কোন কিছু পাওয়ার প্রত্যাশায় যুদ্ধকরেন নি মুক্তিযোদ্ধারা তবে একদল লোভী মানুষ মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়কে পূজি করে সম্পদ আহরন করেছে এটা আমাদের জাতিয় লজ্জা। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে একটা আবেগী অবস্থান আছে যাদের তারা এই পরিচয় ব্যাবহার করে নিজেদের আখের গুছিয়ে নষ্ট করলো সবার শ্রদ্ধা।
যেহেতু কিছু পাওয়ার আশায় যুদ্ধ করেন নি তাই মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ের গর্ব ছাড়া অন্য কিছু না পেয়ে অনেকেই তাদের পূর্বপেশায় ফিরে গেছেন -ছাত্ররা শিক্ষাঙ্গনে শ্রমিকরা তাদের পেশায়। কিন্তু কিছু কুলাঙ্গার এসেছে রাষ্ট্রের কাছে যুদ্ধের পারিশ্রমিক বুঝে নিতে। তাদের প্রতি আবেগীদূর্বলতা হয়তো সেনাবাহিনীবিহীন বাংলাদেশ তৈরী করার একটা বাধা ছিলো। আমার অনুমান এমনটাই। হয়তো বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর ইতিহাস
বিষয়টা আমার মনে হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। ইতিহাসজ্ঞান নিতান্ত অপ্রতুল তাই ভুল মন্তব্য করেও ফেলতে পারি,এই আশংকাই বেশী।
25শে মার্চের পর নির্বিচার গনহত্যাপ্রতিরোধে প্রথম প্রতিরোধ করেন পুলিশ বাহিনী,এর কয়দিন পরে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় সবাইকেই যুদ্ধে জড়িয়ে পরতে হয়। কেউ স্বাধীনতার পক্ষে আর কেউ স্বাধীনতার বিপক্ষে অখন্ড পাকিস্তান রাখার জন্যে। শুধুমাত্র একটা বিষয় উল্লেখ্য --- 25শে মার্চের আগের আন্দোলনের কোথাও বিচ্ছিন্নতার দাবী ছিলো না ছিলো স্বাধীকারের দাবী আর পরিস্থিতি বিচারে যথেষ্ট ন্যায়সংগত দাবী ছিলো সেটা। বৈষম্যের সেই ইতিহাস বা পরিসংখ্যান খুব সহজেই পাওয়া যাবে আর স্বাধীকারের দাবীর যৌক্তিকতা প্রমান মুল প্রসঙ্গ না। আওয়ামী লীগের সংখ্যাগরিষ্ঠতা এমন ছিলো
সারাদিন মানুষের ভাবনা পরি। আড্ডাবাজ,ওয়ালী,হাবিব, ভালোই লাগে। সবসময় এক মত হতে পারি না, কি আর করার। তারে তারে তথ্য আদান-প্রদানের সুবিধা নিজের ঘরের সাচ্ছন্দে কথা বলা যায়। নিজের ডায়েরীর মতো একান্ত না হলেও সবার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা মানে যে কেউ যা কিছু বলতে পারে, মানুষের মননের উপর লাগাম টানার সক্ষমতা নেই রাষ্ট্রের।
কয়দিন আগে মজার একটা ঘটনা পরলাম। নেট এ মানুষের পরিচয় কতটা গোপন থাকে এ বিষয়ে। অন লাইন ডেটিং সাইটে যোগ্য সঙ্গী খুজছে পাগলের মতো। এমন দুজনের পরিচয় , 6 মাস অনলাইনে কথাবার্তা ভালো লাগার এক পর্যায়ে রোমান্টিক ছুটি কাটানোর পরিকল্পনায় নির্জন সমুদ্র সৈকত। প্রথম দেখায় দু জনের চমকে ওঠা। জীবনের আদর্শ সঙ্গী ভেবে যার সাথে দেখা সে তার মা।
আমরা
