1947এ শুধুমাত্র সংখ্যাগড়ে বেশীকম থাকার জন্যে কোন এক আশ্চর্য সকালে প্রতিবেশী ভিনদেশী নাগরিক হওয়ার মতো ভুতুরে বাস্তবতা প্রতক্ষ্য করলো কিছু দূর্ভাগা মানুষ। একটা টাইপ রাইটার আর উদ্ভট জেদে সেকুলার একজন মানুষ ধর্মভিত্তিক একদেশের জাতির পিতা হয়ে গেলো।
প্রথম নির্বাচিত সংসদ অধিবেশনে এর দূর্বলতার প্রকাশ পেলো। রাষ্ট্রভাষা প্রসঙ্গে মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ র মতো অনেক মানুষ বাংলা পছন্দ করলেও গোলাম মোস্তফার মতো অনেকের পছন্দ ছিলো উর্দু। শুধুমাত্র রাজনৈতিক অধীনতা মানুষের বিবেচনাবোধের অধপতন ঘটায় এর প্রমান রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের প্রতি দিন প্রকাশিত হয়েছে। আর এই আন্দোলন ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রের অসারতার প্রমাণ, ধর্মপ্রভাববিহীন দেশের জন্যে প্রয়াসে র সুচনা পাকিস্তানের জ
34 বছর এবং দুই প্রজন্ম পরে কোন প্রভাব ছাড়া কিছু কথাবলার মানসিক স্থিরতা অর্জন করেছি । এটা আমার ব্যাক্তিগত বিশ্লেষন।
আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনা করে শুরু করি।
7ই মার্চের ভাষনে স্বাধীনতার বক্তব্য থাকলেও মূলত শেখ মুজিবের প্রধান লক্ষ্য ছিলো স্বাধিকার। পুর্ব পাকিস্তান নিজের ভাগ্য নিয়ন্ত্রন করবে এবং পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে যুক্ত হবে আলাদা রাজ্য হিসেবে যেমন যুক্ত রাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত। 7ই মার্চের ভাষনে স্বাধীনতার কথা বলেও সরাসরি যুদ্ধের সুচনা না করে আলোচনার পথ খুলে রাখা আর এই অবসরে পাকিস্তানি সৈন্যবাহীনির এদেশে অবস্থান গ্রহন এবং অবশেষে 25শে মার্চ এর বর্বরতা এটা রাজনৈতিক ভুল এমন মত থাকতে পারে বিপরীত মতও থাকতে পারে, আলোচনা
তুমি তো মূলত একা স্বপ্নদোসর
তুমিতো একাই থাকো রাত হয় ভোর
তুমিতো জানোই একা হয়ে যায় লোকে
তবে কেন বলো
কেন বলো
বিরহ ছুয়েছে আমাকে।।
প্রথম গীতসংকলনের অভাবিত জনপ্রিয়তা প্রত্যাশার যে সীমা তৈরি করেছিলো তার সামান্যই অতিক্রম করতে পেরেছে কৃতদাসের নির্বান। বছরের শেষ হতাশা বলা যাবে না এটাকে তবে সঙ্গীতজগতের শীর্ষ দশ হতাশার একটা হবে নিশ্চিতভাবেই। ব্যাতিক্রমি ক থাচয়ন গায়কি সব ছিলো শুধু সব মিলে শ্রবনযোগ্য কিছু হয়ে উঠে নি। কাঁদা চাদের হাট নিরানব্বই সহ সব গানই প্রত্যাশার শুরু থেকে মুখ থুবরে পড়ে গেছে।
আদতে গানের কথা আর গায়কি সব না ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক এবং বাজনার সংমিশ্রন ও গানের শ্রুতিমধুরতার শর্ত। পর্যাপ্ত সময় এবং পরিশ্রম দুটোই ছিলো না এই সংকলনে। আমি নিশ্চিত তাহসানের এর চেয়ে ভালো কিছু দেওয়ার আছে কিন্তু শিল্প সময় এবং পরিশ্রম দাবী করে। জনপ্রিয়তার দায় চুকাতে তাহসান যেমন ব্যাস্ত এখন
