ুনারীর চোখে বিশ্ব দেখুনচ্ কোনো এক নারী দিবসের শ্লোগান ছিলো। বিষয়টা আমাকে খানিকক্ষণ ভাবিয়েছিলো, নারীর চোখের বিø
হুমায়ন আহমেদ বেশ নিন্দিত হয়েছেন তার বিবাহজনিত কারনে, তার অগনিত ভক্তেরা অসমবিবাহের এই চমক সহ্য করতে পারে নি, আমি তার সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, একজন বয়স্ক মানুষ নিজ বিবেচনায় তার জীবনের সব সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, তবে আমি অন্য এক ভিত্তিতে তার ভোক্তাসমপ্রদায়ের অংশ, সেই ভোক্তাবিচারেই আমি তার শাওনকে তারকা বানানোর অপচেষ্টার বিরোধি।হুমায়ুন আহমেদের দুই দুয়ারি, শ্রাবন মেঘের দিন, তার পরিচালিত অনেকগুলো নাটকে অবধারিতভাবেই শাওন প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে, এবং তার নাটকের সবকটা গুনাবলী অক্ষুন্ন থাকলেও শুধুমাত্র গুটিকয় মানুষের অভিনয়ের নিম্নমানের কারনে এখন অতীতে যেমন যেমন আগ্রহ নিয়ে হুমায়ুন আহমেদের নাটকের প্রতিক্ষা করতাম এখন ততধিক বিতৃষ্ণায় বন্ধ করে দেই হুম
ঈদের দিনটা বছরের সবচেয়ে নিরস দিন হয়ে গেছে সেই কৈশোরের অবসানের সাথে সাথেই, শৈশবের শেমাই ঈদের আনন্দ ছিলো রোজার মাসের প্রতিটা দিনের তিলতিল করে জমানো উত্তেজনার চুড়ান্ত সমাপ্তি, সেই ভোর বেলা নদীর পাড় ধরে হেঁটে চলা একদল শিশুর ভেতরের ক্ষুদ্্র ক্ষুদ্্র আকাংক্ষা পুরন হয়ে যাবে এমন সব পেয়েছির দিন ছিলো ঈদ। যদিও তেমন স্বচ্ছলতা ছিলো না তাই একেবারে রোজার শেষের দিকে পাওয়া একটা কাপড় কিংবা একটা স্যান্ডেলের মুল্য ছিলো অনেক অনেক বেশী। আর আমদের সবারই একই রকম অবস্থা, সবাই আশায় আশায় থাকি, সবাই সবার বাবার ইচ্ছার দিকে তাকিয়ে থাকতো রোজার প্রথমার্ধ, কি কি কেনা হবে, এই সবের একটা লম্বা তালিকাও তৈরি হতো, প্রতিদিনের সংযোজন বিয়োজন চলতো, শেমাই ঈদ আসবে, রোজার দিন কমার সাথে
শিল্পের মুক্তি কিংবা শিল্পের অবলুপ্তি কোন অভিধা দেওয়া যায় উত্তরাধুনিকতাকে। অতিরিক্ত বানিজ্যিকরণের প্রভাবে যখন বক্তব্য আর ভঙ্গির মাঝের সম্পর্কগুলো খুলে পড়ে যাচ্ছে, যখন পরিচিত আবহগুলোকে খুঁজতে গিয়ে হয়রান হতে হয়, আমাদের উচ্চারনগুলো প্রাত্যহিকতার পর্যায় থেকে শিল্পের জগতে ঢুকে যাচ্ছে কোনো রকম আড়ালের আবশ্যকতা না রেখে, আমাদের ভাবনার স্ফুরণের সবকটা পর্যায়ই সাহিত্য-শিল্প হিসেবেপ্পরিচিত হচ্ছে সেইসব তাৎক্ষণিকতার সাথে শিল্পের সম্পর্ক কতটুকু?আমাদের স্বাধীনতা দিচ্ছে, আমাদের কোনো নির্দিষ্ট ধারায় চলাচলের কোনো প্রয়োজন নেই এখন। আমরা কাব্যিক ভাবপ্রবণতাকে আধুনিকতার সাথে সম্পর্কিত করে ফেলছি, আমরা রুপকের প্রয়োজনীয়তাকে অস্ব ীকার করছি সচেতন ভাবে। সহজবোধ্যতাই একমাত
