মানুষ প্রকৃতিকে জানার চেষ্টা করছে, এটাই বিজ্ঞানের জন্মের কারন, আর মানুষ জন্মের সলুকসন্ধানে দর্শনের জন্ম, প্রকৃতি এবং মানুষ অঙ্গাঙ্গি জড়িত তাই বিজ্ঞানের উপরও দর্শনের প্রভাব বিদ্যমান, এবং এই দর্শনধারা বিজ্ঞানের গতিপথ নির্ধারন করেছে। ধর্মপ্রচারকরা স্বভাবতই নতুন দর্শনের সাথে নতুন বিজ্ঞানধারনার জন্ম দিয়ে ফেলে, তবে ধর্মপ্রণেতাদের উদ্দেশ্য পুরণের পথে তাদের সর্বরোগের মহাঔষধগোছের সকল কিছুর ব্যাখ্যা দিতে হয়, তারা পার্থিব জীবনে মানুষের করনীয় কি এটাও বলেন, কিভাবে প্রকৃতি কাজ করছে এটাও বলেন, মানুষের মৃতু্যবোধ তাকে তাড়া করে সমস্তজীবন, সেই মৃতু্যর পরে কি হবে এ বিষয়েও তাদের বিজ্ঞ মতামত থাকে। যদি ধর্মপ্রণয়নকে কোনো পেশা হিসেবে দেখা হয় তবে হালের গুলিস্তানের ম
বিষয়টা বেশ জটিল একটা বিষয় তাই যারা পড়ছে তাদের একটু মানসিক পরিশ্রম করতে হবে, এটা বিজ্ঞান ভিত্তিক আলোচনা সুতরাং যারা নিজস্ব বৈজ্ঞানিক মতবাদ তৈরি করে তারা এখান থেকেই পড়া বাদ দিলে ভালো, যারা একটু বৈজ্ঞানিক চিন্তনের বিবর্তন এবং বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সামান্য কিছু জানতে চায় তারা পরবর্তি অংশে আমন্ত্রিত।
বিজ্ঞানচর্চার শুরু কবে এ বিষয়ে কোনো পুথিগত প্রমান নেই, তবে প্রকৃতিকে জানার চেষ্টা যদি বিজ্ঞান হয় তবে সভ্যতার সাথেই মানুষ বিজ্ঞানকে নিয়ে বসবাস করছে।
ক্রমাগত ব্যাবহৃত অস্ত্রের উৎকর্ষসাধনও একটা বৈজ্ঞানিক পন্থা। তাই আমরা নতুন প্রজাতির অস্ত্রব্যাবহারকারিদের সবসময় বিজয়ী হিসেবে দেখি সভ্যতার ইতিহাসে। মানুষের ভাষা আবিস্কার, মানুষের অক্ষর আবিস্কার
নতুন নতুন বিষয় যোগ হয়েছে এবং সাথে নতুন নতুন সমস্যাও তৈরি হয়েছে, একটা লেখা ঠিক কোথায় পৌছাবে তার হদিস পাচ্ছি না, আমার নিজের ইচ্ছা পুরোনো লেখাগুলোকে সম্পুর্ন অবিকৃত রেখে সামান্য বানান সংশোধন করে নিজস্ব ধারনা অনুযায়ি সাজাবো কিন্তু সংশোধন করতে গেলেই সমস্ত লেখাটাই জট পাকিয়ে কিম্ভুতাকার ধারণ করে, এই সমস্যাটার কোনো সমাধান আছে কি?
