কতিপয় স্বেচ্ছান্ধকে আদর করে ইতিহাসবিভ্রান্ত প্রজন্ম নাম দিয়ে তাদের পক্ষে সাফাই গাওয়ার প্রবনতা শুরু হয়েছে অনেক দিন ধরে, জিয়াউর রহমানের শাসনামলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষন প্রকল্পের আওতায় 15 খন্ডের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংকলিত হয়, সেখানে বর্নিত স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান নয়, জিয়াউর রহমান নিজের নামে একবার স্বাধীনতার ঘোষনা দেন, এই ঘোষনাকে সংশোধন করে পরবর্তি ঘোষনায় মুজিবর রহমানকে প্রধান মেনে নিয়ে তার পক্ষ থেকে 2য় বার স্বাধীনতার ঘোষনা দেন, এই খানে ইতিহাসের বিভ্রান্তি নেই, এর পরও রাজনৈতিক ইসু্য হিসেবে ঘোষক বিতর্ক শুরু হয়। বিকল্প ধারার প্রধান এবং বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এটার সাথে বেশ ঘনিষ্ঠ ভাবেই জড়িত ছিলেন। মানুষের ইমেজ তৈরির জন্য প্রয়ো
মানুষের আবেগ মানুষের সচেতন ভাবনাকে নিয়ন্ত্রন করে, বিষয়নিষ্ঠতা থেকে দুরে সরিয়ে দেয়, এবং যুক্তি নির্ভর আলোচনাকে বাধাগ্রস্থ করে। মানুষ যখন বিশ্বাস করতে ব্যাগ্র তখন তাকে বোঝানোর মতো পাপ করতে নেই।বেশ অনেক দিন ধরে একটু একটু করে প্রচারনা চলছে, ধর্ম নিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে, নাস্তিকতাকে ধর্ম প্রমানের চেষ্টা চলছে, এবং বিজ্ঞানমনস্কতাকেও ধর্ম উপাধি দেওয়া হচ্ছে, আর কয়েক দিন মাত্র এর পর লাম্পট্যকেও ধর্ম আখ্যা দিয়ে মানুষের বিকৃত যৌনচর্চাকেও ধর্মপালনের স্ব ীকৃতি দেওয়া হবে।কিছু সমাজকতৃক নির্ধারিত বিষয় আছে, কিছু প্রথাগত সংজ্ঞা নির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে, মানুষের জীবনদর্শনের জন্যও একটা যুক্তিনিষ্ঠ আলোচনার রূপরেখাও তৈরি করে দেওয়া আছে, এই একাডেমিক আলোচনার ক্ষেত্র থে
মানুষের রাজনীতি করার অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলা উচিত নয়, তবে বাংলাদেশে পরিবারতন্ত্রের প্রকোপ বাড়ছে রাজনীতিতে, 81তে সম্ভবত শেখ হাসিনাকে নিয়ে এসে আওয়ামী লিগের নেত্বরত্ব দেওয়া হলো, এর আগে প্রত্যক্ষ রাজনীতির কোনো অভিজ্ঞতা ছিলো না তার। এবং এই মাঠপর্যায়ের রাজনীতিতে অংশগ্রহন না করার অনভিজ্ঞতা সুখকর হয় নি, তিনি একটি দলকে তার ব্যক্তিগত বিশ্বাসের প্রচারনায় নিয়োগ করেছেন, তার রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহনে ভুল থাকলেও সেটা সংশোধনের কোনো প্রচেষ্টা তার নেই , এমন কি শিক্ষার বিষয়টাও তার ভেতরে অনুপস্থিত, আওয়ামী লীগে নেতৃত্ব পাওয়ার জন্য তার সবচেয়ে বড় গুন দিলো তার পিতা।রাজনীতি বিষয়টা জেনেটিক কোনো গুন না, জন্মসূত্রে কেউ নেতা হয়ে যায় না, নেতা হওয়াটা একটা ধারাবাহিক প্রক্
