার কোনো উপায় নেই এখন। শুধু মাত্র গুটি কয় মানুষের মর্জিমফিক চলে বাংলাদেশ এখন ব্যার্থ রাষ্ট্রের পরিচয়ও ধরে রাখতে পারছে না ।
বাংলাদেশকে যখন ব্যার্থ রাষ্ট্রের তকমা লাগানো হলো তখন আমার জাতিয়তাবোধ আক্রান্ত হয়েছিলো। প্রায় অসম্ভব হলেও আমি বাংলাদেশ নিয়ে আশাবাদী ছিলাম, সেই আশাবাদের প্রদীপের সলতে এখন নিঃশেষ। আমার সংস্কার স্মৃতি পরিচয় ভাসা সব কিছুই এই একটা নামের সাথে জড়িত।বাংলাদেশ নিছক একটা সমস্যাসংকুল ভূখন্ড নয় আমার আত্মপরিচয়।
সামন্ততন্ত্র ঠিক মতো জাঁকিয়ে বসার আগেই ঔপনেবিশকটার ছোঁয়াচ পেয়েছি আমরা- আমাদের মানসিক গঠনের ধারাবাহ
নগ্ন নির্জন হাত যেমন রিক্ততার চিত্রকল্প হয়ে উঠে, যে হাতে শাঁখা নেই, বালা নেই, কোনো স্বর নেই, আদিগন্ত আকাশের মতো উন্মুক্ত, কোনো বন্ধন নেই সেই হাতে- জীবনানন্দের উপন্যাসগুলোও এমন রিক্ত পরাজিত জীবনের চিত্রকল্প। পরাজিত মানুষের গল্প মনে হলো তার প্রথম লেখা 3টা উপন্যাস পড়ে। এমন নয় যে এই 3টির বাইরে জীবনানন্দ কোনো উপন্যাস লিখেন নি, তবে এই উপন্যাস গল্পগুলো লেখার সময়কালটা এমন যে এই সময় জীবনানন্দের স্বকীয় গদ্যের উন্মেষ হচ্ছে। জীবনানন্দের বাক্যগঠন রীতি তৈরি হচ্ছে এই সময় কালে, 1928 থেকে 1933 এই সময় কালে জীবনানন্দ ইচ্ছাকৃত বেকার জীবন যাপন করেছেন, তার বিবাহ হয়েছে, তার সন্তান হয়েছে, এই তথ্যগুলোও এই উপন্যাসপঠনের সাথে মনে রাখতে হবে।জীবনানন্দের কবিতার ভেতরে যেম
আজিজ সাহেব সামান্য এক দাবার ঘুটি এমন সন্দেহটা ছিলো আমার, আপাতত সংবাদ দেখে এমনটাই মনে হচ্ছে আমার, বেচারাকে সামনে রেখে নির্বাচন সংক্রান্ত জটিলতা তৈরি করতে চেয়েছিলো বি এন পি এবং সেটাতে সফল তারা। এমন কৌশলে সফল হলেও আদতে এটাতে কাজ হবে বলে মনে হয় না। বি এন পি আজিজ ইসু্য থেকে সরে আসবে , এখন যেমন সংবিধান সম্মত যেকোনো সমাধান তারা মেনে নিতে প্রস্তুত তেমনটা আজিজ বুঝলো না কেনো। দলের সহায়তা পাওয়ার সম্ভবনা সব সময়ই কম ছিলো তার, এমন কি আমার এখন মনে হচ্ছে চার দলীয় জোটের পরিকল্পনায় আজিজ সাহেবের এই নিছক সৈনিকের ভূমিকাটা নিয়ে তারাও নিশ্চিত ছিলো, দাবার বড়েকে একটা পর্যায়ে গিয়ে বিসর্জন দিতে হয় এটাই খেলার নিয়ম। আজিজ সাহেবকে বিসর্জন দেওয়ার সময় হয়েছে।
আরও কয়েক দি
‡বশ কিছু চমৎকার ঘটনা ঘট‡লা, মানবতাবাদী‡দর আ‡›দালন ‡শষ পর্য্#353;— মানু‡ষর শুভ‡বাধ জাগ্রত ক‡র‡ছ, পাকিস—ান শরিয়া আই‡নর সামান্য সংস‹ার কর‡ত রাজি হ‡য়‡ছ, এখন ‡থ‡ক ‡ম‡য়‡দর উপর নির্যাতন, ধর্ষণ,ব্যাভিচার সংক্রা্#353;— সব বিষয় নিষ্পত্তি কর‡ব সাধারন আদালত। 4 জন সাক্ষির প্র‡য়াজনীয়তা অস্ব ীকার ক‡র বিজ্ঞানভিত্তিক প্রমান আদাল‡ত গ„হীত হ‡ব ,পাকিস—ান এমন একটা সিদ্ধা্#353;— নি‡য়‡ছ, এই আইন পাশ ক‡র‡ছ এটাই ভা‡লা লাগ‡লা প‡ড়। পাকিস—া