সমস্যার মধ্যে যুক্ত বর্ণ লিখতে না পারার সমস্যাটা অতিপ্রচীন, ল এবং ট যুক্ত হয় না, ক এবং ক যুক্ত হয় না, ষ এবং ণ যুক্ত হয় না , ফোনেটিকের সমস্যা বলছি এটা, যদি লিখতে হয় এসব তাহলে নীচে গিয়ে কি বোর্ড থেকে লিখতে হয় মাউস চেপে( আমি বিজয় পারি না)
এমন অনেকগুলো যুক্তাক্ষরিক সমস্যা বিদ্যমান,
লেখার খসরা রাখার উপায় নেই, খসরা লেখা
উসমানের সংকলিত কোরান নিয়ে বিতর্ক এবং মুহাম্মদের কাছে শোনা কোরানের বানী নিয়ে উব্বায়ে ইবন মাসউদ এবং উসমানের সংকলিত কোরানের ভিতরের আয়াতের পার্থক্য , তাদের শাব্দিক পার্থক্য এবং আয়াত সংখ্যার পার্থক্য নিয়ে উসমানের সংকলিত কোরান বর্জন করে ইরাকের অধিবাসিরা। উসমানের মৃতু্যর পর আলি কোরান সংগ্রহ অভিযান শুরু করেন।
এ আলোচনার বিষয়বস্তু ওটাকে ঘিরেই থাকবে। এর আগে একজন প্রশ্ন করেছিলো এ বিষয়ের রেফারেন্সগুলোর উৎস কি? ওটার উত্তর হচ্ছে বেশির ভাগ তথ্যের প্রাথমিক উৎস তাবেরি- এই ভদ্্রলোক ইসলামের এইং ইসলামি ব্যাক্তিদের ইতিহাস লিপিবদ্ধ করেন 35 খন্ডের এক বিশাল সংগ্রহে। সেখান থেকে সংকলিত কিছু অংশ থেকে এ লেখা শুরু করেছি। আমি 35 খন্ড বইটির অনুবাদ পেলে সম্পুর্ন সঠিক বল
26শে মার্চ নয় প্রায় ব্লগের শুরু থেকেই স্বাধীনতা প্রশ্নে বিভক্ত এ ব্লগের মানুষেরা। তীরন্দাজ- মহুয়ার তর্ক চলছে এক পোষ্টে, আস্ত মেয়ের এক পোষ্টে বিতর্ক চলছে,
শুভ অনেকদিন ধরে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য দিয়ে যাচ্ছে, অমি রহমান পিয়াল লিখছেন তার বাবার সংকলিত একাত্তরের দিনগুলোর কথা, আড্ডাবাজ একেবারে প্রথম থেকেই রাজাকার এবং এদের কর্মকান্ড নিয়ে লিখছেন, দীক্ষক দ্্রাবিড় বিভিন্ন বধ্যভুমির কথা লিখছেন, এসব নিয়ে কারো কোনো বিভ্রান্তি আছে?
কেউ কি 71এ পাকিস্তানী সৈন্যবাহিনীর কৃতকলাপ এবং তাদের সহযোগী আল বদর আল শামসের ভুমিকা নিয়ে বিভ্রান্ত? তীরন্দাজের তীর তাহলে কোন লক্ষ্যে আঘাত করতে চায়?
প্রথমে আস্ত মেয়েকে যা বলতে চাই তা বলা শেষ করি আমি।
তোম
মানুষের নৃশংসতার তুলনা মানুষ নিজেই। দখলের লড়াই চলছে প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে, এবং লড়াই যখন তখন স্বভাবতই এর পক্ষ বিপক্ষ থাকে। সভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে মানুষের সভ্যতার লড়াই মূলত ত্রিমুখী হয়েছে, একটা সবসময়ের প্রতিদন্ড ী প্রকৃতি আর দ্্বী তিয় এবং তৃতীয় প্রতিদন্ডী স্বজাতি। অর্থনীতি, আদর্শ, অস্তিত্বের প্রয়োজন এবং মানসিক প্রশান্তির জন্য মানুষ মানুষের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারন করেছে।
যখন মানুষের আত্তিকরণের লোভ বেড়ে যায় পৃথিবী তার জন্য খুব ছোটো একটা ভূখন্ড। পৃথিবী জয় করার নেশায় অনেক নৃপতি যুদ্ধ করেছেন নিতান্ত অপ্রয়োজনে। ক্ষমতাবলয় ছড়িয়ে দেওয়া!!!র কারনে? কারন করদ রাজ্যের করে তার রাজধানী আর তার প্রাসাদের শোভা বৃদ্ধি পেয়েছে, অনেক প্রসিদ্ধ নৃপতি আছেন পৃথি
ভাষাবৈচিত্র এবং কোরানের উচ্চারনের রকমফেরঃ
আবু জাফর মুহাম্মদ বিন জারির আল তাবারি তার রচিত তাফসির-এ একটা ঘটনা বর্ননা করেছেন, ওমরের জবানিতে-