যদিও কবিতা কবিতাই তারপরও রবি ঠাকুরের কবিতা সেই কালের আধুনিক কবিতা হিসেবে গন্য হয়েছে। আর রবি ঠাকুরের গ্রাসে কবিতার এমন দুরাবস্থা অমিয়র প্রথম দিকের কবিতায় তার স্পষ্ট ছাপ।
যদি রবি ঠাকুরের কবিতা চিরায়ত বা অতীত ধারায় রাখি তবে অমিয় সুধীন জীবনানন্দ এরা পরবর্তী আধুনিক।
আমার পছন্দের কবি শক্তি চাটুজ্যে। আমি রবি ঠাকুর পড়ি নি নজরুল তেমন পড়ি নি। আমার ভালো লাগে নি যে কটা পড়েছি। শক্তির বলার ধরন , দেখার ধরন, ছবি আঁকার ধরনে আলাদা একটা ভাব।
ঘাসের গভীড়ে চরে ভেড়া
রীতিমতো ঘাস হয়ে যায়
যখন ভেড়াকে খুটে খায়।
কবিতার শব্দগুলোর আড়ালে গল্প থাকে যার কিছুটা কবির জানা কিছুটা অবচেতন। শক্তির নিজের অনুভব কবি সমস্ত লিখাগুলোই আসলে একটা দীর্ঘ কাব্য যা আলাদা করে সারা জীবন ধরে কবি লিখছেন। তাই কবির কবিতাকে দেখা প্রয়োজন সামগ্রীক ভাবে। আমার যদিও এই কথা মেনে নিতে সামান্য আপত্তি আছে, তবে একজন মানুষের জীবনদর্শন তার কাজে প্রতিফলিত হয়। তার রাজনৈতিক অবস্থান তার মানসিক অভিক্ষেপ পড়ে তার প্রতি উচ্চারনে। একজন কবি তার অবস্থান আর অনুভব
কষ্ট করে লিখে যখন পোস্ট করতে যাই দেখায় ভুল হয়েছে এবং লেখা উধাও হয়ে যায়। কিযন্ত্রনা। অন্য সমস্যা যুক্ত বর্নে। আমি ব্লাক লিখতে চাই বেলাক মানে কালো এখনও সফল হই নি।
যেকোন বিচারেই ধর্ম সরস একটা বিষয়। আর এটা নিয়ে আলোচনা অবশেষে ব্যক্তিগত বিশ্বাসে গিয়ে থামে। তখন যুক্তি নয় উচচারণগুলো আবেগের এবং তা আড্ডার সবার ব্যক্তিগত আক্রমনে গিয়ে থামে ।
ইশ্বরবিশ্বাস বাদ দিলে ধর্মে ধর্মে বিভেদ নেই তেমন।
পৃথিবীতে সবচেয়ে অদ্ভুত দৃশ্য সন্তানের বেড়ে ওঠা। প্রথম যখন দেখলাম কোলে তুলতে ভয় হতো। জেলীর মতো ,হাতের ফাক দিয়ে গড়িয়ে পরবে ভয় হতো, সেই পুতুল দিনে দিনে রূপ বদল করে এখন বসতে শিখেছে, হামাগুড়ি দিয়ে সামনে যায়,দুলতে দুলতে ধপাস পরে যায় বিছানায়। তার অভিধানে শব্দসংখ্যা কম। কিন্তু তার নিজস্বপছন্দে চলার নির্ভুল জেদ আমাকে আশ্চর্য করে প্রতিদিন। তার নামটাই বলা হয় নি---ঋক অনিন্দ্য । প্রথম বছরের সবগুলো মাইলস্টোন সে পার হবে ঠিকমতো এই আশা। হামাগুড়ি দিতে দিতে একদিন উঠে দাড়াবে নিজের পায়ে, হাটবে নিজের পথে। যদিও খারাপ লাগে এ রকম পরিজনহীন বেড়ে উঠছে প্রবাসে তার জনকের শেকড় ,সংস্কৃতি কোনটাই সে পবে না । তেরো পার্বন 21শে ফেব্রুয়ারি,1লা বৈশাখ হালখাতার নগদ লেনদেন সবছাড়া ব
বহূল প্রচলিত মন্তব্য বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ ইতিহাস কি এমন সাক্ষ্য দেয়? এই দেশে নিয়মবেধে বাউল নিধন হয়েছে আশরাফ আতরাফ আর শ্রেনী বর্ণ গোত্র বিভাগ ধারণ করে এ কোন সম্প্রীতি? আর অভাব মানুষের শ্রেনীবোধ গিলে খায় তাই সর্বহারার কোন ধর্মপরিচয় নেই। আমাদের ধমর্ীয় সম্প্রীতি সর্বহারার যৌথলড়াই টিকে থাকার।