শখ গীটার বাজানো
সংঘবদ্ধতা মানুষের স্বভাবে। যদিও পশু সমাজে দলবদ্ধতার উদাহরন আছে মানুষের প্রকৃতিকে জয় করার লড়াই মানুষকে ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে। সভ্যতার ক্রমবিকাশ নিয়ে লিখবো --
বৈজ্ঞানিক পর্যালোচনায় 1 লক্ষ বছর আগেও প্রায় মানুষ জাতিয় প্রনীর উপস্থিতি জানা যায়। তবে আধুনিক মানুষের চেতনার উদ্ভব 10হাজার বছরের কাছাকাছি। তুলনামুলক ধর্মতত্ত্ব নামের এক বিষয় আছে যার পরিধি ধর্মভাবনার সুচনা থেকে পর্যায়ক্রমিক বিকাশ ধর্মাচারের ধর্মদর্শনের ভিন্নতা। বিশাল ব্যাপকতা, আমি অল্প কয়েকটা বিষয় জানি কেন সপ্তাহে সাত দিন কেন আসমানের সংখ্যা সাত কিভাবে পৃথিবীকেন্দ্রিক মহাবিশ্বের ধারনা আর ধর্মগ্রন্থের পাতায় থাকা ভুল তথ্য । যদিও অনুমান নির্ভর সম্পূর্নটাই ,কিন্তু কে 5000 বছর আগের জীবনযাত্রার
আমরা কবে নিজেদের দায়িত্ব নিতে পারবো? বাংলার প্রথম অন লাইন জার্নালে মানুষ লিখছিলো শান্তিমতো। সবাই নিজের অবস্থান থেকে নিজের ভাবনা লিখলো। মন্তব্য পালটা মন্তব্য , চলছিলো ভালোই। কিন্তু কারো বক্তব্য সংশোধনের প্রয়োজন ছিলো না। এখন পর্যন্ত যতজন এখানে এসেছেন লিখেছেন তাদের বয়েস 20 থেকে বেশী। শুধুমাত্র শাওনকে বাদ দিলে সবাই প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। তারা নির্বাচনে নিজেদের মতামত জানাচ্ছে, নিজেদের জীবনে কিছু কিছু সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তাদের মতামতের ভার আছে। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের নিজস্ব মানসিকতা উচ্চারন নিয়ন্ত্রন করতে হবে তাও এমন এক দল মানুষের যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা অন্তত স্নাতক পর্যায়ে। যদি মত প্রকাশের স্বাধীনতা না থাকে তাহলে সহনশীলতা মুক্তবুদ্ধির চর্চা হবে কিভাবে?
শুরু হয়েছিলো এক রাতে। সামান্য একটা চিৎকারের অবশিষ্ট গল্প এটা।প্রায় মাঝরাত, ঘড়িতে সময় তখন স্থির। সামান্য মেঘ ছিলো চাঁদের আশেপাশে। সেই ম্লান ঘোলাটে আলোর নীচে শহরের তরল অন্ধকার গড়িয়ে গড়িয়ে জমা হলো ল্যাম্পপোষ্টের কাছে।
সামান্য একটা চিৎকার,কিছু একটা ঘটছে,অশুভ কিছু একটা, দোকানের ঝাপ খুলছে সশব্দে,কিছু সম্মিলিত চিৎকার--ধর শালারে ধর,খানকির পোলারে কোপা,কোপা শালার পুতেরে--এলোমেলো পায়ের শব্দ,ধাবন্ত আর উদ্দেশ্যবিহীন। ঘুম আসছিলো না তাই বারান্দায় দাড়িয়ে দিনের শেষ সিগেিরটটা আয়েশ করে টানছি,নীল জামা আর চেক লুঙ্গি পড়া একজন হাটছিলো সাথে সাদা গেনজী আর স্যান্ডেলপায়ের একজন।রাতে ঘুম না এলে অনেকেই পথে পায়চারী করে এরাও তেমন দুজন। ভুল সময়ে ভুল জায়গায় থাকা রীতিমত
