খুব সচেতনভাবে এখানে নারীর পরাধীনতার কারন ঐহ্য রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। নারী কেনো পরাধীন এবং এর পিছনে কি কি নিয়ামক কাজ করছে এটা নিয়ে বাদানুবাদ আলোচনার প্রকৃতি বদলে দিতে পারে।
তাই যারা আলোচনা করবে তাদের প্রতি অনুরোধ পেছনের কারনটা না খুঁজে শুধু স্বারূপ উদঘাটনের চেষ্টা করলে ভালো।
নারীর স্বাধীনতাহীনতার চর্চা শুরু হয় আমাদের সার্বিক তত্ত্ববধানে। আমাদের শালীনতাবোধের জায়গা থেকেই একটা কাজ চালানো গোছের সমাধান নির্ধারন করি আমরা- নারীকে পরাধীন করি।
বছয় কয়েক আগে বি আর টি সি মেয়েদের জন্য আলাদা বাস সার্ভিস শুরু করলো। অভিযোগ সাধারন পরিবহন ব্যাবস্থায় নারীর যৌন হয়রানি হচ্ছে। অনেকেই সাধুবাদ জানালো এমন মহতি উদ্যোগের। পরিস্থিতি বদলানোর চেষ্টা না করে হাল
ব্লগে এই গোত্রবিভাজন আগেই ছিলো এখন আরও পাকাপোক্ত হলো। মানুষের মৌলিক চরিত্রের অংশ এই এই শ্রেনীবিভাজন। শত্রু এবং বন্ধু চিনে নেওয়ার প্রক্রিয়া।
মানুষকে পূর্নাঙ্গ মানুষ হিসেবে দেখবার দায় যে নেই তা এখন স্পষ্ট মোটামুটি। মানুষের সাংস্কৃতিক পার্থক্যই মূলত দায়ী এটা আমার অভিমত। সভ্যতার ধাপে ধাপে আমরা যেই সব বিভাজন দেখে অভ্যস্ত তার ধারাবাহিকতা হয়তো একটু আলোকপাত করবে এই সার্বজনীন সমস্যায়।
পেশাভিত্তিক বিভাজন একটা জটিল সমাজের প্রথম শ্রেনিবিন্যাসের ধাপ বলা যায়। গোত্র ভিত্তিক সাংস্কৃতিক বিভাজন প্রথমিক পর্যায়ে ততটা ভয়ংকর কিছু ছিলো না, কারন ভিন্ন ভিন্ন গোত্র পৃথক পৃথক বসবাস করতো। তাদের রীতিনীতি আচারের পার্থক্যও ছিলো তাদের প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে সহায়ক,
ইসলামবিদ্্বেষ ম্যানিয়া, অতিরিক্ত ইসলাম প্রেম ম্যানিয়া কি না এইটা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। সমস্যাটা মাত্রাবোধের- ম্যানিয়া মানুষের আচরনের সেই অংশকে নির্দেশ করে যখন সেটা স্বাভাবিকতা ছেড়ে অস্বাভাবিকের দিকে যাত্রা করে।
সংস্কৃতি বিষয়টাও এমন- সুন্নত পালন- রসুলের পদাঙ্ক অনুসরন দোষের বললে এখানে লোকজন লাফালাফি করবে- কিন্তু খেজুর আর যবের আটার রুটি খায় এমন বাংলাদেশি মানুষকে ম্যানিয়া আক্রান্ত বলতে আমার কোনো দ্্বাধা নেই। কারন এটা বাংলাদেশের সংস্কৃতি না।
তালেবান সরকার ক্ষমতায় আসলো আফগানিস্তানে, এসে তারা 2000 বছরের পুরোনো কয়েকটা বুদ্ধ মুর্তি ভেঙে ফেললো। দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উপর আঘাত। এটা কি ম্যানিয়া পর্যায়ে পড়ে?
