ধর্ম ও বিজ্ঞানের ভেতরের সম্পর্ক গড়তে চেয়ে অনেকেই দুটোকেই কলুষিত করে ফেলছে, বিষয়টা ভয়াবহ, তবে মানুষের সচেতনতা কম বলেই তেলে জলে মিশে না জেনেও তারা মেশানোর নানাবিধ প্রচেষ্টা করছে।ধর্মের সংজ্ঞা দেওয়ার লক্ষ্য আমার নেই, তবে নিজস্ব উচ্চাকাংক্ষা বা নিজস্ব বিশ্বাসের প্রতি অতিরিক্ত সম্ভ্রম কিংবা গুরুত্ব আরোপ করতে চেয়ে কেউ কেউ সুন্দর করে বলে ফেলেন অন্য ধর্ম এবং ইসলাম আলাদা।ইসলাম পরিপূর্ণ জীবন বিধান, কোরান ঐশী গ্রন্থ এবং এতে বিজ্ঞানবিরোধি কিছু নেই, কোরান বিজ্ঞানের সাথে হাত ধরাধরি করে চলে। বিজ্ঞানের কর্মপ্রনালী সম্পর্কে নিতান্ত অনভিজ্ঞ যারা, যারা বিজ্ঞানকে যাদুমন্ত্র ধাঁচের বিষয় মনে করেন তারা সব সময় ধরেই নেন এটা ম্যাজিকের মতো, কোনো একটা পদ্ধতি আছে, সুইচ
ক্লোজ আপ ওয়ান শেষ হওয়ার পর মনে আশা জেগেছিলো যাক 10 জন শিল্পি পাওয়া গেলো, যারা ভালো গায়। তাদের সবারই গীতিসংকলন প্রকাশ করার কথা। সেই ধারা মতো রুমি-মেহরাবের যৌথ গীতি সংকলন পেয়ে শুনলাম, গানের মান ভালো না, এমন কি প্রতিনিধিত্বমূলক একটা গান মনে আসলো না যা কাউকে শোনার অনুরোধ করবো।এর পর সামান্য বিরতিতে আসলো বিউটির চরণদাসী আর নোলক বাবুর সে যে কন্যা ভালো। নোলক বাবুর গলা ভালো এটাতে কারো সন্দেহ নেই, ক্লোজ আপের ভোটেও এটার প্রতিফলন ঘটেছে তবে তার সে যে কন্যা ভালো এই গীতি সংকলনটা কোনো মতেই তার নামের প্রতি সুবিচার করে নাই। খুবই কাঁচা গান। হয়তো শ্রুতিমধুর, তবে গানগুলো ঠিক কোথায় যেনো স্পর্শ করতে পারে না। কিছু গান শুনে খুব পুরোনো বাংলা গানের কথা মনে হয়, তবে পু
সংবিধান সকল আইনের উৎস এবং যেকোনো প্রচলিত আইন যা সংবিধানকে লঙ্ঘন করবে তা বাতিল বলে গন্য হবে- এমন কথা বলা আছে বাংলাদেশের সংবিধানে। সংবিধান খুব ভালো জিনিষ, আধুনিক রাষ্ট্রের গঠনতন্ত্র, যেখানে রাষ্ট্রের নাগরিকত্বের শর্ত বলা আছে, বলা আছে নাগরিকের অধিকারের কথা, বাংলাদেশের সংবিধানেও অনেক কথাই বলা আছে।তবে এই 7ম অধ্যাদেশ যেখানে বলা আছে আইনানুগতার কথা সেই একটা সমস্যা সমাধানের জন্য যতবার সংবিধানের মৌলিক চরিত্র বদল হয়েছে ততবারই একটা বাড়তি অংশ যুক্ত করে বা ম
বাংলাদেশ সময় রাত 1 টা এখন, সারা দিন কেউ আসে নি এখানে।গতকাল করা বিতর্কের পোষ্টে কোনো মৌলবাদী দলের প্রতিনিধি এসে তাদের ভিত্তিহীন কথার সপক্ষে কোনো বক্তব্য পেশ করেন নাই, এমন কি তাদের হাতে যেসব অলীক তথ্য নেই, তা সংগ্রহের জন্য কোনো সময় প্রার্থনাও করেন নি।একটা অর্থ হতে পারে তারা সবাই মুক্তিযুদ্ধের অসামপ্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাস করে, অথবা, তাদের ভিত্তিহীন কথার সপক্ষে কোনো প্রমান তাদের নেই, তারা মিথ্যা ভিত্তির উপর সাজানো রাজনীতি দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে, এর যেকোনো টি সত্য হলে তাদের ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত। এখানে শিবির কর্মি কম নেই, সবাই সুযোগ পেলে গোলাম আজম, মতিউর রহমান নিজামী, আল মুজাহীিিদ, কামরুজ্জামানের নামে বিভিন্ন বক্তব্য দেয়, কেউ কেউ দলীয় পত