এইচ এস সির রেজালট হয়েছে বেশ অনেক দিন হলো, এবার একে একে ভর্তিপরীক্ষার যুদ্ধ শুরু হবে, বাংলাদেশের সবকটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভর্তি পরীক্ষা, প্রকৌশল মহাবিড্যালয়গুলোর জন্য ভর্তি পরীক্ষা, বাংলাদেশে বেশ কিছু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আছে ওসবের জন্য ভর্তি পরীক্ষা, এভাবে চলতে চলতে অবশেষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ভুক্ত কলেজগুলোর ভর্তি পরীক্ষা।যদিও সব ছাত্রেরই ইচ্ছা বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কিংবা বুয়েট মেডিক্যালে পড়ার তবে এই ভর্তি পরীক্ষা নামক বাছাইয়ের খেলায় অনেকেই পিছিয়ে পড়বে। আমার পছন্দ না হলেও এটা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সত্য যে খুব কম মানুষই তার পছন্দের বিষয়ে পড়ার সুযোগ পায়, হয় যেখানে এই বিষয়গুলো পড়ানো হচ্ছে সেখানে সীটের সংখ্যা কম, কিংবা ঐ একই সাবজেক্ট
মুহাম্মদ ইউনুস নোবেল শান্তি পু রস্কার পেলেন, আমার অনুভুতি মিশ্র, এর আগে আমরা যেভাবে অমর্ত্য সেন বাংলাদেশে জন্মেছে বলে একটা সান্তনা খুঁজছিলাম এই বৈশ্বিক গর্বে বাংলাদেশকে আত্তিকরনের জন্য এই হাহাকারটা কমে গেলো। একেবারে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের একজন নাগরিক বৈশ্বিক স্ব ীকৃতি পেয়েছে। একজন বাংলাদেশি হিসেবে এই গর্বের অংশীদার আমি। তবে অন্য একটা প্রশ্নও মাথায় ঘুরছে। আমার অনুভুতি বলতে হলে আমি বলবো, একজন ব্রেইন সার্জন যদি তার নখ কাটার দক্ষতার জন্য পুরস্কৃত হয় যেমন লাগবে আমারও তেমন লাগছে। পুরস্কারের জন্য ভালো লাগছে তবে পুরস্কারটা আসলে সম্মানিত করলো নাকি অসম্মানিত করলো মুহাম্মদ ইউনুসকে এটা বুঝলাম না।মুহাম্মদ ইউনুসের মাইক্রোক্রেডিট প্রকল্প যত বড় সাফল্যজনক
বিচ্ছিন্নতার সুতায় গেঁথে মানবজীবন শুধু অনুভবগুলোকে একটা একটা করে তুলে আনা, উপর্যুপরি বিশ্লেষনের পর অবশেষে নিশ্চিত হওয়া আসলে মদ-মাংস এবং চামড়ার আড়ালে যা আছে সবটুকুই নিখাদ অনু-পরমানুর কোলাহল। বিচ্ছিন্নতার মানসিক অভিক্ষেপ পড়ছে, আমাদের প্রতিটা ভ্রমন এভাবেই একেকটা মনের কানাগলিতে গিয়ে থামছে, এই সাংস্কৃতিক বিবর্তনটা এক পর্যায়ে বস্তু এবং চরিত্র থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে একটা ধাঁধাঁ তৈরি ফেলে। সেই স্টেরিওটাইপড আইডিয়াগুলোকে আবার নিরিক্ষা করা, প্রয়োজন আছে কি নেই এসব যাচাই না করে আঙ্গিক এবং ভাষ্যের ক্রমাগত ভাঙচুড়।আমাদের মানসিকতার ভেতরে আড়ালের প্রয়োজন হয়ে গেছে, আমাদের বর্তমান ফ্ল্যাট কালচারের মতো, নাগরিক জীবনের সহাবস্থান এবং আপাতসংলগ্নতা সত্ত্বেও যে বিচ