আমি হিশাম বিন হুকায়েমের তেলাওয়াত শুনছিলাম আল ফুরকান সুরার, তার উচ্চারন আমাকে নবীর শেখানো উচ্চারনের সাথে মিলছিলো না, আমি তার প্রার্থনা শেষ হওয়া পর্যন্ত ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করি এবং প্রার্থনা শেষ হওয়ার পর তাকে বলি" এ উচ্চারনে কোরান পাঠ তোমাকে কে শিখিয়েছে"
এর উত্তরে সে বলে " স্বয়ং নবীর কাছে আমি শিখেছি" আমি উত্তেজিত হয়ে তাকে ধরে নিয়ে যাই নবীর কাছে, তাকে এ কথা বলার পর তিনি আমাকে বলেন হিশামকে ছেড়ে দিতে এবং তাকে আবার তেলাওয়াত করতে বলেন। তার তেলাওয়াত শেষ হওয়ার পর তিনি বলেন"ঠিক আছে" এবার তুমি তেলাওয়াত করো। ওমরে
ইয়ামামার যুদ্ধে প্রায় 700 জন নিহত হন, এদের অনেকেই ছিলেন কোরানের হাফেজ। এদের একজন সেলিম। তার নিহত হওয়ার খবর পেয়েই উমর যান আবু বকরের কাছে, তাকে তাগাদা দেন কোরান সংকলনের জন্য।কোরানের সংকলনে আবু বকরের ভুমিকা প্রসঙ্গে আলির বক্তব্য - আবু বকর(ইশ্বর তার উপর শান্তি বর্ষিত করুন) প্রথম ব্যাক্তি যে কোরানকে একটা স্থানে সংকলন করেছেন।
মুসলমান আসলেই মজার এক জাতি, এই কথা হাদিসে থাকলেও এমন কথাও আছে যে আবু বকর বা ওমরের সময় কোরান সম্পুর্ন সংকলিত হয় নি। একটা হাদিস যা আবু বকরকে কোরান সংকলনের কৃতিত্ব দেয় সেখান থেকেই শুরু করি।
যায়েদ এর ভাষ্য পাওয়া যাবে সাহীহ বুখারিতে , কোরান সংকলন প্রসঙ্গে তার বক্তব্য নিম্নরূপ।
ইয়ামামার যুদ্ধের পর আবু বকর আমাকে ডেকে পাঠ
বুকাইলির বাইবেল কোরান ও বিজ্ঞান নিয়ে লেখাটা সমাপ্ত হয়েছিলো সৃষ্টিতত্ত অংশে গিয়ে। বুকাইলি আরও অনেক লিখেছেন, এর পরবর্তি অংশ পৃথিবী এবং সৌরজগত নিয়ে কোরানের বানী।
বুকাইলির দাবি, সূর্য নক্ষত্র এবং চাঁদ সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে উজ্জল হয় এ ধারনাটা প্রথম এসেছে কোরানে।
দাবিটা ভুল, কিন্তু বুকাইলি বিষয়টাকে অতিলৌকিক রূপ দেওয়ার চেষ্টায় এটা অস্ব ীকার করেছেন( যেমনটা করেছেন সৌরজগত সৃষ্টি প্রসংগে তার পছন্দনিয় অংশটা গ্রহন করে বাকি কয়েকটি প্রচলিত মত বিসর্জন করে?) অথবা এটা তার চোখ এড়িয়ে গেছে?
সূর্য গ্রহন কালে চাঁদ সূর্য এবং পৃথিবীর মাঝখানে চলে আসে এই অনুমান করে এর সপক্ষে কয়েকটা কথা বলেছেন গ্র ীক মনিষীরা। এসব ধারনা বাহিত হয়ে গেছে মিশরের উপকূলে, সেখা
রাষ্ট্র এবং ধর্মের মধ্যে সীমারেখা টানা এবং রাষ্ট্রিয় আইনপ্রনয়নের জায়গা থেকে কোরান কে বর্জন করে ফেলার ধারনা এবং আরও একটু সামনে গিয়ে কোরানের কিছু অংশকে যুগোপযোগী করে ফেলার ধারনা নিয়ে কিছু লিখেছিলাম।
ওয়ালি নিজের পোষ্টে এর একটা ব্যাখ্যা দিয়েছে, আমি উত্তর দিয়েছিলাম এবং সেই পরিপ্রেক্ষিতে আরও একটা মন্তব্য এসেছে এবং মৌলানা মুহাম্মদ কার্ল মার্কসএর একটা পোষ্টও সেই সাথে সংযুক্ত করে কিছু বলার চেষ্টা করি এখানে।
ওয়ালি কোরানের বিভিন্ন জায়গায় কোন সময়ে নামাজ পড়তে হবে এটা বলা আছে, ফজরের নামাজ আসরের নামাজ, জোহরের নামাজ এবং মাগরিবের নামাজের পরোক্ষ সময়সূচি বলে দেওয়া আছে আমার স্মৃতিতে এমনই বলে। আমি তোমার মতো আয়াত উল্লেখ করে বলতে পারবো না, সেখানে আরো এক