অনেকেই এই পোষ্টের বিষয়ে ভিন্নমত প্রকাশ করেছে, তাদের মতের প্রতি আমার শ্রদ্ধাও আছে, এরপরও তাদের মতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেও গনমতের বিপক্ষে এই পোষ্ট করলাম।
মৌলবাদী গোষ্ঠি সবসময়ই ক্ষমতাবানদের পা চাটা কুকুর, তারা সব সময় স্বার্থসিদ্ধির সম্ভবনায় ক্ষমতাবানদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে চলেছে, উপমহাদেশের রাজনীতিতে প্রথম বার বঙ্গভঙ্গের সময়ে জল ও পানির রাজনীতি শুরু হয়েছিলো। শুরু হয়েছিল এরও কিছুদিন আগে যখন ফার্সির বদলে হিন্দিকে দাপ্তরিক ভাষা করা হলো।
সেসময় মুসলীম লীগ গঠিত হয়েছিলো মুসলমানদের ব্রটিশ আনুগত্য আনার জন্য, যে কারনে জিন্নাহ মুসলীম লীগ গঠিত হওয়ার প্রথম 1 যুগ মুসলীম লীগের রাজনীতি করেন নি। তখন জিন্নাহর রাজনীতি ছিলো ভারতের স্বাধীকারের রাজনীতি,
সমপ্রতি একটা পোষ্ট পড়লাম, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, বিষয়টা স্পর্শকাতর, আমাদের অনেকের আবেগের জায়গা এটা, আমাদের অনেকের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার জায়গাটা নিয়ে সন্দেহ নেই কোনো। মুজিবনগর সরকারের ঘোষনা যে আসলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সারমর্মটা ধারন করে আছে এ বিষয়েও আমাদের কোনো সন্দেহ নেই। বাংলাদেশ রাষ্ট্রগঠনের প্রতিটা পর্যায়ে বাংলাদেশের অসামপ্রদায়িক চেতনাই ছিলো মূল ভিত্তি- এই বিষয়টাকে প্রশ্ন করা হচ্ছে যখন এই বিষয়ে সন্দেহ নিরসনের জন্য একটা সুস্থ বিতর্কের আয়োজন করা যেতে পারে।এটা যেকোনো দিন হতে পারে, আমি প্রস্তুত, কেউ যদি এই বিষয়ে বিতর্ক করতে চায় তাহলে সে যেকোনো দিন হাজির হতে পারে, তবে জামাত শিবির সহ আর যত মৌলবাদী মানুষেরা এই বিষয়টা
আমরা যা সত্য ভাবি সত্য কি আসলে তাই? আমদের কল্পনার নির্মান আর আমাদের বাস্তবতার মধ্যে সীমানা টানে আমাদের অভিজ্ঞতা- আমাদের অভিজ্ঞতার বাইরে চলে গেলেই পরিচিত সত্যের বাইরেও জীবন যাপন সম্ভব, হয়তো জীবনটা কোনো দীর্ঘস্বপ্ন দৃশ্য, আমাদের চারপাশে যা ঘটছে সবই মায়া-এই দর্শনকে ধারন করে আছে ম্যাট্রিক্স ট্রিলজি।প্রায় 600 মিলিয়ন ডলার আয় করেছে ছবিটা। ঘটনার অভিনবত্বের চেয়ে বেশী আসলে এর ক্যামেরার কাজ। যতটা সম্ভব ততটা সফল ভাবে প্রযুক্তিকে ব্যাবহার করা একটা ভিন্ন ধারার ছবি এটা। মানুষের নিজস্ব দ্্বিধা, অতিরিক্ত যন্ত্রনির্ভরতার উপর শঙ্কা, এবং মানুষের বিবেচনা বোধের উপর বিশ্বাস না থাকার বিষয়টা প্রধান হয়ে এসেছে ছবিতে। মানুষ কোনো একদিন সভ্যতাকে ধ্বংস করে ফেলবে এই ধারনা