1400 বছর আগে আরবে লোকজন ঘরের
মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করতে হবে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার আন্দোলন একটা বড় মাপের পরিবর্তন বাঙালি সমাজের জন্য এটাকে সম্মান করতে হবে, এসব কেউ শিখিয়ে দেয় নাই আমাকে। 26শে মার্চের সকালে আমি যেই ঘরে শৈশব কাটিয়েছি সেই ঘরে 1 জনকে খুঁচিয়ে মারা হয়, আমি যেই মাঠে খেলে বড় হয়েছি সেই মাঠের পাশের বাড়ীর দরজায় একজনকে হত্যা করা হয়, আমি যেই বাজারের মোড়ে দাঁড়িয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়েছি সেখানে 10 জনের মতো নিহত হয়। আমার বাড়ীর পাশের যেই মানুষটা দিনমজুরের কাজ করতো সেও মুক্তিযোদ্ধা ছিলো, এদের দেখে বড় হয়েছি কিন্তু এদের কখনই কোনো আত্মপ্রচারনা ছিলো না।
চারপাশে ক্ষয়ে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধা দেখলাম, দেখলাম আপোষ করা মুক্তিযোদ্ধাদের- কিন্তু এদের জন্য আমার খারাপ লাগলেও মুক্তিযো
কতৃপক্ষের ভূমিকা সবসময় একপেশে কেনো এটা বোধগম্য হয় না আমার।
ফ্লাডিং বিষয়ক নীতিমালা তৈরি করলেই হয়, এক জন ব্লগার দিনে কয়টা পোষ্ট করবে এই নিয়ে কোনো জোরজবরদস্তি চালানো উচিত না কিন্তু বিরক্তিকর পোষ্টগুলোকে সামনের পাতায় আসতে না দেওয়ার মতো কিছু ব্যাবস্থা করা হোক। একটা নুন্যতম মান ঠিক করা হোক, হতে পারে সেটা ক্যারেক্টার সংখ্যা হিসাব করে, নির্দিষ্ট পরিমান ক্যারেক্টার না থাকলে ঐ পোষ্ট সামনে আসবে না এমন নিয়ম করা হলে অন্তত 1 লাইনের খুনসুটি মার্কা এবং বিরকড়িকর যত পোষ্ট, জিজ্ঞাসময় পোষ্টগুলো যার কোনো অর্থ হয় না ঐগুলো সামনের পাতায় আসতো না। কিংবা প্রতিটা ব্লগারের নির্দিষ্ট সংখ্যাক পোষ্ট আসবে সামনের পাতায় এর বেশি হলে তার সবগুলো পোষ্ট সামনের পাটা থেকে মুছে যা
যারা যুক্তির সাধারন বিষয়গুলোকে মেনে চলে তাদের জন্য-যারা এই সত্য মেনে নিয়েছে 1 যোগ 1 = 2, 2 যোগ 2 =4, 4যোগ 4 =8 এই রকম সাধারন হিসাবগুলোকে সত্য মানে তাদের জন্য। যারা এই সব সাধারন বিষয়কে প্রাধান্য দিতে চায় না এবং যাদের যৌক্তিক আলোচনার ক্ষমতা নেই তাদের বলে কোনো লাভ হবে না তাই তাদের শুভবোধ জাগ্রত হোক এবং তারা সুখে শান্তিতে বসবাস করুক রূপকথার জগতে।
আদিকান্ড থেকে শুরু হোক আলোচনা আমাদের, ইশ্বর বলিলেন লেট দেয়ার বি লাইট এন্ড দেয়ার ইজ লাইট- এই ভাবে মুখের কথায় ইশ্বর বিশ্বসৃজন করিলেন। ষড়দিন ব্যাপি ব্যাপক কর্মযজ্ঞ হইলো এবং স্বর্গ মর্ত্য তৈয়ার হইলো। সেই স্বর্গের 7টা অংশ, প্রতিটা অংশ এমন বড় যে উহা হাটিয়া পাড় হইতে পঞ্চশতাধিক বছর কালক অতিক্রান্ত হইবে,
সত্যানুসন্ধানে আগ্রহী নয়, আমার গত পোষ্টে কেউ সত্যের সংজ্ঞা নিয়ে হাজির হলো না এটা বড়ই পরিতাপের বিষয়। কারো কাছে কি সত্যের সংজ্ঞা নেই?
