এই দুটি বিষয়ে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় এখন অবশেষে- ছাগল দিয়ে হাল চাষ আর সামরিক বাহিনীর সহায়তায় সুশাসন এবং দুর্নীতি দমন সম্ভব না কোনো ভাবেই- যদিও ১১ই জানুয়ারীর পরের বাস্তবতায় কেউ কেউ অনুমান করেছিলো সোনার পাথর বাটির অস্তিত্ব সম্ভব তবে জিঘাংসু এবং প্রতিহিংসাপরায়ন একদল জঙ্গী মনোভাব সম্পন্ন সংঘবদ্ধ দলে...
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অসহনীয় সময়ের সম্পূর্ণ দায়টা বর্তায় মেরুদন্ডহীন নির্বাচন কমিশনারের উপরে-সাবেক মাননীয় বিচারপতি ও প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনার পেশাগত নীতিচ্যুত হওয়ার কারণেই এড় বড় একটা সংঘাতের দিকেচলে গিয়েছিলো বাংলাদেশ- সেখান থেকে জলপাই জিপে চড়ে সামরিক বাহিনীর প্রধান বাংলাদেশকে রক্ষা করেন-
আজিজ নির্বাচন কমিশন থেকে লজ্জাস্কর ভাবে বিতাড়িত হওয়ার পর নতুন নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রক দল এসেছে- তবে প্রশ্নটা আবারও সামনে আসছে- আদৌ কি শোভন এবং সচেতন মানুষ দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে নির্বাচন কমিশন, বর্তমানের নির্বাচন কমিশনে যে ৩ জন মানুষ কার্যত নীতিনির্ধারণ করছেন তারা কি শোভনতা, রাজনীতি অসংশ্লিষ্ঠতার দাবি প্রমাণ করতে পেরেছেন?
নির্বাচন কমিশন ত
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অসহনীয় সময়ের সম্পূর্ণ দায়টা বর্তায় মেরুদন্ডহীন নির্বাচন কমিশনারের উপরে-সাবেক মাননীয় বিচারপতি ও প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনার পেশাগত নীতিচ্যুত হওয়ার কারণেই এড় বড় একটা সংঘাতের দিকেচলে গিয়েছিলো বাংলাদেশ- সেখান থেকে জলপাই জিপে চড়ে সামরিক বাহিনীর প্রধান বাংলাদেশকে রক্ষা করে...
গত ৬ মাসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আদতে কতটুকু কাজ করেছে- তাদের নির্ধারিত দায়িত্ব একটা গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং নির্বাচনটা সফল ভাবে সমাপ্ত করা- এই নির্ধারিত লক্ষ্যে তারা কতটুকু অগ্রসর হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন স্বাধীন হওয়া কিংবা লা হওয়া একটা ভবিষ্যতের প্রশ্ন, নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ এব...
সভ্যতা পরিপুষ্ট হয় রক্তে এবং যুদ্ধে, নগর নির্মাণ এবং নগর ধ্বংস একই সাথে চলেছে সভ্যতার স্রোতে একই নগর কয়েক বার ধ্বংস করা হয়েছে- আবার নির্মাণ করা হয়েছে- সভ্যতার সাম্রাজ্যবাদী সম্প্রসারণের ধারাটাই এমন-
নগর ধ্বংস, নগর নির্মাণ এবং বিজিত নগরের শাসন কাঠামো নির্ধারণ করা- এইভাবে মহামান্য সম্রাট নিজে ইতিহাসের চরিত্র হয়ে উঠছেন-
তবে প্রাচীন পুরাণের রীতি অনুসরণ করলে, পুরাণ কথা বিশ্লেষণ করলে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে উঠে- প্রাচীন গ্রীক সভ্যতা- কিংবা রোমান সভ্যতা এসব সভ্যতায় কোনো একক ইশ্বরের কতৃত্ব ছিলো না- এমনটাই সম্ভবত সত্যি যে আরব আর পারস্য থেকে ইশ্বর সমস্ত বিশ্বে রপ্তানী হয়েছে।
অন্যান্য সভ্যতাগুলোতে দেব দেবীদের যৌথ পদচারনা ছিলো-
তবে অন্য সত
সামহোয়্যার ইনের শালীনতাবাদী আন্দোলনের সময় একটা বিষয় স্পষ্ট হয়েছিলো যে শালীনতা বিষয়ক নীতিমালার ক্ষেত্রে একটা চলমান সমস্যা হলো এই বিষয়ে কোনো আদর্শ অবস্থান না থাকা-
আদতে আমাদের এইসব বিতর্কের সূচনায় এটা মনে রাখা উচিত ছিলো যে প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব জীবনদর্শনে একটা আদর্শ অবস্থান থাকে- তবে সেই আদর্শ অবস...