অতিশয়োক্তিতে বাঙালি পিছিয়ে নেই মোটেও। বরং তাদের উৎসাহ বেশী তাই সঠিক ইতিহাস চর্চার জন্য একক ব্যাক্তির শরনাপন্ন হওয়া দুস্কর। মুজিবের মৃতু্যর 30 বছর পরও একটা পূর্নাঙ্গ জীবনি আসে নাই, এক পক্ষের মানুষের কাছে দেবতার আসন পাওয়া মানুষটা অন্য পক্ষের কাছে ভীষন রকম অপরাধী একজন। একটা বস্তুনিষ্ট নিরপেক্ষ জীবনি রচিত হলে অন্তত সবার সামনেই একটা নিদর্শন থাকতো বিচার করার জন্য।ব্যাক্তি হিসেবে মুজিবকে মুল্যায়ন করা, তার রাজনীতিকে মুল্যায়ন করা, সব কিছুর জন্যই একটা জীবনিগ্রন্থের প্রয়োজন ছিলো। 15ই আগষ্ট নিয়ে উলম্ফন চললেও এই জায়গাতে মানুষজন একেবারে স্থবির।1953 সালে আওয়ামী মুসলীম লীগের সাধারন সম্পাদকের পদ পাওয়া, এবং যুক্তফ্রন্টের হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে কৃষি অধিদপ্তরে
সংশোধনবাদীতায় কেউ কম যায় না, আহমদীয়া সমপ্রদায়ের বিশ্বাস এবংইসলামকে দেখার ভঙ্গি একটু আলাদা, খাতমে নবুয়তের ধারনাটা এমন ভাবে প্রচলিত যে মুহাম্মদই শেষ নবী এবং প্রেরিত রসুল, আহমাদীয়াদের ধারনায় বিষয়টা আরও একটু আলাদা, তাদের ভাবনায় নবুয়তের মোহর শব্দটা ধরা দিয়েছে ভিন্নার্থে, তাদের বক্তব্য মুহাম্মদের মোহরানা থাকবে পরবর্তি নবীদের উচর, মুহাম্মদের স্ব ীকৃতি অনুসারে পরবর্তি নবী আসবে। ইহুদিদের ধারনায় নবী শব্দটা শিক্ষক এবং পথপ্রদর্শকের, মুহাম্মদের শিক্ষা প্রচারের জন্য যুগের বদলের সাথে নতুন শিক্ষক আসবে এই ধারনাটা বেশ চমৎকার একটা ধারনা,ইহুদিরাও এমনটাই ভাবে যে যখনই প্রয়োজন হবে তখনই বনী ইসরাইলকে পথ দেখানোর জন্য একজন আসবে পৃথিবীতে। মুহাম্মদের অনুসারীদের ভেতরেও
জোট সরকারের ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার সময় চলে আসছে, এখনও অনেক বিষয়ের সিদ্ধান্ত অনির্ধারিত।তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা নিয়ে আন্দোলন চলছে, আওয়ামী লীগের সংস্কার প্রস্তাবের পক্ষে জোট সরকারের সমর্থন নেই। হয়তো এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সংস্কার ব্যাতীতই নির্বাচন শুরু হবে।তবে সমস্যা তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়, সমস্যা জোটের ভেতরের দ্্বন্দ্ব, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রবক্তাদের সাথে জামায়াতের আদর্শগত বিরোধ, জাতীয় পার্টির সাথে জামায়াতের বিরোধ, বি এন পির নিজেদের ভেতরে জামায়াতের সাথে জোট বাধা নিয়ে অসন্তোষ, এবং অনেক জায়গায় এই সব দ্্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে। অনেক কটি জায়গায় শিবির ছাত্র দল মুখোমুখি হয়েছে। এবং ছাত্র দলের ধারনায় শিবির তাদের রাজনীতি সঙ্কুচিত করে দিচ