রানীএলিজাবেথ তার জন্মদিন উপলক্ষে সালমান রুশদীকে নাইট উপাধিটে ভুষিত করেছেন- যেহেতু এই রাজটান্ত্রিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার রাজা এবং রানীগনের নিজস্ব তাই রাজা কিংবা রানী যদি তার নিজস্ব পছন্দ অনুসারে মানুষকে নাইটহুড দিয়ে ফেলেন সেটা তার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা-
তবে সালমান রুশদীর নাইটহুড নিয়ে ইসলামপন্থীদের উগ্রতা লজ্জাজনক, আবারও ফ্রিডম ওফ এক্সপ্রেশনের কথা বলটে হয়, বলতে হয় সহনশীলতার কথা- এবং লজ্জাজনক সত্য হলো সহনশীলতার মাত্রায় ইসলামপন্থীদের অবস্থান অনেক নীচুতে।
সালমান রুশদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ মুহাম্মদকে অবমাননার অভিযোগ- ইসলামপন্থীদের দাবী তার স্যাটানিক ভার্সেস উপন্যাসে নবীকে অবমাননা করা হয়েছে- মনে নেই অনেক আগে যতটুকু পড়েছিলাম সেখানের কি
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জনপ্রিয়তা কমছে, গ্রাফের এই নিম্নমুখী ধারা অবশ্য অপ্রত্যাশিত নয়। প্রচারণা সংস্থার ভাষ্যমতে ওয়ান এলাভেনের মর্যাদা পাওয়া ১১) জানুয়ারীর প্রেক্ষাপটে সামরিক অধিগ্রহন মানুষকে যতটুকু স্বস্তি দিয়েছিলো এরপর নানাবিধ অপরিকল্পিত কর্মসূচির ফলে সেই জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে।
যদিও জনপ্রিয়তার জরিপে অংশগ্রহনকারিরা সমাজের সকল অংশকে প্রতিনিধিত্ব করে না তেমন ভাবে এটাও সত্য সমাজের সকল অংশ সকল সিদ্ধান্তে সমান ভাবে আক্রান্ত হয় না। নিয়মিত দৈনিক সংবাদপত্র সেবন করা লোকজন পৃথিবীকে একভাবে দেখতে শিখে আর যারা সংবাদপত্রের সংস্পর্শে থাকে না তারা বাস্তব- অবাস্তব- জনরব আর গুজবের ভেতরে বাংলাদেশ দেখে।
তপন চৌধুরীর মস্তিস্ক বিকৃতির সূচনা হয়েছিলো বানিজ্
আসলে পরামর্শ দেওয়ায় সুশীল হয়ে না উঠার চেষ্টা থাকলেও আরও একটু উপদেষ্টা পরিষদের কাজ করে উপদেশ সংক্রান্ত বিষয়াসয় ভুলে যাবো।
যারা অনেক দিন ধরে এই সচলায়তন...