মানবতার বানী আউরানো মানুষেরা সব বিষয়ে মুখ খুলে না, তাদের শালীন মানবতাবাদী মুখোশ শুধুমাত্র কিছু রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ধারন করে। সেই রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে যদি কোনো বিষয় না আসে তাহলে সেটাকে তারা তাদের ভাবনার প্লেটে তুলে জনসাধারনের সামনে পেশ করেন না। সেসব সংঘাত আর মানবতার মৃতু্যর খবর, যা আমাদের মানবতাবাদীদের চোখের আড়ালে রয়ে গেছে খুঁড়ে দেখা যাক।বিশ্বে এখন চলমান যুদ্ধের সংখ্যা 24টির মতো। সবগুলো দখলদারিত্বের যুদ্ধ না, কিছু গৃহযুদ্ধ, কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদি কিংবা স্বাধীনতার লড়াই, নির্ভর করে আপনারা কোন দলকে সমর্থন করেন তার উপরে।সবচেয়ে পুরোনো ক্ষত কলম্বিয়ার যুদ্ধ। 1948 এ , প্রেসিডেন্ট ইলেকশনের প্রচারনার সময় কলম্বিয়ান লিবারেল পার্টির প্রধান নিহত হওয়
আবু সাইয়িদের নিরন্তর দেখলাম, হুমায়ুন আহমেদের জনম জনম উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে নির্মিত চলচিত্র। ভালো লাগলো না, অবশ্য আমি নাদান দর্শক, কোথাও ফিল্ম এপ্রেসিয়েশন কোর্স করা নেই, তাই শটের পরতে পরতে যে কাব্য লুকানো বা যেই সব অনিবার্য বিষয় অভিজ্ঞ সমালোচক দেখতে পারে সেই চোখও আমার নেই।
যদিও আমি মোটামুটি নিশ্চিত বাংলাদেশের অধিকাংশ দর্শকই আমার কাতারের দর্শক, তাই অভিজ্ঞ চলচিত্র সেবী হিসাবে কোনো মন্তব্য করতে না পারলেও ছবির বিষয়বস্তু দেখে এইটা বলতে পারি এই ছবি কেউ হলে গিয়ে 2য় বার দেখার চিন্তা করবে না, হয়তো মধ্যবিত্ত শিক্ষিত দর্শক সুস্থ চলচিত্রের ফেরেরবাজীতে একবার গিয়ে দেখতেও দেখতে পারে তবে এই জিনিষ 2য় বার পয়সা খরচ করে দেখার মতো মুর্খ বা অভিজ্ঞ বোদ্ধা
মাঝে মাঝে রূচিশীল মানুষের শীতঘুম কাটিয়ে জেগে উঠে কিছু কথা বলে ঘুমিয়ে যায়। বোকাইয়ের পোষ্ট নিয়ে একটা সস্তা স্ট্যান্টবাজী হলো, এইসব রঙ্গরসিকতা এবং রূচিশীলতার ঘ্যাঁনঘ্যাঁনানি দেখলে ভালোই লাগে, ব্লগে সবাই নিজের কথা লিখতে আসে, যেহেতু অনেক মানুষের মধ্যেই স্থুল অর্থে মিল বিদ্যমান তাই তারা স্বমতের মানুষ খোঁজে, এভাবেই মানুষে মানুষে ঐক্য গড়ে উঠে, অন্য সময় হলে সেটা হতো রাজনীতির ময়দান, এই ভার্চুয়াল জগতে সেটাসমমনা ব্লগার। বেশ অনেকদিন আগে অশীলতা নিয়ে জলঘোলা হলো, কিন্তু অশীলতার সংজ্ঞা আর পরিধি নিয়ে কেউ একটা স্পষ্ট দিকনির্দেশনা দিলো না, এমন মানুষ নির্মিত দেয়ালের ক্ষেত্রে যা হয় তাই হলো এখানে, স্যান্ডো গেঞ্জি পড়া টগবগে তরুনীর যৌনউত্তেজক ভঙ্গি দেখেও যেহেতু সম