ভোর 3টা না বলে গভীর রাত বলি, ঘুম ভাঙ্গলো। হাসপাতালে ফোন, ডাক্তারের সাথে কথা । সিদ্ধান্ত সময় হয়েছে হাসপাতালে যেতে হবে। এতরাতে ট্যাক্সি নিয়ে যাওয়া যায় আবার কুর্নিয়াকেও ফোন করে আসতে বলা যায়। আমার গাড়ী নেই, চালাতেও শিখি নি।এত রাতে ক্ষমাপ্রার্থনা করে ফোন করলাম মেঘকে। তার পর গুছিয়ে রাখা ব্যাগ নিয়ে হাসপাতাল। ঋক এর জন্ম হওয়ার সময় হয়েছে। পুর্নিমা রাত তাই প্রসুতি কক্ষে অত্যাধিক ব্যাস্ততা। এর মধ্যেই কোন এক ঘরে অবস্থান হলো আমাদের। নার্সের আগমন, বিভিন্ন যন্ত্র জুড়ে দেওয়
আমার সাথে কুর্নিয়ার পরিচয় গত জুন এ। আমরা দুজন আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তাই বড়দিনের ছুটির পর দেখা হলো আবার বসন্তবিরতিতে। বাকি মাঝের সময়ে যোগাযোগে টেলিফোন ভরসা ।সেমিস্টার শেষ হলো মে মাসের শেষে। আর তখন খবর পেলাম কুর্নিয়া তার বন্ধুদের নিয়ে অনাগত শিশুর আগমন উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান করছে। আমার ছেলের প্রথম অনুষ্ঠানে আমি অনুপস্থিত কারন সময়ে মিলে নি।
আমার আসার পর দেখা হলো তার সাথে। ইন্দোনেশিয়ার ছেলে এবং বাবা। তার ছেলে জশুয়া এবং বউ লিয়ান গরমের ছুটিতে ইন্দোন
5 মাসে তোলা ছবি
2 মাসে তোলা সে এখনও ক্যামেরার মূল আকর্ষন।
ছেলে আমার বাপ কা বেটা সুন্দরের পুজারী। তাকে ছবি দেখানো হলো এবং তার পছন্দ হলো এই মেয়েকে। আমি আশাবাদী ও আমার মান রাখতে পারবে।
আকাশ সংস্কৃতির যুগের নতুন যন্ত্রনা সংবাদ। বাংলাদেশের মানুষ কিছু করার সুযোগ না পেলে শেষ অবলম্বন হিসেবে সাংবাদিক হয়ে যায়। সংবাদপত্র কর্মীদের অপমান করার জন্যে বলছি না, তবে যে হারে সংবাদ পত্র জন্ম নিচ্ছে তাতে সংবাদ মাধ্যমের জন্মশাসন প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যাবার সম্ভবনা তৈরী হয়েছে।
সংবাদ পত্র আদর্শিক অবস্থান ছেড়ে বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হয়ে গেল। কিছু ভালো সাংবাদিক তৈরীও করলো কিন্তু আমি যে কয়জনকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি তারা জনগনের কাছে সংবাদ প্রদান করছে এবং জনগন তাদের বক্তব্য শুনছে এটা ভাবতেই আশ্চর্য লাগে। তাদের কয়েকজন ভয়াবহ মাদকাসক্ত কারো নারীদেহের লালসা, পেশাগত দায়িত্ব বিচু্যত হয়ে ভুল সংবাদ বা একপেশে সংবাদ প্রদানের সম্ভবনা অনেক। যদি ধরেও নেই তারা
বাংলাদেশ সব সম্ভবের দেশ। পাগল অর্থমন্ত্রীর প্রলাপ সংবাদ পত্রের প্রথম পাতায় আসে । তার বিভিন্ন নির্মম রসিকতা দেখে পড়ে বুঝতে অসুবিধা হয় না কেন বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে সুখি দেশ। তার আঞ্চলিকতার দোষ কেউ শুধরাতে পারবে না। অবশ্য বাংলাদেশের কজন মানুষ শুদ্ধ আর সুন্দর বাংলায় কথা বলতে আর লিখতে পারে।
ভাষা জনসংযোগের অন্যতম মাধ্যম। সুন্দর কথা বলতে পারাটা শিল্প এবং এটা করতে তেমন বেশী পরিশ্রম করতে হয় না সামান্য আন্তরিকতা এবং প্রচেষ্টা থাকলেই হয়। রাজনৈতিকদের অশোভন সংস্কৃতি চর্চার প্রধান ক্ষেত্র সংসদ। কুরূচিপূর্ন কথা বলার জন্যে নিশ্চিত কেউ জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করে না। কিন্তু সস্তা সং সভা হয়ে গেছে সংসদ। এদের জন্যে খারাপ অনুভুতিও আসছে না। বেড়ে ওঠা এসব মা