সমাজের দর্পণ বলে বিবেচিত সংবাদপত্র কেনো তার নিজস্বদায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলো- গত ১৫ বছরে তথ্যস্বাধীনতার সুযোগ পেয়েও কেনো তারা দায়িত্বশীলতা শিখলো না এসব প্রশ্নের উত্তর আসলে সংবাদপত্র কর্মীদের দিতে হবে-
দুঃখজনক সত্য হলো চা চক্ট আর সুশীল আলোচনার ভেতরেও কোনো এক অদৃশ্য কারণে তথ্যের উপরে পর্দারোপ এবং তথ্য তছরূপের একটা প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে-
কেনো এই বাস্তবতার জন্ম হলো এই সংক্রান্ত আলোচনা হতেই পারে- গণমাধ্যম কেনো তার যথাযোগ্য ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে- কেনো আমাদের সাংবাদিকতার সাথে জড়িত মানুষদের সাংস্কৃতিক বোধ আর সংস্কৃতি চর্চার মাণ ছুটা কাজের বুয়া পর্যায়েই সীমাবদ্ধ থাকলো( যদিও ছুটা কাজের বুয়ারা অপমানিত বোধ করতে পারে আমার কথায়) ছুটা কাজের বুয়
আমাদের গণমাধ্যম গনসচেতনতা গড়ে তুলতে ভীষণভাবে ব্যর্থ, তাদের কাছে প্রত্যাশিত দায়িত্বশীলতা এবং দায়বদ্ধতার প্রত্যাশা তারা পূরণ করতে পারে নি- ব্যবসায়িক ধারণা থেকে পরিচালিত জনসচেতনতামূলককার্যক্রম আমাদের সামান্য আনন্দ দিলেও সেটা আসলে একধরনের আই ওয়াশ- তেমন ভাবেই বাণিজ্যিকতা আচ্ছন্ন শব্দ হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা- ১০ জন লেখকের বই ঘেঁটে গত ১০ বছরে ধরে একই ঘটনার বর্ণনা চলছে- প্রতিবছর সংবাদ পত্র আসছে বাজারে- এ বছর মার্চ- ডিসেম্বর ফেব্রুয়ারীতে প্রকাশিত প্রবন্ধ নিবন্ধের কাটিং জমিয়ে অন্তত ২ যুগ স্বাধীনতার সাংবাদিকতা করা যাবে-
মুক্তিযুদ্ধের এই দিনে কিংবা এ রকম যত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কলাম সেখানে ইতিহাস বিশ্লেষণের কোনো স্থান নেই- ইতিহাস মানুষের স্মৃতিকথা
সংবাদ পত্রের রাজনৈতিক দর্শন একটা প্রতিষ্ঠিত সত্য- যে কোনো বাণিজ্যিক সংস্থার মতো সংবাদপত্র অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠলেও এখনও পাঠকের সাথে সাম্ভাব্য বিজ্ঞাপন দাতাদের মনতুষ্টির জন্য হলেও সংবাদপত্র স্বাধীন ভূমিকা পালন করতে পারে না-
সংবাদ নিছক তথ্যসম্ভার না, তথ্যের বিশ্লেষণ আর সাম্ভাব্য প্রভাবও তথ্যমূল্য নির্ধারণ করে। তবে তথ্যের মূল্য নির্ধারণের সংবাদ পত্রের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ রাজনৈতিক আনতি একটা গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনার বিষয়। কথাটা বাংলাদেশের সংবাদপত্রের জন্যই প্রযোজ্য নয় শুধু, বরং প্রায় সমস্ত বিশ্বের সংবাদপত্রেরই একই অবস্থা। যদিও বাংলাদেশের মানুষের আস্থা এখনও বিবিসি কিংবা রয়টার্সের মতো সংবাদসংস্থার উপরে রয়েছে তবে সেখানেও পাঠকের মন্তব্য কিংবা
বাংলাদেশের রাষ্ট্র নীতিতে এখন মুক্ত বাজার অর্থনীতির গ্রহন, বাজার উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবিটা অনেক সময় অনেক ভাবেই উত্থাপিত হয়েছে, আমাদের নিজস্ব ভঙ্গুর অর্থনীতিতে বলিষ্ট না করে বাজার উন্মুক্ত করে দেওয়ার পন্থাটা আমার নিজের পছন্দ নয়, তবে এবারের বাজেটে আমদানি শুল্ক দিয়ে রাষ্ট্রীয় আয় বৃদ্ধির একটা প্রকল্প গৃহীত হয়েছে- এর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীরা শোরগোল তুলেছেন- তবে তাদের দাবিটা শুল্ক হার কমানোর দাবি- তাদের অভিমত এর জন্য দেশের ভেতরে কর্ম সংস্থান কমে যাবে- আমি এ বিষয় নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না এ মুহূর্তে।
এ বছর বাজেটে তেমন অভিনবত্ব নেই- আমার নিজেরও তেমন প্রত্যাশা ছিলো না- মূলত যে প্রশ্নগুলো বাজেট সম্পর্কে উত্থাপিত হয়েছে সেগুলো বেশ আগে থেকেই প্র