সামাজিক বিবর্তন, সাংস্কৃতিক বিবর্তন, শব্দগুলো এখন সাধারনভাব প্রকাশ করে, তবে এই বিবর্তনের ক্ষেত্রে সবসময়ই যে শ্রেষ্ঠ সংস্কৃতিই জয়ি হবে এমন কোনো বাধাধরা নিয়ম নেই। বরং এটা ধারাবাহিক একটা প্রক্রিয়া যেখানে সৃষ্টিশীল সত্ত্বাগুলো নিজস্বস্বর খোঁজার প্রয়োজনে অন্যদের থেকে আলাদা হওয়ার সচেতন চেষ্টা করছে। এই বিবর্তনের লক্ষ্য ইনডিভিজুয়ালিজম।মানুষকে সমাজের একক ধরা হবে নাকি পরিবারকে সমাজের একক ধরা হবে এ নিয়ে একটা বিতর্ক চলছে বিজ্ঞ মহলে, কোনো না কোনো ভাবে এই সমাজিক, সাংস্কৃতিক, মানসিক বিবর্তনকে একটা রূপরেখা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা অস্ব ীকার না করেই এর এককটাকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা। একক মানুষ গতিশীল সত্ত্বা, তার ধারন করার ক্ষমতা, তার গ্রহন করার ক্ষমতা বেশি,
প্রশ্নটা খুবই স্বাভাবিক ভাবেই উঁকি দেয় মনে, প্রাকৃতিক নির্বাচন কিভাবে রাসায়নিক গঠনকে পরিবর্তিত করতে পারে, যদিও এটা ঘটতে দেখা যাচ্ছে অহরহই। উদ্ভিদজগতে আমরা দেখছি এই পরিবর্তন, দেখছি জীবের ভেতরেও।জেনেটিক পরিবর্তন উস্কে দেওয়ার পেছনে রাসায়নিক যৌগের উপস্থিতি এবং সেটা গ্রহন করার বিষয়টাই গুরুত্বপূর্ন মনে হয়েছে আমার কাছে। আমাদের পুষ্টির চাহিদা আমাদের জেনেটিক পরিবর্তনের অন্যতম কারন। অবশ্য এটা আমার নিজস্ব অভিমত, কোনো শক্ত প্রমান হাজির করতে পারবো না এর সপক্ষে, কোনো গবেষণালব্ধ প্রমান বা পরিক্ষীত কোনো পন্থাও বলতে পারবো না যেটা এই বিশেষ বিষয়টাকে নিয়ে কাজ করছে। আমার এই অনুমানের পেছনের কারনটা খুব সাধারন, পৃথিবীতে জীবানুদের পরিবর্তন আমরা দেখছি, গবাদি পশুবাহ
বিবর্তনবাদ দিয়ে আগ্রহের একটা কারন আধুনিক মনস্তত্ত্বে এটার প্রভাবটা বোঝার চেষ্টা করা। বিবর্তনের প্রভাব আমাদের উপরে প্রতিনিয়ত ক্রিয়াশীল। অনেক রকম কথাই শুনেছিলাম বিবর্তনবাদের বিপক্ষে কাঁচা যুক্তি, এখানেও অনেকগুলো কাঁচা যুক্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে। বিবর্তনবাদকে সমর্থন করে না এমন মানুষের সংখ্যা প্রচুর। তবে তাদের খোঁড়া যুক্তির বিস্তার খুব বেশী দুর আগাতে পারে না। কিন্তু এই দ্্বন্দ্বটার মানসিক দোলাচল মানুষকে উন্মুল করে দিতে পারে।পরীক্ষাগারের জন্তু এবং পতঙ্গগুলো যাদের উপর জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংএর বিভিন্ননিরীক্ষা চলছে এটা প্রায় সবর্উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত গবেষণার অংশ। কোষবিদ্যায় আমার আগ্রহের কারন মূলত কিছু বই পড়ে, আর কোষবিদ্যার সাথেই কোষের বিভিন্ন