লেবাননের বিষয় নিয়ে সবাই বেশ উচ্চকিত, সবাই এি সুযোগে নিজের বিবেক ধুয়ে নিচ্ছে লেবাননের শিশুদের রক্ত দিয়ে, তাদের গলায় মানবিকতার সুর উঠে আসছে, দেখতে ভালোই লাগে, বাংলাদেশের পেপার পড়লে মনে হয় ইসরাইলের সৈন্যদের অন্য কোনো কাজ নেই তারা প্রতিদিন লেবাননের নিরিহ মানুষদের না মারলে ঠিকমতো আহারগ্রহন করতে পারে না, আবার এখানের সংবাদ দেখলে মনে হয় হেজবুল্লাহর মতো পাজী সংগঠন আর নেই।
নির্বোধের সংখ্যা আশংকাজনক হারে বেড়ে গেছে পৃথিবীতে, বাংলাদেশের নির্বোধ মানুষ আর এখানের নির্বোধ মানুষের ভেতরে তফাত খুব কম। বরং একটা সার্বজনীন ঐক্য আর প্রতিযোগিতা বিদ্যমান।
ইসরাইলের সাথে হেজবুল্লাহর সংঘাতের ভেতরের সূচনা কোথায়? হেজবুল্লাহ ইসরাইলের সীমান্ত অতিক্রম করে তাদের 8 জন সৈন
প্রত্নতত্ত্ব মূলত আমার কাছে সামান্য বস্তুগত উপাদানের ভিত্তিতে লেখা রোমাঞ্চ উপন্যাসের মতোই। রাজ্যজয় আর রক্তপাতের গল্প,সম্রাট আর সম্রাটের অনুগত সৈনিকদের গল্প, আরও একটু সামনে গেলে তাদের ঘরনীদের ক্ষমতার কাছাকাছি থাকার লড়াই, এবং একজন রানীই অবশেষে টিকে থাকতে পারে এবং বাকীরা গৌন প্রজনন যন্ত্র হয়ে যায়।
মিশরের ইতিহাস পড়তে গিয়েও একই রকম ধারনা জন্ম নিচ্ছে, প্রাসাদষড়যন্ত্র এবং ক্ষমতার লড়াই ইতিহাসের চাকা ঘোরায়। তুতেনখামেন যদিও তেমন বড় মাপের ফারাও ছিলো না
মিশর প্রথাগত ভাবেই বহুইশ্বরের দেশ, প্রধান দেবতা সূর্য কিন্তু মৃতু্যর দেবতা, নরকের দেবতা, ফসলের দেবতা, নদীর দেবতা, সূর্যদেব রা এবং হোরাসের বিশাল সম্রাজ্য দেখাশোনা করার জন্য অনেক দেবতার উদ্ভব হয়েছে,
প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হয় মিশর যখন একক সম্রাজ্য হিসেবে কোনো এক নৃপতির অধিকারে আসে তখন ঐক্য বজায়রাখার জন্য প্রথম এই ইশ্বরের ধারনার প্রচলন করা হয় সম্রাটের ক্ষমতার প্রতি সম্ভ্রমঅর্জনের জন্য,
প্রথম 4 ডাইন্যাস্টির ভেতরেই এই ধারনা বদ্ধমূল হয় আপার ইজিপ্ট
মাঝে মাঝে মনে হয় গবেষণার প্রধান লক্ষ্য ধ্রুবক খুঁজে বের করা। প্রযুক্তির অগ্রগতি হয়েছে, অনেক ধাঁচের সফটওয়্যার আছে জটিল সব সমীকরনের সমাধান করার জন্য,কিন্তু সব সমীকরনের সমাধান হয় না, এটাই সত্য। তাই ধ্রুবকের এত কদর গবেষণায়। নতুন ধরনের গাণিতিক সমাধানের প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করার চেষ্টা চলছে, তবে সহজ কথাটা হহলো গবেষণার একটা দিক হলো ধ্রুবক খুঁজে বের করা, অন্যটা হলো বিভিন্ন প্রান্তিন মান নির্ণয়ের চেষ্টা করা। এই 2টা শর্ত পালন করে যেকোনো সমস্যার একটা সমাধানের চেষ্টা করা যায়।
এমন একটা প্রচেষ্টায় 1865 সালে ম্যাক্সওয়েল একটা ধ্রুবকের অস্তিত্ব প্রমান করলেন, আলোর গতি ধ্রুবক। বিদু্যতচুম্বকীয় বিভিন্ন সমীকরনের সমাধানে দেখা গেলো সেখানে একটা ধ্রুবক আছে যার মান কো