লন্ডনে দুটি অবিস্ফোরিত গাড়ী বোমা পাওয়া গেলো- সন্দেহের তীর মুসলিম জঙ্গীদের দিকে- বিষয়টা দুঃখজনক এইটুকু বলা যায়-
যদিও ধর্মান্ধ মানুষদের কিংবা অমানুষদের এ সংক্রান্ত বোধটা খুবই কম- তারা যে মানবতার উপরে আঘাত করছে এই বোধটুকু জন্মালেই অনেকগুলো অঘটন দেখতে হতো না আমাদের-
অন্য রকম প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত এই সন্দেহের তীর উদ্যত থাকবে- তবে এসব ঘটনায় ধর্মীয় চিহ্ন ধারণ করা নিয়ে ব্রিটিশ সহনশীলতার পরিমাণ কমবে- নেকাব পড়ে থাকা মেয়ে ও মহিলাদের প্রতি কটু বাক্য বর্ষণও বাড়বে- বাড়বে সন্দেহ আর অবিশ্বাসের পরিমাণ-
এতগুলো মানুষকে ভুক্তভোগী বানিয়ে কতিপয় ধর্মগুরু আসলে কি লাভ করতে চায়-
জেহাদের জন্য নিজেদের মানব বোমায় পরিনত করা মানুষগুলোর জন্য করুণা হয়-
মানুষের অসহায়ত্ব, মানুষের সংশয়, মানুষের সীমাবদ্ধতা এবং মানুষের অলৌকিকত্বের প্রত্যাশা ভক্তিবাদের পালে হাওয়া দেয়- বিষয়টা ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া কার্যকরণ মেনে চলে।
বাংলাদেশের সামাজিক অবকাঠামো, এর অর্থনৈতিক স্তরবিন্যান যেকোনো অনগ্রসর সমাজের মতো এখানের মানুষকেও ভক্তিবাদের উগ্র সমর্থক করে তুলেছে, একই রকম সামাজিক অনুপ্রেরণায় ভন্ড পীর সুফিরা এখনওআত্মপ্রকাশের সুযোগ খুঁজছে বাংলাদেশে।
স্নেহ মামতা আর যাবতীয় মানবীয় আবেগ মানুষকে অসহায়ত্বের মুখোমুখি করে প্রতিনিয়ত, প্রতিনিয়ত মানুষকে সীমাবদ্ধ আর সংশয়ী করে, মানুষ এমন একটা হাঁফ ধরা অবস্থায় অলৌকিকত্বের প্রত্যাশা করে আর একজন মানুষ খুঁজে যে তাকে পরিত্রান দিবে।
মানুষের পরকাল সম্পর্কিত চেতনা অগভীর- সাধা
ইসলাম নামক একটা ধর্ম আরবে জন্ম নিয়েছিলো, এরপর সেটা ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্ব, প্রাথমিক প্রসারটা ইসলামী সুলতানাত গঠনের স্বপ্নে ছড়িয়ে পড়া তরবারীর মাধ্যমে- ইসলামী শাসন ব্যবস্থা কায়েম হওয়ার পরও আসলে ইসলাম তেমন ভাবে সবাইক আকৃষ্ট করতে পারে নি-
ইরাণ কিংবা ইরাক কিংবা সিরিয়া কিংবা আর্মেনিয়া কিংবা এরপরের ইউরোপের উপকূলে- ইসলাম এসেছে- কোনো কোনো ঐতিহাসিক দৃঢ় ভাবে ঘোষণা করেছেন এমনকি ইংল্যান্ডের উপকূলেও ইসলাম এসেছিলো- তারা ইংল্যান্ডে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে পেরেছিলো এমন কথা এখনও প্রমাণের অপেক্ষায়।
তবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করলেই একটা স্থানে ইসলামের শিখা প্রজ্জ্বলিত হয় না- সেটা সাধারন মানুষের ভেতরে প্রবেশ করতে হলেও রাষ্ট্রীয় কিংবা অন্য কোনো উৎস থেকে সেটাকে প্রসারি
রাজনীতিতে বিশুদ্ধতার বাতাস আনবে ধর্মীয় রাজনৈতিক দলেরা- সৎ ও যোগ্য প্রার্থী আন্দোলনের জনক জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের বক্তব্য ছিলো এমনই- তবে তাদের সৎ এবং যোগ্য এবং যুদ্ধাপরাধী নির্বাচিত এবং অনির্বাচিত সাংসদ ও নেতাদের সততার মাত্রাটা ঠিক নেই- তারাও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন-
তবে আমার কাছে ধর্মীয় রাজনৈতিক দল কোনো উৎকৃষ্ট বিকল্প মনে হয় না- বরং আমার মনে হয় এটার গ্রহনযোগ্যতা সীমিত- আমি কোনো ভাবেই রাজনৈতিক মত প্রকাশের জায়গাটাতে একটা সাম্প্রদায়িক দলকে কার্যকর দেখতে আগ্রহী না- রাজনৈতিক মতাদর্শের বিকল্প হিসেবে কোনো ধর্মীয় আদর্শ আসতে পারে না সামনে- ধর্ম এবং রাজনীতির পটভুমিতে ব্যবধান আছে এবং বর্তমানের দেশগুলোর ভাষিক ঐক্য এবং সাংস্কৃতিক ঐক্যের