বর্তমানের কবিতার কিছু কিছু আমার পচ্ছন্দের। সবার সব কবিতা পড়তে পারি না । পকেটের সাস্থ্যচিন্তায় আর সংবাদ সাময়িকিতে যতটুকু ছাপা হয় তা যোগার করে পড়ার আলস্যে । তবুও যতটুকু সুযোগ হয়েছে তাতে আমার নিজের ধারনা হেলাল হাফিজের যে জলে আগুন জ্বলের মতো অন্য একটা কবিতা সংকলন পাওয়া কঠিন। স্বাধীনতার সমবয়সী এই কবি অত্যন্ত কৃপন। প্রায় 18 বছর ধরে লেখা গুটি কয়েক কবিতার এই সংকলনের পর আরও 18 বছর গেলো এখনও তার দ্্বীতিয় কবিতা সংকলন হাতে পেলাম না। শুনেছি কোন এক দৈনিকের সাহিত্য পাতার দেখাশোনা করছেন। এই কবির একেকটা কবিতার জন্যে অপেক্ষা করতে হয় অনেক অনেক দিন। অপেক্ষা করতে ভালো লাগে। শব্দ ব্যাবহারের সচেতনতা দৃশ্যের নিপুন নির্মান কিংবা নাগরিক জীবনের নিজস্ব অনুভব তার কবিতা
সীমিত প্রবাস জীবনের ক্ষুদ্র উপলব্ধি ধর্মান্ধতা পশ্চাৎপদতার পরিচয় না। আর অন্য একটা উপলব্ধি যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর অন্যতম মৌলবাদী দেশ। চার্চে না যাওয়ার জন্যে একঘরে করে রাখার মতো আশ্চর্য ঘটনাও ঘটে এখানে। অবশ্য আশ্চর্যই বা বলি কিভাবে ব্যাক্তিসাতন্ত্রপুজা করতে করতে মানুষগুলো বিচ্ছিন্ন দ্্বীপের মতো। তাদের সংঘবদ্ধতার চাাহদা পুরন করার মতো সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নাই। 500 বছরে কতগুলো ভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মানুষ প্রাচুর্য আর প্রতিষ্ঠার লোভে আদিবাসিদের বঞ্চিত করে সমাজ তৈরি করেছে কিন্তু সংস্কৃতির সংমিশ্রন করে নি। এটা নৃত্বত্তের আলোচনা আমার করা শোভা পায় না। আমার বিশ্লেষন কোন জাতিয় ঐতিহ্য না থাকায় এরা পরস্পরের সাথে সংযুক্ত না। কোন রান্নার ধারা নেই কোন লোকগী
তাহসানের কৃতদাসের নির্বানের সাথে সাথে উদ্্বোধন হয়েছে মেঘদলের প্রথম সংকলনের। চারুকলার কয়েকজন ছাত্র মিলেমিশে গানে নতুন ছবি একেছে। 11টা গান। সবগুলো ভালো হওয়ার সম্ভবনা নেই সবগুলো ভালো নয় তবে চেনা অচেনা আর আকাশ মেঘে ঢাকা সংকলনের সেরা গান। ছেলেবেলা ক্রুসেড অন্য দুটো মোটামুটি মানের গান। শ্রুতিমধুর আমি কবিয়াল নই গানে জেমসের ছাপ স্পষ্ট। ওঁম গানটি সবমিলিয়ে কোন গন্তব্যে যায় নি। বাংলাদেশের গানের দলগুলোর মধ্যে ইরাক যুদ্ধের প্রতিবাদে লেখা ক্রুসেড গানের প্রভাব পড়বে এমন আশংকা প্রবল।
অন্য গানগুলো তেমন ভালো না । তবে যারা এই সংকলন কিনেছেন তাদের প্রতারিত হওয়ার সুযোগ কম। অন্তত গানের প্রতি আন্তরিকতা স্পর্শ করবে সবাইকে।