সম্পর্ক দানা বাঁধে, নানা সুতোয়, নানা ছুতোয় সম্পর্ক দানা বাঁধতে থাকে, অন্তর্জালিক যোগাযোগ গড়ে উঠে বিশ্বজুড়ে, আমাদের ইশ্বরমুখীতা, বা ইশ্বরবিমুখতা, আমাদের নৈয়ায়িক মনন আমাদের অচেতন সমর্পন, সবটুকু মিলেই আমরা সম্পর্কিত হই, একে অন্যের ভাবনায় মিশি, অন্যের ভাবনায় বাগড়া দেই, সবই সম্ভব হয়েছে আমাদের সচ্ছলতার পাপে।আমরা আমাদের সাথে আমাদের সমাজটাকেও সাথে করে নিয়ে আসি, আমাদের আদর্শিক সমপ্রসারণ, আমাদের ভাবনার অভিক্ষেপ জমে ব্লগ পাতায়, কেউ কেউ অতিমাত্রায় স্পর্শকাতর হয়ে যায়, সবটা মিলেই আমরা একই সাথে বসবাস করছি বেশ অনেক দিন, সূচনা থেকে এই অবধি এমনই চলে আসছে, আমাদের সম্পর্ক গড়ার বাসনায় কেউ কেউ অনেক বেশী গভীরে পৌঁছে গেছে, আত্মিক সম্পর্ক হয়েছে, কেউ কেউ আমাদের ভাব
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসন শুরু হয়েছে বাংলাদেশে, ঈদের সময় সচিবালয়ের ব্যাস্ততা, বিভিন্ন নথি মুছে ফেলে অতীত মুছে ফেলানোর চেষ্টা, বিচারপতি হাসানের মহামুল্যবান অসম্মতির খেয়াল আসতে যেটুকু দ্্বিধা ছিলো তা কাটাতে 23 জনের প্রানহানী, বর্বরতার সমপ্রচার, পোষ্টার, সব মিলিয়ে অবস্থা গুরুতর ছিলো, তবে এই উদ্ভুত পরিস্থিতিতে যেই প্রশ্নটা মাথায় ঘুরছে তা হলো এই বাংলাদেশ নিয়ে হঠাৎ আমেরিকার এত উদ্্বিগ্ন হওয়ার কারনটা কি?বীনাসিক্রি হাসিনার সাথে দেখা করতে গেলেন, ঠিক তার পরপরই গেলেন আমেরিকার রাষ্ট্রদুত বিউটেনিস, গিয়ে বললেন ইয়াজুদ্দিন সাহেবকে বাড়তি কিছু সময় দিতে নিরপেক্ষতা প্রমানের জন্য। সেইসময়টুকু শেষ হলো, আমাদের মাননিয় নির্বাচন কমিশনের প্রধান, আজিজ সাহেবের মতো নির্ব
াটেল রোয়ানডা ছবিটা আমার ভেতরে অন্য রকমের একটা বিষন্নতার ছোঁয়া এনেছিলো, একই ঘটনা ঘটেছে ক্রাশ ছবিটা দেখার পর, যদিও প্রেক্ষাপট সম্পুর্ন আলাদা তা সত্ত্বেও আমাদের ঘটনা পর্যালোচনার সীমাবদ্ধতা কিংবা আমাদের উদাসিনতার সুযোগে কত অন্যায় আমরা সমর্থন করে যাই তার কিছু নিদর্শন আছে এই ছবি 2টাতে।
আমাদের শুদ্ধতাবাদী প্রক্রিয়া, আমাদের আইনানুগত্য, আমাদের আমলাতান্ত্রিক কাঠামোর প্রতি ভালোবাসা, আমাদের সাদা-কালোর বিভাজন, এবং ধুসর প্রদেশে যেখানে অবিচার,অনাচার এবং অমানবিকতা আমাদের আমলাতান্ত্রিক কাঠামোর প্রতি নির্ভরতাকে শ্রদ্ধা না করেই ঘটতে থাকে এবং ঘটে যায়, সেই সব বিষয়কে প্রতিরোধের কোনো সুযোগ আমরা পাই না, আমাদের আইন মেনে অঘটন ঘটবে এমনটা আশা করি না আমরা, তবে আমাদে
হঠাৎ প্রিয় কিছু হারিয়ে গেলে যেমন লাগে সোলসের "ঝুটঝামেলা" সংকলনটা শুনতে গিয়ে এমনই একটা অনুভব হলো আমার, প্রায় 30 বছর হয়ে গেলো, আমাদের বাবারাও এদের গান শুনে ভালোবাসতে শিখেছে, কলেজের করিডোরে দেখা মেয়েটিকে নিয়ে ভেবেছে, ভেবেছে বৃষ্টিমেদুর দিনে বিগত প্রেমিকার কথা , বিলাইবো প্রেম জনে জনে, এমন একটা মেলোডিয়াস রকের ধারা তৈরি করেছিলো সোলস, একেবারেই অনন্য বাংলা সংগীতের ক্ষেত্রে, সোলসের গান শুনেই বলে দেওয়া যায়, কিংবা যেতো এটা সোলসের গান। ঝুটঝামেলায় সেই সোলস কে হারানোর দুঃখ পেলাম, হঠাৎ হঠাৎ করে পুরনো সোলসের ঝলক দেখা গেলেও সোলসের সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে ব্যার্থ হয়েছে এই গীতি সংকলন। সোলসের আনপ্লাগড বের হয়েছিলো, সেখানে পার্থর গাওয়া "সারাদিন তোমাকে ভেবে" শু