প্রচলিত ধর্মবোধের বাইরে সত্যের ধারক কি? বিজ্ঞান অনেকটা সংশয়বাদী, পরীক্ষননির্ভর সতত্যা ছাড়া কিছুই স্ব ীকার করে না, যদি গানিতিক ধারনাকে মেনে নিয়ে সত্যযাচাই করতে হয় তাহলে অনেক গানিতিক প্রবন্ধই নির্ভুল সত্যবহন করে, গানিতিক প্রবন্ধের শুরুতে বা পশ্চাতপটে একটা পূর্বানুমান থাকে যেমন ধর্মের শুরুতে একটা পূর্বানূমান বিদ্যমান।
প্রতিবছর গবেষণানিবন্ধ প্রকাশের পরিমান নেহায়েত কম নয়, এবং যদি পরীক্ষনকে সত্যনির্ণয়ের মাপকাঠি ধরা হয় তাহলে প্রতিবছর অনেক সত্য গানিতিক এবং তাত্তি্বক এবং পরীক্ষণকে নীর্ভুল প্রমান করে প্রকাশিত হচ্ছে।
অনেক রকম বিভ্রান্তি চারপাশে, অনেক রকম কথার আলোড়ন, সবাই একটা গ্রহনযোগ্য উত্তর খুঁজছে, আমিও একটা প্রশ্ন উত্থাপন করি, সস্তা এবং সভ্যতার মতোই প্রাচীন একটা ছোট্ট প্রশ্ন-
সত্যা কি?
ধর্মের অংশীদারিত্ব থেকে যদি চেতনাকে বিচু্যত করে ফেলি, যদি কোনো রকম রীতিনীতির সংশ্লিষ্ঠতা এড়িয়ে যাই তাহলে সত্যকে আমরা কিভাবে সংজ্ঞায়িত করবো?
নীতির সাথে সত্যের সম্পর্ক আছে কোনো? নীতিভ্রষ্টতার সাথে কি সত্যের সম্পর্ক আছে? আমি নিশ্চিত এই খানে অনেকেই সত্য এবং কোরানের মধ্যে একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক খুঁজে পায়, কোরানই সত্য এই দাবি নিয়ে তারা হাজির হতে পারে, কিন্তু কোরান সত্য এইটার ভিত্তি কোথায় স্থাপন করবে তারা?
সত্যের সাথে ইশ্বরের কোনো সম্পর্ক আমরা করবো না, কোনো রকম প
ফ্লাডিংয়ের একটা ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে এই 2য় পোষ্টটা করায় তারপরও করেই ফেলি।
প্রার্থনার প্রধান নিয়ম মুসলিম সমাজে নামাজ। প্রতিদিন 5 বার করে ইশ্বরকে স্মরণ করে মুসলিমরা, তার কাছে শরণ চায়। মসজিদে যায় নাতো বাসায় পড়ে কিন্তু মুসলিমরা 5 ওয়াক্ত নামাজ পড়েই পড়ে।
প্রার্থনা বলতে আমাদের ভেতরে কি অনুভব জাগে? এই প্রশ্নটা সবাই নিজেকে করলেই হবে। আমরা প্রার্থনা বলতে কি বুঝি? যারা এখনে কোরান হাদিস নিয়ে কথা বলছে তারা সবাই একটা বিষয় বলছে বাংলায় কোরান পড়ার কথা এবং পরে বলছেআরবিতে পড়ার কথা। যাই হোক আমার প্রশ্নটা অন্যখানে এই যে দিনে 5 বার নামাজ পড়া হচ্ছে সেখানে ফেরাউনের গল্প পড়ছি, মুসার গল্প পড়ছি, পড়ছি ইশার গল্প, নুহের প্লাবনের গল্প পড়ছি, শুক্রবারে খোতবার পরে ইমামের
আবুল হাসানের প্রথম কাব্যগ্রন্থের প্রথম কবিতার একটা অংশ আমাকে প্রচন্ড নাড়া দিয়েছিলো, আমার কাছে বিষয়টা এরকমই মনে হয় আমরা আমাদের পূর্বপুরুষের অসম্পূর্ন স্বপ্নের সমপ্রসারণ। আমাদের বাবা-মায়ের স্বপ্নপূরণের চেষ্টা করতে করতে আমাদের নিজস্ব স্বপ্ন পূরণের কোনো আকাংক্ষা অবশিষ্ঠ থাকে না। আমাদের গোপন ইচ্ছার বাস্তবায়ন হোক আমরা যা করে যেতে পারে নি তা আমাদের সন্তানরা করে যাবে এমন আকাংক্ষা পিতা মাতার মনে থাকে।
এমন আশার বা আকাংক্ষার জন্য আমরা তাদের দোষারোপ করতে পারি না, কারন তারা সর্বান্তকরনে আমাদের মঙ্গল চান। তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে তারা সঠিক পথে পরিচালিত করতে চান আমাদের। আমরা মুখে বড় বড় বুলি কপচে যাচ্ছি, আমরা সবার ব্যাক্তিস্বাধীনতায় বিশ্বাস করি, বিশ্বাস