বেশ আগে দুরে নামের একজনের গান শুনে আমি অবাক। যেই মানুষটা পর পর 3টা বাংলা বাক্য লিখতে পারে না সে গান গাইছে কেন? পরে দেখলাম আন্ডারগ্রউন্ড মেটাল ব্যান্ডের জনগন ভূল বাংলায় গান লিখে, সব গান ভুল তা কিন্তু না। তবুও বিষয়টা শ্রুতিকটু। কিন্তু ভুল বাংলার বা অর্থবিহীন বাংলার নতুন উদাহরন হুইল পাওয়ার এর বিজ্ঞাপন। নোংরা কালো মোজা ধুয়ে সাদা করে ফেলবে এমন দাবি নির্মাতার। কিন্তু যদি মোজা কালো হয় সেটা সাদা করে ফেলা ভালো কোন লক্ষন না।
এর পরের উদাহরন বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারিত খবরে। সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা কোরবানীর বর্জ্য পরিস্কার করছে। যদিও আমি দাবি করছি না সিটি কর্পোরশনের সব কর্মী অপরিচ্ছন্ন তবে তাদের খবর ছিলো পরিচ্ছন্নতা অভিযান --এ ক্ষেত্রে শব্দ
ঘটনাটা বেশ কয়েক বছর আগের- উদিচির বোমাবিস্ফোরনের আগে বা পরে। আফগানিস্তানে মোল্লা ওমরের তালেবান দল ক্ষমতায়। অলস আলোচনা শুরু হয়েছিলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বুদ্ধ মুর্তি ধ্বংসকরা নিয়ে। মুর্তিপুজা নিষিদ্ধ কিন্তু পরধর্মপালনে সম্পূর্ন স্বাধীনতাও ইসলামের একটা ধারা। যদি অন্য ধর্মের প্রতি সামান্য শ্রদ্ধাবোধ থাকে তাহলে বিধর্মীদের রক্তের লালসা থাকতে পারে না। আর তারচেয়ে বেশী গুরূত্বপূর্ন বিষয় তার পূরাতাত্তি্বক মূল্য। সভ্যতার অগ্রগতির এক একটা সোপান মুর্তিগুলো। নির্বোধের মতো নিজের দেশের ঐতিহ্য ধ্বংস করা নিজের সংস্কৃতির প্রতি তীব্র বিরাগ কোন উন্নত মননশীলতার বিষয় না।
আসলে এই উগ্র ইসলামিক রাজনীতি কতটুকু গ্রহনযোগ্য। দুইটা বহুল ব্যবহার করা হাদিস- তোমাদের মধ্যে
কিছু জিজ্ঞাসা ছিলো দেশের শিক্ষিত জনতার কাছে। বিশেষত আমাদের জন্ম এমন এক সময়ে যখন বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত তাই সত্যি ইতিহাস ঘটতে দেখার সুযোগ হয় নি। ভাষা আন্দোলন এর ইতিহাস জানি না। জানতে ইচ্ছা করে কিন্তু সুযোগ নেই। এতবড় একটা অসাম্প্রদায়িক আন্দোলন হলো যার ভিত্তি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষন । কৃষ্টি সংস্কৃতি রক্ষার জন্যে এত বড় একটা আন্দোলন হলো দেশজুড়ে অথচ তার উপর ভিত্তি করে তেমন রচনা নেই। রাজনৈতিক আর সাধারন মানুষের চেতনার পরিবর্তনের ধাপগুলো বোঝার উপায় নেই। প্রায় সমস্ত দেশেই রাষ্ট্রভাষার দাবিতে সমাবেশ হলো-দেয়াল লিখন লিফলেট হলো কিন্তু কারা সংগঠিতকরলো তার জবাব নেই।
1948 থেকে 1952 পর্যন্ত বিভিন্ন আঞ্চলিক দৈনিক ঘাটলেই জানা যেত কোথায় কিভাবে